একক - নারী
ডিসেম্বর ২০১২
অমিয়া মতিন
স্বরলিপি
লেজার ভিশন । ২০ ডিসেম্বর ২০১২
মা’ই প্রথম অমিয়া মতিনের কণ্ঠে সুর তুলে দিয়েছিলেন। আর সেই থেকেই অমিয়া বাংলা গানকে ভালোবেসেছেন হৃদয়ের গভীর থেকে। অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী এই বাংলাদেশী মাঝে মাঝেই দেশে ছুটে আসেন নাড়ির টানে। কিন্তু দেশের এই অবসরের সময়গুলোও তিনি গানের রঙে রাঙিয়ে তোলেন। অন্যান্যবারের মতো এবারও দেশে এসে নতুন অ্যালবামের কাজ করছেন এই শিল্পী। নিজের সাম্প্রতিক কাজ নিয়ে অমিয়া মতিন বললেন, ‘তিনটি অ্যালবামের কাজ করছি। এর মধ্যে দুটি আমার মৌলিক একক অ্যালবাম। অন্যটি হারানো দিনের গান নিয়ে ডুয়েট অ্যালবাম। ডুয়েট অ্যালবামে আমার সঙ্গে গান করেছেন সাদী মহম্মদ। একক অ্যালবামের মধ্যে ‘স্বরলিপি’ শিরোনামের অ্যালবামটির সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন বাসু দেব। আর ‘অন্তবিহীন যাত্রী’ অ্যালবামটির কাজ করেছেন শেখ সাদী খান।’ অ্যালবাম করার সময় কোন কোন বিষয় মাথায় রাখেন—এমন প্রশ্নের জবাবে অমিয়া মতিন বললেন, ‘আমি নিজের অ্যালবামের গান তৈরির ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলো মাথায় রাখি যে, গানগুলো যেন সুরেলা হয়। এতে যেন ক্লাসিক্যালের ছোঁয়া থাকে। আমি ডিপ-ক্লাসিক্যালে যাই না। আমি রাগপ্রধান গান করতে পছন্দ করি। তবে অ্যালবামের ক্ষেত্রে এ ধারায় সিম্পল গানগুলো বেছে নেই। এবারের অ্যালবামের প্রতিটি গান আলাদা আলাদা। এতে কিছু গানে মেলোডি, কিছু গান ফাস্ট বিটের, কিছু গানে আবার তারানার ছোঁয়া পাওয়া যাবে। অ্যালবামের গানগুলো অনেক যত্ন দিয়ে গেয়েছি। আমি আসলে শুদ্ধ সুরের কিছু গান করতে চেয়েছি। এ ধারার গানই আমি করি।’ অমিয়া মতিনের শিল্পী হয়ে ওঠাটা বাংলাদেশে হলেও চাকরির সুবাদে তিনি অস্ট্রেলিয়ায় থাকেন। সেখানে পেশাগত কাজের বাইরে যেটুকু সময় পান, তাই গানে ব্যয় করেন। প্রবাসে নিজের গান নিয়ে শিল্পী বললেন, ‘গান আমার মনের খোরাক। শরীরটাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য আমরা যেমন খাদ্য গ্রহণ করি, তেমনি আমার মনের খাবার গান। গান করে আমি অনেক ভালোলাগা অনুভব করি। সিডনিতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্য আমার ডাক পড়ে। বিজয় দিবস, একুশের বইমেলা, বৈশাখী উত্সব—সবখানেই আমাকে গাইতে হয়। আমি প্রতি সপ্তাহে দুই-তিন দিন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান করি। সত্যি বলতে কি, প্রবাসে দেশীয় সংস্কৃতির চর্চা করতে পারা এবং অন্যের মাঝে তা তুলে ধরা আমার জন্য অনেক আনন্দের। প্রবাসে আমি আমার গানের মাধ্যমে বাংলাদেশের কথা বলতে পারছি—এটা আমার জন্য অনেক গর্বের বিষয়।’ অমিয়া বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতার, দুই জায়গাতেই গান করেন। তার প্রথম প্রকাশিত অডিও অ্যালবাম হলো হারানো দিনের গান নিয়ে ‘যেতে যেতে কিছু কথা’। এরপর কলকাতা থেকে তার দুটি অ্যালবাম প্রকাশ পায়। এর মধ্যে হারানো দিনের গানের অ্যালবামটির শিরোনাম ছিল ‘যত ভাবনা ছিল’ আর নজরুলসঙ্গীতের অ্যালবামটির নাম ‘ভোরের কুন্দকলি’। এর বাইরে তিনি আরও কয়েকটি অ্যালবাম করেছেন।
বিভিন্ন ধারায় গান করলেও অমিয়া মতিন মূলত নজরুলসঙ্গীতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। এর কারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কবি কাজী নজরুল ইসলামের গানগুলো আমাকে ভিন্নভাবে আন্দোলিত করে। নজরুলের গান বৈচিত্র্যপূর্ণ। কবি সব ধরনের গানই লিখে গেছেন। বিশেষ করে তার রাগপ্রধান গানগুলো তো অসাধারণ।’ গান করে শ্রোতাদের অনেক ভালোবাসা পেয়েছেন অমিয়া মতিন। তিনি মনে করেন, এটাই তার শিল্পী জীবনের বড় অর্জন। নিজের গান নিয়ে শ্রোতাদের ভালোবাসা প্রাপ্তির গল্প এভাবেই বললেন অমিয়া, ‘একেকজন শ্রোতা আমার গান শুনে আমাকে একেক রকমভাবে কমপ্লিমেন্ট দিয়ে থাকেন। কেউ আমার কণ্ঠে নজরুলসঙ্গীত শুনে মোহিত হন, আবার কেউ কেউ আমার মৌলিক গানেরও ভক্ত। আমি বেশি রেসপন্স পাই বাসুর সুরে গাওয়া ‘ভালোবাসাগুলো কেন এমন হয়’, ‘দেখি কত কাঁদতে পারো’ এবং শেখ সাদী খানের ‘আমি একা ছিলাম একা আছি’, ‘তুমি চাইলেই আমি কি না করতে পারি’—গানগুলোর জন্য। সত্যি বলতে কি, আমি শুধু নিজের জন্যই গান করি না। শ্রোতারাই আমার গানের প্রাণ।’ অডিও গানের পাশাপাশি চলচ্চিত্রে গান করার আগ্রহ থাকলেও অমিয়া সময়ের অভাবে তা পারছেন না। আসলে আমি খুব অল্প সময়ের জন্য দেশে আসি। দেশে বেড়ানোর পাশাপাশি অ্যালবামের কাজও করি। চলচ্চিত্রে গান করার ইচ্ছে থাকলেও তা সম্ভব হয় না’, বললেন অমিয়া মতিন।
বিভিন্ন ধারায় গান করলেও অমিয়া মতিন মূলত নজরুলসঙ্গীতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। এর কারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কবি কাজী নজরুল ইসলামের গানগুলো আমাকে ভিন্নভাবে আন্দোলিত করে। নজরুলের গান বৈচিত্র্যপূর্ণ। কবি সব ধরনের গানই লিখে গেছেন। বিশেষ করে তার রাগপ্রধান গানগুলো তো অসাধারণ।’ গান করে শ্রোতাদের অনেক ভালোবাসা পেয়েছেন অমিয়া মতিন। তিনি মনে করেন, এটাই তার শিল্পী জীবনের বড় অর্জন। নিজের গান নিয়ে শ্রোতাদের ভালোবাসা প্রাপ্তির গল্প এভাবেই বললেন অমিয়া, ‘একেকজন শ্রোতা আমার গান শুনে আমাকে একেক রকমভাবে কমপ্লিমেন্ট দিয়ে থাকেন। কেউ আমার কণ্ঠে নজরুলসঙ্গীত শুনে মোহিত হন, আবার কেউ কেউ আমার মৌলিক গানেরও ভক্ত। আমি বেশি রেসপন্স পাই বাসুর সুরে গাওয়া ‘ভালোবাসাগুলো কেন এমন হয়’, ‘দেখি কত কাঁদতে পারো’ এবং শেখ সাদী খানের ‘আমি একা ছিলাম একা আছি’, ‘তুমি চাইলেই আমি কি না করতে পারি’—গানগুলোর জন্য। সত্যি বলতে কি, আমি শুধু নিজের জন্যই গান করি না। শ্রোতারাই আমার গানের প্রাণ।’ অডিও গানের পাশাপাশি চলচ্চিত্রে গান করার আগ্রহ থাকলেও অমিয়া সময়ের অভাবে তা পারছেন না। আসলে আমি খুব অল্প সময়ের জন্য দেশে আসি। দেশে বেড়ানোর পাশাপাশি অ্যালবামের কাজও করি। চলচ্চিত্রে গান করার ইচ্ছে থাকলেও তা সম্ভব হয় না’, বললেন অমিয়া মতিন।
বিন্দিয়া খান
যাদুর কাঠি মিউজিক টু-ডে । ২৮ ডিসেম্বর ২০১২ |
২৮ ডিসেম্বর নবীন কণ্ঠশিল্পী বিন্দিয়া খানের একক অ্যালবাম ‘যাদুর কাঠি’র মোড়ক উন্মোচন হয়েছে মগবাজারস্থ একটি কমিউনিটি সেন্টারে। তার অ্যালবামটির মোড়ক উন্মোচন করেছেন ওস্তাদ ইয়াসিন আলী খান, গাজী মাজহারুল আনোয়ার, শেখ সাদী খান, সুবীর নন্দী, প্রমুখ। অ্যালবাম প্রকাশ উপলক্ষে গাজী মাজহারুল আনোয়ার, শেখ সাদী খান, সুবীর নন্দী স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
আধুনিক গানের অ্যালবামে ‘মন বলে’, ‘যাদুর কাঠি’, ‘মনে পড়ে না’, ‘যেখানে সেখানে’, ‘কেন এমন হয়’, ‘সন্ধ্যা নামে’, ‘বহুদিন পর’, ‘দেশ আমার’ নামে গান রয়েছে আটটি। ‘দেশ আমার’ গানটির কথা লিখেছেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার ও সুর করেছেন শেখ সাদী খান এবং প্রসেনজিৎ-এর লেখা ‘মনে পড়ে না’ ও ‘বহুদিন পর’-এর সুর করেছেন সুবীর নন্দী। অন্য গানের কথা লিখেছেন কবির বকুল, কাজী রোজি ও রবিউল ইসলাম জীবন। সুর করেছেন মনোয়ার হোসেন টুটুল ও উজ্জ্বল সিনহা। অ্যালবামটি বাজারে এনেছে মিউজিক টু-ডে।
আধুনিক গানের অ্যালবামে ‘মন বলে’, ‘যাদুর কাঠি’, ‘মনে পড়ে না’, ‘যেখানে সেখানে’, ‘কেন এমন হয়’, ‘সন্ধ্যা নামে’, ‘বহুদিন পর’, ‘দেশ আমার’ নামে গান রয়েছে আটটি। ‘দেশ আমার’ গানটির কথা লিখেছেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার ও সুর করেছেন শেখ সাদী খান এবং প্রসেনজিৎ-এর লেখা ‘মনে পড়ে না’ ও ‘বহুদিন পর’-এর সুর করেছেন সুবীর নন্দী। অন্য গানের কথা লিখেছেন কবির বকুল, কাজী রোজি ও রবিউল ইসলাম জীবন। সুর করেছেন মনোয়ার হোসেন টুটুল ও উজ্জ্বল সিনহা। অ্যালবামটি বাজারে এনেছে মিউজিক টু-ডে।
মুক্তা
মুক্তা সিডি চয়েস । ৩১ ডিসেম্বর ২০১২ |
