গানের খবর
জানুয়ারী ২০১৩
ফেব্রুয়ারিতে মা-মেয়ের অ্যালবাম
আসছে ফেব্রুয়ারিতে বিশিষ্ট নজরুলসঙ্গীত শিল্পী ড. লীনা তাপসী খান এবং তার মেয়ে মাহজাবিনের একটি যৌথ অ্যালবাম প্রকাশিত হবে। ভারতে অ্যালবামটির মিউজিকট্রাকের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। গত ১৯ জানুয়ারি অ্যালবামের মিউজিকট্রাকের কাজ শেষ করে তারা দেশে ফিরেছেন। এই অ্যালবামে মোট ১০টি নজরুলসঙ্গীত থাকছে। গানগুলোর মধ্যে রয়েছে, 'ধূলি পিঙ্গল', 'খেলে নন্দেরও আঙিনায়', 'সন্ধ্যা গোধূলী', 'দোলে ঝুলনো দোলায়' প্রভৃতি। ১০টি গানের মধ্যে ৫টিতেই কণ্ঠ দিচ্ছেন মাহজাবিন। নতুন এই অ্যালবামে নজরুলের প্রচলিত-অপ্রচলিত দুই ধরনের গানই থাকবে। সবকটি গানের সঙ্গীত পরিচালনা করছেন কলকাতার স্বপন চ্যাটার্জি। এ প্রসঙ্গে লীনা তাপসী খান বলেন, 'গানের রেকর্ডিং করতে ১৫ জানুয়ারি ভারতে গিয়েছিলাম। কলকাতার চিৎপুরে গানগুলোর মিউজিকট্রাকের কাজ হয়েছে।' তিনি আরো বলেন, 'গানগুলোর রেকর্ডিং যাতে শুদ্ধভাবে করতে পারি, সেজন্যই আমরা কলকাতার দক্ষ সঙ্গীত পরিচালকের শরণাপন্ন হয়েছিলাম। তাছাড়া নজরুলের গানের মিউজিক কম্পোজার হিসেবে স্বপন চ্যাটার্জি অনেক উচ্চমানের। আশা করি, অ্যালবামটি শ্রোতারা পছন্দ করবেন।' লীনা তাপসী খান প্রায় তিন দশক ধরে নজরুলচর্চা করে আসছেন। বাবা এমএ খানের হাত ধরে তার সঙ্গীত অঙ্গনে পথচলা শুরু হয়েছে। পরবর্তীতে তিনি খালিদ হোসেন এবং শেখ লুৎফর রহমানের কাছে নজরুলসঙ্গীতে তালিম নিয়েছেন। কলকাতার ধীরেন্দ্র চন্দ্র মিত্রের কাছেও দীর্ঘদিন নজরুলসঙ্গীত শিখেছেন। এছাড়াও তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ড. রফিকুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে 'নজরুলের গানে রাগের ব্যবহার' বিষয়ে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন। বর্তমানে তিনি একই প্রতিষ্ঠানে সঙ্গীত বিভাগে শিক্ষকতা করছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, 'নজরুলসঙ্গীত আমার ভীষণ প্রিয়। নজরুলের গানে গভীর জীবনবোধের কথা ফুটে উঠেছে। সেকারণেই নজরুলকে নিয়ে গবেষণার পাশাপাশি নিয়মিত নজরুলসঙ্গীত চর্চা করে চলছি।' - যায় যায় দিন
গীতিনাট্যে সুজিত-মুনমুন
সুজিত মোস্তফা ও মুনমুন আহমেদ দম্পতি একসঙ্গে একই মঞ্চে অনেক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। এবার সুজিত মোস্তফার লেখা ও সুর করা গীতিনাট্যে নৃত্য পরিচালনা করছেন মুনমুন। এটাই সুজিতের লেখা প্রথম গীতনাট্য। এর নাম 'দিন বদলের গান'। আগামীকাল বিকেলে রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুলের বার্ষিক সাংস্কৃতিক আয়োজনে এটি পরিবেশন করবে স্কুলের শিক্ষার্থীরা। সুজিত বলেছেন, '৩২ মিনিট ব্যাপ্তির এই গীতিনাট্যে বাচ্চাদের উপযোগী করে জলদূষণ, বৃক্ষনিধন, সমুদ্র পৃষ্ঠদেশের উচ্চতা বৃদ্ধি, বৈশ্বিক উষ্ণতাসহ নানাদিক তুলে ধরা হয়েছে।'
আন্তর্জাতিকভাবে প্রকাশ হলো দি ব্রাদারহুড প্রজেক্টের অ্যালবাম
গেল বছরের ম্যাজিকাল তারিখ ১২-১২-১২ তে প্রকাশিত হয়েছিল সংগীতশিল্পী জয় শাহরিয়ার ও পারভেজ সাজ্জাদের দি ব্রাদারহুড প্রজেক্টের প্রথম সেলফ টাইটেলড অ্যালবাম। এবার এই অ্যালবামটি মুক্তি পেল আন্তর্জাতিকভাবে। ২১শে জানুয়ারি অ্যালবামটি আন্তর্জাতিকভাবে প্রকাশ হয় একযোগে বিশ্বের ৫টি মিউজিক পোর্টালে। ‘দি ব্রাদারহুড প্রজেক্ট’ অ্যালবামটি এখন পাওয়া যাচ্ছে আই টিউনস, স্পটিফাই, ই-মিউজিক, গুগল প্লে ও র্যাপসডিতে। বিশ্বের যে কোন প্রান্ত থেকে এই ওয়েব পোর্টালগুলোতে কেনা যাবে অ্যালবামটি। যে কেউ চাইলে আলাদা করে একটি গানও কিনতে পারবেন। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক লেবেল মাশরুম এন্টারটেইনমেন্ট দি ব্রাদারহুড প্রজেক্ট অ্যালবামটির আন্তর্জাতিক বিপণনের দায়িত্বে রয়েছে।
অ্যালবামটির আন্তর্জাতিক প্রকাশ প্রসঙ্গে জয় শাহরিয়ার ও পারভেজ সাজ্জাদ বলেন, দি ব্রাদারহুড প্রজেক্টের লক্ষ্য বাংলা গান বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দেয়া। এই উদ্যোগ তারই একটি প্রয়াস। আর দেশের বাইরের বাঙালি শ্রোতাদের নতুন বাংলা অ্যালবাম সংগ্রহের যে চাহিদা তাও মিটবে এর মাধ্যমে। আমরা শুরু করলাম, আশা করি এখন থেকে এভাবেই আমাদের বাংলা গান বিশ্বজুড়ে প্রকাশ পাবে ও ছড়িয়ে পড়বে। জানা গেছে খুব শিগগিরই দি ব্রাদারহুড প্রজেক্ট অ্যালবামটি সিডি আকারে কলকাতা থেকে ভারতজুড়ে প্রকাশিত হবে।
অ্যালবামটির আন্তর্জাতিক প্রকাশ প্রসঙ্গে জয় শাহরিয়ার ও পারভেজ সাজ্জাদ বলেন, দি ব্রাদারহুড প্রজেক্টের লক্ষ্য বাংলা গান বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দেয়া। এই উদ্যোগ তারই একটি প্রয়াস। আর দেশের বাইরের বাঙালি শ্রোতাদের নতুন বাংলা অ্যালবাম সংগ্রহের যে চাহিদা তাও মিটবে এর মাধ্যমে। আমরা শুরু করলাম, আশা করি এখন থেকে এভাবেই আমাদের বাংলা গান বিশ্বজুড়ে প্রকাশ পাবে ও ছড়িয়ে পড়বে। জানা গেছে খুব শিগগিরই দি ব্রাদারহুড প্রজেক্ট অ্যালবামটি সিডি আকারে কলকাতা থেকে ভারতজুড়ে প্রকাশিত হবে।
অগণিত ডুয়েট গানের মিছিল ফেব্রুয়ারিতে
এমনিতেই গত কয়েক বছর ধরে দ্বৈত গানের প্রচলন রেকর্ডসংখ্যকভাবে বেড়েছে। এর উপর এবারের ভ্যালেন্টাইনে যেন এর বিস্ফোরণ ঘটতে যাচ্ছে। কারণ একাধিক অডিও কোম্পানি থেকে অগণিত ডুয়েট গান প্রকাশ পাচ্ছে। বাঙালি এমনিতেই হুজুগে মাতে, তাই চলতি জনপ্রিয়তার এই দৌড়ে এবারে কেউ যেন পিছিয়ে থাকতে চাইছেন না। সকলেরই কমবেশি ডুয়েট গান প্রকাশ পাবে। এর ভেতরে জি-সিরিজ, লেজার ভিশন, সঙ্গীতা, ডেডলাইন মিউজিকসহ প্রায় সবক'টি কোম্পানিই তাদের একাধিক অ্যালবামের ভেতরে বেশিরভাগই ডুয়েট গান রেখেছে। এ প্রসঙ্গে জি-সিরিজের কর্ণধার ও এমআইবি সভাপতি নাজমুল হক ভুইয়া খালিদ বলেন, 'আমাদের ব্যানার থেকে ডুয়েট গানের সংখ্যা একেবারেই কম। তবে এটা সময়ের চাহিদা। হয়তো এমনও হতে পারে এবারের ভ্যালেন্টাইনের পর শ্রোতারা ডুয়েট গানের প্রতি বিমুখ হয়ে যাবে। আবারও নতুন ধারার গানের জোয়ার শুরু হবে।' এদিকে এবারের ভ্যালেন্টাইনে একাধিক গীতিকার ও সুরকার ও শিল্পী মিক্স অ্যালবাম সমন্বয় করছে। এর ভেতরে দুরবীন ব্যান্ডদলের দুই সদস্য শহীদ ও প্রাক্তর সদস্য কাজী শুভ দুজনই আলাদা আলাদাভাবে মিশ্র অ্যালবাম সমন্বয় করছেন। 'এক জীবনে' গানটি জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর বিভিন্ন মিশ্র অ্যালবামে শহীদের গানের চাহিদা বেড়েছে। ফলে এবারেও তার একাধিক গান মুক্তি পেতে পারে। এ ছাড়া নিজের অ্যালবাম সমন্বয় প্রসঙ্গে শহীদ বলেন, 'ডুয়েট গান সময়ের চাহিদা। যেহেতু আমার শুভমিতার গানটি হিট হওয়ার পরপরই এই প্রবণতাটা শুরু হয়। সকলেই এই ধারার গান তৈরি শুরু করে।' অন্যদিকে বর্তমান এই ডুয়েট গানের হিড়িকে আপাতত কোনো দ্বৈত গানে কণ্ঠ দেবেন না বলে ঠিক করেছেন পড়শী। এ প্রসঙ্গে তার মতামত, 'আমার আগামী সলো অ্যালবামের স্পন্সরই আমাকে নতুন কোনো ডুয়েট গানে কণ্ঠ দিতে নিষেধ করেছে। তাই আপাতত চলচ্চিত্রের গান ছাড়া অডিওতে কোনো ডুয়েট গান বের হবে না।' তবে ন্যান্সির এ ক্ষেত্রে নিজের প্রফেশনাল কমিটমেন্ট ঠিক রেখে সব ধরনের গানই করছেন। এর বাইরে এ সময়ের একাধিক উঠতি শিল্পী লিজা, ঝিলিক, পুজা, আর্ণিকের একাধিক দ্বৈত গান প্রকাশ পাবে। এ ক্ষেত্রে অনেকেই এখনও জানেন না, কে কার সাথে ডুয়েট গানে অংশ নিচ্ছেন। ফলে অগণিত ডুয়েট গানের ভিড়ে ঢাকা পড়তে যাচ্ছে এ সময়ের মন্দাক্রান্ত অডিও ইন্ডাস্ট্রি।
নতুন সাজে প্রমিথিউস
২০১০ সালের মাঝামাঝি সময়ে যাত্রা শুরু করেছিল প্রমিথিউস ব্যান্ডের ওয়েবসাইট www.prometheustube.com। এবার ওয়েবসাইটটি আরও নতুন করে সাজানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রমিথিউস ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য বিপ্লব।
এ প্রসঙ্গে বিপ্লব বলেন, ‘আগামী শনিবার থেকে আমাদের এই সাইটটিতে দর্শনার্থীরা বিভিন্ন কনসার্ট ও ইভেন্টের ভিডিও দেখতে পারবেন। দর্শনার্থীদের জন্য প্রথম উপহার হিসেবে শনিবারে ফ্যান্টাসি কিংডমের কনসার্টটি সরাসরি দেখানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই সাইটের মাধ্যমে ভক্তরা তাদের প্রিয় তারকার সঙ্গে চ্যাটিঙেও অংশ নিতে পারবেন। পাশাপাশি একজন শিল্পীর স্টুডিও থেকে শুরু করে বিভিন্ন কার্যক্রম তাঁর ভক্তরা সরাসরি দেখতে পারবেন।’
সম্ভাবনাময় ও অভিজ্ঞ শিল্পীদের অ্যালবাম প্রকাশের সুযোগ করে দিতে www.levelzerodb.com নামের আরেকটি ওয়েবসাইটের কার্যক্রমও শুরু করেছে প্রমিথিউস।
এ প্রসঙ্গে বিপ্লব বলেন, ‘সবাই বলে থাকেন অডিও বাজারে হতাশা। কিন্তু আমি বলব ডিজিটাল প্রযুক্তিতে সম্ভাবনা অনেক। অডিও বাজারের অবস্থা পর্যালোচনা করে শিল্পীদের অ্যালবাম প্রকাশের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা www.levelzerodb.com। সম্ভাবনাময় ও অভিজ্ঞ শিল্পীদের অ্যালবাম প্রকাশের ক্ষেত্রে যাতে কোনো বাধার সম্মুখীন না হতে হয় তারই একটি প্রয়াস এটি। শিল্পীর স্বনির্ভরতা বৃদ্ধি করাই এটার লক্ষ্য।’
এদিকে সম্প্রতি ঘুড়ি উত্সবকে কেন্দ্র করে প্রমিথিউস ব্যান্ডের ‘বাকাট্টালোট’ শিরোনামের গানটিকে নতুন সংগীতায়োজনে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে প্রকাশ করা হয়েছে। www.prometheusbd.com ওয়েবসাইটে গানটি শুনতে পারবেন শ্রোতারা। - প্রথম আলো
এ প্রসঙ্গে বিপ্লব বলেন, ‘আগামী শনিবার থেকে আমাদের এই সাইটটিতে দর্শনার্থীরা বিভিন্ন কনসার্ট ও ইভেন্টের ভিডিও দেখতে পারবেন। দর্শনার্থীদের জন্য প্রথম উপহার হিসেবে শনিবারে ফ্যান্টাসি কিংডমের কনসার্টটি সরাসরি দেখানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই সাইটের মাধ্যমে ভক্তরা তাদের প্রিয় তারকার সঙ্গে চ্যাটিঙেও অংশ নিতে পারবেন। পাশাপাশি একজন শিল্পীর স্টুডিও থেকে শুরু করে বিভিন্ন কার্যক্রম তাঁর ভক্তরা সরাসরি দেখতে পারবেন।’
সম্ভাবনাময় ও অভিজ্ঞ শিল্পীদের অ্যালবাম প্রকাশের সুযোগ করে দিতে www.levelzerodb.com নামের আরেকটি ওয়েবসাইটের কার্যক্রমও শুরু করেছে প্রমিথিউস।
এ প্রসঙ্গে বিপ্লব বলেন, ‘সবাই বলে থাকেন অডিও বাজারে হতাশা। কিন্তু আমি বলব ডিজিটাল প্রযুক্তিতে সম্ভাবনা অনেক। অডিও বাজারের অবস্থা পর্যালোচনা করে শিল্পীদের অ্যালবাম প্রকাশের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা www.levelzerodb.com। সম্ভাবনাময় ও অভিজ্ঞ শিল্পীদের অ্যালবাম প্রকাশের ক্ষেত্রে যাতে কোনো বাধার সম্মুখীন না হতে হয় তারই একটি প্রয়াস এটি। শিল্পীর স্বনির্ভরতা বৃদ্ধি করাই এটার লক্ষ্য।’
