নজরুল
জুলাই ২০১২
মুনতারীন মহল
নিজের গান ও গায়কী দিয়ে ওস্তাদদের মুগ্ধ করতে কি সবাই পারেন? বোধ করি, না। তবে সবাই না পারলেও মুনতারীন মহল পেরেছেন। আর এ কারণেই তো তিনি যাদের কাছে গান শিখেছেন, সেইসব সঙ্গীতজ্ঞ প্রাণ খুলে শিষ্যের বন্দনা করেছেন। নজরুলসঙ্গীতের রানী মুনতারীন মহলকে নিয়ে খ্যাতিমান সঙ্গীতজ্ঞ ও নজরুলসঙ্গীত গবেষক সোহরাব হোসেন বলেছেন, ‘মুনতারীন মহলের প্রকাশিত অ্যালবামের গানগুলো আমি শুনেছি। আমার কাছে ভালো লেগেছে। গানগুলোতে সঠিক সুর, তাল, লয় এবং গায়কীর প্রতি সতর্কতা ও মনোযোগ প্রশংসার দাবি রাখে। তার কণ্ঠস্বরও খুব সুন্দর।’ তার সঙ্গে যোগ করে আরেক খ্যাতিমান নজরুলসঙ্গীত শিল্পী খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘মিষ্টি, নরম, পরিশীলিত ও দূরবিস্তারি কণ্ঠের অধিকারিণী মুনতারীন মহলের উচ্চাঙ্গসঙ্গীত, আধুনিক ও বিভিন্ন ধরনের গানে অবাধ আনাগোনা। কিন্তু তার প্রথম প্রেম নজরুলসঙ্গীত।’ শিল্পী হিসেবে একজন মুনতারীন মহলের কণ্ঠে সারাক্ষণই চলে সুরের আরাধনা। শুদ্ধ সঙ্গীতের সাগরে অবগাহন করার যে মানসিকতা নিয়ে ছেলেবেলায় তিনি গান গাওয়া শুরু করেছিলেন, সময়ের বিবর্তনে তা আরও দৃঢ় হয়েছে।
আচ্ছা আপনি গান করেন কেন?
এমন প্রশ্নের জবাবে মুনতারীন মহল বলেন, ‘আমার আত্মার খোরাক। সবাই তো গান গাইতে পারে না। গান গাইতে আমার ভালো লাগে বলেই আমি গান করি। এটা আমার প্যাশন।’ নজরুলসঙ্গীতের পাশাপাশি আধুনিক গানেও মুনতারীন মহলের ব্যাপক দখল রয়েছে। তবে তিনি বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন নজরুলসঙ্গীতেই। এ গানের প্রতি তার দুর্বলতার কথা উল্লেখ করে শিল্পী বলেন, ‘আমি গান শেখা শুরু করেছি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে। আমি বিভিন্ন ওস্তাদের কাছে গান শিখেছি। তারা আমাকে এ ধারণা দিয়েছিলেন যে, উচ্চাঙ্গসঙ্গীতের চর্চা করলে পরবর্তী সময়ে গানের যে কোনো শাখায় ইচ্ছে করলেই বিচরণ করা যায়। ফলে আমি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের সাধনা করেছি মনে-প্রাণে। আর নজরুলের বেশিরভাগ গানই রাগসঙ্গীতের ওপর ভিত্তি করে তৈরি। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে দখল না থাকলে নজরুলসঙ্গীত গাওয়া সম্ভব নয়। তাই শাস্ত্রীয় সঙ্গীতচর্চা করার জন্য, এর প্রতি নিজের ভালোলাগা থেকেই নজরুলসঙ্গীতকে বেছে নিই। নজরুলের গান গাওয়া কিন্তু সহজ কোনো বিষয় নয়।’ এখন অহর্নিশ নজরুলসঙ্গীতের প্রেমে মশগুল থাকেন মুনতারীন মহল। নজরুলের গান তাকে বিমোহিত করে ভিন্ন মাত্রায়। তার কথায়, ‘আসলে নজরুলসঙ্গীতে সুরের যে বৈচিত্র্যময়তা, কবি নজরুল অনেক ধারায় গান লিখেছেন এবং সুর করেছেন। অনেকে হয়তো একটি বিশেষ শাখায় কাজ করে সফল হয়েছেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে কাজী নজরুল ইসলাম গানের যে শাখাতেই হাত দিয়েছেন, সেখানেই তিনি সুরের ফুল ফুটিয়েছেন অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে। আমরা যখন তার লোকসঙ্গীত শুনি, তখন মনে হয় তিনি বোধ হয় লোকগানের জন্যই জন্মেছিলেন। আবার তার ইসলামী সঙ্গীত শুনলে একই রকম অনুভূতি হয়। কেউ যদি তার শ্যামাসঙ্গীত নিয়ে ভাবেন, সেখানেও নজরুল তার স্বকীয় বৈশিষ্ট্য নিয়ে হাজির হন। পাশাপাশি তিনি হাসির গান, তার কাব্যসঙ্গীত, গজল, ঠুমরি—আমি ভেবে পাই না, কীভাবে একজন মানুষ গানের এত এত শাখায় সমান দক্ষতা নিয়ে বিচরণ করেছেন।’ মুনতারীন মহল বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনে ’৮২ সাল থেকেই নিয়মিত গান করে আসছেন।
আচ্ছা, অন্য ধারার গান ও শিল্পীকে বেতার বা টিভি যেভাবে প্রমোট করে, নজরুলসঙ্গীত বা এর শিল্পীদের বেলায় কি তা করে?
এমন প্রশ্নের উত্তরে কণ্ঠে খানিকটা অভিমান নিয়ে মুনতারীন মহল বলেছেন, ‘এটা দুঃখজনক যে, আমাদের জন্য তা করা হয় না। আপনি দেখবেন যে, নজরুল বা রবীন্দ্রসঙ্গীত প্রাইম টাইমে প্রচার করা হয় না। প্রাইম টাইমে ব্যান্ড বা অন্যান্য গানের অনুষ্ঠানগুলো প্রচার করা হয়। কারণ সেগুলোর স্পন্সর পাওয়া যায়। আর উচ্চাঙ্গসঙ্গীত প্রচার করা হয় মধ্যরাতে, যখন অধিকাংশ মানুষ ঘুমে বিভোর। এগুলো প্রচার করতে হয় বলে করা আর কি! অন্য গানের অনুষ্ঠানকে আমাদের প্রচার মাধ্যমগুলো যেভাবে কদর করে, আমরা সেখানে অবহেলার শিকার। আমাদের গানের প্রচার নিয়ে এই যে বৈষম্য, এটা উচিত নয়। আমরা চাই অন্য অনুষ্ঠানের মতো আমাদের গানও যেন প্রাইম টাইমে প্রচার করা হয়। তাহলে শুদ্ধ সঙ্গীতের আরও প্রচার ও প্রসার ঘটবে।’ কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৩তম জন্মবার্ষিকীকে সামনে রেখে সম্প্রতি লেজার ভিশনের ব্যানারে প্রকাশিত হয়েছিল মুনতারীন মহলের নজরুলসঙ্গীতের একক অ্যালবাম ‘বাঁশী বাজায় কে’। অ্যালবামটি এরই মধ্যে নজরুলসঙ্গীতপ্রেমী শ্রোতাদের মধ্যে দারুণ সাড়া ফেলেছে। অ্যালবামটির শ্রোতাপ্রিয়তা নিয়ে মুনতারিন মহল বললেন, ‘অ্যালবামটি প্রকাশের পর থেকেই আমি শ্রোতাদের মাঝ থেকে ভালোই সাড়া পাচ্ছি। যারা গানের বোদ্ধা তারা বলেছেন, গানগুলো তাদের ভালো লেগেছে। অ্যালবামটি নিয়ে শ্রোতাদের আগ্রহ দেখে আমি অভিভূত। আমাকে অনেকেই এই অ্যালবামটির জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন। মুনতারীন মহলের এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে অনেক শ্রম ও ঘামের গল্প। এই অ্যালবামটি তৈরি করতে তিনি অনেক সময় নিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই আমি একটি ইচ্ছে মনের ভেতর পুষে আসছিলাম যে, আমি নজরুলসঙ্গীতের একটি অ্যালবাম বের করব। আমি আমার অ্যালবামটি কী ধরনের গান দিয়ে সাজাব, কী ধরনের গান গাইব—এই পরিকল্পনা করতেও আমার অনেক সময় লেগেছে। এই অ্যালবামের গানগুলো আমি আড়াই বছর ধরে রেকর্ড করেছি। আমি কোনো তাড়াহুড়ো করিনি। কারণ আমি চেয়েছি গানগুলো যেন সুবিচার পায়। আমি আমার চেষ্টার মূল্যায়ন পেয়েছি।’
আচ্ছা আপনি গান করেন কেন?
