জানেন কি?
সৈজন্যেঃ কালের কণ্ঠ
মাত্র তিন বছর বয়সে হারমোনিয়াম বাজানো শিখে ফেলেন ন্যান্সি। নিজে নিজে তুলে ফেলেন 'আমরা সবাই রাজা' গানটি। একদিন বাবার অফিসের এক অনুষ্ঠানে গিয়েছেন ক্ষুদে ন্যান্সি। সেখানে হারমোনিয়াম বাজিয়ে গানটি পরিবেশন করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন। পুরস্কার হিসেবে পেয়েছিলেন একটি কাচের প্লেট। সেটাই ছিল ন্যান্সির জীবনের প্রথম কোনো পুরস্কার। মজার বিষয় হলো সে দিন বিকেলে শিশু একাডেমীর একটি অনুষ্ঠানেও গানটি গেয়েছিলেন। পেয়েছিলেন একটি সাবানের কেস। একই দিনে দুই পুরস্কার পেয়ে সেদিন বেশ আনন্দেই মেতেছিলেন ন্যান্সি।
আসিফের প্রিয় গায়ক সৈয়দ আবদুল হাদী। দুজনের সম্পর্কটাও বেশ গভীর। অ্যালবাম কিংবা চলচ্চিত্রের জন্য আর গান করবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন আসিফ। তা অবশ্য পুরনো খবর। তবে প্রিয় গায়কের অনুরোধ রক্ষা করতে গিয়ে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে পারেন তিনি। আবদুল হাদী বলেছেন, তিনি মারা গেলে তাঁর গান নিয়ে যেন আসিফ অ্যালবাম বের করেন। এ প্রস্তাবে আসিফ সম্মতিও দিয়েছেন।
সামিনা চৌধুরীর সংগীত জীবনই শুরু হয়েছিল চলচ্চিত্রের গান দিয়ে। ১৯৮১ সালের কথা। সামিনা তখন অষ্টম শ্রেণীতে পড়েন। আমজাদ হোসেনের 'জন্ম থেকে জ্বলছি' চলচ্চিত্রের "একবার যদি কেউ ভালোবাসতো" গানে কণ্ঠ দিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন কিশোরী সামিনা। আমজাদ হোসেনের কথায় আলাউদ্দিন আলীর সুরে গানটি বেশ জনপ্রিয়ও হয়। মজার বিষয় হচ্ছে এ চলচ্চিত্রে এই গানটিতে তিনজনের কণ্ঠ রয়েছে। বাকি দুজন সৈয়দ আব্দুল হাদী ও সাবিনা ইয়াসমীন। পর্দায় গানটির সঙ্গে ঠোঁটও মিলিয়েছিলেন তিনজন।
২০০৫ সালের কথা। স্টুডিওতে গান তৈরি করছিলেন সুরকার রাজেশ। এমন সময় হানিফ সংকেত ফোন দিয়ে বললেন, তাঁর অফিসে যেতে। একজন নবীন গায়কের গান করতে হবে। রাজেশ গিয়ে দেখেন, সেখানে বসে আছেন মিতালী মুখার্জি, মো. রফিকুজ্জামান প্রমুখ। তাঁর হাতে একটি গান ধরিয়ে দিয়ে সুর করতে বলেন মো. রফিকুজ্জামান। রাজেশ চেয়েছিলেন বাসায় গিয়ে গানটি সুর করতে। কিন্তু সবার অনুরোধে সেখানে সুর নিয়ে বসে পড়েন। সেদিন মাত্র সাত মিনিটেই 'জীবন নামের রেল গাড়িটা' শিরোনামের গানটির সুর করেছিলেন তিনি। সুরের পর রাজেশ জানতে পারেন, গানটি গাইবেন মিতালী মুখার্জি। ইত্যাদিতে দেখানোর পর গানটি বেশ শ্রোতাপ্রিয়তা পায়। রাজেশ বলেন, 'সেদিনের ঘটনাটি সারা জীবন মনে থাকবে।'
