গানের খবর
নভেম্বর ২০১২
আজ থেকে সম্প্রচারে ‘ক্লোজআপ ওয়ান-২০১২’
আজ থেকে টিভি সমপ্রচারে আসছে ‘ক্লোজআপ ওয়ান-২০১২’-এর চতুর্থ আসর। বিগত বছরগুলোর ধারাবাহিকতায় আরও বৃহৎ পরিসরে, জমকালো আয়োজন নিয়ে আজ থেকে এনটিভি পর্দায় দেখা যাবে আলোচিত এই সংগীতভিত্তিক রিয়েলিটি শোটি। এমনটাই জানালেন সংশ্লিষ্টরা। এ উপলক্ষে গতকাল স্থানীয় এক রেস্তরাঁয় একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয় এনটিভি ও ইউনিলিভারের পক্ষ থেকে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন এবারের পরিচালক আলফ্রেড খোকন, ইউনিলিভারের মিডিয়া ম্যানেজার তানভীর ফারুক, উপস্থাপক পুতুল ও সায়েমসহ সংশ্লিষ্ট আরও অনেকে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় আজ থেকে প্রতি শুক্র ও রোববার রাত সোয়া ৯টায় এনটিভিতে নিয়মিত প্রচার হবে ‘ক্লোজআপ ওয়ান-২০১২’। পরিচালক আলফ্রেড খোকন বলেন, এবারের ক্লোজআপ ওয়ানের টিভি সমপ্রচার শুরু হচ্ছে ঢাকা বিভাগের সিলেকশন রাউন্ডের মধ্যদিয়ে। যেমনটা আগে কখনও হয়নি। এছাড়াও এবার অতীতের তিনটি আয়োজন থেকে বেশকিছু কনসেপ্ট এবং উপস্থাপনা আলাদা করার চেষ্টা করেছি। সব মিলিয়ে আমরা মানসম্মত একটি রিয়েলিটি শো উপহার দেয়ার চেষ্টা করছি। উল্লেখ্য, বরাবরের মতো এবারও এ আসরে অংশগ্রহণ করেছে দেশের ও প্রবাসের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নতুন নতুন সংগীত প্রতিভা। এর মধ্যে দেশজুড়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, সিলেট, ময়মনসিংহ, রংপুর, রাজশাহী, কুষ্টিয়া, বরিশাল, খুলনা ইত্যাদি ১০টি ভিন্ন স্থানে প্রাথমিক বাছাইপর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়াও দেশের বাইরে ৫টি দেশে প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য প্রাথমিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশগুলো হলো- যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত। গতবারের ধারাবাহিকতায় এবারও ক্লোজআপ ওয়ানের বিচারকের আসনে আছেন দেশের অন্যতম সুরকার ও গীতিকার আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল, জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ফাহমিদা নবী এবং ব্যান্ড তারকা-অভিনেতা পার্থ বড়ুয়া। অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় আছেন পুতুল এবং সায়েম। ক্লোজআপ ওয়ানের মূল পৃষ্ঠপোষক ও আয়োজক ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড। প্রতিবারের মতো এবারও মিডিয়া পার্টনার হিসেবে থাকছে টিভি চ্যানেল এনটিভি। ক্রিয়েটিভ এজেন্সি হিসেবে অ্যাডকম লিমিটেড এবং ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ফার্ম হিসেবে আছে মার্কেট অ্যাকসেস।
- মানবজমিন, ৩০ নভেম্বর ২০১২
- মানবজমিন, ৩০ নভেম্বর ২০১২
আফজাল এবার গীতিকার
অভিনেতা হিসেবে আফজাল হোসেনকে এক নামে চেনেন দর্শক। নির্মাতা হিসেবেও মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন তিনি। আর পর্দার আড়ালেও আফজাল সমাদৃত। একসময় কার্টুন আঁকতেন। চিত্রশিল্প বা আলোকচিত্র তোলায়ও সিদ্ধহস্ত তিনি। এবার গীতিকার পরিচয়ে আবির্ভূত হচ্ছেন জনপ্রিয় এই ব্যক্তিত্ব। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দেশাত্মবোধক গান লিখেছেন তিনি। এটি সম্মিলিত কণ্ঠে গাইবেন সামিনা চৌধুরী, তানভীর আলম সজীব ও কনা। আগামী ১৬ ডিসেম্বর রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে আয়োজিত জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে এ গানটি শোনা যাবে। এরই মধ্যে গানের কথা দেখেছেন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান। তিনি আফজালের লেখনীর প্রশংসাও করেছেন বলে জানা গেছে, এই গানের সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক তানভীর আলম সজীব। গান লেখা প্রসঙ্গে আফজাল বলেছেন, 'লেখালেখির চর্চা নিয়মিতই হয় পত্রিকায় লেখার সুবাদে। এবার ছন্দে কিছু অনুভূতি লিখলাম দেশকে নিয়ে।'
- সমকাল ২৯ নভেম্বর ২০১২
- সমকাল ২৯ নভেম্বর ২০১২
নতুন দূরবীনের কার্যক্রম শুরু
ব্যক্তিগত কারণে আরফিন রুমী আর দূরবীন ব্যান্ড এখন আলাদা হয়ে গেছে। এ কারণেই ব্যান্ডটির সব কার্যক্রম স্থগিত করেন দলনেতা শহিদ। অবশেষে জানা গেলো, তিনি ও আইয়ুব শাহরিয়ার ছাড়া দূরবীন ব্যান্ডে পুরনো কোনো সদস্যই থাকছেন না। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ২০১০ সালে দূরবীনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত 'দূরবীন রকার্স হান্ট' প্রতিযোগিতার কয়েকজন। দূরবীনের নতুন লাইনআপে আছেন_ শহিদ ও আইয়ুব শাহরিয়ার [কণ্ঠ], রুবেল [ড্রামস], হৃদয় [লিড গিটার] ও শাওন [বেজ গিটার]। নতুন লাইনআপ নিয়ে এরই মধ্যে দূরবীন ব্যান্ড অনুশীলন শুরু করেছে। ২০০৪ সালে দূরবীন ব্যান্ডের যাত্রা শুরু। ব্যান্ডের শিরোনামেই ২০০৬ সালে প্রকাশ হয় তাদের প্রথম অ্যালবাম। আর ২০০৮ সালে বাজারে আসে ব্যান্ডটির দ্বিতীয় অ্যালবাম 'দূরবীন ২.০১'। দুই বছর বিরতি দিয়ে প্রকাশ হয় দূরবীনের তৃতীয় অ্যালবাম 'দূরবীন ৩.০১'। ২০১০ সালেই নতুন প্রতিভা অন্বেষণে 'দূরবীন রকার্স হান্ট' প্রতিযোগিতা আয়োজন করেন তারা।
এবার চলচ্চিত্রে সোলস
শুধু গান গাওয়া নয়, গান গাওয়ার পাশাপাশি এবার একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করবেন সোলসের সদস্যরা। আর তা সোলস নামেই। ছবির নাম এই মুহূর্তে। পরিচালক মাসুদ হাসান উজ্জ্বল। সোলসের অন্যতম সদস্য পার্থ বড়ুয়া বলেন, ‘আমি কিংবা সোলস এর আগে কোনো চলচ্চিত্রে গান করিনি; অভিনয় তো দূরের কথা! এবারই প্রথম চলচ্চিত্রে আমরা সবাই একসঙ্গে গান করব, অভিনয় করব। এর চেয়ে আনন্দের খবর আর কী হতে পারে!’
এই মুহূর্তে ছবির ভাবনা প্রসঙ্গে উজ্জ্বল জানান, কোনো একটা কারণে হাজার হাজার মানুষ তাদের অতীত-বর্তমান নিয়ে পথে নেমে পড়ে, গন্তব্য জানা নেই কারও। এমন একটা জায়গা থেকে এই মুহূর্তে চলচ্চিত্রের গল্পের শুরু। উজ্জ্বল আরও বললেন, ‘বাংলাদেশের ব্যান্ড-সংগীতের ইতিহাস লিখতে গেলে সোলসের নাম বাদ দেওয়া সম্ভব নয়। বাংলাদেশের ব্যান্ড-সংগীতে একধরনের বিনি সুতার মালা গেঁথে রেখেছে সোলস।’ পার্থ বললেন, ‘আমি প্রথম উজ্জ্বলের সঙ্গে কাজ করেছিলাম অর্থহীন মানিপ্লান্ট টেলিছবিতে। এরপর তাঁর সঙ্গে আরও কয়েকটি কাজ করেছি। বলতে পারেন, আমি তাঁর কাজের ভক্ত হয়ে গেছি। উজ্জ্বল প্রথম চলচ্চিত্র তৈরি করতে যাচ্ছেন, আর তাতে সোলসের একটা বড় ভূমিকা থাকছে, ভাবতেই ভালো লাগছে। আমরা এই মুহূর্তে ছবির সঙ্গে আছি, থাকব।’ উজ্জ্বল জানান, চিত্রনাট্য লেখার কাজ শেষ। এখন ছবির শিল্পীদের চূড়ান্ত করা হচ্ছে। শুটিং শুরু হবে আগামী বছরের এপ্রিলে। - প্রথম আলো ২৫ নভেম্বর ২০১২
এই মুহূর্তে ছবির ভাবনা প্রসঙ্গে উজ্জ্বল জানান, কোনো একটা কারণে হাজার হাজার মানুষ তাদের অতীত-বর্তমান নিয়ে পথে নেমে পড়ে, গন্তব্য জানা নেই কারও। এমন একটা জায়গা থেকে এই মুহূর্তে চলচ্চিত্রের গল্পের শুরু। উজ্জ্বল আরও বললেন, ‘বাংলাদেশের ব্যান্ড-সংগীতের ইতিহাস লিখতে গেলে সোলসের নাম বাদ দেওয়া সম্ভব নয়। বাংলাদেশের ব্যান্ড-সংগীতে একধরনের বিনি সুতার মালা গেঁথে রেখেছে সোলস।’ পার্থ বললেন, ‘আমি প্রথম উজ্জ্বলের সঙ্গে কাজ করেছিলাম অর্থহীন মানিপ্লান্ট টেলিছবিতে। এরপর তাঁর সঙ্গে আরও কয়েকটি কাজ করেছি। বলতে পারেন, আমি তাঁর কাজের ভক্ত হয়ে গেছি। উজ্জ্বল প্রথম চলচ্চিত্র তৈরি করতে যাচ্ছেন, আর তাতে সোলসের একটা বড় ভূমিকা থাকছে, ভাবতেই ভালো লাগছে। আমরা এই মুহূর্তে ছবির সঙ্গে আছি, থাকব।’ উজ্জ্বল জানান, চিত্রনাট্য লেখার কাজ শেষ। এখন ছবির শিল্পীদের চূড়ান্ত করা হচ্ছে। শুটিং শুরু হবে আগামী বছরের এপ্রিলে। - প্রথম আলো ২৫ নভেম্বর ২০১২
অন্যপথ চলচ্চিত্রে এফ এ সুমন
বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় সংগীত পরিচালক এবং শিল্পী এফএ সুমন আবারো নতুনভাবে আসছেন `অন্যপথ` নামক একটি নতুন ছবির সংগীত পরিচালনা নিয়ে। ছবিটি সম্পর্কে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, "ছবির গল্প ভালো লাগাতেই আমি এই ছবির সংগীত পরিচালনা করছি এবং এর গান গুলোও নিজের মত করে সাজিয়েছি। সবগুলো গান সুর করেছি আমি এবং নাঈম তালুকদার। আশা করছি ছবির অ্যালবামটি ১২-১২-১২ তে রিলিজ হবে।"
ছবির গানগুলোতে কণ্ঠ দিয়েছেন -ন্যান্সি, কণা, নির্ঝর, ইমরান, আর জে রাজু, অভি, এহেসান রাহি, কিশোর পলাশ, নাঈম তালুকদার এবং এফ এ সুমন । গানগুলোর কথা লিখেছেন ইবু, এএম শ্যমল, নাঈম তালুকদার। ছবিটির কাহিনী চিত্রনাট্য করেছেন এএম শ্যামল এবং ছবিটির পরিচালনা করেছেন নাঈম তালুকদার। - বাংলা নিউজ ২৪
ছবির গানগুলোতে কণ্ঠ দিয়েছেন -ন্যান্সি, কণা, নির্ঝর, ইমরান, আর জে রাজু, অভি, এহেসান রাহি, কিশোর পলাশ, নাঈম তালুকদার এবং এফ এ সুমন । গানগুলোর কথা লিখেছেন ইবু, এএম শ্যমল, নাঈম তালুকদার। ছবিটির কাহিনী চিত্রনাট্য করেছেন এএম শ্যামল এবং ছবিটির পরিচালনা করেছেন নাঈম তালুকদার। - বাংলা নিউজ ২৪
ফুয়াদের মিশ্র অ্যালবামের জন্য সঙ্গীত প্রতিযোগিতা
নতুন সঙ্গীত প্রতিভা বাছাই করে একটি নতুন মিশ্র অ্যালবাম তৈরি করতে যাচ্ছেন সঙ্গীত পরিচালক ফুয়াদ আল মুক্তাদির। মুঠোফোন প্রতিষ্ঠান রবির উদ্যোগে দেশের সাতটি বিভাগীয় শহরে এ প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হচ্ছে। এর মধ্যে আগামী ২৪ নভেম্বর খুলনা, ২৬ নভেম্বর বরিশাল, ২৯ নভেম্বর সিলেট, ১ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম, ৪ ডিসেম্বর রাজশাহী, ৬ ডিসেম্বর রংপুর ও ৮ ডিসেম্বর ঢাকায় বাছাই পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া রবির ৩৩৩৩ নম্বরে ডায়াল করেও প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া যাবে। এতে সারাদেশ থেকে শুধু রবির গ্রাহকরাই অংশ নিতে পারবেন বলে জানা গেছে। নির্বাচিত সেরা প্রতিযোগীরা ফুয়াদের সুর ও সঙ্গীতে মিশ্র অ্যালবামে গাওয়ার সুযোগ পাবেন। ফুয়াদ জানান, 'প্রতিভার আলো বিচ্ছুরিত হবেই। তাই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা প্রতিভাবান শিল্পীদেরকে নিজেদের মেলে ধরার পথ দেখিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা থেকেই আমাদের এই উদ্যোগ।' এর আগে চলতি বছর একইরকম একটি আয়োজনের মাধ্যমে নির্বাচিত ছয় নবীন শিল্পীকে নিয়ে হৃদয় খান তৈরি করেন মিশ্র অ্যালবাম 'হৃদয় মিক্স-থ্রি'।
আসাম মিউজিক ফেস্টিভ্যালে মাকসুদ
এ দেশের রক লিজেন্ড মাকসুদুল হকের আদি নিবাস যে ভারতের আসামে তা হয়তো তার অনেক ভক্তই জানেন না। তবে দীর্ঘদিন সেই নিবাস ছেড়ে বাংলাদেশি রক মিউজিককে তিনি সমৃদ্ধ করেছেন আপন মহিমায়। তার ভক্তদের জন্য নতুন খবর হলো, দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর পর মাকসুদ যাচ্ছেন আসামে একটি মেগা কনসার্টে অংশ নিতে। দ্বিতীয় গোয়াহাটি আন্তর্জাতিক মিউজিক ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে যাচ্ছেন মাকসুদুল হক। ২৩ থেকে ২৫ নভেম্বর আসামের গোয়াহাটির শিল্পগ্রামে এই ফেস্টিভ্যালটি অনুষ্ঠিত হবে। এতে অংশ নেবেন আমেরিকার রক গায়ক গ্রেগ ইলিচ, মিজোরামের ব্যান্ড সেভেঞ্জার প্রজেক্ট, মুম্বাইয়ের দ্য নিতেন পিরেস ব্যান্ড, বলিউড খ্যাত বিক্রম ঘোষ, আফগানিস্তানের হ্যারিস খান ও বাংলাদেশের মাকসুদুল হক।
এই আয়োজন প্রসঙ্গে মাকসুদ বলেন, ‘এটা এক ধরনের অন্যরকম অভিজ্ঞতা। দীর্ঘদিন ধরেই এই আয়োজকের সাথে কথা চলছিল, অবশেষে দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর পর আসামে যাওয়া হচ্ছে আমার। খুব ভালো একটি শোতে অংশ নিতে পারলে যেকোনো মিউজিশিয়ানেরই ভালো লাগে। আমারও ভালো লাগছে।’
এই আয়োজন প্রসঙ্গে মাকসুদ বলেন, ‘এটা এক ধরনের অন্যরকম অভিজ্ঞতা। দীর্ঘদিন ধরেই এই আয়োজকের সাথে কথা চলছিল, অবশেষে দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর পর আসামে যাওয়া হচ্ছে আমার। খুব ভালো একটি শোতে অংশ নিতে পারলে যেকোনো মিউজিশিয়ানেরই ভালো লাগে। আমারও ভালো লাগছে।’
সরগম শুভজনের সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর সংগীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে দেশের সংগীতবিষয়ক একমাত্র নিয়মিত পত্রিকা 'সরগম'-এর লেখক, পাঠক, শুভানুধ্যায়ী সংগঠন সরগম শুভজনের অভিষেক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি আসাদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সরগম সম্পাদক কাজী রওনাক হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন কবি কাজী রোজী ও কবি লিলি হক। শুভজনের পরিচালক এম আর রাসেলের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শুভজনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক গীতিকার এম আর মনজু। অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন সংগীতশিল্পী রাজিয়া মুন্নী, তামান্না জেসমিন, বিডি হৃদয়, শায়লা রহমান, সাবিনা লাকী, মুস্তফা শেখ, আনিশা, মো. শহিদুল্লাহ, পলাশ মাহমুদ, নির্ঝর চৌধুরী, শায়লা শারমিন, আরাফাত রহমান, অগি্নবীণা, ঝুমা আক্তার, মলি্লকা লাবণী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করেন এইচ এম রিজভী, প্রমী ও তার দল। - ডেসটিনি ১৯ নভেম্বর ২০১২