এমন প্রশ্নের জবাবে মুনতারীন মহল বলেন, ‘আমার আত্মার খোরাক। সবাই তো গান গাইতে পারে না। গান গাইতে আমার ভালো লাগে বলেই আমি গান করি। এটা আমার প্যাশন।’ নজরুলসঙ্গীতের পাশাপাশি আধুনিক গানেও মুনতারীন মহলের ব্যাপক দখল রয়েছে। তবে তিনি বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন নজরুলসঙ্গীতেই। এ গানের প্রতি তার দুর্বলতার কথা উল্লেখ করে শিল্পী বলেন, ‘আমি গান শেখা শুরু করেছি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে। আমি বিভিন্ন ওস্তাদের কাছে গান শিখেছি। তারা আমাকে এ ধারণা দিয়েছিলেন যে, উচ্চাঙ্গসঙ্গীতের চর্চা করলে পরবর্তী সময়ে গানের যে কোনো শাখায় ইচ্ছে করলেই বিচরণ করা যায়। ফলে আমি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের সাধনা করেছি মনে-প্রাণে। আর নজরুলের বেশিরভাগ গানই রাগসঙ্গীতের ওপর ভিত্তি করে তৈরি। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে দখল না থাকলে নজরুলসঙ্গীত গাওয়া সম্ভব নয়। তাই শাস্ত্রীয় সঙ্গীতচর্চা করার জন্য, এর প্রতি নিজের ভালোলাগা থেকেই নজরুলসঙ্গীতকে বেছে নিই। নজরুলের গান গাওয়া কিন্তু সহজ কোনো বিষয় নয়।’ এখন অহর্নিশ নজরুলসঙ্গীতের প্রেমে মশগুল থাকেন মুনতারীন মহল। নজরুলের গান তাকে বিমোহিত করে ভিন্ন মাত্রায়। তার কথায়, ‘আসলে নজরুলসঙ্গীতে সুরের যে বৈচিত্র্যময়তা, কবি নজরুল অনেক ধারায় গান লিখেছেন এবং সুর করেছেন। অনেকে হয়তো একটি বিশেষ শাখায় কাজ করে সফল হয়েছেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে কাজী নজরুল ইসলাম গানের যে শাখাতেই হাত দিয়েছেন, সেখানেই তিনি সুরের ফুল ফুটিয়েছেন অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে। আমরা যখন তার লোকসঙ্গীত শুনি, তখন মনে হয় তিনি বোধ হয় লোকগানের জন্যই জন্মেছিলেন। আবার তার ইসলামী সঙ্গীত শুনলে একই রকম অনুভূতি হয়। কেউ যদি তার শ্যামাসঙ্গীত নিয়ে ভাবেন, সেখানেও নজরুল তার স্বকীয় বৈশিষ্ট্য নিয়ে হাজির হন। পাশাপাশি তিনি হাসির গান, তার কাব্যসঙ্গীত, গজল, ঠুমরি—আমি ভেবে পাই না, কীভাবে একজন মানুষ গানের এত এত শাখায় সমান দক্ষতা নিয়ে বিচরণ করেছেন।’ মুনতারীন মহল বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনে ’৮২ সাল থেকেই নিয়মিত গান করে আসছেন।
আচ্ছা, অন্য ধারার গান ও শিল্পীকে বেতার বা টিভি যেভাবে প্রমোট করে, নজরুলসঙ্গীত বা এর শিল্পীদের বেলায় কি তা করে?