'তোমার চন্দনা মরে গেছে' গানটির সুর করার কথা ছিল খন্দকার নুরুল আলমের, গাওয়ার কথা ছিল উমা ইসলামের। 'চন্দনা' শব্দটি পছন্দ না হওয়ায় আর গানটি সুর করেননি নুরুল আলম। বদলে সুর করেন শেখ সাদী খান। সুর তৈরির এক সপ্তাহের মধ্যেই মিতালী মুখার্জির কণ্ঠে গানটি রেকর্ড করা হয়। প্রকাশের পর গানটি বেশ জনপ্রিয় হয়। জায়গা করে নেয় শতবর্ষের বাংলা গানের তালিকায়ও। ১৯৭৮ সালে লেখা এই গানটির গীতিকার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত মুন্শী ওয়াদুদ।
গায়িকা মিলা গীতিকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন অনেক আগেই। মাসছয়েক হলো নিজের বাসায় স্টুডিও স্থাপন করে নতুন পরিচয়ে শ্রোতাদের সামনে আসার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তার প্রমাণও রাখলেন তিনি। এবার সুরকার, সংগীত পরিচালক হিসেবেও অভিষেক ঘটল মিলার। এরই মধ্যে মিলার কথা, সুর ও সংগীতায়োজনে দুটি গান প্রচার শুরু হয়েছে এফএম রেডিওতে। একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন মিলারই গানের বন্ধু কণা। গানটির শিরোনাম 'কে নেচে যায়'। 'ফিরে আসলে না' শিরোনামে অন্য গানটিতে কণ্ঠ মিলিয়েছেন মিলা নিজেই। সংগীতায়োজনের জন্য শ্রোতাদের কাছ থেকে ভালো সাড়াও পাচ্ছেন মিলা। (২০১২)
বালাম ও হাবিবের গানের সম্পর্ক সেই ছেলেবেলা থেকে। কিশোর বয়সে 'রেনিগেডস' নামে একটি ব্যান্ডও গড়েছিলেন তাঁরা। 'ফিরিয়ে দাও' নামে সেই ব্যান্ডের অ্যালবামও আছে বাজারে। বড় হয়ে দুজনই পেয়ে যান দারুণ শ্রোতাপ্রিয়তা। তবে এবারই প্রথমবারের মতো হাবিবের সুর ও সংগীতায়োজনে গান গাইলেন বালাম। 'তুমি ফিরিয়ে দিয়েছো বলে, যাবো না তো ফিরে' গানটি থাকছে মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ পরিচালিত 'প্রজাপতি' চলচ্চিত্রে। হাবিব জানান, 'ছোটবেলা থেকেই বালাম ভাইকে দেখে আসছি। অনেক ভালো গান করেন। তাঁর মতো কণ্ঠের কথা চিন্তা করেই গানটি তৈরি করেছি। গেয়েছেনও বেশ।' বালাম জানান, 'হাবিবের সংগীতায়োজনে সব সময়ই আমি মুগ্ধ। এই গানটিতেও সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে। তাঁর সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা সত্যিই দারুণ।'
ক্লোজআপ ওয়ান খ্যাত গায়ক সাব্বির আধুনিক গানের শিল্পী হিসেবে পরিচিত। কিন্তু এই কণ্ঠশিল্পী শুরু করেছিলেন ফোক গানের মাধ্যমে। ফোক গান করে শিশু শিল্পী হিসেবে জাতীয় পর্যায়েও পুরস্কৃত হয়েছেন। গান করার পাশাপাশি সম্প্রতি উপস্থাপনাও করছেন সাব্বির। মঙ্গলবার থেকে তাঁর উপস্থাপনায় চ্যানেল নাইনে শুরু হয়েছে সংগীত বিষয়ক অনুষ্ঠান 'ইয়ুথ এইজ'। আর জে হিসেবেও কাজ শুরু করেছেন এ গায়ক। রেডিও টুডের 'গ্রামীণফোন লাউঞ্জ'-এর চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের অনুষ্ঠানে প্রতিদিন রাত ৯টায় শোনা যাচ্ছে সাব্বিরের কণ্ঠ।
