সাক্ষাতকার
যারা বলে রক মিউজিক ভালো না তারা আসলে মিউজিকটাই বুঝে না
ইশা খান দূরে। এ দেশে শীর্ষ সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ারদের একজন। সম্প্রতি তার আয়োজন ও সমন্বয়ে প্রকাশিত হয়েছে একাধিক ব্যান্ডের মিক্সড অ্যালবাম। বলা হয়ে থাকে এটি সর্বাধিক ব্যান্ডের সমন্বয়ে তৈরি কোনো অ্যালবাম। বর্তমান ব্যান্ড মিউজিকের ধারা ও তার ক্যারিয়ার নিয়ে দূরে কথা বলেছেন বিনোদন প্রতিদিন-এর সাথে। সাক্ষাত্কার নিয়েছেন সরলা সৈয়দ
৬৪টি ব্যান্ডের সমন্বয়ে 'হাতিয়ার' অ্যালবামটির পটভূমি শুনতে চাই।
এই অ্যালবামটি আসলে কয়েক বছরের পরিকল্পনা আমার। সর্বোতভাবে সহযোগিতা করেছেন জি-সিরিজের খালিদ ভাই। কারণ তরুণ ব্যান্ডদল নিয়ে কাজ করাটা আসলেই অনেক কঠিন। তবে আমি এদিক দিয়ে খুব লাকি যে দীর্ঘ প্রচেষ্টায় এই অ্যালবামটি শেষ পর্যন্ত করতে পেরেছি।
অ্যালবামে কি শুধু সংখ্যা বিচারেই ব্যান্ডদল অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, নাকি গানের মানও যাচাই করা হয়েছে?
অবশ্যই গানের মান যাচাই করা হয়েছে। কারণ যদি সংখ্যার মানে অ্যালবামটি তৈরি করতে চাইতাম তাহলে তিনশ'র ওপরে ব্যান্ডদল রাখতে পারতাম। কারণ আমি ৩৬০টি ব্যান্ডদল থেকে বাছাই করে এই অ্যালবামে ৬৪টি ব্যান্ড রেখেছি। যা বাংলাদেশের রেকর্ড। এটা আমি অহংকার করার জন্য নয়। যে কারও পক্ষে এই কাজটি সম্ভব না।
অন্যদিকে যদি বলি অ্যালবাম অ্যারেঞ্জমেন্টের কারণে আপনার নিজের কম্পোজিশন বা স্টুডিও সেশন একেবারে কমে গেছে...
এই অভিযোগটা নিয়ে আসলে আমার কিছু বলার নেই। কারণ প্রায় ২ যুগ তো আমি সাউন্ড গার্ডেন স্টুডিওতে কাজ করেছি। হাজার রকম সাউন্ড নিয়ে কাজ করেছি। আমার গুরু ইমরান আহমেদ চৌধুরী মবিন ভাইয়ের কাছ থেকে একটু একটু করে কাজ শেখা। মবিন ভাই মারা যাওয়ার পর কেন জানি এক ধরনের আক্ষেপ আর মর্মবেদনা থেকেই আলাদা হয়ে যাই। কিছুই করতে ইচ্ছে হয়নি তখন। একবার দেশ ছেড়ে চলেও যেতে চেয়েছিলাম। পরে একুশে টিভির চেয়ারম্যান সালাম ভাই আমাকে এক মহা দায়িত্ব দিয়ে অন্য এক নেশায় ডুবিয়ে দিলেন।
সেটা কী রকম?
ইএমএল অর্থাত্ একুশে মিউজিক ল্যাব নামের গানের নতুন ধারার একটি প্লাটফর্ম তৈরি করার সুযোগ দিলেন। এটা আমার জন্য অনেক বড় একটি চ্যালেঞ্জ। এবং আল্লাহর রহমতে মাত্র দুই বছরে ইএমএল ব্যান্ডপ্রেমীদের অন্যতম প্লাটফর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখন ইএমএলকে পূর্ণাঙ্গ মিউজিক চ্যানেল হিসেবে প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা চলছে।
এখনকার আন্ডারগ্রাউন্ড ব্যান্ডদলগুলো এক পর্যায়ে আর গানে থাকে না। এই ব্যাপারে আপনার মন্তব্য কী?
এটা প্রত্যেক ক্ষেত্রেই হয়। তবে আমি মনে করি এখনকার ছেলেমেয়েরা অনেক বেশি পারদর্শী এ ব্যাপারে। আমরা এখন আন্তর্জাতিকমানের রক করছি। এটা নিঃসন্দেহে বলতে পারি।
কিন্তু জনপ্রিয়তার তালিকা থেকে তো রক মিউজিক ধীরে ধীরে সরে আসছে...