আর্টিস্ট ক্রাফ্ট
দেশের সঙ্গীত জগতের উদীয়মান ও প্রতিভাবান শিল্পীদের দেশে ও বিদেশে পরিচিতি ঘটানোর নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আর্টিস্ট ক্রাফট। আগামী ডিসেম্বরে ব্যান্ড সিক্স, ব্যান্ড প্রিজনার, ব্যান্ড রক হলিকসহ বেশ কিছু দলের শো করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এ শোগুলো করার জন্য দেশ টিভি, ইটিভি সহ কয়েকটি চ্যানেলের সঙ্গে যোগাযোগ সম্পন্ন করেছে তারা। শিল্পীদের ক্যারিয়ার উন্নয়ন, প্রদর্শনীর ব্যবস্থা, লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে সকলের কাছে তুলে ধরাই এর উদ্দেশ্য। এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের অন্যতম কর্ণধার রোমাঞ্চ জানান, আমাদের মূল লক্ষ্য শিল্পীদের পিচ্ছিল ও দুর্গম পথকে সহজ করা। যে সব ব্যান্ড প্রতিষ্ঠিত হতে চায় কিন্তু নানাবিধ প্রতিকূলতার কারণে পারছে না তাদেরও সেবা প্রদান করে থাকি। এছাড়া প্রতিভাবান মডেল, লেখকসহ সম্ভাবনাময় শিল্পীদের তাঁদের অভীষ্ঠ লক্ষ্যে পৌঁছে দিতেই আমাদের এই প্রয়াস।
মেসবাহ্'র মিউজিক ভিডিও
ক্ল্যাসিক্যাল ঘরানার শিল্পী মেসবাহ্ আহমেদের ছয়টি গান নিয়ে মিউজিক ভিডিও নির্মিত হয়েছে। গানগুলো হলো- রংধনু মেয়ে, হাজার বছর, যদি কান্না পায়, বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে, অঙ্কে কাঁচা ছিলাম ও দুয়ার জুড়ে। মিউজিক ভিডিওগুলো এরই মধ্যে একুশে টিভিতে জমা দেয়া হয়েছে। চমকপ্রদ গায়কীর কারণে মেসবাহ্ আহমেদ ইতোমধ্যে শ্রোতাদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করে নিয়েছেন। ২০০০ সালে জি-সিরিজের ব্যানারে তার প্রথম একক '৫২ দিনের সংসার' বাজারে আসে। অ্যালবামের প্রতিটি গান তিনিই লিখেছিলেন। এটি শ্রোতাদের মাঝে বেশ সাড়া ফেলেছিল। বিগত এক যুগে নতুন কোনো অ্যালবাম করেননি মেসবাহ্। তবে গত দুই বছরে তিনি নতুন আটটি গান করেছেন। যার মধ্যে দুটি গজলও রয়েছে। গজল দুটি তারই লেখা। এগুলো হচ্ছে, 'ইউ তো কেয়া কেয়া নাযার নেহি আতা' ও 'কই পায়গাম না দোয়া কোয়ি'। এ প্রসঙ্গে মেসবাহ্ আহমেদ বলেন, 'প্রতি বছর অ্যালবাম বের করতে হবে এমন কোনো কথা নেই। শুদ্ধ সঙ্গীত চর্চা করাই আমার মূল লক্ষ্য। তবে নতুন যে আটটি গান করেছি, তা এরইমধ্যে শ্রোতা সমাদৃত হয়েছে। গানগুলো পরবর্তী অ্যালবাম আকারে প্রকাশ করার ইচ্ছা রয়েছে।' মেসবাহ্ আহমেদ ওস্তাদ নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরীর কাছে টানা ১১ বছর উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত এবং জগজিৎ সিংয়ের কাছে গজলে তালিম নিয়েছেন।
- যায় যায় দিন ১৯ নভেম্বর ২০১২
- যায় যায় দিন ১৯ নভেম্বর ২০১২
সিলেট রয়্যালসকে নিয়ে মেহরাবের গান
বাংলাদেশ ক্রিকেট লীগের (বিপিএল) দ্বিতীয় আসর শুরু হবে আগামী বছরের জানুয়ারিতে। শুরুর আগেই বিপিএলের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ছে। বিপিএল সামনে রেখে সিলেট রয়্যালসকে নিয়ে একটি গান করেছেন প্রথমবারের ক্লোজআপ ওয়ান প্রতিযোগিতার শীর্ষ দশের অন্যতম তারকা মেহরাব। গানটি লিখেছেন মেহরাবের বাবা আমিনুর রহমান। কণ্ঠ দেওয়ার পাশাপাশি গানটির সুর-সংগীতও করেছেন মেহরাব। গান প্রসঙ্গে মেহরাব বলেন, 'এমনিতেই আমি ক্রিকেটের দারুণ ভক্ত। গত বিশ্বকাপ উপলক্ষেও বাংলাদেশ দলকে নিয়ে একটি গান করেছিলাম। এবার সিলেট দলকে উৎসাহ জোগানোর জন্য এই গান করেছি।' মেহরাব আরো বলেন, 'চেষ্টা করেছি সুর ও সংগীতে ক্রিকেটীয় ব্যাপারটা ফুটিয়ে তুলতে। বিপিএল শুরু হলেই গানটির প্রচার শুরু হবে।' - কালের কন্ঠ ১৯ নভেম্বর ২০১২
বাংলাদেশ বেতারের জলসায় শ্রোতামুগ্ধ
হেমন্তের এই সন্ধ্যায় গত শুক্রবার রাজধানীর আগারগাঁও জাতীয় বেতার ভবন অডিটোরিয়ামে বেতার শ্রোতাদের জন্য বসেছিল সরাসরি সংগীত বিষয়ক অনুষ্ঠান ‘জলসা’। দর্শক-শ্রোতা ভরপুরে জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী সামিনা চৌধুরী পরিবেশন করেন একক সংগীত। গানের ফাঁকে ফাঁকে আবু নওশেরের সুন্দর ও সাবলীল আলাপচারিতায় উঠে আসে শিল্পীর জীবনের নানা কথা। তার বাবা প্রয়াত স্বনামধন্য কণ্ঠশিল্পী মাহমুদুন্নবীর কথা। গানে গানে, কথায় কথায় শিল্পী জলসা শুরু করেন একটি দেশের গান দিয়ে। এরপর কথোপকথনের সঙ্গে সঙ্গে শিল্পী পরিবেশন করতে থাকেন তার গাওয়া জনপ্রিয় গানগুলো। এগুলো হলো জন্ম থেকে জ্বলছি মাগো, একবার যদি কেউ ভালবাসত, ফুল ফোটে ফুল ঝরে ভালবাসা ঝরে পড়ে না, আমার বুকের মধ্যখানে, ভাল লাগে গান ভাল লাগে চাঁদ, তুমি যে আমার কবিতা, আয়নাতে ওই মুখ দেখবে যখন, গানে গানে চেনা হলো। এভাবে সুর আর কণ্ঠের মাধুর্যে সামিনা চৌধুরী শ্রোতাদের মুগ্ধ করে তোলেন। এর সঙ্গে শিল্পী ‘তোমার খোলা হাওয়ায়’ একটি রবীন্দ্রসংগীতও গেয়ে শোনান। এ নান্দনিক অনুষ্ঠান প্রচারের জন্য সাধুবাদ জানিয়ে অসংখ্য শ্রোতা অনুষ্ঠান চলাকালীন বেতার ভবনে টেলিফোন করে। এর আগে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে স্বাগত বক্তব্য রাখেন তথ্য সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন। তিনি বেতারের সুদীর্ঘ অবদানের কথা তুলে ধরে বলেন, দেশের মানুষের আজ যে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হয়েছে তা বেতারের মাধ্যমেই হয়েছে। এটা আমাদের জন্য বড় অর্জন। তিনি আগামীতে এফএমের মাধ্যমে বেতারের অনুষ্ঠান মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার কথা উল্লেখ করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক কাজী আখতার উদ্দিন আহমেদ মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অবদান স্মরণ করে বলেন, বাংলাদেশ বেতার প্রতিষ্ঠাকালের পর থেকে আজ ৭৩ বছরেও সৃষ্টিশীল কাজ করে যাচ্ছে। যারা আজ প্রতিষ্ঠিত শিল্পী তারা বেতার থেকেই হয়েছে। এছাড়া তিনি আগামী দিনে বেতারের অনুষ্ঠান ও সংবাদ শ্রোতামুখী করার জন্য একটি মহাপরিকল্পনা হাতে নেয়ার কথাও বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন পরিচালক (অনুষ্ঠান) সালাহ উদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ঢাকা বেতারের আঞ্চলিক পরিচালক আমানুল্লাহ মাসুদ হাসান। উল্লেখ্য, প্রতি মাসের তৃতীয় শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা ০৫ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা ২৫ মিনিটব্যাপী ‘জলসা’ অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ বেতারের সব কেন্দ্র থেকে একযোগে প্রচার হচ্ছে। - মানবজমিন ১৯ নভেম্বর ২০১২
জেকের সুরে ন্যান্সি
সঙ্গীত পরিচালক জেকের সুর-সঙ্গীতে একটি বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেলে কন্ঠ দিলেন ন্যান্সি। জিঙ্গেলটি 'বোটানিক এ্যারোমা ফেয়ারনেস বডি লোশন'র বিজ্ঞাপনে ব্যবহৃত হবে। জিঙ্গেলের কথা লিখেছেন প্রিন্স আলম। কথা হচ্ছে, 'শীতের হিমেল হাওয়া, তোমার নরম ছোঁয়া'। গত বৃহস্পতিবার জেকের নিজস্ব স্টুডিও 'গানের আড়তে' গানটি ধারণ করা হয়। এ প্রসঙ্গে ন্যান্সি বলেন, 'এর আগে জেকে ভাইয়ের সুরে প্লেব্যাক করেছি। এবারই প্রথম জিঙ্গেলে কন্ঠ দিলাম। জিঙ্গেলটি শ্রোতাদের ভালো লাগবে।' বিজ্ঞাপনটি নির্মাণ করছেন আসাদুজ্জামান লিটন। এ মাসের শেষ প্রান্তে দেশের বিভিন্ন মনোরম লোকেশনে এর শুটিং সম্পন্ন হবে।
৮ বছর পর পথিক নবীর এ্যালবাম
দীর্ঘ আট বছর পর নতুন অ্যালবাম প্রকাশ করছেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী পথিক নবী। আসন্ন পহেলা বৈশাখে অ্যালবামটি অনলাইনে মুক্তি দেয়া হবে। তার কিছুদিন পরে এটি সিডি আকারে বাজারজাত করা হবে। অনলইনে প্রকাশ পাওয়া ৩০টি গান থেকে বাছই করা ১০ গান সিডিতে স্থান পাবে। নাম চূড়ান্ত না হওয়া এ অ্যালবামের বেশিরভাগ গানের রেকর্ডিংই সম্পন্ন হয়ে গেছে। পথিক নবী নিজে গানগুলোর কথা-সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন। এতে 'আমার হৃদয় ভেঙ্গে দুখান হলোরে', 'তুই আমার জীবনের জীবন', 'শোন হুর ফেরেশতা, 'পিতার কপাল',' ভব নদী' প্রভৃতি শিরোনামের গান থাকছে। অচিরেই অ্যালবামের শিরোনাম চূড়ান্ত করা হবে। পথিক নবীর নিজস্ব প্রযোজনা সংস্থা 'সাধারন' থেকে অ্যালবামটি প্রকাশিত হবে। এর আগে ২০০৪ সালে পথিক নবীর শেষ অ্যালবাম 'লাভ মি' যাদু মিউজিকের ব্যানারে প্রকাশিত হয়েছিল। এ প্রসঙ্গে পথিক নবী বলেন, 'ব্যাক্তিগত কিছু কারণে অ্যালবামটি প্রকাশে বিলম্ব হচ্ছে। এ নিয়ে শ্রোতাদের কাছ থেকেও প্রতিনিয়ত অভিযোগ শুনতে হচ্ছে। শ্রোতাদের অনুরোধে আসছে বৈশাখেই অ্যালবামের গানগুলো অনলাইনে ছাড়ার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। অ্যালবামটি প্রকাশের পর থেকে আমি আবার গানে নিয়মিত হবো।' - যায় যায় দিন ১৮ নভেম্বর ২০১২
একঘেয়ে গানে বিরক্ত দর্শকেরা ছুটে এলো রকের নিঃশ্বাস নিতে!
অনেকেই বিভিন্ন ইন্টারভিউতে বলা শুরু করেছিলেন, বাংলাদেশি শ্রোতারা রক মিউজিক নাকি এখন খুব একটা শোনেন না। বাজারে রক মিউজিক খুব একটা চলে না—এসব গুজবের ধোঁয়া তুলে হঠাত্ করে তামিল বা দক্ষিণ ভারতের কিছু সুরের নকল ঢুকে গেল অডিও বাজারে। শুরু হলো লুপ বেসড বিভিন্ন ফোক আর ভাঙড়া গানের জোয়ার। কে গায়, কার মিউজিক কিছুই বুঝা যায় না। সবই যেন একই সুর আর একই গান। আর আমাদের টিভি চ্যানেল কখনোই কোনো কমিটমেন্টে বিশ্বাসী ছিল না। এ ক্ষেত্রেও থাকেনি। সেই জোয়ারেই মাততে শুরু করেছিল। রাতভর তাদের নিয়ে মাতামাতি। অডিও প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যান্ড মিউজিক অ্যালবামগুলোও রিলিজ দেওয়া বন্ধ করে দিলেন।
এতগুলো কথা খরচ করার একটিই অর্থ যারা ঘরে বসে লুপ বা সফটওয়্যার দিয়ে নিজের কণ্ঠ টেনে হিচড়ে মিউজিক করছেন। তাদের দিয়ে যে মঞ্চ কাঁপানো যায় না। একসাথে একই লয়ে ২৫ থেকে ৩০ হাজার দর্শককে নাচানো যায় না, তা এই গেল ৫ বছরে প্রমাণ হয়ে গেছে। আর এটাকেই আবার প্রমাণ করে দিল গত ১৬ নভেম্বরের কনসার্ট।
আর তারই যেন যথার্থ উদাহরণ তৈরি করলেন ‘ওল্ড ইজ গোল্ড’ নামের এই অভাবনীয় সফল কনসার্টে। চ্যারিটি কনসার্টে সফটওয়্যার বেজড কণ্ঠশিল্পীদের কোনো রেকর্ড নেই যে, কোনো প্রতিষ্ঠান বা কোনো দুরারোগ্য রোগীর জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে। এমন নজির পাওয়া যায়নি। বরং হাবিব বা ফুয়াদদের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে শাহ আব্দুল করিমের গান নিয়ে নিজেদের মতো করে গাইয়ে নিজের জনপ্রিয়তা হাতিয়েছেন। এখানে হয়তো ব্যক্তিগতভাবে কারোরই দোষ দেওয়াটাও অমূলক। কারণ তাদের ক্ষমতারও একটা সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যেখানে আমাদের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি জেমস, মাকসুদদের মতো তারকাদের টিকিয়ে রাখার জন্য কোনো উদ্যোগ নেননি। সেখানে অন্য অ-শিল্পীরা যদি সে সুযোগ নেয়, তবে তাতে সেই অ-শিল্পীদের তো দোষ নেই! গতকাল আর্মি স্টেডিয়ামে সেই জাদুতেই নতুন এক জেনারেশন ছুটে আসে রক শুনতে। আর বাঙালি যে দীর্ঘদিন এইসব মৃদু বাজনার গলা চেপে আওয়াজ করে ভাঙড়া আর নকল সুরের চর্চা শুনতে শুনতে যে মহাবিরক্ত তাই প্রমাণ করল গত ১৬ নভেম্বরের কনসার্ট। কনসার্টে আসা ইডেন কলেজের এক ছাত্রী কামরুন্নাহার মিশু বলেন, ‘টিভি আর এফএম স্টেশনে একই টাইপের একই রকম কণ্ঠের গান শুনতে শুনতে আমরা বিরক্ত, তাই এই কনসার্টে এসেছি কিছুটা প্রাণের স্বাদ নিতে। নিজের কানকে একটু স্বস্তি দিতে।’
কনসার্টে আসা মডেল অভিনেতা নিরব বলেন, ‘আমি খানিকটা ধীরে-সুস্থেই বেরিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম এখন তো রক গানের শ্রোতার সংখ্যা খুব একটা নেই। তাই ভিড় ভাট্টাও খুব একটা হবে না। কিন্তু ভেন্যুর কাছে আসতে না আসতেই যে পরিমাণ মুনষের ঢল দেখলাম। সত্যিই খুব ভালো লাগলো। ছেলেবেলা থেকেই এই রক গান শুনেই বড় হওয়া। কোনো বড় আসরের কনসার্ট হলে যে করেই হোক দেখতে আসতাম। এখন তো অনেকদিন ধরে এধরনের বড় কোনো আসরই জমে না। তবে রক গান যে বাঙালির ভেতর মরেনি তাই প্রমাণ করল।’
অধিকাংশ দর্শকদের কাছেই এই ধরনের অভিযোগের কথাই শোনা গেল। এদিনের অনুষ্ঠানে দীর্ঘদিন পর জেমস, মাকুসদ ও ঢাকা, ওয়ারফেইজের অনবদ্য পারফর্মেন্স ছিল সত্যিই নজরকাড়া। এ ছাড়া দীর্ঘদিন পর নোভার ভোকাল আহমেদ ফজলের ‘স্কুল পলাতক মেয়ে’ যখন গেয়ে উঠলেন তখন সামনে উন্মাতাল তরুণেরা একই সুরে গেয়ে উঠলেন নিজেদের প্রিয় গান। গ্রিনরুমে ফজল বললেন, ‘আজ যেই জেনারেশনের সামনে গাইলাম। তাদের অনেকের জন্মের আগেই আমরা মিউজিক করছি। তাই আমরা যে একটা জেনারেশনের কাল উত্তীর্ণ করতে পেরেছি তাই যেন দেখলাম আজ।’