চলচ্চিত্রে গাজী মাজহারুল আনোয়ারের প্রথম লেখা গান 'আকাশের হাতে আছে একরাশ নীল'। তিনি তখন রেডিওতে নিয়মিত গান লেখেন। ১৯৬৭ সালে একদিন সত্য সাহা তাঁকে নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাতা সুভাষ দত্তের বাড়িতে যান। সেখানে তাঁকে 'আয়না ও অবশিষ্ট' ছবির জন্য একটি গান লিখতে বলা হয়। আরো বলা হয়, গানের কথা যেন কাব্যময় হয়। তখনই সেখানে বসে মাত্র ১০ মিনিটে গানটি লিখেছিলেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার। কথাগুলো পড়ে নাকি সুভাষ দত্ত বলেছিলেন, 'আমি এমন কথাই খুঁজছিলাম'।
সংগীতশিল্পী সায়ানের স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে ডাক্তার হবেন। কিন্তু ডাক্তারি পরীক্ষা দেওয়ার আগেই গানের সঙ্গে হৃদ্যতা হয়ে যায় তাঁর। একটা সময়ে উকিলও হতে চেয়েছিলেন এ গায়িকা। সায়ানের গাওয়া গানের প্রথম একক অ্যালবাম প্রকাশিত হয় ২০০৮ সালের মে মাসে। অ্যালবামের নাম 'সায়ানের গান'। এ পর্যন্ত সায়ানের গাওয়া মোট ৩৩টি গান প্রকাশ পেয়েছে। এর মধ্যে ৩২টিই মৌলিক। এগুলোর কথা ও সুর তাঁর নিজের। এর বাইরে 'আগে যদি জানিতাম' গানটিতে নতুন সংগীতায়োজনে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি।
অভিনেতা আর নির্মাতা হিসেবে নিজের পরিচয়টা পাকা করে নিয়েছেন মীর সাব্বির। তবে তিনি যে একজন ভালো বংশীবাদক এটা গোপন রাখেন সব সময়। ১৯৯১ সাল থেকে বাঁশি বাজানো শুরু করেন তিনি। * মীর সাব্বির ভালো বাঁশি বাজাতে পারেন। তাই যখনই সময় সুযোগ হয় একা একা বাঁশি বাজান। তবে সেটা সবার সামনে নয়। কাছের বন্ধুদের মাঝে মধ্যে বাঁশি বাজিয়ে শোনান তিনি। * তবে বাঁশি বাজানো নিয়ে কোনো উচ্চ স্বপ্ন নেই তাঁর। স্বপ্ন ছিল ক্রিকেটার হওয়ার। জেলা শহরের ক্রিকেট টিমে খেলতেন তিনি। মীর সাব্বির একজন গীতিকারও। তিনি এ পর্যন্ত ১৩টি নাটকের টাইটেল গান লিখেছেন।
ব্যান্ড তারকা হাসান এখন পর্যন্ত একটি মাত্র ছবিতে প্লেব্যাক করেছেন। বাদল খন্দকার পরিচালিত ছবিটির নাম 'জোর যার মল্লুক তার'। আলাউদ্দীন আলীর সুরে 'একই আকাশ নীলে' শিরোনামের সে দ্বৈত কণ্ঠের গানটিতে তার সঙ্গে কণ্ঠ দেন মিতালি মুর্খাজী। আর ছবিটিতে হাসান ও মিতালির কণ্ঠে ঠোট মেলান অমিত হাসান ও শাহনাজ। মজার ব্যাপার হলো, গানটি যখন রেডিও কিংবা কোন ক্যাসেট প্লেয়ারে বাজে তখন অনেকেই নাকি বুঝতে পারেন না কোনটি হাসানের কণ্ঠ আর কোনটি মিতালির কণ্ঠ! দুজনের কণ্ঠই নাকি একই রকম মনে হয় শ্রোতার!