এদিকে সম্প্রতি ঘুড়ি উত্সবকে কেন্দ্র করে প্রমিথিউস ব্যান্ডের ‘বাকাট্টালোট’ শিরোনামের গানটিকে নতুন সংগীতায়োজনে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে প্রকাশ করা হয়েছে। www.prometheusbd.com ওয়েবসাইটে গানটি শুনতে পারবেন শ্রোতারা। - প্রথম আলো
দ্বৈত গানে পূজা-বেলাল
ইতিমধ্যে আরফিন রুমির সঙ্গে ‘তুমি আমার’ এবং ইমরানের সঙ্গে গাওয়া ‘দূরে দূরে’ গানের মাধ্যমে কণ্ঠশিল্পী হিসেবে বেশ আলোচনায় এসেছেন চ্যানেল আই-সেরাকণ্ঠ প্রতিযোগিতা থেকে আসা বাঁধন সরকার পূজা। অন্যদিকে ‘পাগল তোর জন্যে রে’ গানটির পর গত বছরের শেষের দিকে ভাল শ্রোতাপ্রিয়তা পায় বেলাল খানের একক অ্যালবাম ‘আলাপন’। তবে কোন দ্বৈত গানে এখন পর্যন্ত কণ্ঠ দেননি সময়ের এই দুই আলোচিত কণ্ঠশিল্পী। সমপ্রতি প্রথমবারের মতো একটি গানে একসঙ্গে কণ্ঠ দিলেন পূজা ও বেলাল খান। আসছে ভালবাসা দিবসের মিশ্র
অ্যালবামের একটি দ্বৈত গানে কণ্ঠ দিলেন এ দু’জন। সমপ্রতি এই গানটির রেকর্ডিং সম্পন্ন হয়েছে। ‘তোমার ছোয়া’ শিরোনামের এই গানটির সুর করেছেন বেলাল খান ও গানটির সংগীতায়োজন করেছেন মুশফিক লিটু। আসছে ভালবাসা দিবসে প্রকাশ পেতে যাওয়া একটি মিশ্র অ্যালবামে গানটি ঠাঁই পাবে। এর আগে বেলালের সুরে নিজের একক অ্যালবামে গান গেয়েছিলেন পূজা। কিন্তু দ্বৈত গানে পূজা ও বেলাল কণ্ঠ দিলেন এই প্রথমবারের মতো। - মানবজমিন
অ্যালবামের একটি দ্বৈত গানে কণ্ঠ দিলেন এ দু’জন। সমপ্রতি এই গানটির রেকর্ডিং সম্পন্ন হয়েছে। ‘তোমার ছোয়া’ শিরোনামের এই গানটির সুর করেছেন বেলাল খান ও গানটির সংগীতায়োজন করেছেন মুশফিক লিটু। আসছে ভালবাসা দিবসে প্রকাশ পেতে যাওয়া একটি মিশ্র অ্যালবামে গানটি ঠাঁই পাবে। এর আগে বেলালের সুরে নিজের একক অ্যালবামে গান গেয়েছিলেন পূজা। কিন্তু দ্বৈত গানে পূজা ও বেলাল কণ্ঠ দিলেন এই প্রথমবারের মতো। - মানবজমিন
চোখের দেখায় সাব্বিরের গান
আবারও চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিলেন ক্লোজআপ তারকাখ্যাত কণ্ঠশিল্পী সাব্বির। পি এ কাজলের ‘চোখের দেখা’ চলচ্চিত্রের একটি গানের দুই ভার্সনে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। এ চলচ্চিত্রে সাব্বিরের গাওয়া গানের একটিতে সহশিল্পী আছেন পড়শী আর অন্যটিতে বাঁধন। কবির বকুলের লেখা ও সুরে গানটির সংগীতায়োজন করেছেন সুমন কল্যাণ।
সাব্বির বলেন, ‘দ্বিতীয়বারের মতো চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিলাম। গানের কথাও খুব চমত্কার। চলচ্চিত্রে এ ধরনের কথা ও সুরের গান গাইতে পেরেও ভালো লেগেছে। আশা করছি, আমার এ গানটি অনেকেরই ভালো লাগবে।’
বর্তমানে স্টেজ শো নিয়ে ব্যস্ত আছেন সাব্বির। জানালেন, ‘এখন তো কনসার্টের মৌসুম। তাই মাসের বেশির ভাগ দিনই কোনো না কোনো অনুষ্ঠান থাকেই। তা ছাড়া নিয়মিতভাবে টেলিভিশন ও রেডিওতে উপস্থাপনার কাজটিও করছি।’
আহমেদ আজিম টিটো পরিচালিত ‘পায়রা’ চলচ্চিত্রের গানে প্রথম কণ্ঠ দেন সাব্বির। ছবিটির একটি গানের সংগীত পরিচালনাও করেন তিনি। গত বছরের ভালোবাসা দিবসে প্রকাশিত হয় সাব্বিরের দ্বিতীয় একক গানের অ্যালবাম ‘ভালোবাসা ব্যক্তিগত’।
- প্রথম আলো
সাব্বির বলেন, ‘দ্বিতীয়বারের মতো চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিলাম। গানের কথাও খুব চমত্কার। চলচ্চিত্রে এ ধরনের কথা ও সুরের গান গাইতে পেরেও ভালো লেগেছে। আশা করছি, আমার এ গানটি অনেকেরই ভালো লাগবে।’
বর্তমানে স্টেজ শো নিয়ে ব্যস্ত আছেন সাব্বির। জানালেন, ‘এখন তো কনসার্টের মৌসুম। তাই মাসের বেশির ভাগ দিনই কোনো না কোনো অনুষ্ঠান থাকেই। তা ছাড়া নিয়মিতভাবে টেলিভিশন ও রেডিওতে উপস্থাপনার কাজটিও করছি।’
আহমেদ আজিম টিটো পরিচালিত ‘পায়রা’ চলচ্চিত্রের গানে প্রথম কণ্ঠ দেন সাব্বির। ছবিটির একটি গানের সংগীত পরিচালনাও করেন তিনি। গত বছরের ভালোবাসা দিবসে প্রকাশিত হয় সাব্বিরের দ্বিতীয় একক গানের অ্যালবাম ‘ভালোবাসা ব্যক্তিগত’।
- প্রথম আলো
তানভীর তারেকের সুরে প্লেব্যাকে পড়শী
তানভীর তারেকের সুর-সংগীতে চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিলেন পড়শী। সাদেক সিদ্দিকীর পরিচালনায় ‘হৃদয়ে একাত্তর’ চলচ্চিত্রে ‘ভালবাসায় বাঁচে’ শিরোনামের গানটিতে তার সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছেন তানভীর তারেক। গানটি লিখেছেন জাহিদ আকবর। গত ১৫ই জানুয়ারি সেলিব্রিটি সাউন্ডল্যাব স্টুডিওতে এ গানটির রেকর্ডিং অনুষ্ঠিত হয়। ইমন ও রোমানার লিপে গানটির চিত্রায়ণ হবে মানিকগঞ্জের বিভিন্ন লোকেশনে।
চলচ্চিত্রের গান প্রসঙ্গে পড়শী বলেন, তানভীর ভাইয়ের সুরে এর আগে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের একটা কাজ করেছিলাম, এবারে প্লেব্যাক করলাম। দুটিই চমৎকার কাজ। আমি গানের ক্ষেত্রে স্বভাবতই কম্পোজারকেই ফলো করার চেষ্টা করি। এখানেও করেছি। সবার ভাল লাগবে আশা করছি। তানভীর তারেক বলেন, এটা আমার দ্বিতীয় প্লেব্যাক। সব মিলিয়ে অন্য যে কোন কাজের থেকে প্লে-ব্যাকের বিষয়টা আলাদা। সম্পূর্ণ একটি ড্যান্স ট্র্যাক তৈরি করেছি। আশা করছি সব ধরনের শ্রোতার কাছেই ভাল লাগবে।
চলচ্চিত্রের গান প্রসঙ্গে পড়শী বলেন, তানভীর ভাইয়ের সুরে এর আগে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের একটা কাজ করেছিলাম, এবারে প্লেব্যাক করলাম। দুটিই চমৎকার কাজ। আমি গানের ক্ষেত্রে স্বভাবতই কম্পোজারকেই ফলো করার চেষ্টা করি। এখানেও করেছি। সবার ভাল লাগবে আশা করছি। তানভীর তারেক বলেন, এটা আমার দ্বিতীয় প্লেব্যাক। সব মিলিয়ে অন্য যে কোন কাজের থেকে প্লে-ব্যাকের বিষয়টা আলাদা। সম্পূর্ণ একটি ড্যান্স ট্র্যাক তৈরি করেছি। আশা করছি সব ধরনের শ্রোতার কাছেই ভাল লাগবে।
আজীবন সম্মাননায় সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও রুনা লায়লা
অষ্টম সিটিসেল চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডে আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হলেন বাংলা গানের দুই দিকপাল রুনা লায়লা ও গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। গত ১০ জানুয়ারী সন্ধ্যায় কলকাতায় ওবেরয় গ্রান্ড হোটেল বলরুমে তাদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর ও সিটিসেলের সিইও মেহবুব চৌধুরী। এটি ছিল এবারের মিউজিক অ্যাওয়ার্ডের প্রথম পর্ব। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এ অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় ও শেষ পর্ব অনুষ্ঠিত হবে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশের চট্টগ্রামে। সেখানে অন্যান্য ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রদান করা হবে। ওবেরয় গ্রান্ড হোটেল বলরুমে অনুষ্ঠিত আজীবন সম্মনানা প্রদান এ পর্বটি ছিল বেশ আড়ম্বরপূর্ণ। অষ্টম সিটিসেল চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড আজীবন সম্মাননা প্রদান এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুই বাংলার খ্যাতিমান সঙ্গীতশিল্পী, কবি-সাহিত্যিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্বরা।
আনন্দধারা বহিছে ভুবনেÑ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এ গানের সঙ্গে একটি মনোমগ্ধকর নাচের সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় আজীবন সম্মাননা প্রদান পর্বটি। সম্মাননা পাওয়ার অনুভূতি জানাতে গিয়ে গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখার্জি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে আমার সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। অনেক বছর ধরেই বাংলাদেশের রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমীন, সুবীর নন্দী, আবদুল জব্বারের গান শুনেছি। তারা দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশের সঙ্গীতের ক্ষুধা মিটিয়েছে। এমনকি চলচ্চিত্রে বহু শ্রোতাপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন। আজ তাদের কাছে পেয়ে আমি সত্যিই আনন্দিত। বহুবার বাংলাদেশে যাওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছি। কিন্তু নানা কারণে যাওয়া হয়ে ওঠেনি। আজ এ সম্মাননা পেয়ে আমি গর্বিত।
তিনি আরো বলেন, আমার প্রিয় শিল্পীদের মধ্যে রুনা লায়লাকে নিজ হাতে সম্মাননা দিতে পেরে আনন্দ অনুভব করছি। আজীবন সম্মাননা পেয়ে রুনা লায়লা বলেন, আমি যার গান শুনে বড় হয়েছি। তার হাত থেকে এ সম্মাননাটি পেয়ে ভালো লাগছে। এ দুই গুণী শিল্পীকে আজীবন সম্মাননা প্রদান শেষে অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও শ্রীকান্ত আচার্য্য। ফারজানা ব্রাউনিয়ার উপস্থাপনায় বর্ণাঢ্য এ আয়োজনে আরো উপস্থিত ছিলেন শাইখ সিরাজ, সাবিনা ইয়াসমিন, আফজাল হোসেন, কুমার বিশ্বজিত, সুবীর নন্দী, সৈয়দ আবদুল হাদী, খুরশীদ আলম, শাহীন সামাদ, অভিনেতা আলমগীর, ফেরদৌসসহ দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনয় কণ্ঠশিল্পীরা।
আনন্দধারা বহিছে ভুবনেÑ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এ গানের সঙ্গে একটি মনোমগ্ধকর নাচের সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় আজীবন সম্মাননা প্রদান পর্বটি। সম্মাননা পাওয়ার অনুভূতি জানাতে গিয়ে গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখার্জি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে আমার সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। অনেক বছর ধরেই বাংলাদেশের রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমীন, সুবীর নন্দী, আবদুল জব্বারের গান শুনেছি। তারা দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশের সঙ্গীতের ক্ষুধা মিটিয়েছে। এমনকি চলচ্চিত্রে বহু শ্রোতাপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন। আজ তাদের কাছে পেয়ে আমি সত্যিই আনন্দিত। বহুবার বাংলাদেশে যাওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছি। কিন্তু নানা কারণে যাওয়া হয়ে ওঠেনি। আজ এ সম্মাননা পেয়ে আমি গর্বিত।
তিনি আরো বলেন, আমার প্রিয় শিল্পীদের মধ্যে রুনা লায়লাকে নিজ হাতে সম্মাননা দিতে পেরে আনন্দ অনুভব করছি। আজীবন সম্মাননা পেয়ে রুনা লায়লা বলেন, আমি যার গান শুনে বড় হয়েছি। তার হাত থেকে এ সম্মাননাটি পেয়ে ভালো লাগছে। এ দুই গুণী শিল্পীকে আজীবন সম্মাননা প্রদান শেষে অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও শ্রীকান্ত আচার্য্য। ফারজানা ব্রাউনিয়ার উপস্থাপনায় বর্ণাঢ্য এ আয়োজনে আরো উপস্থিত ছিলেন শাইখ সিরাজ, সাবিনা ইয়াসমিন, আফজাল হোসেন, কুমার বিশ্বজিত, সুবীর নন্দী, সৈয়দ আবদুল হাদী, খুরশীদ আলম, শাহীন সামাদ, অভিনেতা আলমগীর, ফেরদৌসসহ দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনয় কণ্ঠশিল্পীরা।
