লাকী আখন্দ
মুক্তিযুদ্ধের আগে আমরা আজিমপুরে থাকতাম। তখন আমার বয়স ১৬/১৭। গানের পোকা ভালো করেই বাসা বেঁধেছিল আমাদের দুই ভাইয়ের [আরেক ভাই প্রয়াত হ্যাপী আখন্দ] ভেতর। আন্দোলন অতটা নাড়া দেয়নি তখনো। মার্চ মাস চলে এলো। চারদিকে থমথমে অবস্থা। ২৫ মার্চ রাতে বিটিভির এক অনুষ্ঠানে গান করছি। আমি, শম্পা রেজা, পাপিয়া সারোয়ার ছাড়া হাতেগোনা কয়েকজন কলাকুশলী ছিলেন। ওইদিন আমি গাইলাম 'জন্মভূমি বাংলা মাগো একটি কথা শুধাই তোমারে'। এসএম হেদায়েত হোসেনের লেখা গানটি আমাদের দারুণভাবে আবেগাপ্লুত করেছিল। ওই সময় আহমেদ রেজা বলল, লাকী চলে যাও। পরিস্থিতি বেশি ভালো না। আমি বললাম, আমি গান শেষ করে তবেই যাব। পরে আরেকটি গান শেষ করি_ 'ওই চেয়ে দেখো পুব আকাশে ...'।বাসায় এসে দেখি, সবাই নিরাপদ আশ্রয় খুঁজছে। আমরা রওয়ানা হলাম আদমজীর দিকে। রাস্তায় হঠাৎ চোখে পড়ল একটি ক্ষতবিক্ষত লাশ। বয়স আনুমানিক ৫৫ বছর। আমার ভেতরটা মোচড় দিয়ে উঠল। এখানে তো আমার বাবাও থাকতে পারতেন। না, আর পালিয়ে বেড়ানো নয়। মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলাম, যুদ্ধে যাব। বাবাকে বললাম। তিনি রাজি হলেন না। তার অমতেই চলে গেলাম আগরতলায়। সেখানে এক রাত থেকে পরদিন 'স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে' গিয়ে যোগ দিলাম।
মুক্তিযুদ্ধের আগে আমরা আজিমপুরে থাকতাম। তখন আমার বয়স ১৬/১৭। গানের পোকা ভালো করেই বাসা বেঁধেছিল আমাদের দুই ভাইয়ের [আরেক ভাই প্রয়াত হ্যাপী আখন্দ] ভেতর। আন্দোলন অতটা নাড়া দেয়নি তখনো। মার্চ মাস চলে এলো। চারদিকে থমথমে অবস্থা। ২৫ মার্চ রাতে বিটিভির এক অনুষ্ঠানে গান করছি। আমি, শম্পা রেজা, পাপিয়া সারোয়ার ছাড়া হাতেগোনা কয়েকজন কলাকুশলী ছিলেন। ওইদিন আমি গাইলাম 'জন্মভূমি বাংলা মাগো একটি কথা শুধাই তোমারে'। এসএম হেদায়েত হোসেনের লেখা গানটি আমাদের দারুণভাবে আবেগাপ্লুত করেছিল। ওই সময় আহমেদ রেজা বলল, লাকী চলে যাও। পরিস্থিতি বেশি ভালো না। আমি বললাম, আমি গান শেষ করে তবেই যাব। পরে আরেকটি গান শেষ করি_ 'ওই চেয়ে দেখো পুব আকাশে ...'।বাসায় এসে দেখি, সবাই নিরাপদ আশ্রয় খুঁজছে। আমরা রওয়ানা হলাম আদমজীর দিকে। রাস্তায় হঠাৎ চোখে পড়ল একটি ক্ষতবিক্ষত লাশ। বয়স আনুমানিক ৫৫ বছর। আমার ভেতরটা মোচড় দিয়ে উঠল। এখানে তো আমার বাবাও থাকতে পারতেন। না, আর পালিয়ে বেড়ানো নয়। মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলাম, যুদ্ধে যাব। বাবাকে বললাম। তিনি রাজি হলেন না। তার অমতেই চলে গেলাম আগরতলায়। সেখানে এক রাত থেকে পরদিন 'স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে' গিয়ে যোগ দিলাম।
শাহীন সামাদ