অনেক শ্রোতাপ্রিয় গানের শিল্পী শাম্মী আক্তার। মজার বিষয় হলো তাঁর ভালো নাম শামীমা আক্তার। সবাই তাঁকে আদর করে ডাকতেন শাম্মী। এভাবেই শামীমা থেকে শাম্মী হয়ে ওঠেন তিনি। ১৯৭০ সালের দিকে জীবনের প্রথম বেতারের গানে কণ্ঠ দেন শাম্মী আক্তার। গানটি ছিল নজরুলের 'একি অপরূপ রূপে মা তোমায়'। তাঁর প্লেব্যাকে অভিষেক হয় 'অশিক্ষিত' ছবিতে। প্লেব্যাকে তাঁর প্রথম গান 'ঢাকা শহর আইসা আমার আশা ফুরাইছে'। গানটিতে তাঁর সঙ্গে দ্বৈত কণ্ঠ দেন খন্দকার ফারুক আহমেদ। একই ছবিতে তাঁর গাওয়া 'আমি যেমন আছি তেমন রবো, বউ হবো না রে' গানটিও বেশ জনপ্রিয় হয়। এরপর আরো অসংখ্য ছবির গানে কণ্ঠ দেন এই গায়িকা।
'৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানে আজম খানও ভূমিকা রেখেছেন। প্রতিবাদ, মিছিল, ব্যারিকেড এসব সামনে থেকেই লড়েছেন এ গায়ক। এ কারণে সে সময় পৈতৃক ভিটা কমলাপুরের মহল্লায় অল্প দিনেই হিরো বনে যান আজম খান ও তাঁর বন্ধুরা। এক বন্ধু ছিলেন আলাউদ্দিন। তাঁর ডাক নাম 'কেনেডি'। সেই বন্ধুকে নিয়েই জীবনের প্রথম ব্যঙ্গ গান করেন আজম খান। গানটি ছিল, 'কেনেডি, কেনেডি, কেনেডি, তোর মা তোরে ডাকে ছোটখাটো কেনেডি। ঢিক ঢিক ঢিক'। গানটি আজম খানের বন্ধুমহলে বেশ জনপ্রিয় হয়। আজম খানের গানে আসার শুরুটা এভাবেই। আজম খান বলেন, 'টেবিল চাপড়াতে চাপড়াতেই আমার গানের হাতেখড়ি।'
|
২০১১ সালে বাংলাদেশে ক্রিকেট বিশ্বকাপের থিম সংয়ের বাংলা সংস্করণ 'মার ঘুরিয়ে' এখন বেশ জনপ্রিয়। গানটি তৈরি করেছেন ভারতের শংকর-এহসান-লয়। কিন্তু অনেকেই জানেন না বাংলায় গানটি (মার ঘুরিয়ে) আমাদেরই গীতিকার রানার লেখা। এফএম রেডিও গুলোতে গানটি বাজছে কলকাতার গায়ক রাঘবের কণ্ঠে। তবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন শংকর। মার ঘুরিয়ে প্রসঙ্গে গীতিকার রানা বলেন, 'আমি গ্রে বাংলাদেশে কাজ করি। সে সুবাদেই কাজটি করা। দে ঘুমাকের সুরের ওপর আমি নিজের মতো করে বাংলায় লিখেছি। এখন যেখানেই যাই, সেখানেই গানটি শুনি। বিষয়টি দারুণ উপভোগ করছি। তবে গানটি যে আমার লেখা তা মানুষ জানে না বললেই চলে।'
এন্ড্রু কিশোর যৌথ প্রযোজনার ছবি 'শত্রু' (১৯৮৫) -তে রাহুল দেব বর্মণের সুরে দুটি গানে কণ্ঠ দিয়েছিলেন। গান দুটির শিরোনাম 'ম্যায় তেরা বিসমিল হু' এবং 'সুরাজ চান্দা সাগার'। গানগুলো রেকর্ডিংয়ের সময় স্টুডিওতে উপস্থিত হন শিল্পী আশা ভোঁসলে। আশাকে দেখে এন্ড্রু কিশোর কিছুটা বিব্রত বোধ করছিলেন। কিন্তু আশা তাঁকে সাহস জোগান। শেষ পর্যন্ত বেশ ভালোভাবেই গান দুটোর রেকর্ডিং সম্পন্ন করেন এন্ড্রু কিশোর।