মাছরাঙায় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত উৎসব
'ভালো গান দিয়ে ভালো দিন আসুক' প্রতিপাদ্য নিয়ে গত বছরের ২৯ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় শাস্ত্রীয়সঙ্গীত উৎসব। এতে উপমহাদেশের প্রায় ১০০ খ্যাতিমান শিল্পী সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন। তাদের মধ্যে ছিলেন বিদুষী গিরিজা দেবী, পণ্ডিত শিবকুমার শর্মা, পণ্ডিত হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়া, ওস্তাদ রশিদ খান, পণ্ডিত বিরজু মহারাজ, পন্ডিত রাজন ও সাজন মিশ্র, ওস্তাদ আলী আহমেদ হুসেন, পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী প্রমুখ। ঢাকার বেঙ্গল ফাউন্ডেশন ও কলকাতার আইটিসি সঙ্গীত রিসার্চ একাডেমীর যৌথ এই আয়োজনের ধারণকৃত অংশ আজ থেকে মাছরাঙা টিভিতে প্রতি শুক্র ও শনিবার রাত ৯টায় প্রচার হবে। আজ থাকছে ওস্তাদ আলী আহমেদ হুসেন খাঁর সানাই। প্রযোজনায় স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ূয়া।- সমকাল
শিরিনের চমক
নিজের নতুন একক অ্যালবাম প্রকাশের জন্য বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন পাঞ্জাবিওয়ালাখ্যাত কণ্ঠশিল্পী শিরিন। এটি হলো তার ক্যারিয়ারের তৃতীয় একক। এর আগে ‘পাঞ্জাবিওয়ালা’ এবং ‘মাতওয়ালী’ নামক দুটি একক প্রকাশিত হয়েছে তার। এই দুটি অ্যালবাম থেকে বেশ কিছু গানই শ্রোতাপ্রিয়তা পায়। নিজের নতুন অ্যালবামের নাম শিরিন রেখেছেন ‘দিলহারা’। এদিকে গেল কোরবানি ঈদের পর ম্যাজিকাল তারিখ ১২-১২-১২-তে নিজের এ অ্যালবামটি প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বিভিন্ন কারণে সেটি আর হয়ে ওঠেনি। এদিকে এ অ্যালবামটি খুব শিগগিরই প্রকাশ করবেন বলে জানিয়েছেন শিরিন। হতে পারে সেটা আসছে ভালবাসা দিবসও। তবে অ্যালবাম প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে ‘চ্যাংড়া চাবিওয়ালা’ চমক নিয়ে দর্শকদের সামনে হাজির হচ্ছেন তিনি। ‘চ্যাংড়া চাবিওয়ালা’ হলো শিরিনের অ্যালবামের একটি গানের শিরোনাম, যার মিউজিক ভিডিও প্রকাশ হতে যাচ্ছে খুব শিগগিরই। আগের মতোই বেশ ভিন্নধর্মী আয়োজনে এ গানটির মিউজিক ভিডিও করা হচ্ছে বলে জানান শিরিন। তবে তার অ্যালবামটি কোন ব্যানার থেকে প্রকাশ হবে তা এখনও পাকাপাকি হয়নি। বিভিন্ন ধরনের গান দিয়ে সাজানো হয়েছে অ্যালবামটি। এদিকে শিরিনের এ অ্যালবামের সুর-সংগীতায়োজন করেছেন বাপ্পা মজুমদার, ফুয়াদ আল মুক্তাদির, হৃদয় খান, রোমেল আলী, রাফা, ইউরোপে বসবাসরত বাঙালি কম্পোজার সাকিব ও ভারতের ক্যাথেন। এদিকে অ্যালবামের বাইরে টুকটাক স্টেজ প্রোগ্রামও এখন করছেন শিরিন। যার ধারাবাহিকতায় আগামীকাল এসএটিভির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করবেন তিনি। নিজের নতুন একক ও মিউজিক ভিডিও সম্পর্কে শিরিন বলেন, অ্যালবামটি প্রকাশ করতে চেয়েছিলাম গত বছরই। কিন্তু সেটা আর হলো না। তবে সবুরের ফল মিষ্টি হয়, এই প্রবাদে আমি বিশ্বাসী। দেশ ছাড়ার আগে অ্যালবাম প্রকাশ ছাড়াও ‘চ্যাংড়া চাবিওয়ালা’ গানটির মিউজিক ভিডিও দর্শকদের উপহার দিয়ে যেতে চাই। আশা করি সবার ভাল লাগবে। - মানবজমিন
মিলু’র গান নিয়ে ওয়েবসাইট করছেন প্রতীক
প্রতীক হাসানকে সবাই চেনেন অকাল প্রয়াত শিল্পী খালিদ হাসান মিলুর সন্তান হিসেবে। এখনও বাবার মতো অনেক জনপ্রিয়তা না কুড়াতে পারলেও সংগীতাঙ্গনে ইতিমধ্যেই বেশ সন্তোষজনক অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন প্রতীক। বাবার দেখানো পথ ধরেই তিনি এগিয়ে চলেছেন সংগীতের পথে। বর্তমান সময়ে নিজের নতুন এককের কাজ এবং বাবার পুরনো গানের একটি সংকলন নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। নতুন একক অ্যালবামের নাম এখনও ঠিক না হলেও প্রতীক বলেন, ভ্যালেন্টাইনস ডে সামনে রেখেই অ্যালবামের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। প্রায় সব গানের মিউজিক ও কম্পোজিশন আমার নিজের করা। কয়েকটি গানের কথাও লিখেছি। আশা করছি অ্যালবামটিতে নতুন কিছু দিতে পারবো। অ্যালবামের একটি গানের মিউজিক ভিডিও করার জন্য নেপাল যাচ্ছেন প্রতীক। বললেন, আগামী অ্যালবামে আমার লেখা, সুর এবং কম্পোজিশনে ‘প্রেমে পড়েছি’ শিরোনামের গানটির মিউজিক ভিডিও করবো নেপালে। আগামীকাল নেপাল যাচ্ছি। নতুন একক এবং নেপালে মিউজিক ভিডিও’র পাশাপাশি নতুন একটি পরিকল্পনার কথাও জানালেন প্রতীক। বাবা খালিদ হাসান মিলুর নামে একটি ওয়েবসাইট প্রকাশ করবেন শিগগিরই। বললেন, দেশে ও দেশের বাইরে নানান জায়গায় যখন গান গাইতে যাই তখন অনেকেই আমাকে বাবার অনেক গানের কথা বলেন যেগুলোর কোন রেকর্ড এখন আর খুঁজে পাওয়া যায় না। অডিও ও প্লেব্যাক মিলিয়ে বাবার গাওয়া গানের সংখ্যা দু’ হাজারের বেশি। আমি এখন সব গান এক এক করে সংগ্রহ করছি। সংগ্রহ করা শেষ হলে বাবার নামে একটি ওয়েবসাইট খুলে সব গান সেখানে আপলোড করবো। তার যে কোন গান যেন বিশ্বের যেকোন প্রান্তের মানুষ সংগ্রহ করতে পারেন সেই ইচ্ছে থেকেই এই উদ্যোগ আমার। এখানে আমি বাণিজ্যের কথা একদমই ভাবছি না। প্রতীক জানান, এরই মধ্যে খালিদ হাসান মিলুর গানগুলো সংগ্রহের পাশাপাশি চলছে ওয়েবসাইট ডিজাইনেরও কাজ। সব ঠিক থাকলে মাস ছয়েকের মধ্যে এই ওয়েবসাইটটি চালু করতে পারবেন বলে মত প্রকাশ করেন তিনি। উল্লেখ্য, অনেকটা প্রচার বিমুখ খালিদ হাসান মিলু পুত্র প্রতীক হাসানের এ পর্যন্ত ৬টি একক অ্যালবাম প্রকাশ পেয়েছে। অ্যালবামগুলো হলো ভালবাসা চাই (২০০৫), মনের মানুষ (২০০৬), তুমি নেই কিছু নেই (২০০৭), ভালবাসি বেসে যাবো (২০০৮), প্রজাপতি চোখ (২০০৯) এবং প্রেম মাদল (২০১০)। আসছে ভালবাসা দিবসে তার নতুন একক অ্যালবাম প্রকাশ হবে। যে অ্যালবামটির সম্ভাব্য নাম ‘প্রেমে পড়েছি’। - মানবজমিন
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে লোকসংগীতকে তুলে ধরার চেষ্টা লক্ষ্মীটেরার
ব্যান্ডের নাম লক্ষ্মীটেরা। লন্ডনভিত্তিক এই গানের দল গড়ে উঠেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিল্পীদের নিয়ে। নেতৃত্বে রয়েছেন পিয়ানোবাদক ও সংগীত পরিচালক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক কিশন খান। কাল শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁরা পাশ্চাত্য যন্ত্রের সঙ্গে বাংলাদেশের লোকসংগীত পরিবেশন করবেন। বাংলাদেশের লোকসংগীতকে তাঁরা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নিয়ে যেতে চান।
গুলশানের একটি বাড়িতে প্রায় ১০ দিন ধরে নিবিড় অনুশীলন করছেন লক্ষ্মীটেরার শিল্পীরা। তাঁদের সঙ্গে এবার ঢাকার কয়েকজন লোকসংগীতশিল্পী অংশ নিচ্ছেন। গত মঙ্গলবার তাঁদের পরিকল্পনা, অনুশীলন প্রভৃতি নিয়ে কথা হলো কিশন খানের সঙ্গে। তিনি জানান, ঢাকায় লক্ষ্মীটেরা একেবারেই অপরিচিত নয়। এটি তাঁদের পঞ্চম সফর। ২০১০ সালে তাঁরা প্রথম এসেছিলেন। সেবার তাঁরা গেয়েছিলেন সাফ গেমসের সমাপনী অনুষ্ঠানে এবং এর সংগীত পরিচালনাও করেছিলেন। তার পর থেকে প্রতিবছরই আসছেন। এর মধ্যে ঢাকায় বিশ্ব সংগীত উৎসবে অংশ নেওয়াসহ বিভিন্ন স্থানে তাঁরা পশ্চিমা যন্ত্রানুষঙ্গে বাংলাদেশের লোকসংগীত পরিবেশন করেছেন। এবার এসেছেন কসমস গ্রুপের ব্যবস্থাপনায়। শুক্রবার গুলশানের রেডশিফট ক্যাফেতে তাঁরা প্রথম অনুষ্ঠান করবেন। এ ছাড়া চ্যানেল আইয়ের একটি অনুষ্ঠানসহ আরও কয়েকটি অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।
এবার তাঁরা লালন সাঁইয়ের ‘মনের মানুষ চিনলাম না’, হাসন রাজার ‘বাউলা কে বানাইল রে’, শাহ আবদুল করিমের ‘কোন মিস্তরি নাও বানাইল’, ‘কারি আমির উদ্দিনের ‘জিকির কর জিকির কর’সহ বিভিন্ন গান পরিবেশন করবেন। এ ছাড়া এবার তাঁরা চাকমা ভাষারও একটি গান শোনাবেন। তাঁদের সঙ্গে অংশ নিচ্ছেন বাংলাদেশের শিল্পী বেবী আক্তার ও ঢোলবাদক নজরুল ইসলাম। লক্ষ্মীটেরার সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ কণ্ঠশিল্পী সোহানী আলম। কিউবার রয়েছেন তিনজন—জিমি মার্টিনেজ, ওরেস্তে নোডা ও হ্যাভিয়ে। তুরস্কের তানজাইওমা; ব্রিটিশ জাসটিন থাগা ও ফেলপ ডোসেন এবং কানাডার জে. ফেলপস। লক্ষ্মীটেরার সঙ্গে আরও দুজন বাংলাদেশি ব্রিটিশ কণ্ঠশিল্পী রয়েছেন—আনান সিদ্দিকা ও আনিরে খান। তাঁরা এবার আসছেন না।
কিশন খান জানান, ২০০৬ সালে লক্ষ্মীটেরার যাত্রা শুরু। পশ্চিমা যন্ত্রানুষঙ্গে বাংলাদেশের লোকসংগীতের নিরীক্ষামূলক পরিবেশনা করে থাকেন তাঁরা। লোকগান ও যন্ত্রসংগীতের সংকলিত দুটো অ্যালবামও বেরিয়েছে তাঁদের। যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহরে তাঁরা নিয়মিত অনুষ্ঠান করেন। সে দেশের শ্রোতারা দারুণ উপভোগ করেন নতুন ধরনের এই গান। ভাষাগত সমস্যা তেমন বড় নয়। গানের মূল সুর ঠিক রেখে তাঁরা নিরীক্ষাধর্মী যন্ত্রবাদনের সমন্বয় করেন। এটি পশ্চিমা শ্রোতাদের কাছে বেশ উপভোগ্য হয়েছে।
কিশন খান বলেন, তাঁরা বাংলা লোকসংগীতের পাশাপাশি কিউবা, আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকার লোকসংগীত নিয়েও কাজ করছেন। তবে প্রাধান্য দিচ্ছেন বাংলা গানের প্রতি। ইউরোপে লোকসংগীতের কোনো উৎসব হলে সেখানে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, এমনকি নেপালের লোকসংগীতশিল্পীরাও অংশ নেন। কিন্তু বাংলাদেশের এত সমৃদ্ধ লোকসংগীত থাকলেও বাংলা গান সেখানে তেমনভাবে উপস্থাপিত হয় না। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের এই অনুপস্থিতির দুঃখবোধ থেকেই লক্ষ্মীটেরা যাত্রা শুরু। এ বছরের মাঝ নাগাদ তাঁরা লন্ডনে একটি বড় অনুষ্ঠানের আয়োজন করছেন, যেখানে লক্ষ্মীটেরার সঙ্গে বাংলাদেশের শিল্পীরাও অংশ নেবেন। এবারের সফর অনেকটা সেই আয়োজনের প্রস্তুতি পর্ব। - প্রথম আলো
গুলশানের একটি বাড়িতে প্রায় ১০ দিন ধরে নিবিড় অনুশীলন করছেন লক্ষ্মীটেরার শিল্পীরা। তাঁদের সঙ্গে এবার ঢাকার কয়েকজন লোকসংগীতশিল্পী অংশ নিচ্ছেন। গত মঙ্গলবার তাঁদের পরিকল্পনা, অনুশীলন প্রভৃতি নিয়ে কথা হলো কিশন খানের সঙ্গে। তিনি জানান, ঢাকায় লক্ষ্মীটেরা একেবারেই অপরিচিত নয়। এটি তাঁদের পঞ্চম সফর। ২০১০ সালে তাঁরা প্রথম এসেছিলেন। সেবার তাঁরা গেয়েছিলেন সাফ গেমসের সমাপনী অনুষ্ঠানে এবং এর সংগীত পরিচালনাও করেছিলেন। তার পর থেকে প্রতিবছরই আসছেন। এর মধ্যে ঢাকায় বিশ্ব সংগীত উৎসবে অংশ নেওয়াসহ বিভিন্ন স্থানে তাঁরা পশ্চিমা যন্ত্রানুষঙ্গে বাংলাদেশের লোকসংগীত পরিবেশন করেছেন। এবার এসেছেন কসমস গ্রুপের ব্যবস্থাপনায়। শুক্রবার গুলশানের রেডশিফট ক্যাফেতে তাঁরা প্রথম অনুষ্ঠান করবেন। এ ছাড়া চ্যানেল আইয়ের একটি অনুষ্ঠানসহ আরও কয়েকটি অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।