নতুন বছর উপলক্ষে নিজের নতুন একক অ্যালবাম নিয়ে শ্রোতাদের সামনে হাজির হয়েছেন এ প্রজন্মের কণ্ঠশিল্পী মুক্তা মজুমদার। এটি তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় একক। সময়ের আলোচিত ৮ সুরকারের সুরে এই অ্যালবামটি সাজিয়েছেন তিনি। অ্যালবামের নাম রাখা হয়েছে তার নিজের নামেই, অর্থাৎ ‘মুক্তা’। সিডি চয়েজের ব্যানারে ৩১শে ডিসেম্বর থার্টি ফার্স্টে প্রকাশ পেয়েছে অ্যালবামটি। এদিকে মুক্তার প্রথম একক প্রকাশিত হয়েছিল ২০০৯ সালে। সেটি ছিল একটি ক্লাসিক্যাল আধুনিক গানের অ্যালবাম। এরপর দীর্ঘ তিন বছর ধরে নিজের এই আধুনিক গানের অ্যালবামের কাজ গুছিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের বাইরে ভারতের সংগীত পরিচালকও কাজ করেছেন তার এই অ্যালবামে। মুক্তার এই অ্যালবামে গান রয়েছে মোট ৯টি। সব ধরনের গানই রাখার চেষ্টা করা হয়েছে এখানে। তার এই অ্যালবামের গানগুলোর সংগীতায়োজকরা হলেন- ফুয়াদ, আরফিন রুমি, মাহমুদ সানী, তানভীর তারেক, তৌসিফ, জেকে, সুমন কল্যাণ এবং ভারতের রকেট মণ্ডল। অ্যালবামে গান লিখেছেন- কবির বকুল, অনুরূপ আইচ, তানভির তারেক, জাহিদ আকবর, উৎপল, প্রিন্স আলম, এমদাদ, তৌসিফ প্রমুখ। অ্যালবামে একটি দ্বৈত গান মুক্তা মজুমদার গেয়েছেন আরফিন রুমির সঙ্গে। খুব শিগগিরই এই গানটির একটি মিউজিক ভিডিও করা হবে বলেও জানিয়েছেন মুক্তা।
অন্যদিকে পর্যায়ক্রমে এই অ্যালবামের আরও দু-একটি গানের মিউজিক ভিডিও করার পরিকল্পনাও রয়েছে তার। এদিকে বাজারে ছাড়ার পর পরই অ্যালবামের একটি জমকালো প্রকাশনা উৎসবও করবেন বলে তিনি জানিয়েছেন। নিজের এই অ্যালবাম প্রসঙ্গে মুক্তা মজুমদার বলেন, আমি অনেক সময় নিয়ে আস্তে ধীরে এই অ্যালবামের কাজ করেছি। এ সময়ের আলোচিত সংগীত পরিচালক ও গীতিকাররা এই অ্যালবামে কাজ করেছেন। গায়কীর দিক দিয়েও প্রতিটি গানেই নিজেকে ব্যতিক্রমভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা ছিল। অবশেষে অ্যালবামটি একটি ভাল দিনে প্রকাশ পাচ্ছে। এটা থার্টি ফার্স্টে শ্রোতাদের জন্য আমার পক্ষ থেকে উপহার। এখন অ্যালবামের গানগুলো শ্রোতাদের ভাল লাগলেই আমার সার্থক।
অন্যদিকে পর্যায়ক্রমে এই অ্যালবামের আরও দু-একটি গানের মিউজিক ভিডিও করার পরিকল্পনাও রয়েছে তার। এদিকে বাজারে ছাড়ার পর পরই অ্যালবামের একটি জমকালো প্রকাশনা উৎসবও করবেন বলে তিনি জানিয়েছেন। নিজের এই অ্যালবাম প্রসঙ্গে মুক্তা মজুমদার বলেন, আমি অনেক সময় নিয়ে আস্তে ধীরে এই অ্যালবামের কাজ করেছি। এ সময়ের আলোচিত সংগীত পরিচালক ও গীতিকাররা এই অ্যালবামে কাজ করেছেন। গায়কীর দিক দিয়েও প্রতিটি গানেই নিজেকে ব্যতিক্রমভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা ছিল। অবশেষে অ্যালবামটি একটি ভাল দিনে প্রকাশ পাচ্ছে। এটা থার্টি ফার্স্টে শ্রোতাদের জন্য আমার পক্ষ থেকে উপহার। এখন অ্যালবামের গানগুলো শ্রোতাদের ভাল লাগলেই আমার সার্থক।