সারাদিনই যেন রক মিউজিকের দখলে ছিল এইদিন। মাকসুদ ও ঢাকা গেল দুই বছর ধরেই আবারও নতুন গেটআপ আর বরাবরের নতুনত্ব নিয়ে মঞ্চে গাইছে। তবে দীর্ঘদিন পর একই মঞ্চে এমন আসরে যেন নতুন প্রাণ ফিরে পেল কনসার্ট। একে একে মাকসুদের জনপ্রিয় গানের সাথে সাথে দর্শকদের দোলা ছিল সত্যিই বিস্ময়কর। মাকসুদ বললেন, ‘ব্যান্ড মিউজিক কখনওই অনালোচিত ছিল না। আর কোনো কিছু দিয়ে এটাকে ঢেকে রাখা যাবে না। বরং কোনো কিছু দিয়ে এটাকে ঢাকতে গেলেই তা আরও বড় আকারে দর্শকদের সামনে আসবে। আজ আমি নিজেও ভাবিনি এত সাড়া মিলবে। ব্যান্ড পাগল দর্শকদের সংখ্যা বাংলাদেশে সবসময়ই ছিল, আছে, থাকবে। এটা প্রমাণিত। ওরা আমাদের প্রাণ। নয়তো এখন বিনোদন এত এত মাত্রা থাকতে ভর দুপুরে এই ৩০ হাজার ছেলে মেয়ে এসেছে একেবারে রক মিউজিকের সাথে সাথে কিছুটা নিঃশ্বাস নিতে।’
নগরবাউল জেমসের কথা তো বলাই বাহুল্য। মঞ্চে উঠতেই ‘গুরু’ ‘গুরু’ ধ্বনিতে যেন মুখর হলো পুরো স্টেডিয়াম। মঞ্চে অধিকাংশ গানই তার পুরোটা গাইতে হয়নি। বরং শুধু তিনি তার দর্শকদের সাথেই সঙ্গত করে গেলেন। অভাবনীয় এই দৃশ্য যেন অনেক ব্যান্ড মিউজিককে নিয়ে বলা অনেক নিন্দুকের জন্য কড়া জবাব হয়ে এলো।
এদিনের কনসার্টও ছিল আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতালের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য অর্থ উত্তোলনের কাজে্ সেই পরিসংখ্যানই যেন বারবার বেশ কয়েকজন মনে করিয়ে দিল। খোদ আয়োজকসহ বেশ ক’জন তরুণ অর্গানাইজার আক্ষেপ করে বললেন, ‘প্রথমত সফটওয়্যার বেজড সিঙ্গারদের সাথে কথা বলতে আমাদের আগে আইনজীবীর সাথে কথা বলতে হয়। তাদের কোনো সামাজিক কমিটমেন্ট নেই। অথচ ব্যান্ড মিউজিক এ দেশের সমাজকে যতটা সহযোগিতা করেছে। বিনোদনের কোনো মাধ্যম তা করে নি। এরপর চ্যারিটি কনসার্টেও তাদের পাওয়া যায় না।’
একজন প্রতিবেদককে প্রশ্ন করে বললেন, ‘আপনি নিজেই বলুন গত কয়েক বছরে হাবিব, ফুয়াদ গোষ্ঠীর স্টুডিও বেজড শিল্পীরা কয়টা চ্যারিটি ফান্ড তুলেছে? সামাজিক ভাবে তাদের কমিটমেন্ট কী?’ একজন অর্গানাইজার বললেন, ‘এই শিল্পীদের একজনের কাছে আমি এক ক্যান্সার রোগীর ফান্ড তোলার ব্যাপারে চ্যারিটি কনসার্ট করার জন্য কথা বলতে গেলে দীর্ঘক্ষণ আমাকে তার স্টুডিওতে বসিয়ে অনেকক্ষণ পর ভিখারির মতো কিছু টাকা ধরিয়ে বলেন, কনসার্ট করতে পারবনা এই টাকাটা নিয়ে যান। রাগে দুঃখে সেই শিল্পীকে টাকাগুলো ছুড়ে ফেলে বলে এসেছি এই ভিক্ষাবৃত্তির জন্য আসিনি আপনার কাছে। আর তোমার শিল্পী বাবাও কী তবে এই শিক্ষাই দিয়েছে তোমাকে।’
এমন নানান কথার চাষবাস হচ্ছিল ‘ওল্ড ইজ গোল্ড’ কনসার্টের গ্রিনরুমে। মাঠের সামনে উন্মাতাল রকপাগল দর্শকদের প্রাণোচ্ছল চিত্কার যেন আবারও ব্যান্ড মিউজিকের জোয়ারে ভাসার এক নতুন ঘণ্টা বাজাল।
-ইত্তেফাক ১৮ নভেম্বর ২০১২
এতগুলো কথা খরচ করার একটিই অর্থ যারা ঘরে বসে লুপ বা সফটওয়্যার দিয়ে নিজের কণ্ঠ টেনে হিচড়ে মিউজিক করছেন। তাদের দিয়ে যে মঞ্চ কাঁপানো যায় না। একসাথে একই লয়ে ২৫ থেকে ৩০ হাজার দর্শককে নাচানো যায় না, তা এই গেল ৫ বছরে প্রমাণ হয়ে গেছে। আর এটাকেই আবার প্রমাণ করে দিল গত ১৬ নভেম্বরের কনসার্ট।
আর তারই যেন যথার্থ উদাহরণ তৈরি করলেন ‘ওল্ড ইজ গোল্ড’ নামের এই অভাবনীয় সফল কনসার্টে। চ্যারিটি কনসার্টে সফটওয়্যার বেজড কণ্ঠশিল্পীদের কোনো রেকর্ড নেই যে, কোনো প্রতিষ্ঠান বা কোনো দুরারোগ্য রোগীর জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে। এমন নজির পাওয়া যায়নি। বরং হাবিব বা ফুয়াদদের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে শাহ আব্দুল করিমের গান নিয়ে নিজেদের মতো করে গাইয়ে নিজের জনপ্রিয়তা হাতিয়েছেন। এখানে হয়তো ব্যক্তিগতভাবে কারোরই দোষ দেওয়াটাও অমূলক। কারণ তাদের ক্ষমতারও একটা সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যেখানে আমাদের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি জেমস, মাকসুদদের মতো তারকাদের টিকিয়ে রাখার জন্য কোনো উদ্যোগ নেননি। সেখানে অন্য অ-শিল্পীরা যদি সে সুযোগ নেয়, তবে তাতে সেই অ-শিল্পীদের তো দোষ নেই! গতকাল আর্মি স্টেডিয়ামে সেই জাদুতেই নতুন এক জেনারেশন ছুটে আসে রক শুনতে। আর বাঙালি যে দীর্ঘদিন এইসব মৃদু বাজনার গলা চেপে আওয়াজ করে ভাঙড়া আর নকল সুরের চর্চা শুনতে শুনতে যে মহাবিরক্ত তাই প্রমাণ করল গত ১৬ নভেম্বরের কনসার্ট। কনসার্টে আসা ইডেন কলেজের এক ছাত্রী কামরুন্নাহার মিশু বলেন, ‘টিভি আর এফএম স্টেশনে একই টাইপের একই রকম কণ্ঠের গান শুনতে শুনতে আমরা বিরক্ত, তাই এই কনসার্টে এসেছি কিছুটা প্রাণের স্বাদ নিতে। নিজের কানকে একটু স্বস্তি দিতে।’
কনসার্টে আসা মডেল অভিনেতা নিরব বলেন, ‘আমি খানিকটা ধীরে-সুস্থেই বেরিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম এখন তো রক গানের শ্রোতার সংখ্যা খুব একটা নেই। তাই ভিড় ভাট্টাও খুব একটা হবে না। কিন্তু ভেন্যুর কাছে আসতে না আসতেই যে পরিমাণ মুনষের ঢল দেখলাম। সত্যিই খুব ভালো লাগলো। ছেলেবেলা থেকেই এই রক গান শুনেই বড় হওয়া। কোনো বড় আসরের কনসার্ট হলে যে করেই হোক দেখতে আসতাম। এখন তো অনেকদিন ধরে এধরনের বড় কোনো আসরই জমে না। তবে রক গান যে বাঙালির ভেতর মরেনি তাই প্রমাণ করল।’
অধিকাংশ দর্শকদের কাছেই এই ধরনের অভিযোগের কথাই শোনা গেল। এদিনের অনুষ্ঠানে দীর্ঘদিন পর জেমস, মাকুসদ ও ঢাকা, ওয়ারফেইজের অনবদ্য পারফর্মেন্স ছিল সত্যিই নজরকাড়া। এ ছাড়া দীর্ঘদিন পর নোভার ভোকাল আহমেদ ফজলের ‘স্কুল পলাতক মেয়ে’ যখন গেয়ে উঠলেন তখন সামনে উন্মাতাল তরুণেরা একই সুরে গেয়ে উঠলেন নিজেদের প্রিয় গান। গ্রিনরুমে ফজল বললেন, ‘আজ যেই জেনারেশনের সামনে গাইলাম। তাদের অনেকের জন্মের আগেই আমরা মিউজিক করছি। তাই আমরা যে একটা জেনারেশনের কাল উত্তীর্ণ করতে পেরেছি তাই যেন দেখলাম আজ।’
সারাদিনই যেন রক মিউজিকের দখলে ছিল এইদিন। মাকসুদ ও ঢাকা গেল দুই বছর ধরেই আবারও নতুন গেটআপ আর বরাবরের নতুনত্ব নিয়ে মঞ্চে গাইছে। তবে দীর্ঘদিন পর একই মঞ্চে এমন আসরে যেন নতুন প্রাণ ফিরে পেল কনসার্ট। একে একে মাকসুদের জনপ্রিয় গানের সাথে সাথে দর্শকদের দোলা ছিল সত্যিই বিস্ময়কর। মাকসুদ বললেন, ‘ব্যান্ড মিউজিক কখনওই অনালোচিত ছিল না। আর কোনো কিছু দিয়ে এটাকে ঢেকে রাখা যাবে না। বরং কোনো কিছু দিয়ে এটাকে ঢাকতে গেলেই তা আরও বড় আকারে দর্শকদের সামনে আসবে। আজ আমি নিজেও ভাবিনি এত সাড়া মিলবে। ব্যান্ড পাগল দর্শকদের সংখ্যা বাংলাদেশে সবসময়ই ছিল, আছে, থাকবে। এটা প্রমাণিত। ওরা আমাদের প্রাণ। নয়তো এখন বিনোদন এত এত মাত্রা থাকতে ভর দুপুরে এই ৩০ হাজার ছেলে মেয়ে এসেছে একেবারে রক মিউজিকের সাথে সাথে কিছুটা নিঃশ্বাস নিতে।’
নগরবাউল জেমসের কথা তো বলাই বাহুল্য। মঞ্চে উঠতেই ‘গুরু’ ‘গুরু’ ধ্বনিতে যেন মুখর হলো পুরো স্টেডিয়াম। মঞ্চে অধিকাংশ গানই তার পুরোটা গাইতে হয়নি। বরং শুধু তিনি তার দর্শকদের সাথেই সঙ্গত করে গেলেন। অভাবনীয় এই দৃশ্য যেন অনেক ব্যান্ড মিউজিককে নিয়ে বলা অনেক নিন্দুকের জন্য কড়া জবাব হয়ে এলো।
এদিনের কনসার্টও ছিল আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতালের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য অর্থ উত্তোলনের কাজে্ সেই পরিসংখ্যানই যেন বারবার বেশ কয়েকজন মনে করিয়ে দিল। খোদ আয়োজকসহ বেশ ক’জন তরুণ অর্গানাইজার আক্ষেপ করে বললেন, ‘প্রথমত সফটওয়্যার বেজড সিঙ্গারদের সাথে কথা বলতে আমাদের আগে আইনজীবীর সাথে কথা বলতে হয়। তাদের কোনো সামাজিক কমিটমেন্ট নেই। অথচ ব্যান্ড মিউজিক এ দেশের সমাজকে যতটা সহযোগিতা করেছে। বিনোদনের কোনো মাধ্যম তা করে নি। এরপর চ্যারিটি কনসার্টেও তাদের পাওয়া যায় না।’
একজন প্রতিবেদককে প্রশ্ন করে বললেন, ‘আপনি নিজেই বলুন গত কয়েক বছরে হাবিব, ফুয়াদ গোষ্ঠীর স্টুডিও বেজড শিল্পীরা কয়টা চ্যারিটি ফান্ড তুলেছে? সামাজিক ভাবে তাদের কমিটমেন্ট কী?’ একজন অর্গানাইজার বললেন, ‘এই শিল্পীদের একজনের কাছে আমি এক ক্যান্সার রোগীর ফান্ড তোলার ব্যাপারে চ্যারিটি কনসার্ট করার জন্য কথা বলতে গেলে দীর্ঘক্ষণ আমাকে তার স্টুডিওতে বসিয়ে অনেকক্ষণ পর ভিখারির মতো কিছু টাকা ধরিয়ে বলেন, কনসার্ট করতে পারবনা এই টাকাটা নিয়ে যান। রাগে দুঃখে সেই শিল্পীকে টাকাগুলো ছুড়ে ফেলে বলে এসেছি এই ভিক্ষাবৃত্তির জন্য আসিনি আপনার কাছে। আর তোমার শিল্পী বাবাও কী তবে এই শিক্ষাই দিয়েছে তোমাকে।’
এমন নানান কথার চাষবাস হচ্ছিল ‘ওল্ড ইজ গোল্ড’ কনসার্টের গ্রিনরুমে। মাঠের সামনে উন্মাতাল রকপাগল দর্শকদের প্রাণোচ্ছল চিত্কার যেন আবারও ব্যান্ড মিউজিকের জোয়ারে ভাসার এক নতুন ঘণ্টা বাজাল।
-ইত্তেফাক ১৮ নভেম্বর ২০১২
চিরকুট ব্যান্ডের সঙ্গে কাজ করবে ক্যাসা মুরিলো
বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছে নরওয়ে ভিত্তিক নরওয়েজিয়-ব্রিটিশ ইন্ডি রক ব্যান্ড ক্যাসা মুরিলো। ব্যান্ডটি ঢাকার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সরাসরি সংগীত পরিবেশন করা ছাড়াও টেলিভিশন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ, স্থানীয় শিল্পীদের সাথে সহযোগীতামুলক সঙ্গীতায়োজন, কর্মশালা পরিচালনা এবং বিভিন্ন স্কুলে কনসার্টে অংশগ্রহণ করবে। এছাড়াও ক্যাসা মুরিলো বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ আনপ্লাগড মিউজিক ফেস্টিভাল ‘দ্য ওয়্যারলেস সেশন’ এর প্রধান আকর্ষণ হিসেবে থাকছে। ছয় দিন ব্যাপী এই ফেস্টিভালটি চলবে ১৫ থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত। এর সর্বশেষ আয়োজন হচ্ছে ‘ওয়্যারলেস ৫০০০’ শীর্ষক রবীন্দ্র সরোবরে অনুষ্ঠীতব্য একটি ওপেন এয়ার কনসার্ট।
ক্যাসা মুরিলো এবং বাংলাদেশের সংগীত শিল্পীরা ১৭ নভেম্বর ছায়ানটে একটি কর্মশালায় অংশগ্রহণ করবেন যেখানে তারা তাদের সংগীত অভিজ্ঞতা নিয়ে মতবিনিময় করবেন। বড় কনসার্টগুলো ছাড়াও কাসা মুরিলো দুটি ইউনিভার্সিটি কনসার্ট এবং দুটি স্কুল কনসার্টেও অংশগ্রহণ করবে। সংগীত প্রিয়দের জন্য ভালো সংগীত পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে, সংগীত ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান লাইভ স্কয়ার বাংলাদেশের শ্রোতাদের জন্য বিভিন্ন ধরনের সঙ্গীতায়োজন করে থাকে। বাংলাদেশের সাথে নরওয়ের সাংস্কৃতিক বিনিময়ের উদ্দেশ্যে ঢাকাস্থ রয়্যাল নরওয়েজিয়ান অ্যাম্বাসির সহায়তায় লাইভ স্কয়ার, কনসার্টস নরওয়ের সাথে বিভিন্ন সহযোগীতামুলক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
বাংলাদেশের ফিউশন ব্যান্ড ‘চিরকুট’ এই নরওয়েজিয় ব্যান্ডটির সাথে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবে এবং মিলিত সংগীত পরিবেশন করবে। ক্যাসা মুরিলো এবং ‘চিরকুট’ একত্রে সংগীত অনুশীলন করে রেডিও মুক্তির জন্য একটি গানও তৈরি করবে। বাংলাদেশ সফরের পর এই দুটি ব্যান্ড ইন্ডিয়া মিউজিক উইক এ অংশগ্রহণের জন্য ভারত যাবে।
- ১৫ নভেম্বর ২০১২, বাংলা নিউজ ২৪
ক্যাসা মুরিলো এবং বাংলাদেশের সংগীত শিল্পীরা ১৭ নভেম্বর ছায়ানটে একটি কর্মশালায় অংশগ্রহণ করবেন যেখানে তারা তাদের সংগীত অভিজ্ঞতা নিয়ে মতবিনিময় করবেন। বড় কনসার্টগুলো ছাড়াও কাসা মুরিলো দুটি ইউনিভার্সিটি কনসার্ট এবং দুটি স্কুল কনসার্টেও অংশগ্রহণ করবে। সংগীত প্রিয়দের জন্য ভালো সংগীত পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে, সংগীত ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান লাইভ স্কয়ার বাংলাদেশের শ্রোতাদের জন্য বিভিন্ন ধরনের সঙ্গীতায়োজন করে থাকে। বাংলাদেশের সাথে নরওয়ের সাংস্কৃতিক বিনিময়ের উদ্দেশ্যে ঢাকাস্থ রয়্যাল নরওয়েজিয়ান অ্যাম্বাসির সহায়তায় লাইভ স্কয়ার, কনসার্টস নরওয়ের সাথে বিভিন্ন সহযোগীতামুলক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
বাংলাদেশের ফিউশন ব্যান্ড ‘চিরকুট’ এই নরওয়েজিয় ব্যান্ডটির সাথে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবে এবং মিলিত সংগীত পরিবেশন করবে। ক্যাসা মুরিলো এবং ‘চিরকুট’ একত্রে সংগীত অনুশীলন করে রেডিও মুক্তির জন্য একটি গানও তৈরি করবে। বাংলাদেশ সফরের পর এই দুটি ব্যান্ড ইন্ডিয়া মিউজিক উইক এ অংশগ্রহণের জন্য ভারত যাবে।
- ১৫ নভেম্বর ২০১২, বাংলা নিউজ ২৪
তিন দশক পর কিরণের কণ্ঠে লালন
আধ্যাত্মিক সঙ্গীতসাধক লালন ফকিরের গান নিয়ে অ্যালবাম প্রকাশ করতে যাচ্ছেন বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী কিরণ চন্দ্র রায়। তার এ অ্যালবামে লালনের প্রচলিত ও অপ্রচলিত ১০টি গান থাকছে। গানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য, 'তিন গর্ভে আছে রে', 'কপালের নাম গোপাল', 'চন্দ্র', 'বিষয় বিষে' ও 'চঞ্চলা মন' প্রভৃতি। ইতোমধ্যেই তিনি গানগুলোর রেকর্ডিংয়ের কাজ শেষ করেছেন। লালনের গান নিয়ে অ্যালবাম প্রকাশ প্রসঙ্গে কিরণ চন্দ্র রায় বলেন, 'এবারে অ্যালবামেও লালনের গানের মূল সুর ধরে রাখতে চেষ্টা করেছি। এ অ্যালবামটি বের করার অন্যতম উদ্দেশ্য হলো নতুন প্রজন্মের কাছে লালনগীতিকে অবিকল রূপে তুলে ধরা। আমি আশা করি, লালনের গানের মানবতাবাদী বাণী নতুন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের জীবন গড়তে অনুপ্রাণিত করবে।' অ্যালবামটির শিরোনাম এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি। লালনের গান নিয়ে প্রকাশিতব্য অ্যালবামটি বাজারে আনবে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন। খুব শিগগিরই অ্যালবামটি প্রকাশিত হবে। এর আগে ১৯৮৪ সালে কিরণ চন্দ্র রায় 'লালনের গান' শিরোনামের একটি অ্যালবাম প্রকাশ করেছিলেন। অ্যালবামটি নিয়ে তিনি দারুণ সাড়া পেয়েছিলেন। প্রায় তিন দশক পর তিনি দ্বিতীয়বারের মতো লালনের গান নিয়ে আবার শ্রোতাদের সামনে হাজির হচ্ছেন। তাছাড়া কিরণ চন্দ্র রায়ের এ পর্যন্ত ৫০টিরও বেশি অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিটি অ্যালবামই শ্রোতাসমাদৃত হয়েছে।