১৯৭১ সালের নভেম্বরের শেষের দিকে। আমাদের সংগঠন 'বাংলাদেশ মুক্তি সংগ্রামী স্মৃতি সংস্থা' একটি সিদ্ধান্ত নিল যে, মুক্তাঞ্চলে গিয়ে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের গান শুনিয়ে আসতে হবে। আমরা অনেকে রওয়ানা হই। কিন্তু আমরা যাব ছোট্ট একটি ট্রাকে করে, আর অতটুকু ট্রাকের মধ্যে সবাই ধরবে না। যাই হোক, সেখানে একজন ক্যামেরাম্যান ছিল, তিনি বললেন, 'কাউকে বিরক্ত করব না, তোমরা যেখানে যেখানে যাবে আমি সাথে সাথেই থাকব।' ট্রাকে একের পর এক গ্রাম পাড়ি দিতে হলো, এর মধ্যে ঘুম, খাওয়া-দাওয়ার ঠিক নেই, এরই মধ্যে কত ঘটনা। ট্রাকটিই আমাদের জন্য একধরনের বাড়ি হয়ে উঠেছিল। প্রায় দশ থেকে পনেরদিন পাটশাক খেয়ে থাকতে হয়েছে। মাঝে মাঝে গ্রামের লোক খাইয়েছে। এই ট্রাককেই স্টেজ বানিয়ে গান শোনাতাম। আমরা যখন মুক্তাঞ্চলে গেলাম, তখন আমাদের মধ্যে একটা অন্য ধরনের অনুভূতি এলো, পতাকা নিয়ে, মাটি মাথায় নিয়ে... আরও অনেক কিছু। মুক্তিযোদ্ধাদের সামনে গাইলাম, সে এক অন্য ধরনের অনুভূতি। তখন দেখলাম, ছোট্ট ছোট্ট ছেলেদের দেশের প্রতি কী দারুণ ভালোবাসা, আমরাতো চাক্ষুস দেখেছি। তাদের রক্ত যে কত গরম ছিল, দেশের জন্য যে ভালোবাসা, জীবন উত্সর্গ করা, এ সবকিছু তখন তাদের চোখে স্পষ্ট দেখতে পেয়েছিলাম। এ এক অন্য অনুভূতি, অন্য অহঙ্কার।
সব সময়ই ওই মুখগুলো আমার অনুভূতি ও চেতনার মধ্যে জীবিত থাকবে।
১৯৭১ সালের নভেম্বরের শেষের দিকে। আমাদের সংগঠন 'বাংলাদেশ মুক্তি সংগ্রামী স্মৃতি সংস্থা' একটি সিদ্ধান্ত নিল যে, মুক্তাঞ্চলে গিয়ে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের গান শুনিয়ে আসতে হবে। আমরা অনেকে রওয়ানা হই। কিন্তু আমরা যাব ছোট্ট একটি ট্রাকে করে, আর অতটুকু ট্রাকের মধ্যে সবাই ধরবে না। যাই হোক, সেখানে একজন ক্যামেরাম্যান ছিল, তিনি বললেন, 'কাউকে বিরক্ত করব না, তোমরা যেখানে যেখানে যাবে আমি সাথে সাথেই থাকব।' ট্রাকে একের পর এক গ্রাম পাড়ি দিতে হলো, এর মধ্যে ঘুম, খাওয়া-দাওয়ার ঠিক নেই, এরই মধ্যে কত ঘটনা। ট্রাকটিই আমাদের জন্য একধরনের বাড়ি হয়ে উঠেছিল। প্রায় দশ থেকে পনেরদিন পাটশাক খেয়ে থাকতে হয়েছে। মাঝে মাঝে গ্রামের লোক খাইয়েছে। এই ট্রাককেই স্টেজ বানিয়ে গান শোনাতাম। আমরা যখন মুক্তাঞ্চলে গেলাম, তখন আমাদের মধ্যে একটা অন্য ধরনের অনুভূতি এলো, পতাকা নিয়ে, মাটি মাথায় নিয়ে... আরও অনেক কিছু। মুক্তিযোদ্ধাদের সামনে গাইলাম, সে এক অন্য ধরনের অনুভূতি। তখন দেখলাম, ছোট্ট ছোট্ট ছেলেদের দেশের প্রতি কী দারুণ ভালোবাসা, আমরাতো চাক্ষুস দেখেছি। তাদের রক্ত যে কত গরম ছিল, দেশের জন্য যে ভালোবাসা, জীবন উত্সর্গ করা, এ সবকিছু তখন তাদের চোখে স্পষ্ট দেখতে পেয়েছিলাম। এ এক অন্য অনুভূতি, অন্য অহঙ্কার।
সব সময়ই ওই মুখগুলো আমার অনুভূতি ও চেতনার মধ্যে জীবিত থাকবে।
ফকির আলমগীর
