রানওয়ে
লেজার ভিশন
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১২
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর তারেক মাসুদ পরিচালিত সর্বশেষ চলচ্চিত্র ‘রানওয়ে’র ডিভিডির প্রকাশনা হলো। শনিবার রাজধানীর এক অভিজাত রেস্তোরাঁয় এক সংবাদ সম্মেলনে তারেক মাসুদ মেমোরিয়াল ট্রাস্টের চেয়ারপারসন ও ‘রানওয়ে’র প্রযোজক ক্যাথরিন মাসুদ ডিভিডির মোড়ক উন্মোচন করেন। ডিভিডিটিতে ‘রানওয়ে’র পাশাপাশি আরো পরিবেশিত হয় ‘রানওয়ে’ তৈরির ওপর একটি বিশেষ স্লাইড-শো এবং দেশব্যাপী তারেক মাসুদের ‘রানওয়ে’-যাত্রা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ‘রানওয়ে’র প্রধান কলাকুশলী ফজলুল হক, রাবেয়া আক্তার মনি ও আলী আহসান। সেইসাথে উপস্থিত ছিলেন ডিভিডি পরিবেশনা কোম্পানি লেজার ভিশনের চেয়ারম্যান এ কে এম আরিফুর রহমান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাজহারুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সংবাদকর্মীদের উদ্দেশে বাড়তি আকর্ষণ হিসেবে প্রদর্শিত হয় ‘রানওয়ে’ তৈরির নেপথ্যকাহিনি নিয়ে একটি ৩০ মিনিটের প্রামাণ্যচিত্র এবং প্রধান কলাকুশলী ও নির্মাতাদের বিশেষ সাক্ষাৎকার। এ প্রামাণ্যচিত্রটি উৎসর্গ করা হয়েছে ২০১১ সালের ১৩ আগস্ট মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ‘রানওয়ে’র প্রধান কলাকুশলী ফজলুল হক, রাবেয়া আক্তার মনি ও আলী আহসান। সেইসাথে উপস্থিত ছিলেন ডিভিডি পরিবেশনা কোম্পানি লেজার ভিশনের চেয়ারম্যান এ কে এম আরিফুর রহমান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাজহারুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সংবাদকর্মীদের উদ্দেশে বাড়তি আকর্ষণ হিসেবে প্রদর্শিত হয় ‘রানওয়ে’ তৈরির নেপথ্যকাহিনি নিয়ে একটি ৩০ মিনিটের প্রামাণ্যচিত্র এবং প্রধান কলাকুশলী ও নির্মাতাদের বিশেষ সাক্ষাৎকার। এ প্রামাণ্যচিত্রটি উৎসর্গ করা হয়েছে ২০১১ সালের ১৩ আগস্ট মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল সংবাদকর্মীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে ক্যাথরিন মাসুদ বলেন, “‘রানওয়ে’ নিয়ে আমাদের যাত্রা চলছে গত দুবছর ধরে। আমরা গত দুবছরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় এ ছবিটি প্রদর্শন করেছি। সবশেষে গত ফেব্রুয়ারি মাসে এটির মুক্তি দেওয়া হয় ঢাকায়। আমাদের জন্য অনেক খুশির খবর হলো এ ছবিটি যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বড় টেলিভিশন চ্যানেল ৪-এ প্রচারিত হবে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর।”
তিনি জানান, পরবর্তী সময়ে তারেক মাসুদ মেমোরিয়াল ট্রাস্টের পক্ষ থেকে শিল্পী এস. এম. সুলতানের জীবন ও শিল্পের ওপর নির্মিত তারেক মাসুদের প্রথম চলচ্চিত্র ‘আদম সুরত’-এর ডিভিডি প্রকাশ করা হবে।