আর্টসেলের অ্যালবাম স্থগিত
লিড গিটারিস্টের অভাবে তৃতীয় অ্যালবাম প্রকাশ স্থগিত করেছে বাংলাদেশি প্রগ্রেসিভ মেটাল রক ব্যান্ড আর্টসেল। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ফেসবুক পেইজ-এ ৮ নভেম্বর ব্যান্ডটি এমন ঘোষণা দিয়ে একটি পোস্ট-এ লিখেছে, 'প্রিয় ভক্তরা, ২০১২ সাল আর্টসেলের জন্য তেমন মঙ্গলময় নয়। এ বছরে আমরা খুব একটা কনসার্ট করিনি। অ্যালবাম প্রকাশ স্থগিত করেছি। সবচেয়ে খারাপ বিষয়, আমাদের লিড গিটারিস্ট নেই।' আরও বলা হয়েছে, 'তবুও আমাদের তৃতীয় অ্যালবাম নিয়ে লক্ষ্যচ্যুত না হওয়ার চেষ্টা করছি। রেকর্ডিং প্রায় শেষ, গানের কথা, লিড ও বেইজ নিয়ে কাজ চলছে।' উল্লেখ্য, এই মেটাল ব্যান্ডটি ১৯৯৯ সালে গড়ে ওঠে ভোকালিস্ট ও গিটারিস্ট জর্জ লিংকন ডি'কস্টা, ড্রামার কাজী সাজ্জাদুল আশেকিন সাজু, বেইজিস্ট সাইফ আল নাজি সেজান ও লিড গিটারিস্ট এরশাদ উজজামান এবং দুজন লিরিসিস্ট রূপক ও রুম্মান আহমেদকে নিয়ে। কিন্তু ব্যান্ড লিরিসিস্ট রূপক ম্যালেরিয়া রোগে মারা যান ২০০২ সালে। ব্যান্ড ত্যাগ করেন লিড গিটারিস্ট এরশাদ। - বাংলাদেশ প্রতিদিন ১২ নভেম্বর ২০১২
দীর্ঘদিন পর মাকসুদের একক
দীর্ঘদিন পর আবারও একক অ্যালবাম নিয়ে আসছেন এ দেশের রক লিজেন্ড মাকসুদুল হক। একটু একটু করে গোছাচ্ছেন নিজের সলো অ্যালবামটি। তবে কী ধরনের গান থাকবে জানতে চাইলে মাকুসুদুল হক বলেন, ‘একেবারে নিজের মতো করে কিছু সুফি, কিছু মেলোরক ধাঁচের গান করব। অবশ্যই আমার ঘরানার কাজ থাকবে। কেবল ৪টি গান তৈরি হয়েছে। আশা করছি, বাকি কাজগুলোও খুব শিগগিরই শেষ করব।’
এখনকার অডিও ইন্ডাস্ট্রির প্রসঙ্গ তুলতেই মাকসুদুল হক বলেন, ‘এখনকার যে চর্চাটা চলছে তাকে ঠিক অডিও ইন্ডাস্ট্রি বলা যায় না। এটা এক ধরনের দোকানদারী হচ্ছে। তবে এর ভেতরেও কিছুটা সততা থাকলেও তবু হতো। কি জানি, আমরা এই বয়সে এ রকম অডিও ইন্ডাস্ট্রি দেখব বলে তো কখনও ভাবিনি।’ এরপর নিজের নবাগত সন্তান প্রসঙ্গে বলেন, ‘ভালো আছি আল্লাহর রহমতে। ছোট্টটিকে নিয়ে আমার সময় ভালোই কেটে যাচ্ছে। এ ছাড়া ওর মা আর আমি বেশ আনন্দের ভেতরেই দিন কাটাচ্ছি।’ নিজের সলো অ্যালবাম কোন ব্যানার থেকে বের হবে জানতে চাইলে মাকসুদ বলেন, ‘এখনও কোনো কিছুই ঠিক করিনি। আগে গানটা তৈরি করি। এ ছাড়া গানগুলো নিয়ে এরই মধ্যে বিভিন্ন চ্যানেলে ক্যাম্পেইনের কাজ করব। ইচ্ছে আছে এবারে ভিন্ন গল্প বলার গানের ভেতরেই। আজকে যেসব জীবনমুখী গান শুনি তাতে তো জীবনের গল্প পাই না। হয়তো ওই শিল্পীর নিজস্ব জীবনের গল্প থাকে। সেটাতো সবার জীবন নয়। আমি সবার জীবনের কথা চিন্তা করে গান লিখবার চেষ্টা করছি। দেখা যাক কতদূর কী হয়।’ উল্লেখ্য, এখনকার অর্ণবসহ একাধিক শিল্পী রবীন্দ্রসংগীতের আধুনিকায়নে কাজ করছেন যারা, সেই পথ মাকসুদুল হক দেখিয়েছেন আরও এক যুগ আগে। এখনকার এই চর্চা সম্পর্কে জানতে চাইলে মাকসুদ বলেন, ‘এখন তো চ্যানেলের ছাড়াছড়ি। তাই নিজেকে বিভিন্নভাবে প্রকাশ করার অবারিত সুযোগ। তবে এখানে অসুবিধাও আছে তা হলো অতি প্রচারটা আবার বুমেরাং হয়ে যায়।’ টিভি লাইভ কনসার্ট প্রসঙ্গে মাকসুদ বলেন, ‘খুব ঘন ঘন কনসার্ট করার ইচ্ছা নেই। তবে আমি যেটা করার চেষ্টা করি, একেকটি শোতে একটু ভিন্ন সাউন্ড তৈরি করার চেষ্টা করি। কারণ মাঠের কনসার্টে সাউন্ডের খুঁটিনাটি নিয়ে না ভাবলেও চলে। কিন্তু যারা এই টিভিতে বসে কনসার্ট দেখেন তাদের কান খুব পাকা। আর না পাকলেও পেকে গেছে একাধিক চ্যানেলের অনুষ্ঠান দেখে। তাই কিছুটা ভিন্নতা না দেখলে ওরা কেন গান শুনবে।’ নতুন সলো আর স্টেজের জন্য আবারও নিজেকে গুছিয়ে নিচ্ছেন মাকসুদ। খুব শিগগিরই তার নতুন অ্যালবামের গান নিয়ে কোনো টিভি শোতে আসবেন বলে জানান তিনি। - ইত্তেফাক ১২ নভেম্বর ২০১২
এখনকার অডিও ইন্ডাস্ট্রির প্রসঙ্গ তুলতেই মাকসুদুল হক বলেন, ‘এখনকার যে চর্চাটা চলছে তাকে ঠিক অডিও ইন্ডাস্ট্রি বলা যায় না। এটা এক ধরনের দোকানদারী হচ্ছে। তবে এর ভেতরেও কিছুটা সততা থাকলেও তবু হতো। কি জানি, আমরা এই বয়সে এ রকম অডিও ইন্ডাস্ট্রি দেখব বলে তো কখনও ভাবিনি।’ এরপর নিজের নবাগত সন্তান প্রসঙ্গে বলেন, ‘ভালো আছি আল্লাহর রহমতে। ছোট্টটিকে নিয়ে আমার সময় ভালোই কেটে যাচ্ছে। এ ছাড়া ওর মা আর আমি বেশ আনন্দের ভেতরেই দিন কাটাচ্ছি।’ নিজের সলো অ্যালবাম কোন ব্যানার থেকে বের হবে জানতে চাইলে মাকসুদ বলেন, ‘এখনও কোনো কিছুই ঠিক করিনি। আগে গানটা তৈরি করি। এ ছাড়া গানগুলো নিয়ে এরই মধ্যে বিভিন্ন চ্যানেলে ক্যাম্পেইনের কাজ করব। ইচ্ছে আছে এবারে ভিন্ন গল্প বলার গানের ভেতরেই। আজকে যেসব জীবনমুখী গান শুনি তাতে তো জীবনের গল্প পাই না। হয়তো ওই শিল্পীর নিজস্ব জীবনের গল্প থাকে। সেটাতো সবার জীবন নয়। আমি সবার জীবনের কথা চিন্তা করে গান লিখবার চেষ্টা করছি। দেখা যাক কতদূর কী হয়।’ উল্লেখ্য, এখনকার অর্ণবসহ একাধিক শিল্পী রবীন্দ্রসংগীতের আধুনিকায়নে কাজ করছেন যারা, সেই পথ মাকসুদুল হক দেখিয়েছেন আরও এক যুগ আগে। এখনকার এই চর্চা সম্পর্কে জানতে চাইলে মাকসুদ বলেন, ‘এখন তো চ্যানেলের ছাড়াছড়ি। তাই নিজেকে বিভিন্নভাবে প্রকাশ করার অবারিত সুযোগ। তবে এখানে অসুবিধাও আছে তা হলো অতি প্রচারটা আবার বুমেরাং হয়ে যায়।’ টিভি লাইভ কনসার্ট প্রসঙ্গে মাকসুদ বলেন, ‘খুব ঘন ঘন কনসার্ট করার ইচ্ছা নেই। তবে আমি যেটা করার চেষ্টা করি, একেকটি শোতে একটু ভিন্ন সাউন্ড তৈরি করার চেষ্টা করি। কারণ মাঠের কনসার্টে সাউন্ডের খুঁটিনাটি নিয়ে না ভাবলেও চলে। কিন্তু যারা এই টিভিতে বসে কনসার্ট দেখেন তাদের কান খুব পাকা। আর না পাকলেও পেকে গেছে একাধিক চ্যানেলের অনুষ্ঠান দেখে। তাই কিছুটা ভিন্নতা না দেখলে ওরা কেন গান শুনবে।’ নতুন সলো আর স্টেজের জন্য আবারও নিজেকে গুছিয়ে নিচ্ছেন মাকসুদ। খুব শিগগিরই তার নতুন অ্যালবামের গান নিয়ে কোনো টিভি শোতে আসবেন বলে জানান তিনি। - ইত্তেফাক ১২ নভেম্বর ২০১২
ভালোবাসা দিবসে ইবরার টিপুর তৃতীয় অ্যালবাম
আগামী বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত হবে সংগীতশিল্পী ইবরার টিপুর নতুন একক অ্যালবাম। নাম ঠিক না হওয়া এ অ্যালবামের কাজ নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে ইবরার টিপু বলেন, ‘ইতিমধ্যে এই অ্যালবামের তিনটি গানের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আপাতত অন্য সব কাজ বাদ দিয়ে নিজের একক অ্যালবামটির কাজ করছি। চেষ্টা করছি, আগের দুটি অ্যালবামের চেয়ে এবারের অ্যালবামটিকে আরও আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপনের।’নতুন অ্যালবাম প্রসঙ্গে ইবরার টিপু বলেন, ‘অ্যালবামটির সব গানই হবে রোমান্টিক ঘরানার। থাকবে দ্রুতলয়ের গানও। এ ছাড়া সুফি আঙ্গিকের একটি গানও রাখার কথা চিন্তা করেছি।’ইবরার টিপুর এই নতুন অ্যালবামে দুটি ইন্সট্রুমেন্টালসহ মোট গান থাকবে ১২টি। টিপু জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত তাঁর দুটি একক অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। কোনোটিতে তাঁর লেখা গান ছিল না। কথা প্রসঙ্গে টিপু বললেন, ‘তৃতীয় অ্যালবামটিতে অন্য গীতিকারদের পাশাপাশি আমার নিজের লেখা গানও থাকবে।’ইবরার টিপুর নতুন অ্যালবামের যে তিনটি গানের কাজ শেষ হয়েছে, সে গানগুলোর গীতিকাররা হলেন: কবির বকুল, মিথিলা ইবরার ও রাসেল। ইবরার টিপু আরও বলেন, ‘আমার সর্বশেষ একক অ্যালবাম ‘চাই তোমায়’-এর গানগুলো শ্রোতারা পছন্দ করেছেন। সেই উত্সাহ নিয়েই তৃতীয় এককের কাজ শুরু করেছি। একটানা কাজটি শেষ করে সামনের ভালোবাসা দিবসেই অ্যালবামটি শ্রোতাদের হাতে তুলে দিতে পারব বলে আশা করছি।’ ইবরার টিপুর প্রথম একক গানের অ্যালবাম ‘চেনা-অচেনা’ প্রকাশিত হয়েছিল ২০০৫ সালে। ছয় বছর বিরতির পর ২০১১ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর দ্বিতীয় একক অ্যালবাম ‘চাই তোমায়’। উল্লেখ্য, ইবরার টিপু বহু গানের সংগীতায়োজন করেছেন। তাঁর সুরে ৩০০টিরও বেশি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন অনেক জ্যেষ্ঠ ও নবীন শিল্পী। ২০১১ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটের স্বাগত সংগীত ‘ও পৃথিবী এবার এসে বাংলাদেশ নাও চিনে’ গানটির মধ্য দিয়ে ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসেন ইবরার টিপু। গত দেড় বছর তিনি ব্যস্ত ছিলেন বিভিন্ন শিল্পীর অ্যালবাম ও চলচ্চিত্রের গান নিয়ে। - প্রথম আলো ১২ নভেম্বর ২০১২
আলোচনায় ফয়সাল রাবি্বকীন
প্রমিথিউস ব্যান্ডের অ্যালবাম 'ছায়াপথ'- এ 'অচেনা মুখ অচেনা শহর' গানটি লিখেই তরুণ গীতিকার ফয়সাল রাবি্বকীনের গীতরাজ্যে পথচলা শুরু হয়েছিল। এরপর তাহসানের 'প্রত্যাবর্তন' অ্যালবামে তার লেখা 'চোখের ব্যাকরণ' গানটি শ্রোতামহলে বেশ প্রশংসিত হয়। তবে গত বছর ঈদে প্রকাশ পাওয়া মাহমুদ সানীর মিশ্র অ্যালবাম 'হৃদয়ের গল্প' অ্যালবামের টাইটেল গানটি রচনার মাধ্যমে সর্বাধিক আলোচনায় আসেন তিনি। সানী ও নাওমির গাওয়া এই গানটি ছিল গত বছরের অন্যতম জনপ্রিয় গান। এই অ্যালবামে পূজা ও পাভেলের জন্যও একটি করে গান লিখেন তিনি। এরই মধ্যে ফয়সাল রচিত গান গেয়েছেন ন্যান্সি, তিশমা, মাহমুদ সানী, সেরাকণ্ঠের পূজা, ঝিলিক, ক্লোজআপ তারকা লিজা, নুসরাতসহ আরও অনেকে। সামপ্রতিক সময়ে তার লেখা মাহমুদ সানী-ন্যান্সির 'ভালোবাসার স্বপ্ন', ইবরার টিপু-ঝিলিকের 'নীলাকাশ' ও লিজার 'নেশা নেশা' গানটি বেশ শ্রোতাপ্রিয়তা পেয়েছে। এরই মধ্যে ফয়সাল ইবরার টিপু, তাহসান, মাহমুদ সানী, সজীব দাশ, তিশমাসহ বেশকিছু কম্পোজারের সঙ্গে কাজ করেছেন। বর্তমানে একাধিক শিল্পীর একক অ্যালবামে গান লিখছেন ফয়সাল। গান লেখা প্রসঙ্গে ফয়সাল বলেন, 'আসলে অল্প সময়ের মধ্যে আমার লেখা গানগুলো শ্রোতারা পছন্দ করেছেন। বিষয়টি ভাবতেই ভালো লাগে। শ্রোতাদের উৎসাহ নিয়েই এখন নতুন গান লেখার অনুপ্রেরণা পাচ্ছি। সামনেও ভালো ভালো গান শ্রোতাদের উপহার দিতে চাই।'
সুফি গানে আঁখি
কণ্ঠশিল্পী আঁখি আলমগীর বর্তমানে স্টেজে পারফর্ম ও সিনেমায় গান নিয়েই বেশি ব্যস্ত। অ্যালবামের গান বেশি গাওয়া হয় না এখন তার। বর্তমানে তার গাওয়া ‘ডুবা ডুবা নাচের তালে’ গানটি বেশ শ্রোতাপ্রিয়তা পেয়েছে। আবারও একটি অ্যালবামের গানে কণ্ঠ দিলেন শ্রোতাপ্রিয় এই শিল্পী। আগের গানটি তার নিজের অ্যালবামের জন্য হলেও এটি গেয়েছেন সংগীতশিল্পী রাফাতের তৃতীয় এককের জন্য। ‘শিরোনামে তুমি আমার তোমাতেই হবে শেষ’ কথায় রাফাতের সঙ্গে দ্বৈতভাবে কণ্ঠ দিয়েছেন আঁখি। গানটি গাওয়ার পাশাপাশি এর কথা ও সুর করেছেন রাফাত। গানটির সংগীত পরিচালনা করেছেন সাজিদ সরকার। এ সম্পর্কে আঁখি আলমগীর বলেন, ‘গানটির কথা ও সুর চমত্কার। সুফি ধাঁচের এই গানটিতে কণ্ঠ দিয়ে আমার ভালো লেগেছে। গানটি শুনলে শ্রোতারা বুঝতে পারবেন একটু আলাদা কিছু হয়েছে।’ রাফাতের তৃতীয় একক অ্যালবামটি এবার পহেলা বৈশাখে প্রকাশিত হবে।
জনপ্রিয় গান নিয়ে ডলি
১৯৯০ সালে প্রকাশিত 'হে যুবক' অ্যালবামটির মধ্য দিয়ে ডলি সায়ন্তনী সঙ্গীতাঙ্গনে পথচলা শুরু করেন। ক্যারিয়ারের দুই যুগের এ ক্ষণে এখনো তিনি নিয়মিত সঙ্গীতচর্চা করছেন। অডিও অ্যালবামে কিছুটা অনুপস্থিত থাকলেও চলচ্চিত্র ও স্টেজ শোতে তিনি সরব রয়েছেন। ডলি সায়ন্তনীর মোট ১৪টি অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। চলতি বছর তার সঙ্গীত ক্যারিয়ারের ২২ বছর পূর্ণ হচ্ছে। এ উপলক্ষে তিনি তার জনপ্রিয় ৪০টি গান নিয়ে একটি অ্যালবাম প্রকাশ করবেন। তাছাড়া ডলি সম্প্রতি একটি সঙ্গীতশিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করেছেন। এখানে নাচ, গান, গিটার, বেহালা, তবলার ওপর প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এছাড়া তার কয়েকটি গান নিয়ে মিউজিক ভিডিও নির্মাণেরও পরিকল্পনা রয়েছে। ডলি সায়ন্তনী অডিও এবং চলচ্চিত্র মিলিয়ে প্রায় আড়াই হাজার গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। 'রং চটা জিন্সের প্যান্ট পরা', 'কালিয়া', 'নিতাইগঞ্জ', 'বিষমও পিরিতি', 'কোঁকড়া কোঁকড়া চুল', 'এক জনম এক প্রেমের তপস্যা', 'মিষ্টি মেয়ে', 'নীরব রাতের নীরবতা', 'এখনো তোমার কারণে কাঁদে অন্তর'সহ অনেক শ্রোতাপ্রিয় গানে তিনি কণ্ঠ দিয়েছেন। এখনো তিনি তার সুর-সাধনা অব্যাহত রেখেছেন। - যায় যায় দিন, ১১ নভেম্বর ২০১২