এটা সাময়িক। যারা মিউজিক পারে না, দুই তিনটা সফটওয়্যার জোগার করে ল্যাপটপ নিয়ে বসেছে তাদের একই রিদমের তামিল মিউজিক বেশিদিন শ্রোতারা গ্রহণ করবে না। রক মিউজিক সব সময় শীর্ষে ছিল এবং আছে। যারা বলে রক মিউজিক ভালো না তারা আসলে মিউজিকটাই বুঝে না।
কণ্ঠশিল্পী দূরেকেও ইদানীং পাওয়া যায় না। এর কারণ কি টিভিতে ব্যস্ততা?
হয়তো। আমার সর্বশেষ সলো অ্যালবাম বের হয় ২০০৩ সালে 'মেঘবালিকা'। এরপর গত বিশ্বকাপে একটি গান করেছিলাম। তবে দীর্ঘদিন পর এ বছর আবার সলো অ্যালবামের কাজ শুরু করব বলে ভাবছি। - ইত্তেফাক
৬৪টি ব্যান্ডের সমন্বয়ে 'হাতিয়ার' অ্যালবামটির পটভূমি শুনতে চাই।
এই অ্যালবামটি আসলে কয়েক বছরের পরিকল্পনা আমার। সর্বোতভাবে সহযোগিতা করেছেন জি-সিরিজের খালিদ ভাই। কারণ তরুণ ব্যান্ডদল নিয়ে কাজ করাটা আসলেই অনেক কঠিন। তবে আমি এদিক দিয়ে খুব লাকি যে দীর্ঘ প্রচেষ্টায় এই অ্যালবামটি শেষ পর্যন্ত করতে পেরেছি।
অ্যালবামে কি শুধু সংখ্যা বিচারেই ব্যান্ডদল অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, নাকি গানের মানও যাচাই করা হয়েছে?
অবশ্যই গানের মান যাচাই করা হয়েছে। কারণ যদি সংখ্যার মানে অ্যালবামটি তৈরি করতে চাইতাম তাহলে তিনশ'র ওপরে ব্যান্ডদল রাখতে পারতাম। কারণ আমি ৩৬০টি ব্যান্ডদল থেকে বাছাই করে এই অ্যালবামে ৬৪টি ব্যান্ড রেখেছি। যা বাংলাদেশের রেকর্ড। এটা আমি অহংকার করার জন্য নয়। যে কারও পক্ষে এই কাজটি সম্ভব না।
অন্যদিকে যদি বলি অ্যালবাম অ্যারেঞ্জমেন্টের কারণে আপনার নিজের কম্পোজিশন বা স্টুডিও সেশন একেবারে কমে গেছে...
এই অভিযোগটা নিয়ে আসলে আমার কিছু বলার নেই। কারণ প্রায় ২ যুগ তো আমি সাউন্ড গার্ডেন স্টুডিওতে কাজ করেছি। হাজার রকম সাউন্ড নিয়ে কাজ করেছি। আমার গুরু ইমরান আহমেদ চৌধুরী মবিন ভাইয়ের কাছ থেকে একটু একটু করে কাজ শেখা। মবিন ভাই মারা যাওয়ার পর কেন জানি এক ধরনের আক্ষেপ আর মর্মবেদনা থেকেই আলাদা হয়ে যাই। কিছুই করতে ইচ্ছে হয়নি তখন। একবার দেশ ছেড়ে চলেও যেতে চেয়েছিলাম। পরে একুশে টিভির চেয়ারম্যান সালাম ভাই আমাকে এক মহা দায়িত্ব দিয়ে অন্য এক নেশায় ডুবিয়ে দিলেন।
সেটা কী রকম?
ইএমএল অর্থাত্ একুশে মিউজিক ল্যাব নামের গানের নতুন ধারার একটি প্লাটফর্ম তৈরি করার সুযোগ দিলেন। এটা আমার জন্য অনেক বড় একটি চ্যালেঞ্জ। এবং আল্লাহর রহমতে মাত্র দুই বছরে ইএমএল ব্যান্ডপ্রেমীদের অন্যতম প্লাটফর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখন ইএমএলকে পূর্ণাঙ্গ মিউজিক চ্যানেল হিসেবে প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা চলছে।
এখনকার আন্ডারগ্রাউন্ড ব্যান্ডদলগুলো এক পর্যায়ে আর গানে থাকে না। এই ব্যাপারে আপনার মন্তব্য কী?