দলছুট ব্যান্ডের ভোকাল বাপ্পা মজুমদার নামেই পরিচিত সবার কাছে। তবে অন্য একটা ডাকনামও আছে তাঁর। নামটি হলো 'উদয়'। সচরাচর কেউ না ডাকলেও নামটি তাঁর ভীষণ প্রিয়। ছোটবেলায় মেজ মাসি আদর করে নামটি দিয়েছিলেন তাঁকে। আর তাই উদয় নামের যেকোনো মানুষের প্রতি অন্য রকম টান অনুভব করেন বাপ্পা। তিনি বলেন, 'নামটিতে কী যেন একটা অদৃশ্য মায়া মিশে আছে। নামটির সঙ্গে অনেক স্মৃতিও জড়িয়ে আছে।'
বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করা শিল্পী সৈয়দ আবদুল হাদীর দারুণ নেশা। বিশ্বের অনেক দেশেই তাঁর মাছ শিকারের অভিজ্ঞতা রয়েছে। একটা সময় মাছ শিকারে বসলে গান রেকর্ডিংয়ের কথাই ভুলে যেতেন। এখনো ছুটির দিন এলেই বেরিয়ে পড়েন বড়শি হাতে। পনেরো দিন আগেও এক বন্ধুর পুকুর থেকে মাছ শিকার করেছিলেন। আজ থেকে প্রায় তেত্রিশ বছর আগে ধানমণ্ডি লেক থেকে ৩৫ কেজি ওজনের একটি কাতল মাছ ধরে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা রবীন্দ্রসংগীত ছাড়াও ক্লাসিক্যাল টপ্পা ও কীর্তন গানের ওপর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। হারমোনিয়াম এবং এস্রাজ বাজানোতেও তিনি বেশ দক্ষ। বাংলাদেশের ছায়ানট এবং ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগীত নিয়ে পড়াশোনা করেন এ গায়িকা। সেখানে কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, নীলিমা সেন প্রমুখ শিক্ষকের সানি্নধ্য লাভ করেন তিনি। সেখান থেকে ফিরে তিনি অর্থনীতি বিষয়ে পড়াশোনা করেন। ভর্তি হন বুলবুল ললিতকলা একাডেমীতে। তিনি বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা ও সংগীত বিভাগের শিক্ষক।
ছোটবেলায় এলিটার স্বপ্ন ছিল পুলিশ কর্মকর্তা হওয়ার! টেলিভিশনে 'বায়োনিক ওম্যান', 'সুপারম্যান', 'স্পাইডারম্যান'_এ নায়কদের রাজত্ব দেখেই পুলিশ হওয়ার সাধ জাগে তাঁর। আর তাই পুলিশের প্রতি তাঁর কৌতূহলেরও শেষ ছিল না। কোথাও পুলিশ দেখলেই মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে থাকতেন। তাদের সম্পর্কে নানা প্রশ্ন করতেন বড়দের। খুদে এলিটা ভাবতেন, পুলিশ হলেই মারামারি করা যায়! সবাইকে ভয় দেখানো যায়। তবে এলিটার স্বপ্নের ডানা ভেঙে দেন তাঁর এক চাচা। একদিন তিনি এলিটাকে বলেন, 'পুলিশ হলে তোমাকে অনেক কাজ করতে হবে। এটা-সেটা পাহারা দিতে হবে।' এসব শুনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন তিনি। পুলিশ না হয়ে এলিটা হয়ে গেলেন সাংবাদিক ও গায়িকা।