রাজেশ-প্রদীপকে নিয়েই ফিরছেন আসিফ
অডিও ক্যাসেট অথবা সিডিতে জনপ্রিয় আসিফের প্রায় অর্ধেক গানেরই সুর ও কথা রাজেশ-প্রদীপ সাহা জুটির। অবসর গ্রহণের পর আবারও নতুন একক অ্যালবাম করার ঘোষণা দেন আসিফ। কিন্তু সেই অ্যালবামের সুরকার ও গীতিকারের তালিকায় ছিল না রাজেশ-প্রদীপ সাহার নাম। নিজের সেই সিদ্ধান্ত থেকে বেরিয়ে এসেছেন আসিফ। জানিয়েছেন, তাঁর আসছে এককে ছয়টি গান থাকবে সফল এই জুটির। সম্প্রতি নিজের অফিসে ডেকে রাজেশ ও প্রদীপ সাহার সঙ্গে বিষয়টি চূড়ান্ত করেন তিনি। এ প্রসঙ্গে আসিফ বলেন, 'রাজেশদা ও প্রদীপদা হচ্ছেন আমার গানের প্রাণ। ভেবেছিলাম এ অ্যালবামটি তাঁদের ছাড়াই করি, দেখি কেমন দাঁড়ায়। কিন্তু ভক্ত-শ্রোতাদের অনুরোধের কারণে শেষ পর্যন্ত নিজের সিদ্ধান্ত থেকে বেরিয়ে এসেছি।' রাজেশ ও প্রদীপ সাহা বলেন, 'আসিফ ভাই আমাদের ওপর যে আস্থা রেখেছেন আমরা তার প্রতিদান দিতে চেষ্টা করব।'
আসিফ জানান, মাস দুয়েকের মধ্যে তাঁরা গান ছয়টি তৈরি করবেন। এ অ্যালবামের জন্য আরো গান তৈরি করছেন প্রীতম আহমেদ ও তরুণ। তবে অ্যালবামটির নাম 'এঙ্ প্রেম'-এর বদলে অন্য কিছু রাখা হতে পারে। আসছে পহেলা বৈশাখে এটি প্রকাশ করা হবে। - কালের কণ্ঠ ১১ নভেম্বর ২০১২
আসিফ জানান, মাস দুয়েকের মধ্যে তাঁরা গান ছয়টি তৈরি করবেন। এ অ্যালবামের জন্য আরো গান তৈরি করছেন প্রীতম আহমেদ ও তরুণ। তবে অ্যালবামটির নাম 'এঙ্ প্রেম'-এর বদলে অন্য কিছু রাখা হতে পারে। আসছে পহেলা বৈশাখে এটি প্রকাশ করা হবে। - কালের কণ্ঠ ১১ নভেম্বর ২০১২
ভায়োলিনের সেলিম
গত প্রায় একযুগেরও বেশি সময় ধরে বাংলা আধুনিক গানের সবচেয়ে সফল মিউজিশিয়ান সেলিম আহমেদ। সেই শৈশব থেকেই ভায়োলিনের সাথে প্রেম তার নিরন্তর। নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা সেলিম আহমেদ পারিবারিকভাবেই মিউজিশিয়ান। এ যাবত্ প্রায় দুইশতাধিক সুপারহিট গানে তার বাজানো সুর আছে। নিজের এই কাজের স্বীকৃতি হিসেবে কখনোই কোনো চাওয়া ছিল না। তবে কাজের স্বীকৃতি নিয়ে কিছুটা আক্ষেপ করে সেলিম বলেন, ‘এ দেশে এত এত ক্ষেত্র থেকে অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। কিন্তু মিউজিশিয়ান ক্যাটাগরিতে কোনো সম্মাননা নেই। এটা খুবই হতাশাজনক। এই মাধ্যমকে যেন কোনো গুরুত্বই দেওয়া হয় না। এ ছাড়া পারিশ্রমিকের ক্ষেত্রে শিল্পী, সুরকারদের পারিশ্রমিক যে হারে বেড়েছে, সে তুলনায় একেবারেই বাড়েনি বাদ্যযন্ত্রীদের সম্মানী। তবুও একমাত্র যন্ত্রকে ভালোবেসেই কাজ করে চলেছি।’ তবে নিজের কাজের জেদ থেকেই এবারে ভায়োলিনের একটি আলাদা ইন্সট্রুমেন্টাল অ্যালবামের কাজ শুরু করেছেন। যার একেকটি গানের কম্পোজিশন করবেন এ দেশের শীর্ষস্থানীয় সংগীত পরিচালকেরা। সেই তালিকায় হাবিব, বালাম, ফুয়াদ রয়েছে। ‘ভালোবাসবো বাসবোরে বন্ধু’, ‘দিন গেল’, ‘যায় দিন’, ‘এক জীবনে’সহ এ দেশের তরুণ কণ্ঠশিল্পীদের একাধিক গানের সংগীতকার সেলিম। নিজের কাজের স্বীকৃতি নিয়ে বলেন, ‘সিটিসেল মিউজিক অ্যাওয়ার্ডই এ দেশে সংগীত বিষয়ক একমাত্র সম্মাননা। অথচ এই সম্মাননার ক্ষেত্রে এত এত ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেওয়া হলেও মিউজিশিয়ানদের দেওয়া হয় না। শুধুমাত্র যারা ইন্সট্রুমেন্টাল অ্যালবাম করেছে তাদের জন্যই মনোনয়ন থাকে। এর চেয়ে দুঃখের আর কী হতে পারে! সেই কারণেই নিজের জেদের বশেই আমার প্রথম যন্ত্রসংগীতের অ্যালবাম করার পরিকল্পনা নিয়েছি। ’
সুবীর নন্দীর গানে সোমেশ্বর অলি
‘গেছো ঘুম নিঝুম, জেগে আছি, দু’চোখ জানালায়, কেউ জাগে নিশি আর কারও ঘুম পায় আরও...’ সুবীর নন্দীর জন্য গান লিখলেন সময়ের প্রসিদ্ধ কবি, গীতিকার সোমেশ্বর অলি। নিজের গানের সংখ্যা কম হলেও এরই ভেতর যে কটি গান লিখেছেন তার প্রায় সবকটি অডিও বাজারে ব্যাপক সমাদৃত হয়েছে। এ ছাড়া লুত্ফর হাসানের ‘ঘুড়ি’ গানটিও গেল বছরের সবচেয়ে আলোচিত গান। নিজের গান প্রসঙ্গে সোমেশ্বর অলি বলেন, ‘আমি আসলে একেবারেই আত্মকেন্দ্রিক। ইদানীং কিছু উঠতি গীতিকার শিল্পীরা ফোন করে অস্থির করে তোলে তাদের অ্যালবামে গান নেওয়ার জন্য। কোনো শিল্পীকে গান দেব বলে অনুরোধ করেছি এমন ঘটনা আমার মনে পড়ে না। এ ছাড়া নিজের গান নিয়ে তা অ্যাওয়ার্ডের জন্য জমা দেওয়ারও আমি পক্ষে নই। গান লিখি নিজের আনন্দে। কোনো প্রচারের জন্য নয়। নব্য গীতিকারদের গানের চেয়ে টিভিতে ইন্টারভিউতেই ব্যস্ত থাকতে বেশি দেখা যায়। আমার তাদের ব্যাপারে অভিযোগ নেই। হয়তো এটাই এখনকার যোগ্যতার মাপকাঠি। তবে আমি সেই যোগ্যতার বিচারে একেবারেই নিম্নশ্রেণীর এবং এমনটাই থাকতে চাই।’ - ইত্তেফাক রবিবার, ১১ নভেম্বর ২০১২
ভালবাসা দিবসে ইবরার টিপুর তৃতীয় একক
প্রায় দেড় বছরের ব্যবধানে নতুন একক অ্যালবামের কাজ শুরু করেছেন সময়ের আলোচিত সংগীত পরিচালক-গায়ক ইবরার টিপু। ইতিমধ্যে নিজের এই অ্যালবামের জন্য গান তৈরি শুরু করে দিয়েছেন তিনি। এটি ইবরার টিপুর সংগীত ক্যারিয়ারের তৃতীয় একক অ্যালবাম। ইবরার টিপু ইতিমধ্যে অসংখ্য গানের সংগীতায়োজন করেছেন। ৩০০টিরও বেশি গান ইতিমধ্যে সিনিয়র থেকে জুনিয়র শিল্পীদের জন্য সুর করেছেন তিনি। অসংখ্য জনপ্রিয় গানের এই সংগীতায়োজক গত দেড়টি বছর ব্যস্ত ছিলেন বিভিন্ন শিল্পীর অ্যালবাম ও চলচ্চিত্রের গান নিয়ে। এদিকে এর আগে প্রকাশ পেয়েছে ইবরার টিপুর প্রথম একক ‘বাক্সবন্দি’ ও দ্বিতীয় একক ‘চাই তোমায়’। এর মধ্যে সর্বশেষ দ্বিতীয় এককের ‘চাই তোমায়’ ও ‘তোমায় ভেবে’ গান দুটি বেশ শ্রোতাপ্রিয়তা লাভ করে। দ্বিতীয় অ্যালবামের সফলতার পর এবার তৃতীয় একক নিয়ে শ্রোতাদের সামনে হাজির হচ্ছেন তিনি। নিজের এই অ্যালবামটি আসছে ভালবাসা দিবসে প্রকাশ করবেন। এককের পাশাপাশি এই অ্যালবামে থাকবে কয়েকটি দ্বৈত গানও। এবার সব ধাঁচের গান দিয়েই নিজের অ্যালবামটি সাজাতে চান তিনি। এ বিষয়ে ইবরার টিপু বলেন, আমার সর্বশেষ একক অ্যালবামের গানগুলো শ্রোতারা পছন্দ করেছেন। এবার সেই উৎসাহ নিয়েই তৃতীয় এককের কাজ শুরু করেছি। এতোদিন অন্যদের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকার ফলে নিজের অ্যালবামের কাজ করতে পারিনি। এবার পুরোদমে অ্যালবামের কাজ শুরু করে দিয়েছি। আসছে ভালবাসা দিবসেই অ্যালবামটি প্রকাশ করবো বলে ঠিক করেছি।
সৈয়দ রেজাউর রহমানের মনোজ্ঞ সংগীত সন্ধ্যা
বিশ্বকলা কেন্দ্র নিবেদিত সংগীত নিকেতন ও ঢাকাবাসীর যৌথ উদ্যোগে ৯ই নভেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল শিল্পী সৈয়দ রেজাউর রহমানের একক সংগীতানুষ্ঠান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন ঘোষণা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। সঙ্গত আর সংগীতের অসাধারণ ঐকতানে উপস্থিত দর্শক শ্রোতা উপভোগ করেন মনোজ্ঞ এক সন্ধ্যা। পুরো অনুষ্ঠানটির চমৎকার সঞ্চালনা করেন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের শিক্ষক ও শিল্পী ড. লীনা তাপসী খান। বেশ বৈচিত্র্যপূর্ণ ভাবে সাজানো ছিল সৈয়দ রেজাউর রহমানের এই সংগীতানুষ্ঠানটি। গানের পাশাপাশি ব্যতিক্রমী কোরিওগ্রাফির মাধ্যমে বেশ কয়েকটি নৃত্যও পরিবেশিত হয়। প্রথমেই দেশের একটি গান পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। এরপর একে একে নজরুলসংগীত, রবীন্দ্রসংগীত, এপার-ওপার বাংলার জনপ্রিয় চলচ্চিত্রের গান, হিন্দি, গজল ও নিজের লেখা-সুর করা গান পরিবেশন করেন শিল্পী। গানের ফাঁকে ফাঁকে সঞ্চালক লীনা তাপসীর সঙ্গে কথোপকথনে আসরটি বেশ জমে ওঠে। অনুষ্ঠানে শিল্পী রেজাউর রহমান একে একে পরিবেশন করেন- দাম দিয়ে কিনেছি বাংলা, সেদিন দু’জনে দুলেছিনু বনে, আজও মধুর বাশরী বাজে, গানেরই খাতায় স্বরলিপি লিখে কি হবে, তুমি যে আমার কবিতা, নীল আকাশের নিচে আমি, মুছে যাওয়া দিনগুলো, হারানো দিনের কথা মনে পড়ে যায়, মেরা জীবন কোড়া কাগজ, রাফতা রাফতা ও মেরে, বিস্তীর্ণ দু’পাড়ে অসংখ্য মানুষের প্রভৃতি গান। এসব গানে শ্রোতারা হারিয়ে যান অন্য এক ভুবনে। এরপর নিজের অডিও অ্যালবাম ‘প্রিয়ার চোখ’ থেকে বেশ কিছু গান শোনান তিনি। এছাড়া শিল্পীর দুই কন্যা রাঈদা ও উপমা বাবা রেজাউর রহমানের সঙ্গে দুটি গান করেন। - মানব জমিন রবিবার, ১১ নভেম্বর ২০১২
জয়ার কণ্ঠে গান
জয়া আহসান এবার গান গেয়েছেন। তাও আবার চলচ্চিত্রে। একটি নয়, দুটি। একটি হেভিমেটাল, অন্যটি পপ ধাঁচের গান। ছবির নাম পারলে ঠেকা। পরিচালক সামুরাই মারুফ। গানের কথা লিখেছেন তিনি। সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন জাওয়াদ পারভেজ। জয়া বললেন, ‘আমি কিন্তু শাস্ত্রীয় সংগীতের দারুণ ভক্ত। একসময় শাস্ত্রীয় সংগীতের বাইরে আর কোনো গানকে গান বলে মনে হতো না। এরপর অবশ্য ধারণাটা পাল্টেছে। নানা ধরনের গান শোনার ব্যাপারে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। নিজেও টুকটাক গানের চর্চা করি, তবে তা একেবারেই নিজের জন্য।’ গান দুটি শিগগিরই ইউটিউবে ছাড়া হবে। এরই মধ্যে এসব গানের শুটিং শেষ হয়েছে। পপ ঘরানার গানটির শিরোনাম ‘জঙ্গলের ডাক’ আর হেভিমেটালধাঁচের ‘পারলে ঠেকা’। ছবির গল্প প্রসঙ্গে মারুফ বললেন, ‘সময়টা ২০১৩ সাল। মেয়েটি অতিমানবী। চুরি করে। একসময় সে মারা যায়। গবেষণার জন্য মেয়েটির মরদেহ সংরক্ষণ করা হয়। ৩০১৩ সালে গবেষণা করতে এসে এক তরুণ বিজ্ঞানী মেয়েটির প্রেমে পড়ে।’পারলে ঠেকা ছবির শুটিং শুরু হবে আগামী ডিসেম্বর মাসে। জয়া বললেন, ‘ছবির নামটা সনাতন, কিন্তু ডিজাইনটা খুব আধুনিক। ছবির গল্প থেকে শুরু করে অভিনয় ও কারিগরি দিকগুলোতে নিরীক্ষার একটা ব্যাপার আছে। শিল্প নির্দেশক হিসেবে মারুফ বেশি পরিচিত। এবার তিনি নিজেই পরিচালনা করছেন।’- প্রথম আলো ০৯-১১-২০১২
চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালনায় শফিক তুহিন
একসঙ্গে চারটি ছবির গানের সুর ও সংগীত পরিচালনা করছেন শফিক তুহিন। ছবিগুলো হলো: মনতাজুর রহমানের অগ্নি, জাকির হোসেনের পোড়ামন, শাহীন সুমনের অন্য রকম ভালোবাসা এবং পি এ কাজলের ভালোবাসা আজকাল। সংগীত পরিচালনার পাশাপাশি গান লেখা ও তাতে কণ্ঠ দেওয়ার কাজটিও করছেন শফিক তুহিন। তিনি জানান, চারটি ছবির মধ্যে তিনি পোড়ামন-এর পূর্ণাঙ্গ সুর ও সংগীত পরিচালনা করছেন। অন্য তিনটি ছবিতে একাধিক গানের সুর ও সংগীত পরিচালনা করছেন তিনি।
- প্রথম আলো ০৮-১১-২০১২
- প্রথম আলো ০৮-১১-২০১২
মা দিবসে নকুলের অ্যালবাম
এবার মা দিবসে মায়ের গান নিয়ে নতুন একটি অ্যালবাম করতে যাচ্ছেন সংগীতাঙ্গনের পরিচিত মুখ নকুল কুমার বিশ্বাস। ১৯৮৭ সালে নকুলের প্রথম একক অ্যালবাম 'কনকর্ড ভলিউম-১' প্রকাশ পায়। ১৯৯৬ সালে ঈদ ইত্যাদিতে প্রচার হয় তার গাওয়া 'দাদা বিয়া করলাম ক্যান' গানটি। গানটি তাকে ব্যাপক জনপ্রিয়তা এনে দেয়। এরপর বের হয় এক এক করে ৫০টি অ্যালবাম। নকুল কুমার বিশ্বাসের নতুন অ্যালবামে মোট ১০টি গান থাকছে। নিজের লেখা ও সুরে এ গানগুলোর শিরোনাম হলো_ 'যারা মাকে ভালোবাস না', 'এই জীবনের সব অর্জন', 'আয় রে খোকা আয়', 'মামা বাড়ি', 'মা আমার বলত খোকা রে' প্রভৃতি। নতুন অ্যালবাম সম্পর্কে নকুল কুমার বলেন, 'শুধু বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হব বলে অ্যালবাম বের করতে চাচ্ছি না। আমার অনেক ভক্ত অনেক দিন ধরে চাচ্ছিল আমি মা শিরোনামের কোনো অ্যালবাম করি। মূলত তাদের কথা মাথায় রেখেই এ অ্যালবামের কাজ শুরু করেছি। এ অ্যালবামের প্রতিটি গান মাকে কেন্দ্র করে। আশা করি, সবার ভালো লাগবে।'
তৃতীয় অ্যালবাম নিয়ে ন্যান্সি
আগামী বছর তৃতীয় অ্যালবাম প্রকাশ করবেন সময়ের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ন্যান্সি। অ্যালবামটি প্রকাশিত হবে জি-সিরিজের ব্যানারে। এরই মধ্যে তিনি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে আলোচনা চূড়ান্ত করেছেন। ন্যান্সি জানান, এ অ্যালবামে তিনি একাধিক সুরকার ও গীতিকারের গান পরিবেশন করবেন। চলতি মাসের মাঝামাঝিতে তার ইংল্যান্ডে যাওয়ার কথা রয়েছে। সেখান থেকে ফিরেই অ্যালবামের কাজে হাত দেবেন। ২০০৯ সালে ন্যান্সির প্রথম একক অ্যালবাম 'ভালোবাসা অধরা' বাজারে আসে। অ্যালবামটির বেশ কিছু গান ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। দীর্ঘ তিন বছর বিরতির পর চলতি বছর তার দ্বিতীয় একক অ্যালবাম 'রঙ' প্রকাশিত হয়েছে। এ অ্যালবামের সব গানের সুর ও সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন হাবিব ওয়াহিদ। এ অ্যালবামটিও শ্রোতামহলে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। সেই সফলতার ধারাবাহিকতায় তিনি তৃতীয় অ্যালবাম প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ন্যান্সি বর্তমানে স্টেজ শো'য়ের পাশাপাশি প্লেব্যাক নিয়েও ব্যস্ত রয়েছেন। গত মাসে তিনি 'সমুদ্রের নোনা জল' শিরোনামের ছবির চারটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। চলচ্চিত্রের এ গানগুলো অ্যালবাম আকারে ঈদে 'সঙ্গীতা' থেকে প্রকাশিত হয়েছে। এর আগে জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত 'পোড়া মন' চলচ্চিত্রেও ন্যান্সি প্লেব্যাক করেছেন। এছাড়া ন্যান্সি নিয়মিত টিভি লাইভ প্রোগ্রামেও অংশগ্রহণ করছেন। বিশেষ করে কোরবানির ঈদে তাকে বেশ কটি লাইভ অনুষ্ঠানে গান গাইতে দেখা গেছে। ন্যান্সি এখন তার মেয়ে রোদেলাকে নিয়ে নেত্রকোনায় বাবার বাড়িতে বসবাস করছেন। কোনো রেকর্ডিং বা স্টেজ শো থাকলে তিনি ঢাকায় আসেন। অনেকটা দৌড়ঝাঁপের মধ্যেই ন্যান্সির দিনকাল অতিবাহিত হচ্ছে।