এবার তাঁরা লালন সাঁইয়ের ‘মনের মানুষ চিনলাম না’, হাসন রাজার ‘বাউলা কে বানাইল রে’, শাহ আবদুল করিমের ‘কোন মিস্তরি নাও বানাইল’, ‘কারি আমির উদ্দিনের ‘জিকির কর জিকির কর’সহ বিভিন্ন গান পরিবেশন করবেন। এ ছাড়া এবার তাঁরা চাকমা ভাষারও একটি গান শোনাবেন। তাঁদের সঙ্গে অংশ নিচ্ছেন বাংলাদেশের শিল্পী বেবী আক্তার ও ঢোলবাদক নজরুল ইসলাম। লক্ষ্মীটেরার সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ কণ্ঠশিল্পী সোহানী আলম। কিউবার রয়েছেন তিনজন—জিমি মার্টিনেজ, ওরেস্তে নোডা ও হ্যাভিয়ে। তুরস্কের তানজাইওমা; ব্রিটিশ জাসটিন থাগা ও ফেলপ ডোসেন এবং কানাডার জে. ফেলপস। লক্ষ্মীটেরার সঙ্গে আরও দুজন বাংলাদেশি ব্রিটিশ কণ্ঠশিল্পী রয়েছেন—আনান সিদ্দিকা ও আনিরে খান। তাঁরা এবার আসছেন না।
কিশন খান জানান, ২০০৬ সালে লক্ষ্মীটেরার যাত্রা শুরু। পশ্চিমা যন্ত্রানুষঙ্গে বাংলাদেশের লোকসংগীতের নিরীক্ষামূলক পরিবেশনা করে থাকেন তাঁরা। লোকগান ও যন্ত্রসংগীতের সংকলিত দুটো অ্যালবামও বেরিয়েছে তাঁদের। যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহরে তাঁরা নিয়মিত অনুষ্ঠান করেন। সে দেশের শ্রোতারা দারুণ উপভোগ করেন নতুন ধরনের এই গান। ভাষাগত সমস্যা তেমন বড় নয়। গানের মূল সুর ঠিক রেখে তাঁরা নিরীক্ষাধর্মী যন্ত্রবাদনের সমন্বয় করেন। এটি পশ্চিমা শ্রোতাদের কাছে বেশ উপভোগ্য হয়েছে।
কিশন খান বলেন, তাঁরা বাংলা লোকসংগীতের পাশাপাশি কিউবা, আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকার লোকসংগীত নিয়েও কাজ করছেন। তবে প্রাধান্য দিচ্ছেন বাংলা গানের প্রতি। ইউরোপে লোকসংগীতের কোনো উৎসব হলে সেখানে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, এমনকি নেপালের লোকসংগীতশিল্পীরাও অংশ নেন। কিন্তু বাংলাদেশের এত সমৃদ্ধ লোকসংগীত থাকলেও বাংলা গান সেখানে তেমনভাবে উপস্থাপিত হয় না। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের এই অনুপস্থিতির দুঃখবোধ থেকেই লক্ষ্মীটেরা যাত্রা শুরু। এ বছরের মাঝ নাগাদ তাঁরা লন্ডনে একটি বড় অনুষ্ঠানের আয়োজন করছেন, যেখানে লক্ষ্মীটেরার সঙ্গে বাংলাদেশের শিল্পীরাও অংশ নেবেন। এবারের সফর অনেকটা সেই আয়োজনের প্রস্তুতি পর্ব। - প্রথম আলো
ওয়ারফেইজ এ দুই অতিথি গিটারিস্ট
নিয়মিত সদস্যদের অভাব পূরণ করতে দু’জন অতিথি গিটারিস্ট কাজ করছেন বাংলাদেশের রক ব্যান্ড ‘ওয়ারফেইজ’এ।
দলনেতা শেখ মনিরুল আলম টিপু এই ঘোষণাকে দলীয় সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন গ্লিটজকে। তিনি বলেন, ‘উচ্চতর পড়াশোনার জন্য পরবর্তী সেমিস্টার ধরতে ইউকে যাচ্ছেন আমাদের গিটারিস্ট অনি হাসান। আমরা তার সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করি। আর কমলের (ইবরাহিম আহমেদ কমল) সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, সার্জারির ধকল কাটিয়ে যতো শিগগিরি সম্ভব দলে ফিরতে চান। কাজে ফিরে ওয়ারফেইজের জন্য আরো ভালো সুর তৈরি অব্যাহত রাখতে চান তিনি ।’
দুই গিটারিস্টের অনুপস্থিতি সত্তে¡ও নিজেদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে চায় ওয়ারফেইজ। এর জন্য দুই অতিথি গিটারিস্ট নেওয়া হয়েছে বলে জানান টিপু। এ বিষয়ে তিনি গ্লিটজকে বলেন, ‘মেটালমেইজ-এর কাজী ফয়সাল আহমেদ ও পাওয়ারসার্জ-এর সামির হাফিজ খান আমাদের সঙ্গে অতিথি গিটারিস্ট হিসেবে কাজ করবেন।’
কাজী ফয়সাল ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশী মেটাল ব্যান্ড মেটাল মেইজ-এর প্রতিষ্ঠাতা লিড গিটারিস্ট। সামির ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত ব্যান্ড পাওয়ারসার্জ ও শার্পনেল মেথোড -এর প্রতিষ্ঠাতা গিটারিস্ট। টিপু গ্লিটজকে আরো বলেন, ‘দু’জনকে নিয়ে ইতোমধ্যে ১১, ১২ জানুয়ারি দু’টি অনুষ্ঠানে পরিবেশনা করেছি আমরা। বেশ সাড়া পেয়েছি শ্রোতা-ভক্তদের।’ - বিডি নিউজ
দলনেতা শেখ মনিরুল আলম টিপু এই ঘোষণাকে দলীয় সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন গ্লিটজকে। তিনি বলেন, ‘উচ্চতর পড়াশোনার জন্য পরবর্তী সেমিস্টার ধরতে ইউকে যাচ্ছেন আমাদের গিটারিস্ট অনি হাসান। আমরা তার সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করি। আর কমলের (ইবরাহিম আহমেদ কমল) সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, সার্জারির ধকল কাটিয়ে যতো শিগগিরি সম্ভব দলে ফিরতে চান। কাজে ফিরে ওয়ারফেইজের জন্য আরো ভালো সুর তৈরি অব্যাহত রাখতে চান তিনি ।’
দুই গিটারিস্টের অনুপস্থিতি সত্তে¡ও নিজেদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে চায় ওয়ারফেইজ। এর জন্য দুই অতিথি গিটারিস্ট নেওয়া হয়েছে বলে জানান টিপু। এ বিষয়ে তিনি গ্লিটজকে বলেন, ‘মেটালমেইজ-এর কাজী ফয়সাল আহমেদ ও পাওয়ারসার্জ-এর সামির হাফিজ খান আমাদের সঙ্গে অতিথি গিটারিস্ট হিসেবে কাজ করবেন।’
কাজী ফয়সাল ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশী মেটাল ব্যান্ড মেটাল মেইজ-এর প্রতিষ্ঠাতা লিড গিটারিস্ট। সামির ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত ব্যান্ড পাওয়ারসার্জ ও শার্পনেল মেথোড -এর প্রতিষ্ঠাতা গিটারিস্ট। টিপু গ্লিটজকে আরো বলেন, ‘দু’জনকে নিয়ে ইতোমধ্যে ১১, ১২ জানুয়ারি দু’টি অনুষ্ঠানে পরিবেশনা করেছি আমরা। বেশ সাড়া পেয়েছি শ্রোতা-ভক্তদের।’ - বিডি নিউজ
রবিশঙ্কর স্মরণে সেতার সন্ধ্যা
উপমহাদেশের ধ্রুপদী সঙ্গীতকে পশ্চিমা বিশ্বে জনপ্রিয় করে তোলার কিংবদন্তি শিল্পী পণ্ডিত রবিশঙ্কর স্মরণে মোবাইল ফোন অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেড ১২ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাদের গুলশান কার্যালয়ে এক ব্যতিক্রমী সেতার সন্ধ্যার আয়োজন করে। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের সহায়তায় যে ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠানটি হয়েছিল তাতে জর্জ হ্যারিসনের সঙ্গে সঙ্গীত পরিবেশন করেন রবিশঙ্কর। তিনি ওই কনসার্টের একজন উদ্যোক্তা ছিলেন। গত বছরের ১১ ডিসেম্বর বাংলাদেশের মহান বিজয়ের মাসে যুক্তরাষ্ট্রে মারা যাওয়া রবিশঙ্করকে শ্রদ্ধা জানাতে মোবাইল ফোন অপারেটর রবি আয়োজিত অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিরা একসঙ্গে সাতজন সেতার বাদকের যন্ত্রসঙ্গীত উপভোগ করেন। এতে রবি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাইকেল ক্যুনার ছাড়াও মালয়েশিয়ান দূতাবাস, ঢাকার কর্মকর্তা এবং রবি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানো রবিশঙ্করকে শ্রদ্ধা জানিয়ে অনুষ্ঠিত সঙ্গীতায়োজনে রবি’র পক্ষ থেকে রবিশঙ্করকে স্মরণ করে কৃতজ্ঞতা জানানো হয়। রবিশঙ্কর বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত প্রথম ভারতীয় যিনি বিশ্বদরবারে বাংলাদেশকে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেন। তার জীবনের বেশিরভাগ সময় কেটেছে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত সাধনা করে। মনোহরি সেতার বাদক হিসেবে তার খ্যাতি বিশ্বজুড়ে। - আমার দেশ
ন্যান্সির সঙ্গে জনি
জনি খন্দকার গান করেন দীর্ঘদিন ধরে। এবার নিজের প্রথম একক অ্যালবাম প্রকাশ করতে যাচ্ছেন তিনি। এই অ্যালবামের একটি গানে ন্যান্সির সঙ্গে দ্বৈত কণ্ঠ দিয়েছেন জনি। 'ভালোবাসি যাও না বলে' শিরোনামের এ গানের সুর ও সংগীত করেছেন ইমরান। এ প্রসঙ্গে জনি বলেন, 'ন্যান্সি আমার অনেক পছন্দের একজন গায়িকা। প্রথম একক অ্যালবামেই তাঁর সঙ্গে গাইতে পারাটা আমার জন্য অনেক আনন্দের!' তিনি জানান, অ্যালবামটির নাম এখনো চূড়ান্ত হয়নি। অ্যালবামে গান থাকবে ১০টি। আটটির কাজ এরই মধ্যে শেষ। এতে দ্বৈত গান থাকছে দুটি। অন্য দ্বৈত গানটিতে জনির সঙ্গে গেয়েছেন মোহনা। অ্যালবামটির সুর ও সংগীত পরিচালনায় রয়েছেন ওস্তাদ সুরবন্ধু অশোক চৌধুরী, বাপ্পা মজুমদার, বেলাল খান ও ইমরান। আসছে পহেলা বৈশাখে অ্যালবামটি প্রকাশ পাবে।
মমতাজ রিমেক করছেন নিজের গান
মমতাজের গাওয়া অনেক জনপ্রিয় গানের গীতিকার ও সুরকার হাসান মতিউর রহমান। তাঁর কথায় প্রায় ২৬৫টি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন মমতাজ। বিভিন্ন সময়ে হাসান মতিউর রহমানের কথা ও সুরে গাওয়া ১২টি গান এবার রিমেক করে গাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মমতাজ। এরই মধ্যে সাতটির নতুন সংগীতায়োজনের কাজ শেষ। নতুন করে গানগুলোর সংগীতায়োজন করছেন এফ এ সুমন। কাজ শেষ হলেই চেনা সুরের ব্যানারে নাম চূড়ান্ত না হওয়া এই অ্যালবাম প্রকাশ পাবে বলে জানিয়েছেন হাসান মতিউর রহমান। তিনি আরো জানান, এরই মধ্যে যে গানগুলোর নতুন সংগীতায়োজন করা হয়েছে, সেগুলো হলো 'এবার না আসিলে বাড়িতে', 'নতুন পিরিতি করে', 'আধাকলসি ভরা আমার', 'বন্ধুর বাড়ির নিমগাছে', 'আজ রাত বারোটার গাড়িতে', 'ঐ দেখা যায় আমার বাপের বাড়ি' ও 'তোমার আমার গোপন পিরিত'। মমতাজ বলেন, 'এই গানগুলো এক সময় বেশ জনপ্রিয় ছিল। এখনো বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমি গানগুলো করি। তবে গানগুলো সেই অর্থে শ্রোতাদের সংগ্রহে নেই। পাশাপাশি এখনকার সংগীতায়োজনও আগের চেয়ে অনেক ভালো। এ দুটি দিক মাথায় রেখেই গানগুলো নতুন করে করছি। আশা করি, নতুনভাবে সবাই গানগুলো এনজয় করতে পারবেন।' দু-এক দিনের মধ্যেই গানগুলোতে কণ্ঠ দেওয়া শুরু করবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
‘বাংলাদেশী আইডল’ শুরু ফেব্রুয়ারি থেকে