এটা প্রত্যেক ক্ষেত্রেই হয়। তবে আমি মনে করি এখনকার ছেলেমেয়েরা অনেক বেশি পারদর্শী এ ব্যাপারে। আমরা এখন আন্তর্জাতিকমানের রক করছি। এটা নিঃসন্দেহে বলতে পারি।
কিন্তু জনপ্রিয়তার তালিকা থেকে তো রক মিউজিক ধীরে ধীরে সরে আসছে...
এটা সাময়িক। যারা মিউজিক পারে না, দুই তিনটা সফটওয়্যার জোগার করে ল্যাপটপ নিয়ে বসেছে তাদের একই রিদমের তামিল মিউজিক বেশিদিন শ্রোতারা গ্রহণ করবে না। রক মিউজিক সব সময় শীর্ষে ছিল এবং আছে। যারা বলে রক মিউজিক ভালো না তারা আসলে মিউজিকটাই বুঝে না।
কণ্ঠশিল্পী দূরেকেও ইদানীং পাওয়া যায় না। এর কারণ কি টিভিতে ব্যস্ততা?
হয়তো। আমার সর্বশেষ সলো অ্যালবাম বের হয় ২০০৩ সালে 'মেঘবালিকা'। এরপর গত বিশ্বকাপে একটি গান করেছিলাম। তবে দীর্ঘদিন পর এ বছর আবার সলো অ্যালবামের কাজ শুরু করব বলে ভাবছি। - ইত্তেফাক
নজরুলের গান নিয়ে কয়ার করছি
সজীব, আপনি সংগীতশিল্পী, সুরকার, সংগীত পরিচালক। এবার উপস্থাপনা করছেন।
হ্যাঁ, আমার অনুষ্ঠানটির নাম ‘গানের খেয়া’। চ্যানেল নাইনে প্রচারিত হচ্ছে। নজরুলের গানের যাঁরা চর্চা করছেন—এমন দুটি প্রজন্মের মাঝে মেলবন্ধন তৈরির ভাবনা নিয়ে অনুষ্ঠানটি।
এখানে আপনি কোন প্রজন্মের প্রতিনিধি?
আমার অবস্থান মাঝামাঝি। বয়সের কারণেই এমনটা হয়েছে। আমাদের সময়ে নজরুলের গানের চর্চা ছিল খুবই হতাশাজনক। এখনো যে খুব ভালো হচ্ছে, তা বলব না। আর প্রচারমাধ্যমগুলো অন্যান্য গানের ব্যাপারে যতটা উদার, নজরুলের গানের ক্ষেত্রে চিত্রটা একেবারেই বিপরীত। আমরা এই অনুষ্ঠানে নজরুলের গানের বরেণ্য ও জনপ্রিয় শিল্পীদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করার ব্যাপারে আগ্রহী হলেন কেন?
আমি মন উচাটন অ্যালবামের জন্য ‘৭ম সিটিসেল-চ্যানেল আই সংগীত পুরস্কার’ পেয়েছিলাম। এরপর নজরুলের গান নিয়ে নতুন কিছু করার পরিকল্পনা করি। একই সময় চ্যানেল নাইন থেকেও একটি প্রস্তাব পাই। এভাবেই হয়ে গেল।
এবার বিজয় দিবসের আগে আপনি ‘বিজয় থেকে বিজয়ে’ গানটির সুর করেছিলেন...
গানটির গীতিকার আফজাল হোসেন আমাকে বললেন, ‘অনেক রকমের দেশের গান হয়েছে, এবার তোমার নিজের মতো করে করো।’ গানটি সুর করেছি মিশ্র কেদার রাগের ওপর ভিত্তি করে।
আপনার নিজের গানের খবর কী?
প্রতিদিনই অনেক কাজ করছি। কিন্তু তার মধ্যে আমার নিজের কাজটিই করা হচ্ছে না। শচীন দেববর্মনের ১০টি গান নিয়ে আমি একটি অ্যালবাম অনেক দিন ধরেই করছি। কাজটি এখন শেষের পথে। যুগল কণ্ঠের একটি অ্যালবাম করছি। শুধুই প্রেমের গান। এখানে আমার সঙ্গে কণ্ঠ দিচ্ছেন ফাহমিদা নবী, কনা ও এলিটা।
গান নিয়ে আর কোনো পরিকল্পনা আছে?
‘কয়ার থার্টি ওয়ান’ নামে আমার একটি দল আছে। আমরা নিয়মিত বসছি। সব ধরনের গানই করব। তবে শুরুতেই নজরুলের গান নিয়ে কয়ার করছি। - প্রথম আলো। ৪ জানুয়ারী ২০১৩
হ্যাঁ, আমার অনুষ্ঠানটির নাম ‘গানের খেয়া’। চ্যানেল নাইনে প্রচারিত হচ্ছে। নজরুলের গানের যাঁরা চর্চা করছেন—এমন দুটি প্রজন্মের মাঝে মেলবন্ধন তৈরির ভাবনা নিয়ে অনুষ্ঠানটি।
এখানে আপনি কোন প্রজন্মের প্রতিনিধি?