সূত্রঃ যায় যায় দিন
সূত্রঃ যায় যায় দিন
পুরোদস্তুর সংগীত পরিচালক ইমরান
সংগীত পরিচালক হিসেবে ইমরানের অভিষেক গত বছর নিজের প্রথম একক অ্যালবাম 'স্বপ্নলোকে'র মধ্য দিয়ে। তবে এ বছর সংগীত পরিচালনায় নিজেকে দারুণভাবে মেলে ধরেছেন এই তরুণ। এ বছর প্রকাশিত নির্ঝরের তৃতীয় একক 'স্বপ্নমুখী'র টাইটেলসহ পাঁচটি গানের সুর ও ছয়টি গানের সংগীত করেন তিনি। দুটি গানে তাঁর সঙ্গে কণ্ঠও দেন। দুটি গান করেন নুসরাতের 'ভালোবাসি' অ্যালবামের জন্য। একটি মিঙ্ড অ্যালবামে নবীন গায়ক মিলনের জন্য তৈরি করেন 'সখী ভালোবাসা কারে কয়' শিরোনামের একটি গান। একই অ্যালবামে আরেকটি গান করে কণ্ঠ দেন পূজার সঙ্গে। মিউজিক ভিডিওর কল্যাণে 'দূরে দূরে' শিরোনামের এই গানও শ্রোতাদের মনোযোগ কেড়েছে। এদিকে গত ঈদে তিনটি গান এসেছে ইমরানের সুর ও সংগীতে। এর মধ্যে দুটি রয়েছে নওমীর 'নওমী' অ্যালবামে। অন্যটি রয়েছে একটি মিঙ্ড অ্যালবামে। ইমরান বলেন, 'গান গাওয়ার পাশাপাশি সংগীত পরিচালনার কাজটি আমি বেশ এনজয় করছি। এরই মধ্যে বাসায় পুরো স্টুডিও সেটআপ দিয়েছি। সামনে নতুন আরো কিছু কাজ পাবেন। এগুলো সময় হলে জানতে পারবেন।'
সূত্রঃ কালের কণ্ঠ
সূত্রঃ কালের কণ্ঠ
অরণ্যর 'রোদে জ্বলে শহর'
২০০৭ সালে প্রকাশিত হয় 'অরণ্য' ব্যান্ডের প্রথম অ্যালবাম 'তার ছিঁড়ে গেছে'। পাঁচ বছর পর আবারও অ্যালবাম নিয়ে আসছে 'অরণ্য'। এটি 'অরণ্য'র দ্বিতীয় একক। অ্যালবামটির নাম 'রোদে জ্বলে শহর'। ব্যান্ডের ভোকাল ও দলনেতা দীপ্ত জানান, 'এই অ্যালবামের জন্য এরই মধ্যে ১৩-১৪টি গান তৈরি করা হয়েছে। সেখান থেকে ১০টি গান নিয়ে অ্যালবামটি বের করা হবে। অ্যালবামটি বাজারে আসবে ডিসেম্বর নাগাদ। এ অ্যালবামের গানের কথা লিখেছেন লিমন, দীপ্ত ও সুহৃদ সুফিয়ান। উল্লেখযোগ্য গানের শিরোনাম_'রোদে জ্বলে শহর', 'ভালোবাসা ডটকম', 'আমি কোথাও নেই', 'অসার দেহ' ও 'কেঁদো না'। অ্যালবামটি কোন ব্যানারে আসবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
সূত্রঃ কালের কণ্ঠ
সূত্রঃ কালের কণ্ঠ
কমে গেছে চলচ্চিত্রে ক্লাসিক্যাল গানের ব্যবহার
বাংলা গানের ক্ষেত্রে শাস্ত্রীয় সংগীত একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। পুরনো দিনের সিনেমায় তাই ক্লাসিক্যাল গানের ব্যবহার বেশি দেখা যেত। বিশেষ করে বসন্তবাহার, মেঘমল্লার, কাফি, ভৈরবী, আহির-ভৈরব, কলাবতীসহ প্রভৃতি রাগ-রাগিণীর সমৃদ্ধ ক্লাসিক্যাল গান ব্যবহার করা হতো চলচ্চিত্রে। তাছাড়া রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, শচীন দেব বর্মনসহ বিভিন্ন সংগীতজ্ঞ বাংলা গানে ক্লাসিক্যাল ধারাকে আরো সমৃদ্ধ করে গেছেন।
শেখ সাদী খান বাংলাদেশে প্লেব্যাকে আশির দশকে ‘মহানায়ক’ ছবির জন্য সুর করলেন ক্লাসিক্যাল ঘরানার গান দিয়ে। তার সেই সুরে বিভিন্ন ধরনের গান গাইলেন সুবীর নন্দী, হৈমন্তী শুক্লা ও রুনা লায়লা। গানগুলো অসম্ভব জনপ্রিয় ও শ্রোতাপ্রিয় হয়েছিল সেই সময়। মহানায়ক ছবিতে সুবীর নন্দীর গাওয়া ‘আমার এ দুটি চোখ পাথর তো নয়, তবু কেন ক্ষয়ে ক্ষয়ে যায়? কখনো নদীর মতো তোমার পথের পানে বয়ে বয়ে যায়’ গানটি আজো মানুষের মুখে মুখে শোনা যায়।
এরপর উল্লেখ করতে হয় সত্য সাহার কথা। তিনিও আশির দশকে ‘আনারকলি’ ছবির সংগীতের দায়িত্ব নেন। এ ছবির নায়িকা ববিতার লিপে একটি গান আজো অমর হয়ে আছে। গাজী মাজহারুল আনোয়ারের কথায় গানটি হলো ‘আমার মন বলে তুমি আসবে, হৃদয়ের বসন্তবাহারে প্রেমের অভিসারে আসবে।’ এ গানে বসন্তবাহার রাগ নিয়েই গানটি শেষ করেছিলেন।
এভাবে সেই সময়ের বিভিন্ন চলচ্চিত্রে ক্লাসিক্যাল গানের ব্যবহার ছিল উল্লেখ করার মতো, কিন্তু এ সময় এসে বাংলা চলচ্চিত্রে ক্লাসিক্যাল গানের ব্যবহার প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। তবে এ নিয়েও অনেকে বলছেন ভিন্ন কথা। দর্শক ও শ্রোতার চাহিদার কারণেই নাকি ক্লাসিক্যাল ব্যবহার হচ্ছে না। তাহলে তাদের উদ্দেশে বলতে হয় শ্রোতারা কেন এখনো পুরনো দিনের গান শোনার জন্য অডিও দোকানে ভিড় করছেন? প্রতিদিন যে হারে নতুন শিল্পীদের গান বিক্রি হয় তার থেকে কোনো অংশেই কম বিক্রি হয় না পুরনো দিনের ক্লাসিক্যাল গান।
মাত্র ছয় বছর আগে ২০০৬ সালে মুক্তি পাওয়া তৌকীর আহমেদ পরিচালিত ও অভিনীত রূপকথার গল্প ছবিটিতে নিধুবাবুর লেখা একটি টপ্পা গানের সংগীতায়োজন করেছিলেন শিল্পী বারী সিদ্দিকী। ‘কার তরে নিশি জাগো রাই? তুমি যার আশায় বসে আছো/তার আসার আশা নাই।’ গানটি পুরোপুরিই ক্লাসিক্যাল গান এবং বাংলা ফিল্মের জগতে এমন পুরোমাত্রার ক্লাসিক্যাল গানের ব্যবহার বেশ বিরল। এই গানের গায়িকা রুনা লায়লা বাংলা চলচ্চিত্রের প্লেব্যাক করেছেন বহু আগ থেকেই। তারপরও তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গান পরিবেশন করার ক্ষেত্রে ক্লাসিক্যাল বেইজড গান করেন।
চলচ্চিত্রে ক্লাসিক্যাল গান ব্যবহার কম। কারণ এদেশে সিনেমার বাইরেও ক্লাসিক্যাল গানের চর্চা কম হয়। আর এমনটি ঘটে চলেছে নব্বই দশক থেকে। সে সময় থেকে শিল্পীদের কণ্ঠে ক্লাসিক্যাল গান ওঠেনি। সে জায়গায় এসেছে ব্যবসায়িক আধুনিক গান। যে গান শ্রোতারা একবার শুনে ভুলে যায় এবং দ্বিতীয়বার শুনতে চায় না। এ কারণে শিল্পীর কদর বাড়ে, কিন্তু গানের কদর কমে যায়। সেই থেকেই গানের জগতে সুন্দর কণ্ঠের, চর্চিত গায়কির জায়গায় সামান্য একটু তাল, লয়, সারেগামা জ্ঞান জানা শিল্পীদের দিয়েই প্লেব্যাক করানো হয়। সিনেমার গানের মানের ক্ষেত্রে শ্রোতাপ্রিয়তাকে অনেক সময় প্রধান নেতিবাচক দিক বলে মনে করেন কেউ কেউ। ঢাকার সিনেমার গানের ক্ষেত্রে বর্তমানে শ্রোতাপ্রিয়তা নয়, জনপ্রিয়তার মানদণ্ডে নিরূপণ করা হয়।
বাংলা চলচ্চিত্রে ক্লাসিক ঘরানার গান ওঠে যাওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করে শিল্পী ফাতেমা-তুজ-জোহরা বলেন, ‘এ বিষয়টা আমাকে ভীষণ দুঃখ দেয়। ক্লাসিক্যাল গানই হচ্ছে মূল গান। সেই মূল গান ছাড়া বাংলাদেশের চলচ্চিত্র নির্মাণ হচ্ছে দেখলে অবাক হতে হয়। অথচ ষাট-সত্তর দশক থেকে নব্বইয়ের দশক পর্যন্ত প্রায় সব বাংলা চলচ্চিত্রেই ক্লাসিক্যাল ঘরানার গানের ব্যবহার হতো। সে সময়ের চলচ্চিত্রে দর্শকও ছিল মধ্যবিত্ত শ্রেণীর, কিন্তু এখন চলচ্চিত্রের যে অবস্থা, তাই দর্শকও কমে গেছে। আগে চলচ্চিত্রের শুধু যে ক্লাসিক্যাল গানই থাকত তা নয়; তবলা-বাঁশিরও ব্যবহার ছিল মনে রাখার মতো।’
একসময় সিনেমা হল ছিল মধ্যবিত্ত অর্থাৎ সাধারণ মানুষের বিনোদন ক্ষেত্র। কিন্তু বর্তমানে মধ্যবিত্তকে হটিয়ে এ জায়গাটা দখল করেছে নিুবিত্ত কুলি, মুটে-মজুররা। তাই তাদের জন্য মেটালিক ধাঁচের গান দিয়ে একটু উগ্র নাচ মিশিয়ে বিনোদনের ব্যবস্থা করছেন তথাকথিত পরিচালক ও প্রযোজকরা। তাই ধীরে ধীরে যেভাবে সিনেমায় ক্লাসিক্যাল গানের ব্যবহার কমে গেছে, সেভাবেই কমে গেছে সুস্থ সিনেমার মধ্যবিত্ত দর্শক। যার ফলে মানুষের কাছে পৌঁছতে পারছে না রবীন্দ্র-নজরুলের গান। এখনো সিনেমার গানের ক্ষেত্রে ক্লাসিক্যাল গানের দর্শক ও শ্রোতার কোনো কমতি নেই। একটু ভালো মানের সিনেমায় যদি ক্লাসিক্যাল ধাঁচের কোনো গান ব্যবহার করা হয়, সেই ছবি দর্শকপ্রিয়তাও পায়। শুধু ছবিই নয়, ছবির অডিও অ্যালবামের কাটতিও বেশ ভালো থাকে। তাই বাণিজ্যিক ধারার চলচ্চিত্রে শ্রোতার চাহিদা ও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আধুনিক ক্লাসিক্যাল ঘরানার গানের ব্যবহারে সিনেমার গানের যেমন মান ভালো হবে, তেমনি সিনেমাও উন্নত হবে বলে মনে করেন অনেকেই।
সূত্রঃ মানবকন্ঠ
শেখ সাদী খান বাংলাদেশে প্লেব্যাকে আশির দশকে ‘মহানায়ক’ ছবির জন্য সুর করলেন ক্লাসিক্যাল ঘরানার গান দিয়ে। তার সেই সুরে বিভিন্ন ধরনের গান গাইলেন সুবীর নন্দী, হৈমন্তী শুক্লা ও রুনা লায়লা। গানগুলো অসম্ভব জনপ্রিয় ও শ্রোতাপ্রিয় হয়েছিল সেই সময়। মহানায়ক ছবিতে সুবীর নন্দীর গাওয়া ‘আমার এ দুটি চোখ পাথর তো নয়, তবু কেন ক্ষয়ে ক্ষয়ে যায়? কখনো নদীর মতো তোমার পথের পানে বয়ে বয়ে যায়’ গানটি আজো মানুষের মুখে মুখে শোনা যায়।
এরপর উল্লেখ করতে হয় সত্য সাহার কথা। তিনিও আশির দশকে ‘আনারকলি’ ছবির সংগীতের দায়িত্ব নেন। এ ছবির নায়িকা ববিতার লিপে একটি গান আজো অমর হয়ে আছে। গাজী মাজহারুল আনোয়ারের কথায় গানটি হলো ‘আমার মন বলে তুমি আসবে, হৃদয়ের বসন্তবাহারে প্রেমের অভিসারে আসবে।’ এ গানে বসন্তবাহার রাগ নিয়েই গানটি শেষ করেছিলেন।
এভাবে সেই সময়ের বিভিন্ন চলচ্চিত্রে ক্লাসিক্যাল গানের ব্যবহার ছিল উল্লেখ করার মতো, কিন্তু এ সময় এসে বাংলা চলচ্চিত্রে ক্লাসিক্যাল গানের ব্যবহার প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। তবে এ নিয়েও অনেকে বলছেন ভিন্ন কথা। দর্শক ও শ্রোতার চাহিদার কারণেই নাকি ক্লাসিক্যাল ব্যবহার হচ্ছে না। তাহলে তাদের উদ্দেশে বলতে হয় শ্রোতারা কেন এখনো পুরনো দিনের গান শোনার জন্য অডিও দোকানে ভিড় করছেন? প্রতিদিন যে হারে নতুন শিল্পীদের গান বিক্রি হয় তার থেকে কোনো অংশেই কম বিক্রি হয় না পুরনো দিনের ক্লাসিক্যাল গান।
মাত্র ছয় বছর আগে ২০০৬ সালে মুক্তি পাওয়া তৌকীর আহমেদ পরিচালিত ও অভিনীত রূপকথার গল্প ছবিটিতে নিধুবাবুর লেখা একটি টপ্পা গানের সংগীতায়োজন করেছিলেন শিল্পী বারী সিদ্দিকী। ‘কার তরে নিশি জাগো রাই? তুমি যার আশায় বসে আছো/তার আসার আশা নাই।’ গানটি পুরোপুরিই ক্লাসিক্যাল গান এবং বাংলা ফিল্মের জগতে এমন পুরোমাত্রার ক্লাসিক্যাল গানের ব্যবহার বেশ বিরল। এই গানের গায়িকা রুনা লায়লা বাংলা চলচ্চিত্রের প্লেব্যাক করেছেন বহু আগ থেকেই। তারপরও তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গান পরিবেশন করার ক্ষেত্রে ক্লাসিক্যাল বেইজড গান করেন।
চলচ্চিত্রে ক্লাসিক্যাল গান ব্যবহার কম। কারণ এদেশে সিনেমার বাইরেও ক্লাসিক্যাল গানের চর্চা কম হয়। আর এমনটি ঘটে চলেছে নব্বই দশক থেকে। সে সময় থেকে শিল্পীদের কণ্ঠে ক্লাসিক্যাল গান ওঠেনি। সে জায়গায় এসেছে ব্যবসায়িক আধুনিক গান। যে গান শ্রোতারা একবার শুনে ভুলে যায় এবং দ্বিতীয়বার শুনতে চায় না। এ কারণে শিল্পীর কদর বাড়ে, কিন্তু গানের কদর কমে যায়। সেই থেকেই গানের জগতে সুন্দর কণ্ঠের, চর্চিত গায়কির জায়গায় সামান্য একটু তাল, লয়, সারেগামা জ্ঞান জানা শিল্পীদের দিয়েই প্লেব্যাক করানো হয়। সিনেমার গানের মানের ক্ষেত্রে শ্রোতাপ্রিয়তাকে অনেক সময় প্রধান নেতিবাচক দিক বলে মনে করেন কেউ কেউ। ঢাকার সিনেমার গানের ক্ষেত্রে বর্তমানে শ্রোতাপ্রিয়তা নয়, জনপ্রিয়তার মানদণ্ডে নিরূপণ করা হয়।
বাংলা চলচ্চিত্রে ক্লাসিক ঘরানার গান ওঠে যাওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করে শিল্পী ফাতেমা-তুজ-জোহরা বলেন, ‘এ বিষয়টা আমাকে ভীষণ দুঃখ দেয়। ক্লাসিক্যাল গানই হচ্ছে মূল গান। সেই মূল গান ছাড়া বাংলাদেশের চলচ্চিত্র নির্মাণ হচ্ছে দেখলে অবাক হতে হয়। অথচ ষাট-সত্তর দশক থেকে নব্বইয়ের দশক পর্যন্ত প্রায় সব বাংলা চলচ্চিত্রেই ক্লাসিক্যাল ঘরানার গানের ব্যবহার হতো। সে সময়ের চলচ্চিত্রে দর্শকও ছিল মধ্যবিত্ত শ্রেণীর, কিন্তু এখন চলচ্চিত্রের যে অবস্থা, তাই দর্শকও কমে গেছে। আগে চলচ্চিত্রের শুধু যে ক্লাসিক্যাল গানই থাকত তা নয়; তবলা-বাঁশিরও ব্যবহার ছিল মনে রাখার মতো।’
একসময় সিনেমা হল ছিল মধ্যবিত্ত অর্থাৎ সাধারণ মানুষের বিনোদন ক্ষেত্র। কিন্তু বর্তমানে মধ্যবিত্তকে হটিয়ে এ জায়গাটা দখল করেছে নিুবিত্ত কুলি, মুটে-মজুররা। তাই তাদের জন্য মেটালিক ধাঁচের গান দিয়ে একটু উগ্র নাচ মিশিয়ে বিনোদনের ব্যবস্থা করছেন তথাকথিত পরিচালক ও প্রযোজকরা। তাই ধীরে ধীরে যেভাবে সিনেমায় ক্লাসিক্যাল গানের ব্যবহার কমে গেছে, সেভাবেই কমে গেছে সুস্থ সিনেমার মধ্যবিত্ত দর্শক। যার ফলে মানুষের কাছে পৌঁছতে পারছে না রবীন্দ্র-নজরুলের গান। এখনো সিনেমার গানের ক্ষেত্রে ক্লাসিক্যাল গানের দর্শক ও শ্রোতার কোনো কমতি নেই। একটু ভালো মানের সিনেমায় যদি ক্লাসিক্যাল ধাঁচের কোনো গান ব্যবহার করা হয়, সেই ছবি দর্শকপ্রিয়তাও পায়। শুধু ছবিই নয়, ছবির অডিও অ্যালবামের কাটতিও বেশ ভালো থাকে। তাই বাণিজ্যিক ধারার চলচ্চিত্রে শ্রোতার চাহিদা ও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আধুনিক ক্লাসিক্যাল ঘরানার গানের ব্যবহারে সিনেমার গানের যেমন মান ভালো হবে, তেমনি সিনেমাও উন্নত হবে বলে মনে করেন অনেকেই।
সূত্রঃ মানবকন্ঠ
মেয়ের সঙ্গে লীনা তাপসীর অ্যালবাম