৪০টিরও বেশি দেশে ইতিমধ্যে সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে আইডল ফরম্যাটের সংগীত প্রতিযোগিতা। এবার বাংলাদেশের মাটিতে প্রথমবারের মতো শুরু হতে যাচ্ছে এই সংগীত প্রতিযোগিতাটি অর্থাৎ ‘বাংলাদেশী আইডল’। আগামী ১৯শে জানুয়ারি থেকে পূর্ণাঙ্গ সমপ্রচারে আসতে যাওয়া প্রথম থ্রিজি এইচডি স্যাটেলাইট চ্যানেল এসএ টিভিতে আসছে ‘বাংলাদেশী আইডল’। ডেল্টা বে’র আয়োজনে ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাচ্ছে এই সংগীত প্রতিযোগিতার অডিশন। এ উপলক্ষে ‘বাংলাদেশী আইডল’ এবং এর বিচারকদের পরিচয় করিয়ে দিতে গতকাল সকালে রাজধানীর হোটেল রূপসী বাংলার উইন্টার গার্ডেনে আয়োজন করা হয় এক সংবাদ সম্মেলনের। এতে উপস্থিত ছিলেন ডেল্টা বে প্রোডাকশনস এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন প্রাইভেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান ফখরুদ্দিন রাজী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঈনুল হোসেন মুকুল, উপদেষ্টা খ ম হারুন, এসএ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালাহউদ্দিন আহমেদ, চিফ অপারেটিং অফিসার সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকী, উপদেষ্টা (সেলস এন্ড মার্কেটিং) জাফর আই খান, হেড অব প্রোগ্রাম জেরিন আলতাফ এবং হেড অব নিউজ স্কট ক্রেইগ। আরও উপস্থিত ছিলেন ‘ডেল্টা বে’র ভাইস চেয়ারম্যান সাদিকুর রহমান এবং ডিরেক্টর (ফিন্যান্স) আলী মো. জাকারিয়া। এ অনুষ্ঠান আয়োজন সম্পর্কে ডেল্টা বে’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঈনুল হোসেন মুকুল বলেন, বিশ্বমানের অনুষ্ঠানগুলো দেশের দর্শক আমাদের নিজস্ব চ্যানেলে দেখবেন, এমন লক্ষ্য নিয়েই ‘ডেল্টা বে’র যাত্রা শুরু হয়েছিলো। সে কারণেই আমরা ‘হু ওয়ান্টস টুবি এ মিলেনিয়র’-এর বাংলাদেশী সংস্করণ ‘কে হতে চায় কোটিপতি’ নির্মাণ করেছিলাম। তারই ধারাবাহিকতায় এবার ‘আইডল’ ফরম্যাটে আমরা নির্মাণ করছি ‘বাংলাদেশী আইডল’। এদিকে এসএ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশী দর্শকদের বিদেশী চ্যানেল থেকে মুখ ফেরানোই আমাদের এসএ টিভির উদ্দেশ্য। চলতি মাসের ১৯ তারিখ ‘বাংলাদেশী আইডল’ অনুষ্ঠানটি ঘোষণার মধ্য দিয়ে সমপ্রচারে আসছি আমরা। বক্তব্য পর্ব শেষে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয় এই সংগীত প্রতিযোগিতার চার বিচারককে। এরা হলেন- ফেরদৌসী রহমান, এন্ড্রু কিশোর, আইয়ুব বাচ্চু ও মেহরীন। তবে ফেরদৌসী রহমান দেশের বাইরে থাকায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি। তার বক্তব্যের একটি ভিডিও ফুটেজ প্রদর্শন করা হয় স্ক্রিনে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে ‘বাংলাদেশী আইডল’-এর অডিশন। পত্রিকার মাধ্যমে জানানো হবে রেজিস্ট্রেশনসহ অন্যান্য নিয়ম-কানুন। এছাড়াও www.facebook.com/ mybangladeshiidol-এর মাধ্যমেও জানা যাবে নানা তথ্য। এ প্রতিযোগিতায় ১৮ থেকে ২৮ বছর বয়সী সব বাংলাদেশী নাগরিক অংশগ্রহণ করতে পারবেন। পর্যায়ক্রমে রাঙ্গামাটি, চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ, রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও ঢাকাসহ দেশের মোট নয়টি ভেন্যুতে রেজিস্ট্রেশনের ভিত্তিতে অডিশন নেয়া হবে।
পাওয়ার ভয়েজে বিচারক হলেন বাপ্পা
চ্যানেল নাইনের রিয়ালিটি শো পাওয়ার ভয়েজের বিচারক হিসেবে যুক্ত হলেন সংগীতশিল্পী বাপ্পা মজুমদার। গতকাল পাওয়ার ভয়েজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বাপ্পা মজুমদারের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বাপ্পা মজুমদার প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘পাওয়ার ল্যাঙ্গুয়েজের বিচারক হিসেবে যুক্ত হওয়ার জন্য প্রথম থেকেই চ্যানেল নাইন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে প্রস্তাব ছিল। কিন্তু নানা কারণে তা সম্ভব হয়নি। অবশেষে তৃতীয় রাউন্ডে সেটা হলো।’
বাপ্পা আরও বলেন, ‘এরই মধ্যে অনুষ্ঠানটির বেশ কয়েকটি পর্ব দেখেছি। ভালোমানের প্রতিযোগীরাই এখানে অংশ নিয়েছেন বলে মনে হয়েছে।’ পাওয়ার ল্যাঙ্গুয়েজের প্রতিযোগিতায় মহাগুরু হিসেবে আছেন রুনা লায়লা। এছাড়া বিচারক হিসেবে আরও আছেন সুবীর নন্দী, ইমন সাহা ও মৌসুমী। অনুষ্ঠানের উপস্থাপনার দায়িত্বে আছেন আঁখি আলমগীর।
‘লুকিয়ে নয় এবার গাও চুটিয়ে’ স্লোগান নিয়ে গত বছরের শেষ দিকে শুরু হয় ‘পাওয়ার ভয়েস ২০১২’। এখন চলছে প্রতিযোগিতার তৃতীয় রাউন্ড। সারাদেশ থেকে অডিশনের মাধ্যমে পাওয়া ১৬৮ জন প্রতিযোগীদের মধ্য থেকে ৪০ জন প্রতিযোগী এই রাউন্ডের জন্য বাছাই করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বাপ্পা মজুমদার প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘পাওয়ার ল্যাঙ্গুয়েজের বিচারক হিসেবে যুক্ত হওয়ার জন্য প্রথম থেকেই চ্যানেল নাইন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে প্রস্তাব ছিল। কিন্তু নানা কারণে তা সম্ভব হয়নি। অবশেষে তৃতীয় রাউন্ডে সেটা হলো।’
বাপ্পা আরও বলেন, ‘এরই মধ্যে অনুষ্ঠানটির বেশ কয়েকটি পর্ব দেখেছি। ভালোমানের প্রতিযোগীরাই এখানে অংশ নিয়েছেন বলে মনে হয়েছে।’ পাওয়ার ল্যাঙ্গুয়েজের প্রতিযোগিতায় মহাগুরু হিসেবে আছেন রুনা লায়লা। এছাড়া বিচারক হিসেবে আরও আছেন সুবীর নন্দী, ইমন সাহা ও মৌসুমী। অনুষ্ঠানের উপস্থাপনার দায়িত্বে আছেন আঁখি আলমগীর।
‘লুকিয়ে নয় এবার গাও চুটিয়ে’ স্লোগান নিয়ে গত বছরের শেষ দিকে শুরু হয় ‘পাওয়ার ভয়েস ২০১২’। এখন চলছে প্রতিযোগিতার তৃতীয় রাউন্ড। সারাদেশ থেকে অডিশনের মাধ্যমে পাওয়া ১৬৮ জন প্রতিযোগীদের মধ্য থেকে ৪০ জন প্রতিযোগী এই রাউন্ডের জন্য বাছাই করা হয়েছে।
চমক নিয়ে আসছেন বেলাল
পাগল তোর জন্যে রে’ গানটির মাধ্যমে প্রথমবারের মতো আলোচনায় আসেন এ প্রজন্মের সংগীত শিল্পী বেলাল খান। ন্যান্সির সঙ্গে গাওয়া তার এই গানটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে সারা দেশে। জুলফিকার রাসেলের কথায় ‘পাগল তোর জন্যে রে’ ছবির এ গানটির সুরারোপও করেন বেলাল। এরপর টানা আরও দুটি ছবিতে প্লেব্যাক করেন। ছবি দুটি হলো ‘খুটি’ এবং ‘নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ’। ‘খুঁটি’ ছবিতে ন্যান্সির সঙ্গে তার গাওয়া ‘দলিল’ গানটি বেশ শ্রোতাপ্রিয়তা পায়। সামপ্রতিক সময়ে প্রকাশ পাওয়া ‘নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ’ ছবিতে বেলাল এর সঙ্গে পড়শির গাওয়া গানটি বেশ আলোচনায় আসে। সব মিলিয়ে অল্প সময়েই বেলাল চলচ্চিত্রের প্লে ব্যাকে একটি স্থান করে নিয়েছেন। এদিকে চলচ্চিত্রের বাইরে গেল বছরের শেষের দিকে প্রকাশ পায় বেলাল খানের প্রথম একক অ্যালবাম ‘আলাপন’। এর সব গানের সুর করেন শিল্পী নিজে। সংগীতে ছিলেন মুশফিক লিটু। লেজারভিশন থেকে প্রকাশ পাওয়া এই অ্যালবামে বেলালের গাওয়া ‘এক মুঠো স্বপ্ন’ গানটি গত বছরের অন্যতম জনপ্রিয় গানে পরিণত হয়। গানটি দেশের আনাচে কানাচে অলি-গলিতে বাজতে শোনা যাচ্ছে এখনও। গানটিতে তার সহশিল্পী ছিলেন মোহনা। গানটির মিউজিক ভিডিওটিও ইতিমধ্যে বেশ আলোচনায় এসেছে। পোড় খাওয়া অডিও বাজারে ‘আলাপন’ বেশ ব্যবসা সফলতাও পায়। অ্যালবাম ও চলচ্চিত্র দু’দিকেই ধারবাহিকভাবে বর্তমানে কাজ করছেন বেলাল। এর মধ্যে চলতি বছর আরও কিছু চমক নিয়ে আসছেন তিনি। সানিয়াত হোসেন পরিচালিত ‘অল্প অল্প প্রেমের গল্প’ ছবিতে দুটি গান করেছেন বেলাল। এর মধ্যে ভারতের ‘ফেমগুরুকুল’ খ্যাত গায়িকা রূপরেখা ব্যানার্জির সঙ্গে একটি দ্বৈত গান গেয়েছেন তিনি। একই ছবিতে ভারতের তারান্নুম মল্লিকের সঙ্গেও একটি দ্বৈত গানে কণ্ঠ দিয়েছেন বেলাল। এর বাইরে সামিয়া জামান পরিচালিত ‘আকাশ কত দূরে’ ছবির টাইটেল গানসহ তিনটি গান করেছেন তিনি। এর মধ্যে তার সুরে গেয়েছেন মোহনা ও খেয়া। অ্যালবাম ও চলচ্চিত্রে সামপ্রতিক সময়ে সমান জনপ্রিয়তা পেলেও চলচ্চিত্রের সংগীতের প্রতিই বেশি টান অনুভব করেন বেলাল। সে লক্ষ্য নিয়ে কাজও করে চলেছেন তিনি। পাশাপাশি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভালবাসা দিবসের পরে নিজের প্রজেক্টের বাইরে অন্য কোন অ্যালবামে কাজ করবেন না। তবে চলচ্চিত্রের গান করবেন নিয়মিত। এ বিষয়ে বেলাল বলেন, আসলে চলচ্চিত্রের গান দিয়েই আমার আসা। এর প্রতি আমার দুর্বলতা অনেক। এখন বেশ কিছু ছবির কাজ করছি, যা চলতি বছরই অডিও আকারে পাবেন শ্রোতারা। ভালবাসা দিবসের কিছু মিশ্র অ্যালবামের কাজ করছি। ফেব্রুয়ারির পর থেকে শুধু নিজের অ্যালবামের কাজ করবো বলেই ঠিক করেছি। তবে চলচ্চিত্রের গান করেই আমি বেশি মজা পাই। এই পথেই সফলতার সঙ্গে সামনে এগুতে চাই। - মানবজমিন
শাস্ত্রীয় সংগীত সম্মিলন
'শেকড়ে-শিক্ষায়-মননে-সংগ্রামে চিরবাঙালি বিশ্বশিল্পী রবি শংকর'—এই উত্সর্গ উচ্চারণে অনুষ্ঠিত হলো লক্ষ্যাপার আয়োজিত '৪র্থ বার্ষিক শাস্ত্রীয় সংগীত সম্মিলন'
শাস্ত্রীয় সংগীত সম্মেলনের ধারণা আমাদের দেশে খুব একটা প্রচলিত নয়। লক্ষ্যাপারের এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে একটি প্রকৃত সংগীত সম্মেলনের রূপ ফুটে উঠল। 'শেকড়ে-শিক্ষায়-মননে-সংগ্রামে চিরবাঙালি বিশ্বশিল্পী রবি শংকর'—এই উত্সর্গ উচ্চারণে অনুষ্ঠিত হলো লক্ষ্যাপার আয়োজিত '৪র্থ বার্ষিক শাস্ত্রীয় সংগীত সম্মিলন'। সম্প্রতি দুই দিনব্যাপী এই সংগীত সম্মেলনে প্রাঙ্গণ নারায়ণগঞ্জ ক্লাব কনভেনশন সেন্টার মুখরিত হয়ে উঠেছিল দেশ-বিদেশের শাস্ত্রীয় সংগীত শিল্পী, শিক্ষার্থী এবং শ্রোতার সমাগমে। স্বাগত ভাষণে সম্মেলনের প্রধান উপদেষ্টা কাসেম জামাল লক্ষ্যাপারের সকল উদ্যোগের পেছনে একটি আন্দোলনের চেতনা কাজ করছে উল্লেখ করে বলেন, 'আমরা শাস্ত্রীয় সংগীত চর্চার প্রসারে সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি।' জেলা খেলাঘর সভাপতি রথীন চক্রবর্তী নারায়ণগঞ্জের সকল সংস্কৃতিকর্মীর পক্ষ থেকে এই সম্মেলনকে স্বাগত জানান এবং এর সার্থকতা কামনা করেন। উদ্বোধক ওস্তাদ রবিউল হোসেন বলেন, 'শাস্ত্রীয় সংগীতের মঞ্চ থেকে আজ দেশবাসীর প্রতি এক আশার বাণী প্রচারিত হচ্ছে।' আলোচনা, জাতীয় সংগীত ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পরপরই অনুষ্ঠিত হলো একের পর এক ব্যতিক্রমধর্মী সব আয়োজন। প্রথমেই 'সংগীত শিক্ষার সেকাল-একাল' বিষয়ে গোলটেবিল বৈঠক। এতে অংশগ্রহণ করেন দুই বাংলার শাস্ত্রীয় সংগীতের শিল্পী, শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ। দ্বিতীয় পর্বে উপস্থাপিত হয় 'উপমহাদেশীয় তালবাদ্যের ভাববৈচিত্র্য' নিয়ে প্রায়োগিক আলোচনা। বিপ্লব ভট্টাচার্য (তবলা), শুষেণ রায় (পাখোয়াজ), মো. নজরুল ইসলাম (ঢোল), বিধান চন্দ্র সিংহ (মণিপুরী মৃদঙ্গ) এবং রণজিত্ কর্মকার (হাতবায়া) নিজ নিজ যন্ত্রের উত্ভব ও বিকাশের আলোচনা ও বাদনশৈলী প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে শ্রোতাদের মাতিয়ে তোলেন। মধ্যাহ্নভোজ পর্বের পর শুরু হয় স্কুল ও কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে শাস্ত্রীয় সংগীত প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতার দুই বিভাগে ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অধিকারী মোট ছয়জনকে পুরস্কার ও সনদ প্রদানের পাশাপাশি 'হারাধন-সুখেন শাস্ত্রীয় সংগীত প্রণোদনা বৃত্তি'র আওতায় বার্ষিক ৬০০০ টাকার বৃত্তি প্রদানের ঘোষণা দেওয়া হয়। সান্ধ্য অধিবেশন শুরু হয় 'ডেমন্সট্রেশন লেকচার' দিয়ে। এই পর্যায়ে ড. রেজওয়ান আলী 'ধ্রুপদ-খেয়াল আঙ্গিকে রাগরূপায়ন' নিয়ে গানে-কথায়-প্রশ্নোত্তরে প্রাণবন্ত করে তোলেন মিলনায়তন। সেদিনের শেষ পর্বে ছিল বিপ্লব ভট্টাচর্যের একক তবলা বাদন এবং ঋতুপর্ণা চক্রবর্তীর কেদার ও মালকোষ রাগে ধ্রুপদ গান পরিবেশনা। দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠান ছিল তিন পর্বে বিভক্ত। উত্সর্গ পর্বে সদ্যপ্রয়াত রবি শংকর স্মরণে উত্সর্গপত্র পাঠ এবং একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপর 'গুণীজন সম্মাননা' পর্বে 'জীবনব্যাপী সাধন-রূপায়ন-শিক্ষাদানের ব্রতে অবিচল' থাকার জন্য 'লক্ষ্যাপার আজীবন সম্মাননা' প্রদান করা হয় রাজশাহী অঞ্চলের জীবন্ত কিংবদন্তি ওস্তাদ রবিউল হোসনকে। এই পর্বটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রায় পাঁচশো মানুষের হূদয় ছুঁয়ে যায়। 