আমার অবস্থান মাঝামাঝি। বয়সের কারণেই এমনটা হয়েছে। আমাদের সময়ে নজরুলের গানের চর্চা ছিল খুবই হতাশাজনক। এখনো যে খুব ভালো হচ্ছে, তা বলব না। আর প্রচারমাধ্যমগুলো অন্যান্য গানের ব্যাপারে যতটা উদার, নজরুলের গানের ক্ষেত্রে চিত্রটা একেবারেই বিপরীত। আমরা এই অনুষ্ঠানে নজরুলের গানের বরেণ্য ও জনপ্রিয় শিল্পীদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করার ব্যাপারে আগ্রহী হলেন কেন?
আমি মন উচাটন অ্যালবামের জন্য ‘৭ম সিটিসেল-চ্যানেল আই সংগীত পুরস্কার’ পেয়েছিলাম। এরপর নজরুলের গান নিয়ে নতুন কিছু করার পরিকল্পনা করি। একই সময় চ্যানেল নাইন থেকেও একটি প্রস্তাব পাই। এভাবেই হয়ে গেল।
এবার বিজয় দিবসের আগে আপনি ‘বিজয় থেকে বিজয়ে’ গানটির সুর করেছিলেন...
গানটির গীতিকার আফজাল হোসেন আমাকে বললেন, ‘অনেক রকমের দেশের গান হয়েছে, এবার তোমার নিজের মতো করে করো।’ গানটি সুর করেছি মিশ্র কেদার রাগের ওপর ভিত্তি করে।
আপনার নিজের গানের খবর কী?
প্রতিদিনই অনেক কাজ করছি। কিন্তু তার মধ্যে আমার নিজের কাজটিই করা হচ্ছে না। শচীন দেববর্মনের ১০টি গান নিয়ে আমি একটি অ্যালবাম অনেক দিন ধরেই করছি। কাজটি এখন শেষের পথে। যুগল কণ্ঠের একটি অ্যালবাম করছি। শুধুই প্রেমের গান। এখানে আমার সঙ্গে কণ্ঠ দিচ্ছেন ফাহমিদা নবী, কনা ও এলিটা।
গান নিয়ে আর কোনো পরিকল্পনা আছে?
‘কয়ার থার্টি ওয়ান’ নামে আমার একটি দল আছে। আমরা নিয়মিত বসছি। সব ধরনের গানই করব। তবে শুরুতেই নজরুলের গান নিয়ে কয়ার করছি। - প্রথম আলো। ৪ জানুয়ারী ২০১৩
শবনম মুশতারী
আমি চির নতুন
বাংলাদেশের সংগীতাঙ্গনে একটি উজ্জ্বল নক্ষের নাম শবনম মুশতারী। প্রায় ৪০ বছরের এ পথচলায় তিনি শ্রোতাদের উপহার দিয়েছেন অসংখ্য জনপ্রিয় গান। সংগীতের নানা বিষয় নিয়ে আজ তার সাক্ষাৎকার।
সম্প্রতি আপনার জন্মদিনে আপনার ওপরে একটি ওয়েবসাইট প্রকাশিত হয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে কিছু বলুন?
'এওন' নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কিছু তরুণ এ ওয়েবসাইটি নির্মাণ করছে। এ ওয়েবসাইটি সাজানো হয়েছে অনেক সুন্দর করে। এখানে থাকছে আমার জীবনের সব কাজের দলিল।
প্রায় ৪০ বছরের সংগীত জীবনে মাত্র ছয়টি অ্যালবাম কেন?
এ প্রশ্ন আমারও। টাকা আছে, তাই বলে কি নিজের টাকা দিয়ে অ্যালবাম প্রকাশ করব। কেন জানি আমাদের দেশের অডিও প্রতিষ্ঠানগুলোর নজরুল সংগীত, রবীন্দ্রসংগীতের অ্যালবামের প্রতি পৃষ্ঠপোষকতা কম। তবে কি ধরে নেব নজরুল, রবীন্দ্রনাথের গান কেউ শোনে না। কিন্তু আমার হাতের প্রমাণ তো অন্য কথা বলে। আমি দেশে ও দেশের বাইরে অনেক গানের অনুষ্ঠান করেছি। যতবার বলেছি আমি এখন অনুষ্ঠানের শেষ গানটি করছি, ততবারই শ্রোতাদের অনুরোধে আমাকে আরও গান গাইতে হয়েছে। আজ যদি অডিও প্রতিষ্ঠানগুলো এ ধরনের গানে কোনো পৃষ্ঠপোষকতা না করে তাহলে এ গানগুলো বাঁচিয়ে রাখা কষ্টকর হবে।
আপনি তো সব ধরনের গান করেন তাই না?