বিশিষ্ট নজরুল সঙ্গীতশিল্পী ড. লীনা তাপসী খান এবার মেয়ে মাহজাবিনের সঙ্গে অ্যালবাম প্রকাশ করতে যাচ্ছেন। আগামী বছরের শুরুতে তারা এ অ্যালবামের কাজ শুরু করবেন। কলকাতার চিৎপুরে গানগুলোর রেকর্ডিং হবে। অ্যালবামের মিউজিক ট্রাকের কম্পোজিশন করবেন কলকাতার বিখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক স্বপন চ্যাটার্জী। এ অ্যালবামে নজরুলের প্রচলিত ও অপ্রচলিত দুই ধরনের গান অন্তর্ভুক্ত থাকবে। গানগুলোর মধ্যে থাকছে, 'ধূলি পিঙ্গল', 'খেলে নন্দেরও আঙিনায়', 'সন্ধ্যা গোধূলি', 'দোলে ঝুলানো দোলায়' প্রভৃতি। মাহজাবিনও তার মায়ের মতো নিয়মিত নজরুলসঙ্গীত চর্চা করছেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও প্রতিযোগিতায় গান গেয়ে এরইমধ্যে সঙ্গীতবোদ্ধার প্রশংসা কুড়িয়েছেন। কিছুদিন আগে তিনি ধানমন্ডির ইএসএস থেকে 'ও' লেভেল শেষ করেছেন। বাণিজ্য বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি নিতে তার দেশের বাইরে যাওয়ার ইচ্ছা রয়েছে। মেয়ের সঙ্গে অ্যালবাম প্রকাশ প্রসঙ্গে লীনা তাপসী খান যায়যায়দিন বিনোদনকে বলেন, 'মাহজাবিন খুব অল্প বয়স থেকেই গান শিখতে শুরু করেছে। নজরুল সঙ্গীতের শাস্ত্রীয় বিষয়গুলো সে খুব তাড়াতড়ি রপ্ত করে ফেলেছে। আশা করি, মাহজাবিন নজরুলের গান বিশুদ্ধভাবে গাইতে পারবে।' এর আগে রোজার ঈদে লীনা তাপসী খানের সর্বশেষ অ্যালবাম 'রোজার শেষে' [সপ্তম] প্রকাশিত হয়েছিল। লীনা তাপসী খান গানের পাশাপাশি প্রায় তিন দশক ধরে নজরুল চর্চা করে আসছেন। বাবা এম এ খানের হাত ধরে তার সঙ্গীত অঙ্গনে পথচলা শুরু হয়। পরে তিনি খালিদ হোসেন এবং শেখ লুৎফর রহমানের কাছে নজরুল সঙ্গীতে তালিম নিয়েছেন। কলকাতার ধীরেন্দ্র চন্দ্র মিত্রের কাছেও দীর্ঘদিন নজরুল সঙ্গীত শিখেছেন। এছাড়া তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ড. রফিকুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে 'নজরুলের গানে রাগের ব্যবহার' বিষয়ে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন। বর্তমানে তিনি একই প্রতিষ্ঠানে সঙ্গীত বিভাগে শিক্ষকতা করছেন।
মার্কিন ব্যান্ডের সঙ্গে পুলক
'ক্লোজআপ ওয়ান' প্রতিযোগিতা থেকে উঠে আসা পুলক কনসার্টে গাইতে গত মাসে আমেরিকায় গিয়েছিলেন। আগামী বছরের শুরুতেই আবার মার্কিন মুলুকে যাবেন তিনি। তবে এবার কনসার্ট করতে নয়, আমেরিকার একটি ব্যান্ডের সঙ্গে তিনি মিশ্র অ্যালবামের কাজ করবেন সেখানে। মিশিগান অঙ্গরাজ্যে জনপ্রিয় ব্যান্ড উমহি ফায়ারের সঙ্গে তার পরিচয় হয়েছে। পুলক বললেন, 'গত আমেরিকা সফরে একটি ক্যাম্পে অংশ নেওয়ার সময় ব্যান্ডটির সঙ্গে আমার পরিচয়। তারা আমাদের ঢোল, তবলার বাজনা শুনে মুগ্ধ হন। এরপর তারা আমাদের বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করতে চান তাদের পরবর্তী অ্যালবামে। আর আমাকেও গাওয়ার প্রস্তাব দেন তারা।' এদিকে পুলক এখন নিজের দ্বিতীয় এককের কাজ করছেন। এতে থাকছে লোকজ গান, সুফি ধাঁচের গান ও নজরুলসঙ্গীত। পুলকের প্রথম একক 'যাযাবর' বের হয় গত বছর।
পাল্টে যাওয়া জীবনের গল্প ‘অন্ধকারের গান’
এক সদ্যতরুণের পাল্টে যাওয়া জীবনের গল্প ‘অন্ধকারের গান’। জীবনের কোন পর্বে পাল্টে যায় এক যুবক। কিন্তু আগের জীবনকে ভুলতে পারে না। ভোলা হয় না পুরনো প্রেম। সেও ফিরে যেতে চায় সেই জীবনে। কিন্তু সমাজ এবং অন্ধকারের জগত বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ফেরা হয় না প্রেমের কাছে। তার প্রেমিকার কাছে। এমনই এক গল্প আছে গানটিতে। ঘুড়িখ্যাত গায়ক ও সুরকার লুৎফর হাসানের সুরে, তানভীর তারেকের সংগীতায়োজনে গানটি গেয়েছেন তরুণ শিল্পী ইভান। গানটির ভিডিও ধারণ করা হয়ে গেছে। গানের শিল্পী রেডিও টুডের আউটডোর ব্রডকাস্টার ইভান জানান, গান নিয়ে আমার স্বপ্ন ছোটবেলা থেকেই। লুৎফর হাসান এবং তানভীর ভাইয়ের স্বস্নেহে আমার এই কাজ আমাকে অনেক অনুপ্রাণিত করেছে। গানটি বেশ কয়েকটি এফএম স্টেশনে বাজানোর কারণে শ্রোতাদের ভাল রেসপন্সও পাওয়া যাচ্ছে। আমি ধীরে ধীরে আমার সবক’টি গান করে পূর্ণাঙ্গ অ্যালবাম নিয়ে আসতে চাই। গানটির কথা এবং ভিডিও নির্মাণ করেছেন ইশতিয়াক আহমেদ।
সূত্রঃ মানবজমিন
সূত্রঃ মানবজমিন
বন্ধ হলো দূরবীন ব্যান্ড
২০০৪ সালের ১২ ডিসেম্বর জন্ম নেওয়া জনপ্রিয় ব্যান্ড দল দূরবীনের সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করলেন ব্যান্ডের প্রধান সদস্য শহীদ। সম্প্রতি দূরবীনের সদস্য আরফিন রুমির বিয়ের বিষয়টিকে কেন্দ্র করে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে তিনি জানান। এ প্রসঙ্গে শহীদ বলেন, 'দূরবীনের জন্য আরফির রুমির অবদান কখনো অস্বীকার করা যাবে না। তিনি আমাদের ব্যান্ডের জন্য যা করেছেন তা মনে রাখার মতো। কিন্তু সম্প্রতি বিভিন্ন মিডিয়ায় আরফিন রুমির বিয়ে নিয়ে যে ধরনের সমালোচনা উঠেছে তা আমাদের কাছে ভালো লাগেনি। আর এ কারণেই সাময়িক আমাদের ব্যান্ডের সব ধরনের কাজ-কর্ম বন্ধ রাখার সিন্ধান্ত নিয়েছি।' তিনি আরও বলেন,'আমি নিজেও চাচ্ছি গান-বাজনা থেকে সরে আসতে। অনেকটা অভিমান করেই আমি গান ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।' অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে রুমি বলেন, 'শহীদ ভাইয়ের এমন সিদ্ধান্তে আমি কষ্ট পেয়েছি। তবে এমন একটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একজন ব্যান্ড সদস্য হিসেবে আমাকে জানানো দরকার ছিল। আমার যদি কোনো রকম ভুল হয়ে থাকে তিনি ক্ষমা করে দেবেন। তবে আমার জন্ম এ ব্যান্ডকে ঘিরে। আমি শহীদ ভাইকে অনুরোধ করব, বিষয়টি নিয়ে তিনি যেন আরও একবার ভাবেন।'
ওস্তাদ প্রভাতের সঙ্গীত সাধনা
১৯৭৬ সাল থেকে নিরলসভাবে সঙ্গীত সাধনা করে চলছেন সুনামগঞ্জের বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী ওস্তাদ প্রভাত চন্দ্র দেবনাথ। তারই হাত ধরে বাংলাদেশ বেতারে বেশ ক'জন এরইমধ্যে তালিকাভুক্ত শিল্পী হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। বিগত তিন যুগ ধরে ওস্তাদ প্রভাত চন্দ্র দেবনাথ সঙ্গীত অনুরোগীদের গান শিখিয়ে আসছেন। বর্তমানে তিনি একই পরিবারের চার ভাইয়ের চার মেয়েকে গান শেখাচ্ছেন। মধ্যনগরের মৃনাল কান্তি দে'র মেয়ে মুক্তা, জগন্নাথ দে'র মেয়ে তমা, কাজলের মেয়ে ও মিহির কান্তি দে'র মেয়ে মিলাকে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শেখানোর পাশাপাশি সব ধরনের গানেই তালিম দিচ্ছেন। মুক্তা, তমা, এবং মিলার স্বপ্ন সাবিনা ইয়াসমিন কিংবা রুনা লায়লার মতো বড় মাপের শিল্পী হওয়ার। ওস্তাদ প্রভাত চন্দ্র দেবনাথ বলেন, 'ওরা চার বোনই খুব ভালো গায়। প্রত্যন্ত অঞ্চলে থেকেও তাদের গান গাওয়ার প্রতি অসীম আগ্রহ দেখে আমি মুগ্ধ। আমার ইচ্ছে রয়েছে, ওদেরকে জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী হিসেবে গড়ে তোলার।'
শাহনাজ রহমতুল্লাহর গান গাইবেন আলম আরা মিনু
কয়েক মাস আগে সব ধরনের গান-বাজনা থেকে নিজেকে বিরত থাকার ঘোষণা দিয়েছেন শাহনাজ রহমতুল্লাহ। প্রখ্যাত এ কণ্ঠশিল্পী সংগীত থেকে দূরে সরে গেলেও তাঁর গানগুলো এখনো দাগ কেটে আছে শ্রোতা হৃদয়ে। নতুন খবর হলো শাহনাজ রহমতুল্লাহ না গাইলেও এখন থেকে তাঁর কিছু গান নিয়মিতভাবে গাইবেন আলম আরা মিনু। এরই মধ্যে এ বিষয়ে শাহনাজ রহমতুল্লাহর সঙ্গে মিনুর চূড়ান্ত কথাও হয়েছে। মিনু বলেন, 'শাহনাজ রহমতুল্লাহ আমার অনেক প্রিয় একজন শিল্পী। তাঁর গান গাওয়া ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি আমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছে। আমি চাই না তাঁর গানগুলো মুছে যাক। তাই সিদ্ধান্ত নিই তাঁর গাওয়া ২০-২৫টি গান এখন থেকে টিভি ও মঞ্চসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গাইব। যাতে আমার মাধ্যমে গানগুলো সম্পর্কে এ প্রজন্মের শ্রোতারা জানতে পারেন। সময়-সুযোগ বুঝে গানগুলো রেকর্ড করে অ্যালবাম আকারেও প্রকাশ করতে পারি।'মিনু আরো বলেন, 'কিছুদিন ধরে আমি শাহনাজ রহমতুল্লাহর বাসায় যাওয়া-আসা করছি। তাঁর কাছ থেকে গানগুলো ভালো করে বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করছি। কিভাবে তিনি গানগুলো চর্চা করেন, তাঁর গান কিভাবে গাইতে হয় তা শিখছি।' বিভিন্ন টিভির লাইভ অনুষ্ঠানে গানগুলো গাইবেন বলেও জানান মিনু। দু-তিন দিনের মধ্যেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা দেবেন তিনি।
সূত্রঃ কালের কণ্ঠ
সূত্রঃ কালের কণ্ঠ
এবার পূজার তৃতীয় একক
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভালবাসা দিবস উপলক্ষে প্রকাশ পেয়েছিলো চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠ প্রতিযোগিতা থেকে আসা গায়িকা বাঁধন সরকার পূজার দ্বিতীয় একক অ্যালবাম। বাজার বিশ্লেষণে তার এই সেলফ টাইটেলড অ্যালবামটি চলতি বছরের অন্যতম সফল অ্যালবাম। এ অ্যালবামে অনুরূপ আইচের কথায় আরফিন রুমির সঙ্গে তার গাওয়া দ্বৈতগান ‘তুমি আমার’ হলো এখন পর্যন্ত এ বছরের সবচেয়ে সফল গান। এর মিউজিক ভিডিওটিও বেশ দর্শকপ্রিয়তা অর্জন করেছে। শুধু তাই নয়, এই গানটির পর সামপ্রতিক সময়ে ইমরানের সঙ্গে পূজার গাওয়া ‘তুমি দূরে দূরে থেকো না’ শীর্ষক গানটিও ইতিমধ্যে শ্রোতাপ্রিয়তা অর্জন করেছে। বিশেষ করে এ গানের আবেগী কাহিনী নির্ভর মিউজিক ভিডিওটিও বেশ সফলতা অর্জন করেছে। গেল ঈদেও বেশ কিছু মিশ্র অ্যালবামে ছিল পূজার কণ্ঠের গান। তাই সব মিলিয়ে বলা চলে ভাগ্যদেবী চলতি বছর বেশ ভালভাবেই ভর করেছে এ গায়িকার
ওপর। আসছে ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষেও বেশ কিছু অ্যালবামের জন্য কাজ করছেন পূজা। এদিকে দ্বিতীয় অ্যালবামের আশানুরূপ সাফল্যর পর এবার তৃতীয় একক অ্যালবামের পরিকল্পনা করছেন তিনি। নতুন বছরের প্রথম থেকেই শুরু করবেন তৃতীয় এককের কাজ। আর তার আগেই পাকাপাকি করে ফেলবেন কাদের সংগীতায়োজনে কাজ করবেন সে বিষয়টি। গত অ্যালবামের মতোই সময়ের আলোচিত সংগীতায়োজকদের মাধ্যমেই নিজের নতুন অ্যালাবটি সাজাবেন বলে জানিয়েছেন পূজা।
সূত্রঃ মানবজমিন
ওপর। আসছে ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষেও বেশ কিছু অ্যালবামের জন্য কাজ করছেন পূজা। এদিকে দ্বিতীয় অ্যালবামের আশানুরূপ সাফল্যর পর এবার তৃতীয় একক অ্যালবামের পরিকল্পনা করছেন তিনি। নতুন বছরের প্রথম থেকেই শুরু করবেন তৃতীয় এককের কাজ। আর তার আগেই পাকাপাকি করে ফেলবেন কাদের সংগীতায়োজনে কাজ করবেন সে বিষয়টি। গত অ্যালবামের মতোই সময়ের আলোচিত সংগীতায়োজকদের মাধ্যমেই নিজের নতুন অ্যালাবটি সাজাবেন বলে জানিয়েছেন পূজা।
সূত্রঃ মানবজমিন
নীরবতা ভেঙে ন্যান্সি
রোজার ঈদে বিভিন্ন অডিও এবং চলচ্চিত্রের অ্যালবামে গান গাইলেও কোন টিভি লাইভ শোতে দেখা যায়নি জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ন্যান্সিকে। সে সময় নিজ ইচ্ছাতেই খানিক নীরব হয়ে টিভি লাইভ শো থেকে দূরে সরে ছিলেন তিনি। এদিকে সেই নীরবতা ভেঙে গেল কোরবানি ঈদে আবারও লাইভ মিউজিক্যাল প্রোগ্রামের মাধ্যমে দর্শকদের মাঝে ফিরলেন ন্যান্সি। দীর্ঘদিন পর ঈদ উপলক্ষে বৈশাখী টিভি এবং দিগন্ত টিভিতে সরাসরি গান পরিবেশন করে বেশ প্রশংসিত হয়েছেন তিনি। লাইভ ছাড়াও বেশ কয়েকটি চ্যানেলের অনুষ্ঠানেও ন্যান্সির উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। এদিকে এবারের ঈদে মোস্তফা সরওয়ার ফারুকি পরিচালিত ‘টেলিভিশন’ চলচ্চিত্রে আইয়ুব বাচ্চুর সুরে ন্যান্সি-লুৎফর হাসানের ‘ভাবনার রেলগাড়ি’ শীর্ষক গানটি বেশ প্রশংসিত হয়েছে। বাচ্চুর সুরে এটিই ন্যান্সির গাওয়া প্রথম গান। অন্যদিকে বর্তমানে টিভিমুখী ব্যস্ততা কাটিয়ে সুদূর লন্ডন যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ন্যান্সি। চলতি মাসের ১৩ তারিখ লন্ডন শো করতে যাচ্ছেন তিনি। সেখানে প্রবাসীদের আয়োজনে বেশ কয়েকটি শোতে অংশ নিয়ে দেশে ফিরবেন। তবে এই শো’র জন্য ঢাকায় থেকে নিয়মিতই প্র্যাকটিস করছেন তিনি। এদিকে এই শো শেষ করে এসেই তৃতীয় একক অ্যালবামের কাজে হাত দেয়ার কথা রয়েছে ন্যান্সির। ইতিমধ্যে শীর্ষ অডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জি-সিরিজের সঙ্গে অ্যালবাম বিষয়ে আলাপ হয়েছে তার, লন্ডন শো করে দেশে ফিরেই কথা পাকাপাকি করবেন। এবারের অ্যালবামে একাধিক সংগীত পরিচালক কাজ করতে পারেন বলেই ইঙ্গিত দিয়েছেন এই গায়িকা।
সূত্রঃ মানবজমিন
সূত্রঃ মানবজমিন
গানে গানে কলিম শরাফী-স্মরণ
অনুষ্ঠানের সূচনা হয়েছিল ‘এই কথাটি মনে রেখো, তোমাদের এই হাসিখেলায়’। তিনি নেই। তাঁর কণ্ঠে গীত গানের সিডি বাজিয়ে গতকাল শনিবার শুরু হয়েছিল শিল্পী কলিম শরাফীর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠান।
কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন বাংলাদেশ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থা।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংস্থার সভাপতি শিল্পী তপন মাহমুদ। অনুষ্ঠানের প্রথম গানটি ছিল শিল্পী ছায়া রানী কর্মকারের গাওয়া ‘কবে আমি বাহির হলেম তোমারি গান গেয়ে, সে তো আজকে নয় সে আজকে নয়’। এরপর ‘আমার নিখিল ভুবন হারালেম আমি যে’ গানটি গেয়ে শোনান প্রমোদ দত্ত। কলিম শরাফীর স্মৃতিচারণা করেন কাজী মদিনা।