'গুরুপ্রণাম ও পুষ্পবর্ষণ' অংশে লক্ষ্যাপার প্রশিক্ষণ প্রকল্পের ছয়জন শিক্ষার্থী পর্যায়ক্রমে গুরুর পা ছুঁয়ে প্রণাম করে ফুলের পাপড়ি ছড়িয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এরপর একে একে গুরুবরণ করা হয় মাল্যদান ও উত্তরীয় পরিধান করিয়ে। জীবনী ও মানপত্রপাঠ শেষে আজীবন সম্মাননা স্মারক ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়। প্রাচীন ঐতিহ্য অনুসারী এসব কৃত্যে অভিভূত ওস্তাদ রবিউল হোসেন অশ্রু সংবরণ করতে পারেননি। চোখের জলের ধারায় এবং বাষ্পরুদ্ধ কণ্ঠে তিনি তার প্রতিক্রিয়ায় জানান যে, তিনি এই সম্মানের যোগ্য নন। তিনি বলেন, 'লক্ষ্যাপারের এই প্রচেষ্টা বাংলাদেশের শাস্ত্রীয় সংগীত অঙ্গনকে জাগিয়ে তুলবে। আমার দায়িত্ব বাড়িয়ে দিলেন আপনারা। আবার নতুন করে জীবন শুরু করতে ইচ্ছে করছে।'
এরপর রাত ৯টা থেকে শুরু হওয়া শাস্ত্রীয় সংগীত পরিবেশন চলে পরদিন সকাল প্রায় নয়টা পর্যন্ত। শিল্পীরা ছিলেন প্রিয়াংকা গোপ, শুষেণ রায়, ওস্তাদ রবিউল হোসেন, মৃত্যুঞ্জয় দাস, সুপ্রতীক সেনগুপ্ত, লিও জে. বাড়ৈ, রেজওয়ানুল হক, কল্যাণ মুখোপাধ্যায় এবং ড. অসিত রায়। মাঝে নৈশভোজের বিরতি দেওয়া হয়। শিল্পী, শিক্ষার্থী, সংগঠক, সংবাদকর্মীসহ উপস্থিত প্রায় পাঁচশো শ্রোতাকে আপ্যায়িত করা হয় ভুনা খিচুড়ি, সবজি এবং ডিমের কোর্মা দিয়ে। ভাবতে অবাক ও দুঃখ লাগে যে এত তাত্পর্যপূর্ণ একটি আন্তর্জাতিক মানের শাস্ত্রীয় সংগীত সম্মেলনের সেই অর্থে কোনো নামিদামি পৃষ্ঠপোষক নেই! তবু যে লক্ষ্যাপার থামবে না এটা প্রায় নিশ্চিত। শুভকামনা তাদের প্রাপ্য। - ইত্তেফাক
এরপর রাত ৯টা থেকে শুরু হওয়া শাস্ত্রীয় সংগীত পরিবেশন চলে পরদিন সকাল প্রায় নয়টা পর্যন্ত। শিল্পীরা ছিলেন প্রিয়াংকা গোপ, শুষেণ রায়, ওস্তাদ রবিউল হোসেন, মৃত্যুঞ্জয় দাস, সুপ্রতীক সেনগুপ্ত, লিও জে. বাড়ৈ, রেজওয়ানুল হক, কল্যাণ মুখোপাধ্যায় এবং ড. অসিত রায়। মাঝে নৈশভোজের বিরতি দেওয়া হয়। শিল্পী, শিক্ষার্থী, সংগঠক, সংবাদকর্মীসহ উপস্থিত প্রায় পাঁচশো শ্রোতাকে আপ্যায়িত করা হয় ভুনা খিচুড়ি, সবজি এবং ডিমের কোর্মা দিয়ে। ভাবতে অবাক ও দুঃখ লাগে যে এত তাত্পর্যপূর্ণ একটি আন্তর্জাতিক মানের শাস্ত্রীয় সংগীত সম্মেলনের সেই অর্থে কোনো নামিদামি পৃষ্ঠপোষক নেই! তবু যে লক্ষ্যাপার থামবে না এটা প্রায় নিশ্চিত। শুভকামনা তাদের প্রাপ্য। - ইত্তেফাক
রবি সেরা প্রতিভা
আগামীর পথে ওরা
টিভি দেখার সময় নেই, খবরের কাগজও তেমন পড়া হয় না। সকালে স্কুল কিংবা কলেজে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, বিকেলেও তাই, আর রাতেও আড্ডা- ফেসবুকে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকেই 'রবি ট্যালেন্ট হান্ট' প্রতিযোগিতা সম্পর্কে জানতে পারে প্রতিযোগীরা। এমনটিই জানালেন 'রবি ট্যালেন্ট হান্ট' প্রতিযোগিতা থেকে উঠে আসা নবীন শিল্পীরা। নন্দন পরিবারের আহ্বানে তাদের দেওয়া প্রথম সাক্ষাৎকার এটি।
এ প্রসঙ্গে স্মিতা জানান, 'আমি কখনও ভাবিনি ফুয়াদ স্যারের সঙ্গে আমার পরিচয় হবে। গান করার কথা তো দূরের স্বপ্ন, যা কখনও দেখিনি।' পুরো নাম সুস্মিতা বে স্মিতা, থাকেন সিলেটে। দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছোট। তার গানের হাতেখড়ি হয় বড় বোনের কাছে। গান ছাড়াও স্মিতা নাচতে ও অন্যকে কপি করতে বেশ পারদর্শী। 'রবি ট্যালেন্ট হান্ট'-পরিবারের ছোট মেয়েটি হচ্ছে সুমি। ছোট বলে সবার কাছে বেশ আদুরেও থাকেন রংপুরে। চার বোনের মধ্যে ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী সুমিই সবার ছোট। পরিবারের হাত ধরেই গানের ভুবনে তিনি পা রাখেন। অন্যদিকে বাবা-মার একমাত্র আদুরে সন্তান বীথি। গানের প্রতি অগাধ নেশার কারণে বাবা-মা তাকে ওস্তাদ রানু সরকারের কাছ থেকে গানের তালিম নেওয়ার সুযোগ করে দেন। সেই থেকেই শুরু গানের ভুবনে পথচলা। মায়ের উৎসাহে খুব ছোটবেলায় গানের ভুবনে পা রাখেন রাজবীর। গানের পাশাপাশি তিনি বেশ ভালো ক্রিকেট খেলেন। খেলায় অংশ নিয়ে ঘরে তুলেছেন অনেক ট্রফি। গানের বেলায়ও ভিন্ন হয়নি তার অবস্থান। স্কুল, কলেজের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলোতে অংশ নিয়ে সেরা হওয়ার জোয়ারে গা ভাসিয়েছেন তিনি। ট্যালেন্ট হান্টদের নিয়ে এই আড্ডায় একটু চুপচাপ ছিল মেঘলা। ছোট বেলা থেকেই একটু চুপচাপ থাকতে পছন্দ করেন মেঘলা। জান্নাত আফরিন মেঘলার শৈশব ও কৈশোর কেটেছে ঢাকায়। গানের তালিম নেওয়ার জন্য তিনি ভর্তি হন শিশু একাডেমীতে। এরপর নজরুল একাডেমীতে। গানের পাশাপাশি বেশ ভালোই ছবি আঁকতে পারেন তিনি। এরই মধ্যে চায়নার ছবি প্রদর্শনীতে তার আঁকা একটি আলোকচিত্র স্থান পেয়েছে। বরিশাল উদীচী নাট্যগোষ্ঠী থেকে গানের তালিম নিয়েছেন মিঠুন। গান ছাড়াও নাট্য নির্দেশনায় বেশ পটু তিনি। তার নির্দেশনায় মঞ্চায়িত হয়েছে কয়েকটি নাটক। বর্তমানে তিনি যুক্ত আছেন 'ড্রিম অব সাইলেন্ট' নামের একটি ব্যান্ড দলের সঙ্গে। এই পরিবারের আরও এক সদস্য ঐশী। বেশ ভালোই গিটার বাজাতে পারেন তিনি। মায়ের উৎসাহেই তিনি গুটিগুটি পায়ে সঙ্গীতাঙ্গনে পা রাখেন। মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে রাজীব। গান নিয়েই বেশ আনন্দে আছেন তিনি। বাবার সঙ্গে বেশ ভালো গান করেন। তার হাত ধরেই সঙ্গীতাঙ্গনে আগমন রাজীবের।
'রবি ট্যালেন্ট হান্ট' প্রতিযোগিতার সুবাদে নিজেদের প্রতিভা দেশের মানুষের কাছে প্রকাশ করেছেন তারা। নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন এই নবীন শিল্পীরা। গানের ভুবনে নতুন মুখ হয়ে এ তারা দীর্ঘ ও বন্ধুর পথে বেশ ভালোভাবেই যাত্রা শুরু করেছেন। একদিন গানের সব শাখায় থাকবে তাদের বিচরণ ও সাফল্য। এমনটাই প্রত্যাশা সবার। - তুহিন আহমেদ - সমকাল
এ প্রসঙ্গে স্মিতা জানান, 'আমি কখনও ভাবিনি ফুয়াদ স্যারের সঙ্গে আমার পরিচয় হবে। গান করার কথা তো দূরের স্বপ্ন, যা কখনও দেখিনি।' পুরো নাম সুস্মিতা বে স্মিতা, থাকেন সিলেটে। দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছোট। তার গানের হাতেখড়ি হয় বড় বোনের কাছে। গান ছাড়াও স্মিতা নাচতে ও অন্যকে কপি করতে বেশ পারদর্শী। 'রবি ট্যালেন্ট হান্ট'-পরিবারের ছোট মেয়েটি হচ্ছে সুমি। ছোট বলে সবার কাছে বেশ আদুরেও থাকেন রংপুরে। চার বোনের মধ্যে ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী সুমিই সবার ছোট। পরিবারের হাত ধরেই গানের ভুবনে তিনি পা রাখেন। অন্যদিকে বাবা-মার একমাত্র আদুরে সন্তান বীথি। গানের প্রতি অগাধ নেশার কারণে বাবা-মা তাকে ওস্তাদ রানু সরকারের কাছ থেকে গানের তালিম নেওয়ার সুযোগ করে দেন। সেই থেকেই শুরু গানের ভুবনে পথচলা। মায়ের উৎসাহে খুব ছোটবেলায় গানের ভুবনে পা রাখেন রাজবীর। গানের পাশাপাশি তিনি বেশ ভালো ক্রিকেট খেলেন। খেলায় অংশ নিয়ে ঘরে তুলেছেন অনেক ট্রফি। গানের বেলায়ও ভিন্ন হয়নি তার অবস্থান। স্কুল, কলেজের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলোতে অংশ নিয়ে সেরা হওয়ার জোয়ারে গা ভাসিয়েছেন তিনি। ট্যালেন্ট হান্টদের নিয়ে এই আড্ডায় একটু চুপচাপ ছিল মেঘলা। ছোট বেলা থেকেই একটু চুপচাপ থাকতে পছন্দ করেন মেঘলা। জান্নাত আফরিন মেঘলার শৈশব ও কৈশোর কেটেছে ঢাকায়। গানের তালিম নেওয়ার জন্য তিনি ভর্তি হন শিশু একাডেমীতে। এরপর নজরুল একাডেমীতে। গানের পাশাপাশি বেশ ভালোই ছবি আঁকতে পারেন তিনি। এরই মধ্যে চায়নার ছবি প্রদর্শনীতে তার আঁকা একটি আলোকচিত্র স্থান পেয়েছে। বরিশাল উদীচী নাট্যগোষ্ঠী থেকে গানের তালিম নিয়েছেন মিঠুন। গান ছাড়াও নাট্য নির্দেশনায় বেশ পটু তিনি। তার নির্দেশনায় মঞ্চায়িত হয়েছে কয়েকটি নাটক। বর্তমানে তিনি যুক্ত আছেন 'ড্রিম অব সাইলেন্ট' নামের একটি ব্যান্ড দলের সঙ্গে। এই পরিবারের আরও এক সদস্য ঐশী। বেশ ভালোই গিটার বাজাতে পারেন তিনি। মায়ের উৎসাহেই তিনি গুটিগুটি পায়ে সঙ্গীতাঙ্গনে পা রাখেন। মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে রাজীব। গান নিয়েই বেশ আনন্দে আছেন তিনি। বাবার সঙ্গে বেশ ভালো গান করেন। তার হাত ধরেই সঙ্গীতাঙ্গনে আগমন রাজীবের।
'রবি ট্যালেন্ট হান্ট' প্রতিযোগিতার সুবাদে নিজেদের প্রতিভা দেশের মানুষের কাছে প্রকাশ করেছেন তারা। নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন এই নবীন শিল্পীরা। গানের ভুবনে নতুন মুখ হয়ে এ তারা দীর্ঘ ও বন্ধুর পথে বেশ ভালোভাবেই যাত্রা শুরু করেছেন। একদিন গানের সব শাখায় থাকবে তাদের বিচরণ ও সাফল্য। এমনটাই প্রত্যাশা সবার। - তুহিন আহমেদ - সমকাল
অতন্দ্র একাত্তর ও ফ্রেন্ডস্ অব বাংলাদেশ-এর যৌথ আয়োজন :
গীতাঞ্জলির নোবেল প্রাপ্তির একশ’ বছর
কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তি শতবর্ষে পদার্পণ করেছে ২০১৩ সালে। এই উপমহাদেশের জন্য এটাই প্রথম নোবেল পুরস্কার লাভ। শুধু তাই নয় বাংলা সাহিত্যের জন্য এ পরম গৌরবের ঘটনা। বিশ্ব সাহিত্যে বাংলা ভাষা ও বাংলা সাহিত্যের এই প্রথম সদর্প পদচারণা। এই গৌরবময় ইতিহাসকে স্মরণ করা অবশ্য করণীয় বিবেচনা করে বাংলাদেশের ‘অতন্দ্র একাত্তর’ এবং ভারতের ‘ফ্রেন্ডস্ অব বাংলাদেশ’ যৌথভাবে ‘গীতাঞ্জলি একশ’ শিরোনামে বাংলাদেশে দু’দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক উত্সব এবং আলোচনা অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করেছে।
রবীন্দ্রস্মৃতি বিজড়িত শিলাইদহের কুঠিবাড়িতে এই বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের সূচনা আগামী ১৮ জানুয়ারি এবং সমাপনী অনুষ্ঠান ১৯ জানুয়ারি ঢাকায় বাংলা একাডেমী মিলনায়তনে। গত ৩ জানুয়ারি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কনফারেন্স রুম আয়োজিত এক সংবাদ মম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