এমন প্রশ্নের উত্তরে কণ্ঠে খানিকটা অভিমান নিয়ে মুনতারীন মহল বলেছেন, ‘এটা দুঃখজনক যে, আমাদের জন্য তা করা হয় না। আপনি দেখবেন যে, নজরুল বা রবীন্দ্রসঙ্গীত প্রাইম টাইমে প্রচার করা হয় না। প্রাইম টাইমে ব্যান্ড বা অন্যান্য গানের অনুষ্ঠানগুলো প্রচার করা হয়। কারণ সেগুলোর স্পন্সর পাওয়া যায়। আর উচ্চাঙ্গসঙ্গীত প্রচার করা হয় মধ্যরাতে, যখন অধিকাংশ মানুষ ঘুমে বিভোর। এগুলো প্রচার করতে হয় বলে করা আর কি! অন্য গানের অনুষ্ঠানকে আমাদের প্রচার মাধ্যমগুলো যেভাবে কদর করে, আমরা সেখানে অবহেলার শিকার। আমাদের গানের প্রচার নিয়ে এই যে বৈষম্য, এটা উচিত নয়। আমরা চাই অন্য অনুষ্ঠানের মতো আমাদের গানও যেন প্রাইম টাইমে প্রচার করা হয়। তাহলে শুদ্ধ সঙ্গীতের আরও প্রচার ও প্রসার ঘটবে।’ কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৩তম জন্মবার্ষিকীকে সামনে রেখে সম্প্রতি লেজার ভিশনের ব্যানারে প্রকাশিত হয়েছিল মুনতারীন মহলের নজরুলসঙ্গীতের একক অ্যালবাম ‘বাঁশী বাজায় কে’। অ্যালবামটি এরই মধ্যে নজরুলসঙ্গীতপ্রেমী শ্রোতাদের মধ্যে দারুণ সাড়া ফেলেছে। অ্যালবামটির শ্রোতাপ্রিয়তা নিয়ে মুনতারিন মহল বললেন, ‘অ্যালবামটি প্রকাশের পর থেকেই আমি শ্রোতাদের মাঝ থেকে ভালোই সাড়া পাচ্ছি। যারা গানের বোদ্ধা তারা বলেছেন, গানগুলো তাদের ভালো লেগেছে। অ্যালবামটি নিয়ে শ্রোতাদের আগ্রহ দেখে আমি অভিভূত। আমাকে অনেকেই এই অ্যালবামটির জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন। মুনতারীন মহলের এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে অনেক শ্রম ও ঘামের গল্প। এই অ্যালবামটি তৈরি করতে তিনি অনেক সময় নিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই আমি একটি ইচ্ছে মনের ভেতর পুষে আসছিলাম যে, আমি নজরুলসঙ্গীতের একটি অ্যালবাম বের করব। আমি আমার অ্যালবামটি কী ধরনের গান দিয়ে সাজাব, কী ধরনের গান গাইব—এই পরিকল্পনা করতেও আমার অনেক সময় লেগেছে। এই অ্যালবামের গানগুলো আমি আড়াই বছর ধরে রেকর্ড করেছি। আমি কোনো তাড়াহুড়ো করিনি। কারণ আমি চেয়েছি গানগুলো যেন সুবিচার পায়। আমি আমার চেষ্টার মূল্যায়ন পেয়েছি।’
নজরুলের ৩৬তম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত হয়েছে ইয়াসমীন মুশতারীর নজরুলসংগীতের অ্যালবাম 'মহুয়া বনে'।
গানগুলোর রেকর্ডিংয়ের অভিজ্ঞতা বলুন -
বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের গানগুলো সাধারণত কলকাতায় রেকর্ডিং হয়ে থাকে। আমিও সম্প্রতি চার দিনের সফরে কলকাতায় গিয়ে অ্যালবামের গানগুলোর রেকর্ডিং করেছি। সংগীতের আয়োজন করেছেন দূর্বাদল চট্টোপাধ্যায়।
কী কী গান থাকছে অ্যালবামে?