চলচ্চিত্রটিতে অভিনয়-শিল্পীদের বক্তব্যে বার বার প্রকাশ পায় তারেক মাসুদের কথা। প্রিয় এ নির্মাতার অকাল মৃত্যুকে যেন কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন কেউ। ছবিটিতে আরিফ চরিত্রে অভিনয় করা আলী আহসান বলেন, “আমি আসলে ক্যামেরার পেছনের একজন কর্মী। তারেক মাসুদ ভাই-ই আমাকে প্রথম ক্যামেরার সামনে তুলে ধরেছেন। আমার সবটুকু কৃতজ্ঞতা এ মহান মানুষটির প্রতি।”
রুহুল চরিত্রের অভিনেতা ফজলুল হক বলেন, “এটি আমার প্রথম চলচ্চিত্র-অভিজ্ঞতা। কীভাবে অভিনয় করতে হয় তা-ই আমার কাছে স্পষ্ট ছিল না। তারেক ভাই-ই আমাকে প্রতিটি জায়গা একটু একটু করে দেখিয়ে দিয়েছেন। আমার যা কিছু সাফল্য তার সবই তারেক ভাইয়ের অবদান।”
রহিমা চরিত্রে অভিনয় করা রাবেয়া আক্তার মনি বলেন, “আমি মূলত একজন মঞ্চকর্মী। ‘রানওয়ে’তে অভিনয়ের মাধ্যমে এই প্রথম বড় পর্দায় কাজ করার অভিজ্ঞতা হলো আমার। রংপুরের একজন মঞ্চকর্মীকে সকলের সামনে তুলে ধরার সবটুকু কৃতিত্ব তারেক ভাইয়ের।”
অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করেন তারেক মাসুদ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ও লেজার ভিশন।
সত্য ঘটনা নিয়ে সাধারণ মানুষর গল্প ‘রানওয়ে’। এর কাহিনির বুননটিও অনন্যসাধারণ। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে সংলগ্ন একচালা ঘরে রুহুল ও তার পরিবার বসবার করে। তার মা রহিমা ক্ষুদ্র ঋণ সমিতির মাধ্যমে একটি গাভি কিনে দুধ বিক্রি করে সংসার চালায়। রুহুলের বোন ফাতেমা পোশাক রপ্তানি কারখানায় কাজ করে। এক মাস হলো তার বাবা মধ্যপ্রাচ্যে চাকরির সন্ধানে গিয়ে নিরুদ্দেশ। বেকার, কিছুটা হতাশ অথচ আদর্শবাদী রুহুল চাকরি খোঁজার ব্যর্থ চেষ্টা করে এবং উড়োজাহাজের ছায়ায় দিন কাটায়। মাঝে মধ্যে সে মামাকে সাইবার ক্যাফের ব্যবসায় সাহায্য করে এবং ইন্টারনেট শেখার চেষ্টা করে। সেখানে দৃঢ় অথচ শান্ত মেজাজের কম্পিউটার দক্ষ আরিফের সাথে তার ক্রমশ বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। আরিফ উগ্র ধর্মীয় রাজনীতির মধ্যে জীবনের অর্থ খুঁজে পেতে রুহুলকে উদ্বুদ্ধ করে। নতুন আদর্শে উজ্জীবিত রুহুল বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে অবশেষে জীবনের গভীরতর অভিজ্ঞতা উপলব্ধির দিকে এগিয়ে যায়।
শ্রতিচিত্র নিবেদিত এই কাহিনিচিত্রটির পটভূমি হিসেবে এসেছে ২০০৫-২০০৬ সালের জাতীয় পর্যায়ে সংঘটিত কিছু ঘটনা। চলচ্চিত্রটিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন : ফজলুল হক, রাবেয়া আক্তার মনি, আলী আহসান, নাজমুল হুদা বাচ্চু, নাসরিন আক্তার, রিকিতা নন্দিনী শিমু, মোছলেমুদ্দিন, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় এবং অতিথিশিল্পী হিসেবে নুসরাত ইমরোজ তিশা। ছবিটির কাহিনি, চিত্রনাট্য, সংলাপ, সংগীত পরিচালনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন তারেক মাসুদ। প্রযোজনা ও সম্পাদনা করেছেন ক্যাথরিন মাসুদ। প্রধান চিত্রগ্রহণ মিশুক মুনীর।
তিনি জানান, পরবর্তী সময়ে তারেক মাসুদ মেমোরিয়াল ট্রাস্টের পক্ষ থেকে শিল্পী এস. এম. সুলতানের জীবন ও শিল্পের ওপর নির্মিত তারেক মাসুদের প্রথম চলচ্চিত্র ‘আদম সুরত’-এর ডিভিডি প্রকাশ করা হবে।