এই আয়োজনে অংশগ্রহণ করবেন বাংলাদেশ ও ভারতের শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি জগতের অগ্রগণ্য ব্যক্তি ও নাগরিকবৃন্দ এবং বাংলা একাডেমী। আরও আসছেন শান্তি নিকেতনের একটি প্রতিনিধি দল। উভয় দেশের সরকারের শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গও যুক্ত হয়েছেন এই প্রচেষ্টায়।
সংবাদ মম্মেলনে বলা হয়, বাঙালি জাতির সহস্রাধিক বছরের ইতিহাস, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য অন্য সব পরিচয়কে ছাড়িয়ে গেছে, আমরা বিশ্বাস করি সাহিত্য-শিল্প-সংস্কৃতির কোনো ভৌগোলিক সীমানা নেই, আমরা বিশ্বাস করি রবীন্দ্রনাথ-নজরুল-মাইকেল-বঙ্কিম-জীবনানন্দ-লালন অবিভাজ্য।
সংবাদ মম্মেলনে আরও বলা হয়, এ আয়োজন দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের অভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অধিকারী মানুষের বন্ধনকে সুদৃঢ় করার জন্যই শুধু নয়—রবীন্দ্রনাথ তথা বাংলাকে এ দেশের মানুষের অন্তরের গভীরতম কন্দরে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টাও বটে।
এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতন্দ্র একাত্তরের আহ্বায়ক কবি বেলাল চৌধুরী, যুগ্ম আহ্বায়ক আবেদ খান ও সদস্য সচিব মুজতবা আহমেদ মুরশেদ এবং ভারতের পক্ষ থেকে প্রফেসর আর টি গোস্বামী ও শ্রীমতী তপশ্রী গুপ্তা। - আমার দেশ
রবীন্দ্রস্মৃতি বিজড়িত শিলাইদহের কুঠিবাড়িতে এই বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের সূচনা আগামী ১৮ জানুয়ারি এবং সমাপনী অনুষ্ঠান ১৯ জানুয়ারি ঢাকায় বাংলা একাডেমী মিলনায়তনে। গত ৩ জানুয়ারি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কনফারেন্স রুম আয়োজিত এক সংবাদ মম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
এই আয়োজনে অংশগ্রহণ করবেন বাংলাদেশ ও ভারতের শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি জগতের অগ্রগণ্য ব্যক্তি ও নাগরিকবৃন্দ এবং বাংলা একাডেমী। আরও আসছেন শান্তি নিকেতনের একটি প্রতিনিধি দল। উভয় দেশের সরকারের শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গও যুক্ত হয়েছেন এই প্রচেষ্টায়।
সংবাদ মম্মেলনে বলা হয়, বাঙালি জাতির সহস্রাধিক বছরের ইতিহাস, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য অন্য সব পরিচয়কে ছাড়িয়ে গেছে, আমরা বিশ্বাস করি সাহিত্য-শিল্প-সংস্কৃতির কোনো ভৌগোলিক সীমানা নেই, আমরা বিশ্বাস করি রবীন্দ্রনাথ-নজরুল-মাইকেল-বঙ্কিম-জীবনানন্দ-লালন অবিভাজ্য।
সংবাদ মম্মেলনে আরও বলা হয়, এ আয়োজন দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের অভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অধিকারী মানুষের বন্ধনকে সুদৃঢ় করার জন্যই শুধু নয়—রবীন্দ্রনাথ তথা বাংলাকে এ দেশের মানুষের অন্তরের গভীরতম কন্দরে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টাও বটে।
এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতন্দ্র একাত্তরের আহ্বায়ক কবি বেলাল চৌধুরী, যুগ্ম আহ্বায়ক আবেদ খান ও সদস্য সচিব মুজতবা আহমেদ মুরশেদ এবং ভারতের পক্ষ থেকে প্রফেসর আর টি গোস্বামী ও শ্রীমতী তপশ্রী গুপ্তা। - আমার দেশ
শানের কণ্ঠে অনন্তর গান
আবারও ঢাকার ছবিতে প্লেব্যাক করলেন ভারতের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী শান। প্রযোজক-অভিনেতা এম এ জলিল অনন্ত পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র 'নিঃস্বার্থ ভালোবাসা' ছবির টাইটেল সং গাইলেন শান। গত ৬ জানুয়ারি বিকেলে মুম্বাইয়ের ব্রাদার্স স্টুডিওতে গানটির রেকর্ডিং হয়েছে। গানের শিরোনাম 'হোয়াট ইজ লাভ'। লিখেছেন ছবির পরিচালক-প্রযোজক ও নায়ক অনন্ত। এই প্রথম তিনি কোনো ছবির গান রচনা করলেন। গানটির সংগীতায়োজন করেছেন কলকাতার সংগীত পরিচালক আকাশ। এর আগে সোহানুর রহমান সোহানের 'কোটি টাকার প্রেম' ও মোস্তফা কামাল রাজের 'ছায়াছবি' চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করেছিলেন শান। আগামী এপ্রিলে নিঃস্বার্থ ভালোবাসা ছবিটি মুক্তি পাবে বলে জানিয়েছেন ছবির পরিচালক।
'রকস্টার' নিয়ে আসছেন তিশমা
এ দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পপ তারকা তিশমা তার সর্বশেষ অ্যালবাম 'এক্সপেরিমেন্ট' প্রকাশের পর মিডিয়াতে অনেকটা নিরব হয়ে গিয়েছিলেন। আর এই নিরবতা পালনের ব্যখ্যা জানতে চাইলে তিশমা বলেন, 'আসলে নিরব না, আমি আমার নতুন অ্যালবামের কাজ নিয়ে এতটাই ব্যস্ত ছিলেন যে মিডিয়া পাড়ায় উকি মারার সময়টুকু পাইনি। নতুন অ্যালবাম নিয়ে প্রচণ্ড ব্যস্ত এখন আমি'। নিজের নতুন অ্যালবাম প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিশমা বলেন, 'আমার সর্বশেষ অ্যালবামটি তো আমি অনলাইনে রিলিজ দিয়েছি, তবে এর বেলায় কি করব এখনও ভেবে উঠতে পারিনি। এবারের অ্যালবামের নাম রেখেছি 'রকস্টার'। আর এই অ্যালবামের পেছনে সময় একটু বেশি যাওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে সবক'টি গানের সুর ও সংগীত আমি নিজেই করছি। তাই প্রতিটি গানের পেছনে নিয়মিত কাজ করছি। যতক্ষণ না নিজের মন ভরছে ততক্ষণ কোনো গানকে ক্ষান্ত দিচ্ছি না, নিজেও শান্ত হচ্ছি না। এটি আমার ১১তম অ্যালবাম। ১০টি গান নিয়েই আপাতত তৈরি হয়েছি। এখনো সবকটি গানের কাজ শেষ হয়নি। তাই প্রকাশের দিনক্ষণও অনুমাণ করে ঠিক বলতে পারছি না। রক, হার্ড রক, মেলোডি ও সফট এই সব ঘরানা মিলিয়েই অ্যালবামটি হচ্ছে। ' উল্লেখ্য, তিশমার এই 'রকস্টার' অ্যালবামের গানগুলোর শিরোনাম হচ্ছে—'রক রাজকন্যা পার্ট ২', 'জো জো', 'ঢাকা থ্রি' যার অধিকাংশ গানই তিশমার নিজের লেখা। - ইত্তেফাক
নাটকেও গাইবেন স্বাগতা
‘মহাকাল’ নামে অভিনেত্রী স্বাগতার একটি ব্যান্ড আছে। তিনি এ ব্যান্ডের ভোকাল। এবার একটি ধারাবাহিক নাটকে তিনি অভিনয় করছেন একটি ব্যান্ডের ভোকাল চরিত্রে। এবং এ নাটকে স্বাগতার কণ্ঠে গাওয়া গানও থাকবে। একই সঙ্গে নাটকটিতে অভিনেতা শ্যামল মওলাকেও ব্যান্ডের ভোকাল চরিত্রে দেখা যাবে।
মাতিয়া বানু শুকুর রচনায় ‘অপরাজিতা’ নামে নাটকটি নির্মাণ করছেন সাজ্জাদ সুমন। আর এ নাটকের অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করছেন প্রভা, শম্পা রেজা, আল মামুন, সাবেরী আলম, খায়রুল আলম পাখি, কে এস ফিরোজ, সাজ্জাদ রেজা প্রমূখ।
অপরাজিতা নামে একটি মেয়ের জীবন নিয়েই এ নাটকের গল্প।
মাতিয়া বানু শুকুর রচনায় ‘অপরাজিতা’ নামে নাটকটি নির্মাণ করছেন সাজ্জাদ সুমন। আর এ নাটকের অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করছেন প্রভা, শম্পা রেজা, আল মামুন, সাবেরী আলম, খায়রুল আলম পাখি, কে এস ফিরোজ, সাজ্জাদ রেজা প্রমূখ।
অপরাজিতা নামে একটি মেয়ের জীবন নিয়েই এ নাটকের গল্প।
ব্ল্যাকের গীতিকার জুবায়ের ইমনের মৃত্যুবরণ
চলে গেলেন বাংলাদেশের রক মিউজিক জগতের জনপ্রিয় গীতিকার, লেখক ও ব্লগার জুবায়ের হোসেইন ইমন। ৪ জানুয়ারি শুক্রবার ভোর আনুমানিক ২.৩০ মিনিটে শান্তিনগরে নিজ বাসায় মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ জনিত কারণে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে ডায়বেটিস এবং শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিলো ৪৫ বছর।
বাংলাদেশের রক মিউজিক জগতে জুবায়ের হোসেন ইমন জনপ্রিয়তার শীর্ষে আসেন, জনপ্রিয় ব্যান্ড ব্ল্যাকের গান লিখে। ‘তুমি-আমি’র গতবাঁধা রীতি ভেঙ্গে জুবায়ের হোসেইন ইমনের লেখা গানগুলো ভিন্নধারার সৃষ্টি করে।
ব্ল্যাক ব্যান্ডের সদস্য জাহান বলেন, ‘ব্ল্যাক ব্যান্ডটির শুরু ইমন ভাইয়ের শান্তিনগরের বাসায়। ইমন ভাইয়ের লেখা গানগুলো প্রথাগত কোনো নিয়ম মানতো না, কিন্তু গভীরতায় ছিলো অসামান্য। ব্ল্যাকের প্রায় ৭০টি গানের মধ্যে ৬২টিই তার লেখা’।
গান লেখার পাশাপাশি বাংলাদেশের ব্লগ জগতের জনপ্রিয় তারকা ছিলেন জুবায়ের হোসেইন ইমন। ২০১১ সালে সেরা পাঠক প্রিয় ব্লগার ছিলেন তিনি।
শুক্রবার বাদ জুম্মা আমিনবাগ জামে মসজিদে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার পর জনপ্রিয় ওই গীতিকার ও ব্লগারের মরদেহ দাফন করা হয় আজিমপুর কবরস্থানে।
বাংলাদেশের রক মিউজিক জগতে জুবায়ের হোসেন ইমন জনপ্রিয়তার শীর্ষে আসেন, জনপ্রিয় ব্যান্ড ব্ল্যাকের গান লিখে। ‘তুমি-আমি’র গতবাঁধা রীতি ভেঙ্গে জুবায়ের হোসেইন ইমনের লেখা গানগুলো ভিন্নধারার সৃষ্টি করে।
ব্ল্যাক ব্যান্ডের সদস্য জাহান বলেন, ‘ব্ল্যাক ব্যান্ডটির শুরু ইমন ভাইয়ের শান্তিনগরের বাসায়। ইমন ভাইয়ের লেখা গানগুলো প্রথাগত কোনো নিয়ম মানতো না, কিন্তু গভীরতায় ছিলো অসামান্য। ব্ল্যাকের প্রায় ৭০টি গানের মধ্যে ৬২টিই তার লেখা’।
গান লেখার পাশাপাশি বাংলাদেশের ব্লগ জগতের জনপ্রিয় তারকা ছিলেন জুবায়ের হোসেইন ইমন। ২০১১ সালে সেরা পাঠক প্রিয় ব্লগার ছিলেন তিনি।
শুক্রবার বাদ জুম্মা আমিনবাগ জামে মসজিদে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার পর জনপ্রিয় ওই গীতিকার ও ব্লগারের মরদেহ দাফন করা হয় আজিমপুর কবরস্থানে।
চলচ্চিত্রের গানে ইমরানের সংগীত পরিচালনায় কনা
চ্যানেল আই-সেরাকণ্ঠ বিজয়ী ইমরানের সংগীত পরিচালনায় প্রথমবারের মতো চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিলেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী কনা। চলচ্চিত্রের নাম ‘ছেলেটি আবল তাবল মেয়েটি পাগল পাগল’। ইমরান বলেন, ‘আমি এর আগে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিলেও সম্প্রতি চলচ্চিত্রের গানের সংগীত পরিচালনা করছি। চলচ্চিত্রটির জন্য পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আধুনিক ধাঁচের রোমান্টিক গান নির্মাণ করেছি। গানটিতে আমার সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছেন কনা।’ কনা বলেন, ‘বরাবরই আমি একটু ভিন্ন ধরনের গানে কণ্ঠ দিতে বেশি আগ্রহী। তেমনি ভিন্ন ধরনের একটি গান এটি। ইমরান ভালোই মিউজিক করেছে। আশা করছি, গানটি সবার ভালো লাগবে।’ জানা গেছে, বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে চলচ্চিত্রটির অডিও অ্যালবাম প্রকাশিত হবে।
- প্রথম আলো
- প্রথম আলো
পহেলা বৈশাখে রন্টির অ্যালবাম