হ্যাঁ, আমি আধুনিক, কাব্যগীতি, পল্লীগীতি, ঠুমরি, খেয়াল, উর্দু গীত-গজল ইত্যাদি সব ধরনের গান গেয়েছি। আমার হারানো দিনের বাংলা গানের একটি অ্যালবামও প্রকাশ হয়েছে। এইচএমভি থেকে প্রকাশিত 'লাইলি তোমার এসেছে ফিরিয়া' লং লং প্লেটি সংরক্ষণ করেছে আমেরিকান লাইব্রেরি অব কংগ্রেসের সাউন্ড সেকশন। নিউইয়র্ক থেকে মুক্তধারা প্রকাশ করেছে 'বেস্ট অব শবনম মুশতারী'।
একটা সময় আপনাদের ছাড়া বিটিভিতে কোনো অনুষ্ঠানই হতো না। কিন্তু প্রায় ১০ বছর নাকি বিটিভি থেকে আপনার কোনো ডাক আসেনি।
আমি সংগীতাঙ্গনে প্রবেশ করি ১৯৬৯ সালে। আমি এমন একজন শিল্পী যার বিটিভিতে কাজ করতে কোনো অডিশনের প্রয়োজন হয়নি। কিন্তু বিটিভি কেন আমাকে তাদের কোনো অনুষ্ঠানে ডাকে না আমি তা জানি না। আর এর জন্য আমার মনে কোনো কষ্টও নেই।
নতুনদের গান কেমন লাগে?
আমি নতুনদের গান অনেক পছন্দ করি। সব সময় চেষ্টা করি তাদের গান শোনার জন্য। বর্তমানে আমাদের দেশে বাপ্পা মজুমদার, আরফিন রুমি, মিলা, হাবিবসহ অনেকের গান আমার ভালো লাগে। তাদের মধ্যে অনেকেই আমার রবীন্দ্রসংগীত ও নজরুল সংগীত, লালনের ওপর এঙ্পেরিমেন্টাল অ্যালবাম করে। আমার কাছে সেই অ্যালবামগুলোও ভালো লাগে। আমরা এখন অনেক আধুনিক হয়েছি। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যদি আমাদের সংগীতের বাদ্যযন্ত্র আধুনিক হয় তাতে দোষের কিছু নেই। কারণ আমি চির নতুন।
সামনে নতুন কিছু করছেন?
নতুন বলতে সামনে আমি রবীন্দ্রসংগীতের ওপর একটি অ্যালবাম করার চিন্তা করছি। আর এর জন্য আমি কিছু কাজও শুরু করেছি।
এই শবনমের অস্তিত্ব কাকে ঘিরে?
আমি এই পৃথিবীতে এসেছি দুজন মহান মানুষের হাত ধরে। একজন হলো আমার বাবা কবি তালিম হোসেন। আর অন্যজন হলেন আমার মা মাফরুহা চৌধুরী। আমার শিল্পী মনের সব প্রতিভা এ দুজন মানুষকে ঘিরে। তাদের ঋণ কখনো শোধ করতে পারব না।
সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন
'এওন' নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কিছু তরুণ এ ওয়েবসাইটি নির্মাণ করছে। এ ওয়েবসাইটি সাজানো হয়েছে অনেক সুন্দর করে। এখানে থাকছে আমার জীবনের সব কাজের দলিল।
প্রায় ৪০ বছরের সংগীত জীবনে মাত্র ছয়টি অ্যালবাম কেন?
এ প্রশ্ন আমারও। টাকা আছে, তাই বলে কি নিজের টাকা দিয়ে অ্যালবাম প্রকাশ করব। কেন জানি আমাদের দেশের অডিও প্রতিষ্ঠানগুলোর নজরুল সংগীত, রবীন্দ্রসংগীতের অ্যালবামের প্রতি পৃষ্ঠপোষকতা কম। তবে কি ধরে নেব নজরুল, রবীন্দ্রনাথের গান কেউ শোনে না। কিন্তু আমার হাতের প্রমাণ তো অন্য কথা বলে। আমি দেশে ও দেশের বাইরে অনেক গানের অনুষ্ঠান করেছি। যতবার বলেছি আমি এখন অনুষ্ঠানের শেষ গানটি করছি, ততবারই শ্রোতাদের অনুরোধে আমাকে আরও গান গাইতে হয়েছে। আজ যদি অডিও প্রতিষ্ঠানগুলো এ ধরনের গানে কোনো পৃষ্ঠপোষকতা না করে তাহলে এ গানগুলো বাঁচিয়ে রাখা কষ্টকর হবে।
আপনি তো সব ধরনের গান করেন তাই না?