মিউজিক ট্র্যাকের সঙ্গে আবিদা সুলতানার গাওয়া প্রথম গান 'আলো তুমি আলেয়া' (১৯৭৪-৭৫) চলচ্চিত্রের 'আমি সাত সাগর পাড়ি দিয়ে কেন সৈকতে পড়ে আছি'। বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য গাড়িতে উঠতে যাচ্ছেন আবিদা। এ সময় আলী হাসান খান আবিদার আব্বাকে জানান শিখাকে (আবিদার ডাকনাম) এফডিসিতে এসে একটি ছবির গানে কণ্ঠ দিতে হবে। এ কথা শুনে কান্না শুরু করেন আবিদা। পরে তাঁর মা তাঁকে রাজি করান। আবিদা গিয়ে দেখেন মাহমুদুন্নবী এরই মধ্যে গেয়ে ফেলেছেন। সেদিন আবিদাও গানটিতে কণ্ঠ দেন। ছবিতে দুজনেরই একক কণ্ঠে গানটি ব্যবহৃত হয়েছে। সে সময় বিষয়টি বেশ উপভোগই করেছিলেন আবিদা।
গানের জন্য ঘর ছেড়েছিলেন আইয়ুব বাচ্চু। চট্টগ্রামের ছেলে আইয়ুব বাচ্চুর পরিবারে ছিল কড়াকড়ি ধর্মীয় অনুশাসন। ফলে গিটার কিনে গানের আশায় সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে বাড়ি ছেড়েছিলেন তিনি। পরে মায়ের অনুরোধে ফিরে যান ঘরে। সঙ্গে একবুক সুরস্বপ্ন। আইয়ুব বাচ্চুর নিজ হাতে গড়া ব্যান্ড এলআরবি। এলআরবি আর আইয়ুব বাচ্চু এক সুতায় গাঁথা দুটি নাম হলেও এর আগে তিনি কাজ করতেন সোলস ব্যান্ডের সঙ্গে। আইয়ুব বাচ্চুর সবচেয়ে প্রিয় যন্ত্রটির নাম গিটার। দেশে-বিদেশে যেখানেই গেছেন সন্ধান পেলে সংগ্রহ করেছেন বাহারি সব গিটার। এরই মধ্যে তিনি গিটারের একটি সংগ্রহশালা তৈরি করেছেন।
আইয়ুব বাচ্চুর ডাকনাম রবিন। কণ্ঠ রক ঘরানার হলেও তিনি গেয়েছেন আধুনিক, ক্লাসিক্যাল এবং লোকগীতি। তাঁর কণ্ঠ দেওয়া প্রথম গানটি হলো 'হারানো বিকেলের গল্প'। ফিলিংস নামের একটি ব্যান্ডদলের সঙ্গে কাজ শুরুর আগে চট্টগ্রামের বন্ধুদের নিয়ে 'গোল্ডেন বয়েজ', 'আগলি বয়েজ' ও 'স্পাইডার' নামের বিভিন্ন ব্যান্ড গড়েছিলেন। ১৯৮০ সালে যোগ দেন সোল্সে। হার্ড রক ঘরানার গান করতে নব্বইয়ের দশকে গড়ে তোলেন 'এলআরবি'। ১৯৯১ সালে 'এলআরবি' নামে একটি অ্যালবামও প্রকাশ করেন। তাঁর প্রকাশিত প্রথম একক 'রক্তগোলাপ'।
আইয়ুব বাচ্চুর ডাকনাম রবিন। কণ্ঠ রক ঘরানার হলেও তিনি গেয়েছেন আধুনিক, ক্লাসিক্যাল এবং লোকগীতি। তাঁর কণ্ঠ দেওয়া প্রথম গানটি হলো 'হারানো বিকেলের গল্প'। ফিলিংস নামের একটি ব্যান্ডদলের সঙ্গে কাজ শুরুর আগে চট্টগ্রামের বন্ধুদের নিয়ে 'গোল্ডেন বয়েজ', 'আগলি বয়েজ' ও 'স্পাইডার' নামের বিভিন্ন ব্যান্ড গড়েছিলেন। ১৯৮০ সালে যোগ দেন সোল্সে। হার্ড রক ঘরানার গান করতে নব্বইয়ের দশকে গড়ে তোলেন 'এলআরবি'। ১৯৯১ সালে 'এলআরবি' নামে একটি অ্যালবামও প্রকাশ করেন। তাঁর প্রকাশিত প্রথম একক 'রক্তগোলাপ'।