১৯৭১ সালের মার্চ মাসে আমরা সারা শহরে গণসংগীতের মাধ্যমে সংগ্রামী জনতার সঙ্গে রাখিবন্ধন করেছিলাম। আমার এখনো মনে আছে, ২৩ মার্চে ডিআইটিতে অবস্থিত টেলিভিশন কেন্দ্র থেকে আমরা গণশিল্পীগোষ্ঠীর ব্যানারে মুস্তাফিজুর রহমানের প্রযোজনায় এক ঘণ্টার একটি প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করি। সেই মুহূর্তে অনুষ্ঠানটি বেশ সাড়া জাগায়। তার একদিন পর ২৫শে মার্চ কালো রাত। পিলখানা, রাজারবাগসহ সারা শহর কেঁপে উঠল গুলির শব্দে। চারদিকে চলছিল নৃশংস হত্যাযজ্ঞ। তখন বাসায় আমি একা ছিলাম, তাই দু'রাত পর এলাকার অন্যান্যের সঙ্গে খিঁলগায়ের অদুরে মেরাদিয়া গ্রামে পালিয়ে ছিলাম। তারপর ২৭ মার্চ কারফিউ তুলে নেওয়া হলে আমি বুড়িগঙ্গা পার হয়ে বিক্রমপুরের মধ্য দিয়ে পায়ে হেঁটে রওনা দিলাম ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার কালামৃধায়, আমার নিজ গ্রামে। এরমধ্যে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে আমার বন্ধু সতীর্থ শিল্পীদের সংগীত পরিবেশনা শুনে আমার মনটা অস্থির হয়ে উঠল। এ ছাড়া কামাল লোহানীর কণ্ঠে খবর পাঠ শুনে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করে ফেললাম। কলকাতায় গিয়ে আমরা কয়েকজন কল্যাণী মুক্তিযোদ্ধা রিক্রুটিং সেন্টারে যাই। ওবায়দুর রহমান, এম এ রেজাসহ অনেকের সঙ্গে দেখা হয়। কিছুদিন সেখানে ট্রেনিংয়ের কাজ চলতে থাকে। ওদিকে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কোনো খোঁজ না পেয়ে বন্ধু সিদ্দিক, শহীদসহ কয়েকজন আমরা হতাশ হয়ে গ্রামে ফিরে আসি। তখন আমাদের গ্রামের অবস্থা অনেক খারাপ। মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে এলাকায় আমাদের বড়ভাই জাহাঙ্গীর, কানাই ভাইসহ আরও অনেকে প্রত্যক্ষভাবে কাজ শুরু করেছে। আমিও তাদের সাথে যোগ দিই। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে যখন মওলানা ভাসানীর ভাষণ শুনলাম, তখন আবারও কলকাতা যাওয়ার জন্য মন ব্যাকুল হয়ে ওঠে। তারপর আগের বর্ণিত সেই পথ ধরেই কলকাতা যাই এবং সেই এলাকার ব্যবসায়ী ভাইদের ওখানেই উঠি। তাদের সেই ঋণের কথা আমি কোনোদিন ভুলব না। এর মধ্যে বেগবাগানে মেনন ভাই, রনো ভাই, মহিউদ্দিন ভাইসহ অনেক নেতার সঙ্গে দেখা হয়। এরপর বালিগঞ্জের ফাঁড়ির কাছে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সন্ধান মিলে। দেখা হয় শ্রদ্ধেয় কামাল লোহানী ভাইয়ের সঙ্গে। তিনিই স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে অংশ নেওয়ার সব ব্যবস্থা করে দেন। স্বাধীন বাংলায় প্রথম গান রেকর্ডিংয়ের সেই ভালোলাগার অনুভূতির কথা কখনো ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। অস্ত্র হিসেবে গানকেই তুলে নিলাম কণ্ঠে। স্বাধীন বাংলাতেই পরিচয় হয় দুই বাংলার নামকরা অনেক সুরকার, গীতিকার ও শিল্পীসহ অনেক গুণী জনের সঙ্গে। তারপর মিত্র বাহিনীর ঝাঁক ঝাঁক মিগ আর মুক্তিবাহিনীর প্রত্যক্ষ যুদ্ধ দেখে মুক্তিপাগল মানুষ উত্ফুল্ল হল। হানাদার বাহিনী দিশেহারা। এরপর এল বিজয়ের চির উজ্জ্বল দিনটি।