হ্যাঁ, আমি আধুনিক, কাব্যগীতি, পল্লীগীতি, ঠুমরি, খেয়াল, উর্দু গীত-গজল ইত্যাদি সব ধরনের গান গেয়েছি। আমার হারানো দিনের বাংলা গানের একটি অ্যালবামও প্রকাশ হয়েছে। এইচএমভি থেকে প্রকাশিত 'লাইলি তোমার এসেছে ফিরিয়া' লং লং প্লেটি সংরক্ষণ করেছে আমেরিকান লাইব্রেরি অব কংগ্রেসের সাউন্ড সেকশন। নিউইয়র্ক থেকে মুক্তধারা প্রকাশ করেছে 'বেস্ট অব শবনম মুশতারী'।
একটা সময় আপনাদের ছাড়া বিটিভিতে কোনো অনুষ্ঠানই হতো না। কিন্তু প্রায় ১০ বছর নাকি বিটিভি থেকে আপনার কোনো ডাক আসেনি।
আমি সংগীতাঙ্গনে প্রবেশ করি ১৯৬৯ সালে। আমি এমন একজন শিল্পী যার বিটিভিতে কাজ করতে কোনো অডিশনের প্রয়োজন হয়নি। কিন্তু বিটিভি কেন আমাকে তাদের কোনো অনুষ্ঠানে ডাকে না আমি তা জানি না। আর এর জন্য আমার মনে কোনো কষ্টও নেই।
নতুনদের গান কেমন লাগে?
আমি নতুনদের গান অনেক পছন্দ করি। সব সময় চেষ্টা করি তাদের গান শোনার জন্য। বর্তমানে আমাদের দেশে বাপ্পা মজুমদার, আরফিন রুমি, মিলা, হাবিবসহ অনেকের গান আমার ভালো লাগে। তাদের মধ্যে অনেকেই আমার রবীন্দ্রসংগীত ও নজরুল সংগীত, লালনের ওপর এঙ্পেরিমেন্টাল অ্যালবাম করে। আমার কাছে সেই অ্যালবামগুলোও ভালো লাগে। আমরা এখন অনেক আধুনিক হয়েছি। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যদি আমাদের সংগীতের বাদ্যযন্ত্র আধুনিক হয় তাতে দোষের কিছু নেই। কারণ আমি চির নতুন।
সামনে নতুন কিছু করছেন?
নতুন বলতে সামনে আমি রবীন্দ্রসংগীতের ওপর একটি অ্যালবাম করার চিন্তা করছি। আর এর জন্য আমি কিছু কাজও শুরু করেছি।
এই শবনমের অস্তিত্ব কাকে ঘিরে?
আমি এই পৃথিবীতে এসেছি দুজন মহান মানুষের হাত ধরে। একজন হলো আমার বাবা কবি তালিম হোসেন। আর অন্যজন হলেন আমার মা মাফরুহা চৌধুরী। আমার শিল্পী মনের সব প্রতিভা এ দুজন মানুষকে ঘিরে। তাদের ঋণ কখনো শোধ করতে পারব না।
সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন
কথোপকথন - ফাতেমা-তুজ-জোহরা
গানগুলো সংরক্ষণ করা হচ্ছে
প্রথম আলো ১০ অক্টোবর ২০১২
একুশে টিভিতে প্রতি বুধবার সন্ধ্যায় প্রচারিত হচ্ছে নজরুলের গানের সাপ্তাহিক ঘরোয়া আয়োজন নীল পায়রার গান। কথা হলো অনুষ্ঠানটির উপস্থাপক নজরুলসংগীতশিল্পী ফাতেমা-তুজ-জোহরার সঙ্গে।
অনুষ্ঠানটির নাম ‘নীল পায়রার গান’ কেন?
কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন শান্তি আর সাম্যের দূত। সেই ছোটবেলা থেকে শুরু করে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি অনেক কষ্ট, অবহেলা, গঞ্জনা, অত্যাচার আর নির্যাতন সহ্য করেছেন। কিন্তু তার পরও তিনি গান তৈরি অব্যাহত রেখেছিলেন। তাঁকে ভালোবেসে, তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এই অনুষ্ঠানের নাম দিয়েছি নীল পায়রার গান।
এ পর্যন্ত কতটি পর্ব প্রচারিত হয়েছে?