এরপর আবার গান। শর্মিলা চক্রবর্তী পরিবেশন করেন ‘গভীর রজনী নামিল হূদয়ে, আর কোলাহল নাই’। সাজেদ আকবর করেন ‘নয়ন ছেড়ে চলে গেলে’। সালমা আকবর শোনান ‘শ্রাবণের ধারার মতো পড়ুক ঝরে’। এ ছাড়া সংস্থার বিভিন্ন শিল্পী গান গেয়ে শোনান।
সূত্রঃ ৪ নভেম্বর ২০১২, প্রথম আলো
কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন বাংলাদেশ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থা।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংস্থার সভাপতি শিল্পী তপন মাহমুদ। অনুষ্ঠানের প্রথম গানটি ছিল শিল্পী ছায়া রানী কর্মকারের গাওয়া ‘কবে আমি বাহির হলেম তোমারি গান গেয়ে, সে তো আজকে নয় সে আজকে নয়’। এরপর ‘আমার নিখিল ভুবন হারালেম আমি যে’ গানটি গেয়ে শোনান প্রমোদ দত্ত। কলিম শরাফীর স্মৃতিচারণা করেন কাজী মদিনা।
এরপর আবার গান। শর্মিলা চক্রবর্তী পরিবেশন করেন ‘গভীর রজনী নামিল হূদয়ে, আর কোলাহল নাই’। সাজেদ আকবর করেন ‘নয়ন ছেড়ে চলে গেলে’। সালমা আকবর শোনান ‘শ্রাবণের ধারার মতো পড়ুক ঝরে’। এ ছাড়া সংস্থার বিভিন্ন শিল্পী গান গেয়ে শোনান।
সূত্রঃ ৪ নভেম্বর ২০১২, প্রথম আলো
হাবিবের চতুর্থ একক ‘স্বাধীন’
‘শোনো’, ‘বলছি তোমাকে’ এবং ‘আহ্বান’র পর এবার ‘স্বাধীন’ নিয়ে আসছেন হাবিব। এটি তার ক্যারিয়ারের চার নম্বর একক। গেল এক দশকে গান বাজারের সবচেয়ে উজ্জ্বল এ তারকা এরই মধ্যে শেষ করেছেন ‘স্বাধীন’-এর রেকর্ডিং-মিক্সিং-মাস্টারিং এবং কভার ডিজাইনিং। গেল রোজার ঈদে চলচ্চিত্রের গানের অ্যালবাম ‘তুমি সন্ধ্যার ও মেঘমালা’ প্রকাশ করেই ‘স্বাধীন’র কাজে হাত রেখেছিলেন হাবিব। গতকাল মানবজমিনকে হাবিব জানান, মনে হতে পারে মাত্র দুই আড়াই মাস সময় নিয়ে আমি হুটহাট এবারের অ্যালবামটির কাজ করেছি। আসলে কিন্তু তা নয়। এ অ্যালবামটির পরিকল্পনা মাথায় নিয়েছে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকেই। কারণ, এ বছরের পা রাখার পর মনে হলো জাদুকরি তারিখ ‘১২-১২-১২’র কথা। এই ১২ সংখ্যাটির প্রতি আমার আত্মিক একটা দুর্বলতা আছে। এ সংখ্যাটি আমার জীবনের জন্য অনেক সৌভাগ্যের প্রতীক হয়ে আছে। সে জন্য এই তারিখে অ্যালবামটি প্রকাশের পরিকল্পনা করি জানুযারিতে। হাবিব আরও বলেন, হ্যাঁ এটা ঠিক, ‘স্বাধীন’-এর প্রায় ৬০ ভাগ কাজ আমি সম্পন্ন করেছি গেল দুই আড়াই মাসে। আর অনেক ভেবেচিন্তে অ্যালবামটির নাম ঠিক করেছি সব শেষে গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতে। এর মধ্যে আমার ‘স্বাধীন’ শতভাগ প্রস্তুত নিজেকে প্রকাশের জন্য। জানা যায়, মেলো রোমান্টিক ঘরানার এ অ্যালবামে হাবিব গেয়েছেন সর্বসাকুল্যে আটটি গান। এবার নেই একটিও দ্বৈত গান। গানগুলোর কথা লিখেছেন সোহেল আরমান, শফিক তুহিন, মিলন মাহমুদ, চিরকুট সুমী, মাহবুব মহসিন ও মোজাম্মেল হক। গানগুলোর শিরোনাম হলো- আকাশে উড়িলাম, কুয়াশা, আবার যদি আমি, নিশি ফুরায়না, তোমার আমার প্রেম, মন ময়ূরী এবং কিছু স্মৃতি। এ অ্যালবামটি মূলত ‘১২-১২-১২’ তারিখে সিডি আকারে প্রকাশ পেলেও সেটি ডিজিটালি প্রকাশ পাচ্ছে চলতি মাসের ১২ তারিখে, বাংলালিংক মিউজিক স্টেশনে। এ উপলক্ষে ওইদিন একটি আনুষ্ঠানিকতারও পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান হাবিব। তবে এ অ্যালবাম প্রকাশের মূল উৎসব কিংবা আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হবে চলতি বছরের ১২ই ডিসেম্বর। হাবিব বলেন, যেহেতু এ অ্যালবামটি প্রকাশের মূল লক্ষ্য ১২ই ডিসেম্বর সেহেতু ওইদিন অনেক বড়সড় আয়োজনের পরিকল্পনা করছি। আর ১২ই নভেম্বর করলেও ছোট পরিসরে। ১২ই নভেম্বর বাংলালিংক মিউজিক স্টেশনে ডিজিটালি প্রকাশের পর ১২ই ডিসেম্বর সিডি আকারে অ্যালবামটি প্রকাশ করবে ডেডলাইন মিউজিক। এদিকে অ্যালবামের নামকরণ প্রসঙ্গে হাবিব বলেন, আসলে আমি বরাবরই নাম এবং কভার ডিজাইনের প্রতি খুঁত খুঁতে। ফলে অ্যালবাম তৈরি হয়ে গেলেও নাম নিয়ে খুব যন্ত্রণায় থাকি। তবে এবারের নামটি খুব সহজেই পেয়েছি। এবং নামটি রাখতে পেরে এই প্রথম আমি শতভাগ তুষ্ট। নামটির পেছনে অনেক কারণ জড়িয়ে আছে। যে কারণগুলো ‘১২’ সংখ্যাটির সঙ্গেও জড়িত। তবে এখনই সেসব খোলাসা করতে চাই না। একটু সারপ্রাইজ, একটু আড়াল না থাকলে মজা নেই!
- মানবজমিন
- মানবজমিন
আন্তর্জাতিক অ্যালবামে মেহরীনের গান
সম্প্রতি প্যারিসের এক স্টুডিওতে একটি আন্তর্জাতিক অ্যালবামের জন্য গান করলেন কণ্ঠশিল্পী মেহরীন। ইতিমধ্যেই গানগুলোর রেকর্ডিং শেষ করেছেন তিনি। অ্যালবামটির সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন আলজেরিয়ান সংগীত পরিচালক ও বেহালা বাদক জামেল, তাঁরই সুর ও সংগীতে অ্যালবামটির চারটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন মেহ্রীন।
অ্যালবাম প্রসঙ্গে মেহরীন জানিয়েছেন, সামনের ডিসেম্বরে ভিয়েনা থেকে তাঁর গানের এ অ্যালবামটি প্রকাশিত হবে। অ্যালবামটিতে মেহ্রীন ছাড়াও গান করেছেন আরো দুজন কণ্ঠশিল্পী। অ্যালবামটির নাম রাখা হয়েছে- ‘জ্যাম অ্যান্ড ফেম ২’।
প্রথম আলো ডটকমকে মেহরীন বলেন, ‘গত তিন বছর ধরে অ্যালবামটির কাজ চলছে। সম্প্রতি প্যারিসে গানগুলোতে কণ্ঠও দিয়ে এসেছি। শুনেছি পুরো অ্যালবামটির কাজ শেষ হয়ে গেছে।’
মেহরীন আরও বলেন, ‘একজন কণ্ঠশিল্পী হিসেবে আন্তর্জাতিক কোনো অ্যালবামে গান করতে পারাটা আমার জন্য অনেক আনন্দের। জ্যাম অ্যান্ড ফেম অ্যালবামের চারটি গানে কণ্ঠ দিয়েছি। এর মধ্যে একটি নজরুলের গান এবং অন্যটি লোকধাঁচের। এ ছাড়া আমার নিজের লেখা দুটি মৌলিক গানও করেছি। মৌলিক গান দুটিকে পার্টি সংও বলা যেতে পারে।’
এ পর্যন্ত মেহ্রীনের ছয়টি একক অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। এগুলো হচ্ছে আনাড়ি (২০০০), দেখা হবে (২০০২), মনে পড়ে তোমাকে (২০০৪), ডোন্ট ফরগেট মি (২০০৬), ভালোবাসার গান (২০০৮), তুমি আছ বলে (২০১০)।
সূত্রঃ ৩ নভেম্বর ২০১২, প্রথম আলো
অ্যালবাম প্রসঙ্গে মেহরীন জানিয়েছেন, সামনের ডিসেম্বরে ভিয়েনা থেকে তাঁর গানের এ অ্যালবামটি প্রকাশিত হবে। অ্যালবামটিতে মেহ্রীন ছাড়াও গান করেছেন আরো দুজন কণ্ঠশিল্পী। অ্যালবামটির নাম রাখা হয়েছে- ‘জ্যাম অ্যান্ড ফেম ২’।
প্রথম আলো ডটকমকে মেহরীন বলেন, ‘গত তিন বছর ধরে অ্যালবামটির কাজ চলছে। সম্প্রতি প্যারিসে গানগুলোতে কণ্ঠও দিয়ে এসেছি। শুনেছি পুরো অ্যালবামটির কাজ শেষ হয়ে গেছে।’
মেহরীন আরও বলেন, ‘একজন কণ্ঠশিল্পী হিসেবে আন্তর্জাতিক কোনো অ্যালবামে গান করতে পারাটা আমার জন্য অনেক আনন্দের। জ্যাম অ্যান্ড ফেম অ্যালবামের চারটি গানে কণ্ঠ দিয়েছি। এর মধ্যে একটি নজরুলের গান এবং অন্যটি লোকধাঁচের। এ ছাড়া আমার নিজের লেখা দুটি মৌলিক গানও করেছি। মৌলিক গান দুটিকে পার্টি সংও বলা যেতে পারে।’
এ পর্যন্ত মেহ্রীনের ছয়টি একক অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। এগুলো হচ্ছে আনাড়ি (২০০০), দেখা হবে (২০০২), মনে পড়ে তোমাকে (২০০৪), ডোন্ট ফরগেট মি (২০০৬), ভালোবাসার গান (২০০৮), তুমি আছ বলে (২০১০)।
সূত্রঃ ৩ নভেম্বর ২০১২, প্রথম আলো
Black Back With New Vocal
Alternative Rock band Black makes a comeback this Eid. After great popularity in Bangladesh’s rock scene for over a decade the band faced a personal crisis when singers Tahsan and John left. However, the band returns with a new vocalist and is geared up to generate more celebrated music.
Mashuk, the new vocalist, replaces John as the lead singer. The band is set to come on Desh TV tonight to do a phono-live concert at 10:34pm. Black will perform their popular songs as well as the numbers requested.
About the show, Mushfequr Jahan the guitarist of the band told the New Age, ‘We are looking forward to the show as it will be our first appearance in a live TV show after a long break.’
Black also has released a single in a mixed album called ‘Hatiyar’, the biggest band mixed album of country’s rock history.
‘The song was done quite a long time ago but we released it on the occasion of Eid.’ Jahan spoke about the project.
Tony, the band’s drummer, said with much enthusiasm, ‘We are very excited and glad to be a part of this unique and historical project on rock music.’
Black is scheduled to perform at several live gigs right after Eid. With their new lead vocalist a new era in their career has begun.
Black formed in 1998 before the start of the new millennium. Their popularity had risen with the new century with their signature tunes and performances. The band had its highs and lows in the form of a bus accident in 2005 that lead them to a hiatus. But they had returned to the rock scene shortly afterwards. However, because of John wanting to pursue higher studies the band had to replace their lead vocalist for a time. The band’s passion for music still seems strong as over a decade has passed by since their emergence to fame.
Nazia Nusrat Adnin. New Age, 1 November 2012
Mashuk, the new vocalist, replaces John as the lead singer. The band is set to come on Desh TV tonight to do a phono-live concert at 10:34pm. Black will perform their popular songs as well as the numbers requested.
About the show, Mushfequr Jahan the guitarist of the band told the New Age, ‘We are looking forward to the show as it will be our first appearance in a live TV show after a long break.’
Black also has released a single in a mixed album called ‘Hatiyar’, the biggest band mixed album of country’s rock history.
‘The song was done quite a long time ago but we released it on the occasion of Eid.’ Jahan spoke about the project.
Tony, the band’s drummer, said with much enthusiasm, ‘We are very excited and glad to be a part of this unique and historical project on rock music.’
Black is scheduled to perform at several live gigs right after Eid. With their new lead vocalist a new era in their career has begun.
Black formed in 1998 before the start of the new millennium. Their popularity had risen with the new century with their signature tunes and performances. The band had its highs and lows in the form of a bus accident in 2005 that lead them to a hiatus. But they had returned to the rock scene shortly afterwards. However, because of John wanting to pursue higher studies the band had to replace their lead vocalist for a time. The band’s passion for music still seems strong as over a decade has passed by since their emergence to fame.
Nazia Nusrat Adnin. New Age, 1 November 2012
হারানো দিনের গান নিয়ে আবদুল হাদী
হারানো দিনের গান নিয়ে অ্যালবাম তৈরি করছেন কণ্ঠশিল্পী সৈয়দ আবদুল হাদী। ইতোমধ্যেই তিনি বেশ কিছু গানের কাজ গুছিয়ে এনেছেন। আগামী বছরের শুরুর দিকে অ্যালবামটি প্রকাশ করবেন। এ অ্যালবামে তার কণ্ঠে নতুন করে গাওয়া ১০টি গান স্থান পাবে। অচিরেই তিনি বাকি গানের রেকর্ডিং সম্পন্ন করবেন। এ প্রসঙ্গে সৈয়দ আবদুল হাদী বলেন, 'ষাটের দশকে আমার গাওয়া অনেক গান জনপ্রিয় হয়েছিল, যা এখন কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না। আমি সেসব গান এ প্রজন্মের শ্রোতাদের জন্য আবার নতুন করে গাইব।' উল্লেখ্য, সৈয়দ আবদুল হাদী ১৯৬০ সালে উর্দু ছবি দিয়ে প্লেব্যাক শুরু করেন। তারপর ১৯৬৪ সালে 'ডাকবাবু' নামের সিনেমায় প্রথম বাংলা গান করেন। বর্তমানে তিনি বাংলাভিশনে 'গানে গানে দেশে দেশে' শিরোনামের একটি সঙ্গীতানুষ্ঠান উপস্থাপনা করছেন। তার আগে তিনি এনটিভিতে একটি গানের অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেছেন। উপস্থাপনা করলেও টিভি চ্যানেলগুলোতে আপনাকে সচরাচর গাইতে দেখা যায় না কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমি বেছে বেছে গানের অনুষ্ঠান করি। এখন বিভিন্ন চ্যানেলের জোয়ারে গানের মান কমে যাচ্ছে। যদি কোনো অনুষ্ঠানের মান ভালো হয়, তাহলে অবশ্যই সেখানে গান করতে সম্মতি জানাই।' সৈয়দ আবদুল হাদী এবারের ঈদ সপরিবার নিয়ে ঢাকায় করেছেন। ঈদ উপলক্ষে তার সুইজারল্যান্ড প্রবাসী মেয়ে তনিমা হাদী দেশে এসেছেন। তনিমা হাদীরও একটি অ্যালবাম প্রকাশের ইচ্ছা রয়েছে।
তথ্যসূত্রঃ ১ নভেম্বর ২০১২ যায় যায় দিন
তথ্যসূত্রঃ ১ নভেম্বর ২০১২ যায় যায় দিন