অভিনয়ের চেয়ে শৈশবে গান-বাজনার দিকে বেশি ঝোঁক ছিল জাফর ইকবালের। ভালো গিটারও বাজাতেন তিনি। এলভিস প্রিসলি ছিলেন তাঁর আইডল। স্কুলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিটার বাজিয়ে প্রিসলির গান গাইতেন তিনি। জাফর ইকবালের বড় ভাই আনোয়ার পারভেজ জনপ্রিয় সুরকার এবং বোন শাহনাজ রহমতুল্লাহ জনপ্রিয় শিল্পী হওয়ায় গানের প্রতি তাঁর ঝোঁক দিন দিন বাড়তে থাকে। তিনি একটি ব্যান্ডও গড়ে তোলেন। স্টেজে জাফর ইকবালকে গান করতে দেখে চলচ্চিত্রকার খান আতাউর রহমানের ভালো লাগে। তবে গান নয়, জাফর ইকবালকে নায়ক হওয়ার প্রস্তাব দেন তিনি। তারপরই জাফর ইকবালের মধ্যে অভিনয়ের স্বপ্ন বাসা বাঁধতে শুরু করে।
শিল্পী আগুন জীবনে বহু গান গেয়েছেন। মজার বিষয় হলো তিনি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সারগাম-ই শেখেননি। হারমোনিয়ামও বাজাতে জানেন না। অথচ গান গাওয়ার সময় সুর লাগাতে তাঁর কখনো সমস্যা হয় না। আগুন জানান, 'ছোটবেলায় হারমোনিয়াম শেখার জন্য বাবা-মায়ের অনেক বকুনিও খেয়েছি। তারপরও শেখা হয়ে ওঠেনি। তবে গান গাইতে অসুবিধা হয় না।' বাবা খান আতাউর রহমান ও মা নীলুফার ইয়াসমিন দুজনই ছিলেন গানের মানুষ। এ রকম পরিবারে জন্মগ্রহণ করায় গানটা যেন সহজাতভাবে চলে এসেছে তাঁর গলায়। আগুন খুব ভালো গিটার বাজাতে জানেন।
এইচএসসি পরীক্ষার পর এস ডি রুবেলের ভীষণ ইচ্ছা ছিল বিসিএস ক্যাডার হওয়ার। কিন্তু ঢাকায় আসার পর রুবেলের জীবনই বদলে যায়। হয়ে যান পুরোদমে গানের মানুষ। একসময় ক্রিকেটও খেলতেন এই গায়ক। অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় যুব ক্রিকেট লীগে দুবার খেলেছেন রুবেল। ভেবেছিলেন জাতীয় দলেও সুযোগ পাবেন। আফসোস করে রুবেল বলেন, 'ইস! যদি জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পেতাম!' শুধু গায়ক না, চলচ্চিত্রের নায়ক হিসেবেও হাজির হয়েছেন বড় পর্দায়। 'এভাবেই ভালোবাসা হয়' চলচ্চিত্রে শাবনূরের বিপরীতে অভিনয় করেছেন তিনি। ছবিটি ব্যবসায়িকভাবেও সফল হয়। রুবেল জানান, ভালো গল্প পেলে ভবিষ্যতেও চলচ্চিত্রে অভিনয়ের ইচ্ছা রয়েছে তাঁর।
অভিনেত্রী মৌসুমী ভালো গাইতে পারেন। তার প্রমাণ তিনি বেশ কয়েকবারই দিয়েছেন। 'মৌসুমী' ছবিতে 'ভালোবাসা বলে নেই তো কিছু' গানটিতে সর্বপ্রথম তিনি প্লেব্যাক করেছিলেন। ঠোঁটও মিলিয়েছেন। ব্যান্ড তারকা আইয়ুব বাচ্চুর সঙ্গে 'মগের মুল্লুক' ছবিতে 'কি দারুণ দেখতে' শিরোনামে একটি দ্বৈত গান করেও বেশ জনপ্রিয় হয়েছিলেন তিনি। এ গানেও ঠোঁট মেলান তিনি নিজেই। সম্প্রতি গীতিকার হিসেবেও আবির্ভাব হলো এ অভিনেত্রীর। নির্মাণাধীন 'ছায়া-ছবি' চলচ্চিত্রের জন্য একটি গান লিখেছেন তিনি। 'মন যা বলে বলুক' শিরোনামের এ গানে কণ্ঠ মেলাবেন শুভ ও পূর্ণিমা।