গান আছে ১০টি। গানগুলোর শিরোনাম 'সন্ধ্যা গোধূলি', 'বুলবুলি', 'বন-কুন্তল', 'সন্ধ্যামালতী', 'তেপান্তরের মাঠে', 'বেণুকা', 'পিয়া গেছে কবে', 'গোঠের রাখাল', 'হারানো হিয়ার নিকুঞ্জ পথে' এবং 'রস-ঘনশ্যাম'।
গান নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোন বিষয়টির প্রাধান্য দিয়েছেন?
দুটি বিষয় মাথায় রেখেছি। শ্রোতারা সব সময় পছন্দ করে এমন গানের পাশাপাশি ভালো কথা আর সুরের কম প্রচলিত গানও রেখেছি। আর রাগপ্রধান 'বেণুকা' ও 'বন-কুন্তলা'র মতো গান রয়েছে এবারের অ্যালবামে।
বর্তমান নজরুলসংগীতের চর্চা এবং প্রসার নিয়ে আপনার ভাবনা কী?
নজরুলসংগীতের চর্চা হচ্ছে, তবে প্রসার ঘটছে অনেক কম। এ জন্য সংশ্লিষ্ট শিল্পীদের পাশাপাশি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোর এগিয়ে আসা দরকার। আর প্রচারমাধ্যমের ভূমিকাও এ ক্ষেত্রে কম নয়।
নতুন কর্মপরিকল্পনা কিছু ভেবেছেন?
আপাতত অ্যালবাম নিয়ে ব্যস্ততা নেই। ছোটখাটো কিছু কাজ আছে। সব গুছিয়ে নিয়ে এরপর নতুন অ্যালবামের কাজে হাত দেব।
গানগুলোর রেকর্ডিংয়ের অভিজ্ঞতা বলুন -
বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের গানগুলো সাধারণত কলকাতায় রেকর্ডিং হয়ে থাকে। আমিও সম্প্রতি চার দিনের সফরে কলকাতায় গিয়ে অ্যালবামের গানগুলোর রেকর্ডিং করেছি। সংগীতের আয়োজন করেছেন দূর্বাদল চট্টোপাধ্যায়।
কী কী গান থাকছে অ্যালবামে?
গান আছে ১০টি। গানগুলোর শিরোনাম 'সন্ধ্যা গোধূলি', 'বুলবুলি', 'বন-কুন্তল', 'সন্ধ্যামালতী', 'তেপান্তরের মাঠে', 'বেণুকা', 'পিয়া গেছে কবে', 'গোঠের রাখাল', 'হারানো হিয়ার নিকুঞ্জ পথে' এবং 'রস-ঘনশ্যাম'।
গান নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোন বিষয়টির প্রাধান্য দিয়েছেন?
দুটি বিষয় মাথায় রেখেছি। শ্রোতারা সব সময় পছন্দ করে এমন গানের পাশাপাশি ভালো কথা আর সুরের কম প্রচলিত গানও রেখেছি। আর রাগপ্রধান 'বেণুকা' ও 'বন-কুন্তলা'র মতো গান রয়েছে এবারের অ্যালবামে।
বর্তমান নজরুলসংগীতের চর্চা এবং প্রসার নিয়ে আপনার ভাবনা কী?
নজরুলসংগীতের চর্চা হচ্ছে, তবে প্রসার ঘটছে অনেক কম। এ জন্য সংশ্লিষ্ট শিল্পীদের পাশাপাশি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোর এগিয়ে আসা দরকার। আর প্রচারমাধ্যমের ভূমিকাও এ ক্ষেত্রে কম নয়।
নতুন কর্মপরিকল্পনা কিছু ভেবেছেন?