আসছে পহেলা বৈশাখে প্রকাশ পাবে ক্লোজআপ তারকা রন্টি দাসের দ্বিতীয় একক অ্যালবাম। ইতোমধ্যেই তিনি অ্যালবামের সবক'টি গানের রেকর্ডিং শেষ করেছেন। এতে সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন হৃদয় খান, অদিত এবং সাবি্বর। অ্যালবামের গানগুলোর মধ্যে রয়েছে_ 'এসেছে শ্রাবণ', 'একলা বসে', 'মা' প্রভৃতি। গানগুলো লিখেছেন আখতার, গোলাম মোহাম্মদ আবেদ প্রমুখ। এ অ্যালবামে রন্টির নিজের কথা-সুরে একটি গানও রয়েছে। তার লেখা গানটির শিরোনাম 'দর্পণ'। অ্যালবাম প্রকাশ প্রসঙ্গে রন্টি যাযদি বিনোদনকে জানান, গত কোরবানির ঈদে তার এ অ্যালবামটি প্রকাশের কথা ছিল। কিন্তু ব্যক্তিগত কিছু কারণে প্রকাশ করতে পারেননি। বর্তমানে অ্যালবামটির কভার ডিজাইনের কাজ চলছে। ২০০৯ সালে রন্টির 'আনমনা মন' অ্যালবামটি প্রকাশিত হয়েছিল। অ্যালবামটি শ্রোতাদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এরপরই তিনি তার দ্বিতীয় অ্যালবামের কাজ শুরু করেন। বর্তমানে অ্যালবামটি নিয়ে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে তার কথা চলছে। সবকিছু ঠিক থাকলে পহেলা বৈশাখেই তিনি অ্যালবামটি প্রকাশ করবেন। রন্টি এখন স্টেজ শোয়ের পাশাপাশি চ্যানেলের লাইভ অনুষ্ঠানগুলোতেও নিয়মিত অংশগ্রহণ করছেন। তিনি চলচ্চিত্রের প্লেব্যাকেও সমান ব্যস্ত রয়েছেন। সম্প্রতি তিনি 'পায়রা', 'মোস্ট ওয়েল কাম'সহ বেশ ক'টি চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করেছেন। চট্টগ্রামের মেয়ে রন্টি। মাত্র ৪ বছর বয়সে তার সঙ্গীতচর্চায় হাতেখড়ি। ২০০৬ সালে ক্লোজআপ ওয়ান প্রতিযোগিতায় তিনি চতুর্থ স্থান অধিকার করেন। সম্প্রতি তিনি বিয়ে করে সংসারী হয়েছেন। - যায় যায় দিন
অ্যালবামে গাইলেন আরফিন রুমির স্ত্রী অনন্যা
গাইলেন আরফিন রুমির স্ত্রী অনন্যা। তিনি আগেও গেয়েছেন। তবে অ্যালবামে নয়, স্টেজে। গাইতে গিয়ে বছর সাতেক আগে স্টেজেই রুমি-অনন্যার পরিচয়। এরপর সেই পরিচয় গড়ায় প্রেম-সংসারে। যে সংসারে আরিয়ান নামের একজন পুত্র সন্তানও আছে। কথা ছিল বিয়ের পরেও রুমির পাশাপাশি অনন্যা চালিয়ে যাবেন নিজের সংগীত ক্যারিয়ার। তবে সংসারের সাত পাকে বাঁধা পড়ে অনন্যার আর গাওয়া হয়নি। প্রকাশ পায়নি তার সুপ্ত সংগীত প্রতিভা। এর মাঝেই স্ত্রী অনন্যার সর্বাত্মক সহযোগিতা নিয়ে আরফিন রুমি পোক্ত করেছেন আপন সংগীত ক্যারিয়ার। সে সঙ্গে গেল বছরের শেষ দিকে ২য় বিয়ে নামক একটি ঘটনাও ঘটেছে রুমির জীবনে। ২য় বারের মতো বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হলেন আমেরিকা প্রবাসী কামরুন নেসার সঙ্গে। যে বিয়েকে অনন্যা মেনে নিয়েছেন মাথা পেতে। আর এসব মিলিয়ে বরাবরই আরফিন রুমি ভীষণ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আসছেন প্রথম স্ত্রী লামিয়া আফরিন অনন্যার প্রতি। সম্ভবত সেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশের নতুন ভাষা হিসেবে দেরিতে হলেও অ্যালবামে গাইবার সুযোগ পেয়েছেন অনন্যা। ‘মন ছুঁয়ে দেখ’ শিরোনামের এই গানটিতে রুমি নিজেও কণ্ঠ দিয়েছেন সহশিল্পী হিসেবে। আর গানটির কথা-সুর-সংগীত পরিচালনাও করেছেন রুমি নিজেই। রুমি বলেন, অনন্যা অসাধারণ গায়। বিয়ের আগে আমরা দু’জনে অসংখ্য শো করেছি। মূলত তার কণ্ঠের প্রেমেই পড়েছিলাম আমি। তবে সংসার জীবনে এসে সময়-সুযোগের অভাবে অনন্যাকে দিয়ে গাওয়াতে পারিনি। এটা হয়তো আমারই ব্যর্থতা। রুমি আরও বলেন, গানটি দারুণ হয়েছে। যার কারণে অ্যালবামটির নামও রেখেছি ‘মন ছুঁয়ে দেখ’। আর অ্যালবামটি প্রকাশ করার ইচ্ছে আছেন ১৫ই জানুয়ারির মধ্যে। জানা যায়, এই অ্যালবামে অনন্যার গান ছাড়াও থাকছে দেশ-বিদেশের আরও ১০ জন নবীন শিল্পীর গান। এর মধ্যে রয়েছেন আমেরিকা প্রবাসী অপু, সোহাগ এবং রানা। আর দেশীয় শিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন ফাহাদ, কামরুল, শান্ত, বেলাল, রিয়াদ, মীম ও খেয়া। অ্যালবামের সব গানের কথা-সুর-সংগীতায়োজন করেছেন রুমি নিজেই। প্রায় ১৩টি গানের এই মিশ্র অ্যালবামে অনন্যার কণ্ঠে থাকছে অন্তত দু’টি গান। এমনটাই জানালেন রুমি। তিনি আরও জানান, এই অ্যালবামের মধ্য দিয়ে অডিও অ্যালবামে অনন্যার অভিষেক হচ্ছে। আশা করছি, এখন থেকে ও নিয়মিত গাইবে অডিও এবং চলচ্চিত্রে। - মানবজমিন
পোষাক শিল্পীদের গানের প্রতিযোগিতা
দেশের তৈরি পোশাকশিল্পে কর্মরত কর্মীদের জন্য আবার গানের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। ‘গর্ব ২০১২’ নামের এই প্রতিযোগিতার প্রাথমিক বাছাই শুরু হচ্ছে আজ। প্রতিযোগিতায় পৃষ্ঠপোষকতা করছে বিজিএমইএ, আয়োজন করছে মাত্রা।
মাত্রা সূত্রে জানা গেছে, আজ প্রাথমিক বাছাই হবে ঢাকার খিলগাঁও মডেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে। এরপর ৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার সারা কমিউনিটি সেন্টারে, ৭ জানুয়ারি গাজীপুরের বঙ্গতাজ কমিউনিটি সেন্টারে, ৮ জানুয়ারি সাভারের পলাশবাড়ীতে ভালকান হলে এবং ১০ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে প্রাথমিক বাছাই পর্ব অনুষ্ঠিত হবে।
মাত্রার ব্যবস্থাপনা অংশীদার আফজাল হোসেন বলেন, ‘আমরা এবার এই প্রতিযোগিতার সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। শ্রমিকদের কাজের বাইরেও আলাদা একটি জগৎ আছে। তাঁদের মেধা আছে, প্রতিভা আছে। আমরা তাঁদের সেই প্রতিভা সবার সামনে তুলে ধরতে চাই। এর মধ্য দিয়ে তাঁদের আত্মবিশ্বাস তৈরি হবে। আর সেই আত্মবিশ্বাস দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে তাঁরা আরও ভূমিকা রাখতে পারবেন।’ ‘গর্ব ২০১২’ প্রতিযোগিতা নিয়ে তৈরি অনুষ্ঠানগুলো প্রচারিত হবে চ্যানেল আইতে। এর আগে ২০১০ সালে পোশাকশিল্পে কর্মরত কর্মীদের নিয়ে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। - প্রথম আলো ৪ জানুয়ারী ২০১৩
মাত্রা সূত্রে জানা গেছে, আজ প্রাথমিক বাছাই হবে ঢাকার খিলগাঁও মডেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে। এরপর ৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার সারা কমিউনিটি সেন্টারে, ৭ জানুয়ারি গাজীপুরের বঙ্গতাজ কমিউনিটি সেন্টারে, ৮ জানুয়ারি সাভারের পলাশবাড়ীতে ভালকান হলে এবং ১০ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে প্রাথমিক বাছাই পর্ব অনুষ্ঠিত হবে।
মাত্রার ব্যবস্থাপনা অংশীদার আফজাল হোসেন বলেন, ‘আমরা এবার এই প্রতিযোগিতার সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। শ্রমিকদের কাজের বাইরেও আলাদা একটি জগৎ আছে। তাঁদের মেধা আছে, প্রতিভা আছে। আমরা তাঁদের সেই প্রতিভা সবার সামনে তুলে ধরতে চাই। এর মধ্য দিয়ে তাঁদের আত্মবিশ্বাস তৈরি হবে। আর সেই আত্মবিশ্বাস দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে তাঁরা আরও ভূমিকা রাখতে পারবেন।’ ‘গর্ব ২০১২’ প্রতিযোগিতা নিয়ে তৈরি অনুষ্ঠানগুলো প্রচারিত হবে চ্যানেল আইতে। এর আগে ২০১০ সালে পোশাকশিল্পে কর্মরত কর্মীদের নিয়ে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। - প্রথম আলো ৪ জানুয়ারী ২০১৩
বাবার গান সংরক্ষণ করবেন সামিনা
দেশের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী সামিনা চৌধুরী এবার তার বাবার গান নিয়ে অ্যালবাম প্রকাশ করছেন। এই অ্যালবামে তার বাবা কিংবদন্তি শিল্পী মাহমুদুন্নবীর কণ্ঠের গানগুলো স্থান পাবে। বাবার গান নিয়ে অ্যালবাম প্রকাশ প্রসঙ্গে সামিনা চৌধুরী যাযাদি বিনোদনকে বলেন, 'বাবার কণ্ঠের গাওয়া কালজয়ী গানগুলো সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছি। তা নতুন বছরেই শুরু করে দেব। কারণ বিভিন্ন রিয়েলিটি শো করতে গিয়ে দেখেছি নতুন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা বাবার গান গাইছেন। তাদের কাছে এসব গানের মূল শিল্পীর নাম জানতে চাইলে, সঠিক জবাব অনেকেই দিতে পারে না। এটা আমার জন্য একটা কষ্টের বিষয়। সে কারণেই বাবার কণ্ঠের গানগুলো অবিকৃতভাবে অ্যালবাম আকারে প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।' এটি প্রকাশিত হবে ওয়ার্ল্ড মিউজিকের ব্যানারে। নতুন বছরের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে সামিনা বলেন, 'কখন যে নতুন বছরে পা রাখলাম, টেরই পেলাম না। মানুষের প্রত্যাশা এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী অনেক কিছুই করা সম্ভব হয় না। নতুন বছরে সবারই নতুন কোনো প্রত্যাশা থাকে। ২০১৩ সালে আমার সব পরিকল্পনা গানকে ঘিরেই।' উল্লেখ্য, ১৯৪০ সালে জন্মগ্রহণ করেন খ্যাতনামা শিল্পী মাহমুদুন্নবী। ১৯৯০ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার তিন সন্তান সামিনা চৌধুরী, ফাহমিদা নবী এবং পঞ্চম সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে দেশ-বিদেশে খ্যাতি লাভ করেছেন। যায় যায় দিন
রবি সেরা প্রতিভা’র সেরা ৮ নির্বাচিত
৩১শে ডিসেম্বর রাতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল সংগীতবিষয়ক রিয়েলিটি শো রবি সেরা প্রতিভা’র গ্র্যান্ড ফিনালে। ১২ জন ফাইনালিস্টের মধ্য থেকে সেরা ৮-এ ঠাঁই করে নিয়েছেন ঢাকার রাজবীর আহমেদ, জান্নাত আফরিন মেঘলা, রাজিবুল ইসলাম ইমরান, সিলেটের স্মিতা দে, তাহিয়া ঐশী ওসমানী, বিথি চৌধুরী, বরিশালের মিঠুন রায়, এবং রংপুরের সুমি রানী রায়। উল্লেখ্য, তরুণদের মধ্য থেকে সেরা সংগীত প্রতিভা খুঁজে বের করতে মোবাইল ফোন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান রবি আয়োজন করেছে ‘রবি সেরা প্রতিভা’ কর্মসূচি। সরাসরি এবং মোবাইলের ভয়েস আপলোড অডিশনের মাধ্যমে সংগীত পরিচালক ফুয়াদ আল মুক্তাদির সারা দেশ থেকে বাছাই করেছেন ৩০ জন প্রতিভাবান কণ্ঠশিল্পী। সেরা ৮ জন ফুয়াদের পরবর্তী অ্যালবামে গান গাওয়ার সুযোগ পাবেন। এ প্রতিযোগিতার মূল বিচারক হিসেবে ছিলেন ফুয়াদ আল মুক্তাদির ও হৃদয় খান। টিভি পার্টনার হিসেবে অনুষ্ঠানটি সমপ্রচার করেছে মাছরাঙা টেলিভিশন। - মানবজমিন ১ জানুয়ারী ২০১৩
নতুন বছরের প্রথমদিনে অলিকের ‘এক পৃথিবী প্রেম’ শুরু
আজ নতুন বছরের প্রথম দিন গান মহরতের মাধ্যমে শুরু হবে এসএ হক অলিকের তৃতীয় চলচ্চিত্র ‘এক পৃথিবী প্রেম’। আজ বিকাল ৫টায় শ্রুতি রেকর্ডিং স্টুডিওতে কুমার বিশ্বজিৎ ও পড়শী এবং মিলন মাহমুদকে দিয়ে দুটি গান রেকর্ড করবেন সংগীত পরিচালক ইমন সাহা। গানগুলো লিখেছেন পরিচালক এসএ হক অলিক নিজেই। তিনি জানান, একঝাঁক নতুন মুখ নিয়ে ‘এক পৃথিবী প্রেম’ ছবিটি নির্মিত হবে। গাননির্ভর প্রেমের ছবি ‘এক পৃথিবী প্রেম’-এর কাহিনী ও সংলাপ লিখেছেন পরিচালক নিজেই। গান মহরতের পর ছবির শিল্পী কলাকুশলীদের নাম ঘোষণা করা হবে। উল্লেখ্য, এসএ হক অলিক পরিচালিত ‘হৃদয়ের কথা’ ও ‘আকাশ ছোঁয়া ভালবাসা’ ব্যবসাসফল ও সুনির্মিত ছবি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। - মানবজমিন ১ জানুয়ারী ২০১৩