চলচ্চিত্রটিতে অভিনয়-শিল্পীদের বক্তব্যে বার বার প্রকাশ পায় তারেক মাসুদের কথা। প্রিয় এ নির্মাতার অকাল মৃত্যুকে যেন কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন কেউ। ছবিটিতে আরিফ চরিত্রে অভিনয় করা আলী আহসান বলেন, “আমি আসলে ক্যামেরার পেছনের একজন কর্মী। তারেক মাসুদ ভাই-ই আমাকে প্রথম ক্যামেরার সামনে তুলে ধরেছেন। আমার সবটুকু কৃতজ্ঞতা এ মহান মানুষটির প্রতি।”
রুহুল চরিত্রের অভিনেতা ফজলুল হক বলেন, “এটি আমার প্রথম চলচ্চিত্র-অভিজ্ঞতা। কীভাবে অভিনয় করতে হয় তা-ই আমার কাছে স্পষ্ট ছিল না। তারেক ভাই-ই আমাকে প্রতিটি জায়গা একটু একটু করে দেখিয়ে দিয়েছেন। আমার যা কিছু সাফল্য তার সবই তারেক ভাইয়ের অবদান।”
রহিমা চরিত্রে অভিনয় করা রাবেয়া আক্তার মনি বলেন, “আমি মূলত একজন মঞ্চকর্মী। ‘রানওয়ে’তে অভিনয়ের মাধ্যমে এই প্রথম বড় পর্দায় কাজ করার অভিজ্ঞতা হলো আমার। রংপুরের একজন মঞ্চকর্মীকে সকলের সামনে তুলে ধরার সবটুকু কৃতিত্ব তারেক ভাইয়ের।”
অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করেন তারেক মাসুদ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ও লেজার ভিশন।
সত্য ঘটনা নিয়ে সাধারণ মানুষর গল্প ‘রানওয়ে’। এর কাহিনির বুননটিও অনন্যসাধারণ। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে সংলগ্ন একচালা ঘরে রুহুল ও তার পরিবার বসবার করে। তার মা রহিমা ক্ষুদ্র ঋণ সমিতির মাধ্যমে একটি গাভি কিনে দুধ বিক্রি করে সংসার চালায়। রুহুলের বোন ফাতেমা পোশাক রপ্তানি কারখানায় কাজ করে। এক মাস হলো তার বাবা মধ্যপ্রাচ্যে চাকরির সন্ধানে গিয়ে নিরুদ্দেশ। বেকার, কিছুটা হতাশ অথচ আদর্শবাদী রুহুল চাকরি খোঁজার ব্যর্থ চেষ্টা করে এবং উড়োজাহাজের ছায়ায় দিন কাটায়। মাঝে মধ্যে সে মামাকে সাইবার ক্যাফের ব্যবসায় সাহায্য করে এবং ইন্টারনেট শেখার চেষ্টা করে। সেখানে দৃঢ় অথচ শান্ত মেজাজের কম্পিউটার দক্ষ আরিফের সাথে তার ক্রমশ বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। আরিফ উগ্র ধর্মীয় রাজনীতির মধ্যে জীবনের অর্থ খুঁজে পেতে রুহুলকে উদ্বুদ্ধ করে। নতুন আদর্শে উজ্জীবিত রুহুল বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে অবশেষে জীবনের গভীরতর অভিজ্ঞতা উপলব্ধির দিকে এগিয়ে যায়।
শ্রতিচিত্র নিবেদিত এই কাহিনিচিত্রটির পটভূমি হিসেবে এসেছে ২০০৫-২০০৬ সালের জাতীয় পর্যায়ে সংঘটিত কিছু ঘটনা। চলচ্চিত্রটিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন : ফজলুল হক, রাবেয়া আক্তার মনি, আলী আহসান, নাজমুল হুদা বাচ্চু, নাসরিন আক্তার, রিকিতা নন্দিনী শিমু, মোছলেমুদ্দিন, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় এবং অতিথিশিল্পী হিসেবে নুসরাত ইমরোজ তিশা। ছবিটির কাহিনি, চিত্রনাট্য, সংলাপ, সংগীত পরিচালনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন তারেক মাসুদ। প্রযোজনা ও সম্পাদনা করেছেন ক্যাথরিন মাসুদ। প্রধান চিত্রগ্রহণ মিশুক মুনীর।