আপাতত অ্যালবাম নিয়ে ব্যস্ততা নেই। ছোটখাটো কিছু কাজ আছে। সব গুছিয়ে নিয়ে এরপর নতুন অ্যালবামের কাজে হাত দেব।
২৯ আগস্ট জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৬তম প্রয়াণ দিবস। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বেঙ্গল ফাউন্ডেশন থেকে প্রকাশিত হলো নজরুলসঙ্গীতের জোড়া এ্যালবাম। কবিকে নিবেদন করা মহুয়া বনে ও শুকতারা শিরোনামের এ্যালবাম দু’টিতে কণ্ঠ দিয়েছেন ইয়াসমিন মুশতারী ও ইয়াকুব আলী খান।
শরতের সন্ধ্যায় ছায়ানট সংস্কৃতি ভবন মিলনায়তনে অ্যালবাম দুটির মোড়ক উন্মোচন ও প্রকাশনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সিডির মোড়ক উন্মোচন করেন নজরুল গবেষক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। মোড়ক উন্মোচনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে শিল্পীদ্বয় তাদের এ্যালবামের অনেক গান গেয়ে শোনান। সুললিত কণ্ঠের মায়াজালে গানে গানে শ্রোতাদের বিমোহিত করেন ইয়াসমিন মুশতারী ও ইয়াকুব আলী খান।
ইয়াসমিন মুশতারীর কণ্ঠে ধারণকৃত মহুয়া বনে এ্যালবামে রয়েছে দশটি গান। এগুলো হলো সন্ধ্যা গোধূলি লগনে কে, বুলবুলি নীরব নার্গিস বনে, গোঠের রাখাল বলে দেরে, বন-কুন্তুল এলায়ে, পিয়া গেছে কবে পরদেশ, সন্ধ্যামালতী যবে ফুলবনে, হারানো হিয়ার নিকুঞ্জ পথে, তেপান্তরের মাঠে বধু হে, বেনুকা ও কে বাজায় ও রস-ঘনশ্যাম-কল্যাণ-সুন্দর। আর ইয়াকুব আলীর গাওয়া শুকতারা এ্যালবাম সাজানো হয়েছে ১২টি গান দিয়ে। এই গানগুলোর শিরোনাম হলো তুমি আমার সকাল বেলার সুর ও বাঁশের বাঁশীরে, গগনে পবনে আজি, আমি তব দ্বারে, দোলে বন-তমালের ঝুলনাতে, মোর প্রিয়া হবে, তুমি আমায় ভালবাস, কেন আন ফুলডোর, পরদেশী মেঘ যাওরে ফিরে, আলগা করো গো খোঁপার বাঁধন, হাসে আকাশে শুকতারা হাসে ও এ কি অপরূপ রূপে মা তোমায়।
শরতের সন্ধ্যায় ছায়ানট সংস্কৃতি ভবন মিলনায়তনে অ্যালবাম দুটির মোড়ক উন্মোচন ও প্রকাশনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সিডির মোড়ক উন্মোচন করেন নজরুল গবেষক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। মোড়ক উন্মোচনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে শিল্পীদ্বয় তাদের এ্যালবামের অনেক গান গেয়ে শোনান। সুললিত কণ্ঠের মায়াজালে গানে গানে শ্রোতাদের বিমোহিত করেন ইয়াসমিন মুশতারী ও ইয়াকুব আলী খান।
ইয়াসমিন মুশতারীর কণ্ঠে ধারণকৃত মহুয়া বনে এ্যালবামে রয়েছে দশটি গান। এগুলো হলো সন্ধ্যা গোধূলি লগনে কে, বুলবুলি নীরব নার্গিস বনে, গোঠের রাখাল বলে দেরে, বন-কুন্তুল এলায়ে, পিয়া গেছে কবে পরদেশ, সন্ধ্যামালতী যবে ফুলবনে, হারানো হিয়ার নিকুঞ্জ পথে, তেপান্তরের মাঠে বধু হে, বেনুকা ও কে বাজায় ও রস-ঘনশ্যাম-কল্যাণ-সুন্দর। আর ইয়াকুব আলীর গাওয়া শুকতারা এ্যালবাম সাজানো হয়েছে ১২টি গান দিয়ে। এই গানগুলোর শিরোনাম হলো তুমি আমার সকাল বেলার সুর ও বাঁশের বাঁশীরে, গগনে পবনে আজি, আমি তব দ্বারে, দোলে বন-তমালের ঝুলনাতে, মোর প্রিয়া হবে, তুমি আমায় ভালবাস, কেন আন ফুলডোর, পরদেশী মেঘ যাওরে ফিরে, আলগা করো গো খোঁপার বাঁধন, হাসে আকাশে শুকতারা হাসে ও এ কি অপরূপ রূপে মা তোমায়।