অনুষ্ঠানটি আমরা শুরু করেছি বছর খানেক হলো। আজ প্রচারিত হবে ৪৮তম পর্ব। প্রযোজনা করছেন মাসুদুল হাসান।
নজরুলের কী ধরনের গান রাখছেন এই অনুষ্ঠানে?
চেনা, অচেনা—দুধরনের গানই রাখছি। খুব পরিচিত গান করার যে ভাবনা থাকে, আমরা সেই গতানুগতিক ধারা থেকে বেরিয়ে এসেছি। নজরুলের প্রায় সব গানেই নানা রূপ থাকে। আমরা তা দর্শকদের সামনে তুলে ধরছি। আর গানগুলো করছেন দেশের এবং প্রবাসে থাকা শিল্পীরা। গানের সংখ্যার চেয়ে গানটাই আমার কাছে মুখ্য।
সামনে অনুষ্ঠানটির ৫০তম পর্ব প্রচারিত হবে। ওই পর্ব নিয়ে কিছু ভেবেছেন?
হ্যাঁ, ওই দিন আমরা নজরুলের ‘লেটো গান’ করব। এই গানগুলো করবে ১০ থেকে ১২ বছর বয়সের ছেলেরা। আর দর্শকসারিতে থাকবেন নজরুলের গানের আমন্ত্রিত শিল্পীরা।
যে গানগুলো এই অনুষ্ঠানে গাওয়া হচ্ছে, এগুলো নিয়ে কোনো পরিকল্পনা আছে?
অনুষ্ঠানে এ পর্যন্ত প্রায় ২০০ গান গাওয়া হয়েছে। একুশে টিভি এই গানগুলো সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে। আশা করছি, নজরুলের গানের একটা বড় আর্কাইভ হবে।
একুশে টিভিতে প্রতি বুধবার সন্ধ্যায় প্রচারিত হচ্ছে নজরুলের গানের সাপ্তাহিক ঘরোয়া আয়োজন নীল পায়রার গান। কথা হলো অনুষ্ঠানটির উপস্থাপক নজরুলসংগীতশিল্পী ফাতেমা-তুজ-জোহরার সঙ্গে।
অনুষ্ঠানটির নাম ‘নীল পায়রার গান’ কেন?
কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন শান্তি আর সাম্যের দূত। সেই ছোটবেলা থেকে শুরু করে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি অনেক কষ্ট, অবহেলা, গঞ্জনা, অত্যাচার আর নির্যাতন সহ্য করেছেন। কিন্তু তার পরও তিনি গান তৈরি অব্যাহত রেখেছিলেন। তাঁকে ভালোবেসে, তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এই অনুষ্ঠানের নাম দিয়েছি নীল পায়রার গান।
এ পর্যন্ত কতটি পর্ব প্রচারিত হয়েছে?
অনুষ্ঠানটি আমরা শুরু করেছি বছর খানেক হলো। আজ প্রচারিত হবে ৪৮তম পর্ব। প্রযোজনা করছেন মাসুদুল হাসান।
নজরুলের কী ধরনের গান রাখছেন এই অনুষ্ঠানে?
চেনা, অচেনা—দুধরনের গানই রাখছি। খুব পরিচিত গান করার যে ভাবনা থাকে, আমরা সেই গতানুগতিক ধারা থেকে বেরিয়ে এসেছি। নজরুলের প্রায় সব গানেই নানা রূপ থাকে। আমরা তা দর্শকদের সামনে তুলে ধরছি। আর গানগুলো করছেন দেশের এবং প্রবাসে থাকা শিল্পীরা। গানের সংখ্যার চেয়ে গানটাই আমার কাছে মুখ্য।
সামনে অনুষ্ঠানটির ৫০তম পর্ব প্রচারিত হবে। ওই পর্ব নিয়ে কিছু ভেবেছেন?
হ্যাঁ, ওই দিন আমরা নজরুলের ‘লেটো গান’ করব। এই গানগুলো করবে ১০ থেকে ১২ বছর বয়সের ছেলেরা। আর দর্শকসারিতে থাকবেন নজরুলের গানের আমন্ত্রিত শিল্পীরা।
যে গানগুলো এই অনুষ্ঠানে গাওয়া হচ্ছে, এগুলো নিয়ে কোনো পরিকল্পনা আছে?
অনুষ্ঠানে এ পর্যন্ত প্রায় ২০০ গান গাওয়া হয়েছে। একুশে টিভি এই গানগুলো সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে। আশা করছি, নজরুলের গানের একটা বড় আর্কাইভ হবে।
গান করব কাদের জন্য ?