১৯৭১ সালের মার্চ মাসে আমরা সারা শহরে গণসংগীতের মাধ্যমে সংগ্রামী জনতার সঙ্গে রাখিবন্ধন করেছিলাম। আমার এখনো মনে আছে, ২৩ মার্চে ডিআইটিতে অবস্থিত টেলিভিশন কেন্দ্র থেকে আমরা গণশিল্পীগোষ্ঠীর ব্যানারে মুস্তাফিজুর রহমানের প্রযোজনায় এক ঘণ্টার একটি প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করি। সেই মুহূর্তে অনুষ্ঠানটি বেশ সাড়া জাগায়। তার একদিন পর ২৫শে মার্চ কালো রাত। পিলখানা, রাজারবাগসহ সারা শহর কেঁপে উঠল গুলির শব্দে। চারদিকে চলছিল নৃশংস হত্যাযজ্ঞ। তখন বাসায় আমি একা ছিলাম, তাই দু'রাত পর এলাকার অন্যান্যের সঙ্গে খিঁলগায়ের অদুরে মেরাদিয়া গ্রামে পালিয়ে ছিলাম। তারপর ২৭ মার্চ কারফিউ তুলে নেওয়া হলে আমি বুড়িগঙ্গা পার হয়ে বিক্রমপুরের মধ্য দিয়ে পায়ে হেঁটে রওনা দিলাম ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার কালামৃধায়, আমার নিজ গ্রামে। এরমধ্যে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে আমার বন্ধু সতীর্থ শিল্পীদের সংগীত পরিবেশনা শুনে আমার মনটা অস্থির হয়ে উঠল। এ ছাড়া কামাল লোহানীর কণ্ঠে খবর পাঠ শুনে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করে ফেললাম। কলকাতায় গিয়ে আমরা কয়েকজন কল্যাণী মুক্তিযোদ্ধা রিক্রুটিং সেন্টারে যাই। ওবায়দুর রহমান, এম এ রেজাসহ অনেকের সঙ্গে দেখা হয়। কিছুদিন সেখানে ট্রেনিংয়ের কাজ চলতে থাকে। ওদিকে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কোনো খোঁজ না পেয়ে বন্ধু সিদ্দিক, শহীদসহ কয়েকজন আমরা হতাশ হয়ে গ্রামে ফিরে আসি। তখন আমাদের গ্রামের অবস্থা অনেক খারাপ। মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে এলাকায় আমাদের বড়ভাই জাহাঙ্গীর, কানাই ভাইসহ আরও অনেকে প্রত্যক্ষভাবে কাজ শুরু করেছে। আমিও তাদের সাথে যোগ দিই। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে যখন মওলানা ভাসানীর ভাষণ শুনলাম, তখন আবারও কলকাতা যাওয়ার জন্য মন ব্যাকুল হয়ে ওঠে। তারপর আগের বর্ণিত সেই পথ ধরেই কলকাতা যাই এবং সেই এলাকার ব্যবসায়ী ভাইদের ওখানেই উঠি। তাদের সেই ঋণের কথা আমি কোনোদিন ভুলব না। এর মধ্যে বেগবাগানে মেনন ভাই, রনো ভাই, মহিউদ্দিন ভাইসহ অনেক নেতার সঙ্গে দেখা হয়। এরপর বালিগঞ্জের ফাঁড়ির কাছে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সন্ধান মিলে। দেখা হয় শ্রদ্ধেয় কামাল লোহানী ভাইয়ের সঙ্গে। তিনিই স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে অংশ নেওয়ার সব ব্যবস্থা করে দেন। স্বাধীন বাংলায় প্রথম গান রেকর্ডিংয়ের সেই ভালোলাগার অনুভূতির কথা কখনো ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। অস্ত্র হিসেবে গানকেই তুলে নিলাম কণ্ঠে। স্বাধীন বাংলাতেই পরিচয় হয় দুই বাংলার নামকরা অনেক সুরকার, গীতিকার ও শিল্পীসহ অনেক গুণী জনের সঙ্গে। তারপর মিত্র বাহিনীর ঝাঁক ঝাঁক মিগ আর মুক্তিবাহিনীর প্রত্যক্ষ যুদ্ধ দেখে মুক্তিপাগল মানুষ উত্ফুল্ল হল। হানাদার বাহিনী দিশেহারা। এরপর এল বিজয়ের চির উজ্জ্বল দিনটি।