পাপিয়া সারোয়ার
প্রথম আলো ৭ অক্টোবর ২০১২
গাজী টিভিতে আজ রাতে প্রচারিত হবে বিশিষ্ট শিল্পীদের সঙ্গে আড্ডা আর গান নিয়ে অনুষ্ঠান ‘হারমনি’।
আজকের শিল্পী পাপিয়া সারোয়ার। গান নিয়ে কথা হলো তাঁর সঙ্গে।
‘হারমনি’ অনুষ্ঠানে কোন গানগুলো করেছেন?
বেশির ভাগই রবীন্দ্রসংগীত। পূজা পর্যায়ের গান। পূজা পর্যায়ের গানে তো কত রকম চাওয়া-পাওয়া আছে। আধুনিক গানও গেয়েছি। সঙ্গে ছিল আমার সংগীতজীবনের কথা।
কেমন হলো গানগুলো?
গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠানটি ধারণ করা হয়। তখন জ্বর ছিল, কণ্ঠটাও নিজের নিয়ন্ত্রণে ছিল না। কেমন হয়েছে, বলতে পারব না। জানি না, আর কত দিন গান করতে পারব!
এ ধারণা হওয়ার কারণ কী?
নিজের মনের মতো গাইতে না পারলে ইদানীং এই ভাবনাটা খুব বেশি হয়।
শুনলাম, কিছুদিন আগে আপনি সরকারি প্রতিনিধিদলের সদস্য হয়ে কলকাতায় গিয়েছিলেন।
হ্যাঁ, এটা আমার জন্য অনেক বড় ঘটনা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত ‘পদ্মা’ আর ‘চপলা’ বোটের তিনটি প্রতিলিপি (রেপ্লিকা) গত ১২ সেপ্টেম্বর হস্তান্তর করা হলো কলকাতার জোড়াসাঁকোর রবীন্দ্রভারতী ও শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগ্রহশালায়। এ উপলক্ষে দুটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দুটি অনুষ্ঠানেই গান করেছি আমি।
অনেক দিন আপনার নতুন কোনো অ্যালবাম পাচ্ছি না।
কলকাতা থেকে নিজের উদ্যোগে অ্যালবাম তৈরি করে এনে একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানকে দিয়েছি। এখন পৃষ্ঠপোষক দরকার। তা-ও আবার আমাকেই জোগাড় করে দিতে হবে। কেউ নাকি সিডি কেনে না। নানা উপায়ে গান পেয়ে যায়। এত বছর গান করার পর কী চিত্র দেখছি! তা হলে গান করব কাদের জন্য?
আজকের শিল্পী পাপিয়া সারোয়ার। গান নিয়ে কথা হলো তাঁর সঙ্গে।
‘হারমনি’ অনুষ্ঠানে কোন গানগুলো করেছেন?
বেশির ভাগই রবীন্দ্রসংগীত। পূজা পর্যায়ের গান। পূজা পর্যায়ের গানে তো কত রকম চাওয়া-পাওয়া আছে। আধুনিক গানও গেয়েছি। সঙ্গে ছিল আমার সংগীতজীবনের কথা।
কেমন হলো গানগুলো?
গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠানটি ধারণ করা হয়। তখন জ্বর ছিল, কণ্ঠটাও নিজের নিয়ন্ত্রণে ছিল না। কেমন হয়েছে, বলতে পারব না। জানি না, আর কত দিন গান করতে পারব!
এ ধারণা হওয়ার কারণ কী?
নিজের মনের মতো গাইতে না পারলে ইদানীং এই ভাবনাটা খুব বেশি হয়।
শুনলাম, কিছুদিন আগে আপনি সরকারি প্রতিনিধিদলের সদস্য হয়ে কলকাতায় গিয়েছিলেন।
হ্যাঁ, এটা আমার জন্য অনেক বড় ঘটনা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত ‘পদ্মা’ আর ‘চপলা’ বোটের তিনটি প্রতিলিপি (রেপ্লিকা) গত ১২ সেপ্টেম্বর হস্তান্তর করা হলো কলকাতার জোড়াসাঁকোর রবীন্দ্রভারতী ও শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগ্রহশালায়। এ উপলক্ষে দুটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দুটি অনুষ্ঠানেই গান করেছি আমি।
অনেক দিন আপনার নতুন কোনো অ্যালবাম পাচ্ছি না।
কলকাতা থেকে নিজের উদ্যোগে অ্যালবাম তৈরি করে এনে একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানকে দিয়েছি। এখন পৃষ্ঠপোষক দরকার। তা-ও আবার আমাকেই জোগাড় করে দিতে হবে। কেউ নাকি সিডি কেনে না। নানা উপায়ে গান পেয়ে যায়। এত বছর গান করার পর কী চিত্র দেখছি! তা হলে গান করব কাদের জন্য?