হুমকির মুখে অডিও শিল্প উত্তরণের উপায়
বর্তমানে দেশের অডিও শিল্পে চলছে চরম বিশৃঙ্খলতা ও বিভাজন। এ অঙ্গনকে কুরে কুরে খাচ্ছে পাইরেসি এবং ইন্টারনেটে ফ্রি গান ডাউনলোডের বিষয়গুলো। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে শিল্পীদের সঙ্গে শিল্পীদের, অডিও প্রযোজকদের সঙ্গে অডিও প্রযোজকদের এবং সিনিয়র শিল্পী-গীতিকার-সুরকারদের সঙ্গে অডিও প্রযোজকদের দ্বন্দ্ব ও ব্যক্তিগত রেষারেষি। বিষয়টি পুরো অডিও শিল্পের জন্য মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়েই দেখা দিয়েছে। এই দ্বন্দ্বের কারণে একত্রিত হয়ে অডিও শিল্পের উন্নয়নে কাজ করার পরিবেশ তৈরি হচ্ছে না। এমনকি পাইরেসি ও ফ্রি ডাউনলোডের বিরুদ্ধেও একত্রিত হতে দেখা যাচ্ছে না শিল্পী-প্রযোজকদের। যার ফলে এখন হুমকির মুখে দাঁড়িয়ে অডিও শিল্প। অডিও শিল্পের কেন এ অবস্থা এবং এ থেকে উত্তরণের উপায় নিয়ে দেশের প্রতিষ্ঠিত সংগীত শিল্পী, গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালক এবং অডিও প্রযোজকদের ভাবনা নিয়েই পাঠকদের জন্য এ ধারাবাহিক আয়োজন। এ আয়োজনে প্রতিদিন থাকছে দু’জন সংগীত সংশ্লিষ্টের অভিমত। গ্রন্থনায় ফয়সাল রাব্বিকীন - মানব জমিন
বুধবার, ১৪ নভেম্বর ২০১২
অডিও কোম্পানি এবং শিল্পীদের একত্রিত হতে হবে - সুবীর নন্দী
আসলে শিল্পীদের সঙ্গে কোম্পানির দূরত্ব অনেক বেশি তৈরি হয়ে গেছে। তবে একে অপরকে দোষারোপের জায়গা থেকে এখন বেরিয়ে এসে সংগীতাঙ্গন নিয়ে ভাবতে হবে। এভাবে আর চলতে পারে না। আমি মনে করি যেহেতু কোম্পানিগুলোই অ্যালবাম প্রকাশ করছে, তাই তাদেরকেই উদ্যোগটা নিতে হবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা না থাকলে এ অবস্থা থেকে আসলে উত্তরণ সম্ভব না। আর আমি দেখছি এখন ঢাকা শহরেই হিসাব করলে হাজার হাজার শিল্পী ও কম্পোজার পাওয়া যাবে। এটা কিভাবে সম্ভব? শিল্পী কিংবা সংগীত পরিচালক হওয়া কি এতটাই সহজ? এর মধ্যে বেশিরভাগ শিল্পী ও সংগীত পরিচালকের কোন যোগ্যতা নেই গান করার। তারপরও অডিও কোম্পানি অর্থের বিনিময়ে এসব শিল্পীর অ্যালবাম প্রকাশ করছে। তবে এটা নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। কারণ, এরা যেভাবে এসেছে সেভাবেই একদিন চলে যাবে। সত্যিকারের শিল্পীরাই টিকে থাকবে দীর্ঘদিন। তবে এখন থেকেই এসব মূর্খ শিল্পী-সংগীত পরিচালককে প্রতিহত করা উচিত কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে। আর এক সময় কিন্তু এই কোম্পানিগুলো অনেক অর্থ আয় করেছে অডিও ইন্ডাস্ট্রি থেকে। এখন মুখ ফিরিয়ে নিলে চলবে না। মনের রাখতে হবে, দুঃসময় এসেছে, তবে এটা স্থায়ী নয়। বাংলাদেশের মানুষ গান পাগল, তাই এ অবস্থা থেকে উত্তরণ একদিন না একদিন ঘটবেই। পাইরেসি ও ইন্টারনেট ডাউনলোডের ক্ষেত্রে অডিও কোম্পানিগুলোকে একত্রিত হয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। প্রয়োজনে সেই উদ্যোগের সঙ্গে আমরা শিল্পীরা একাত্মতা ঘোষণা করবো।
গান প্রকাশের ক্ষেত্রে সেন্সরশিপ থাকা উচিত - সৈয়দ আবদুল হাদী
এটা প্রযুক্তির যুগ। প্রযুক্তিকে কখনও অস্বীকার করা যাবে না। এর যেমন ভাল দিক রয়েছে ঠিক তেমনি খারাপ দিকও রয়েছে। তবে প্রযুক্তিকে আটকে রাখা সম্ভব নয় বলে আমি মনে করি। সে কারণে যুদ্ধ করেই আসলে একজন শিল্পীকে টিকে থাকতে হবে। আমার মনে হয় ভাল গান হলে সেটা শ্রোতারা নিজের গাঁটের টাকা খরচ করে হলেও কিনবে। কারণ, গানের প্রতি ভালবাসা তাদের রয়েছে। একটি উদাহরণ দিয়ে বোঝাই। সেটা হচ্ছে বই কিংবা দৈনিক পত্রিকা আজকাল ইন্টারনেট থেকেই পড়া যায়, তাই বলে কি বই আর পত্রিকা প্রকাশ কিংবা বিক্রি বন্ধ হয়ে গেছে? তা কিন্তু না। সুতরাং যতই ইন্টারনেট থেকে ফ্রি গান ডাউনলোড করা যাক না কেন, শ্রোতাদের চাহিদা অনুযায়ী গানের অ্যালবাম দিতে পারলে সেটা চলবেই। এক্ষেত্রে অডিও কোম্পানিকে সচেতন হতে হবে। আজকাল মানের বিষয়টি চিন্তা না করে কোম্পানিগুলো যদু, মধু, রাম, সামদের অ্যালবাম দেদার প্রকাশ করছে। উল্টো এসব শিল্পীর কাছ থেকে অর্থ নিয়ে এসব অ্যালবাম প্রকাশ হচ্ছে। এটা আগে বন্ধ করতে হবে। শুধু রাতারাতি ব্যবসা করার চিন্তা বাদ দিয়ে এসব কোম্পানিকে আগ্রহ প্রকাশ করতে হবে ভাল মানের গান প্রকাশের। আগে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তারপর একজন শিল্পীর গান রেকর্ডিং হতো। আসলে এক্ষেত্রে সেন্সরশিপ থাকা উচিত বলে আমি মনে করি। তাহলে শুধুমাত্র ভাল মানের শিল্পীরাই গান গাওয়ার সুযোগ পাবেন, যদু-মধুরা নয়। আমি মনে করি ভাল গান কোম্পানিগুলো প্রকাশ করলে পাইরেসি ও ডাউনলোড হওয়ার পরও যুদ্ধে টিকে থাকা সম্ভব হবে। এক্ষেত্রে কোম্পানিগুলোর শুভ ও সৎ বুদ্ধির উদয় হওয়াটাই সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।
আসলে শিল্পীদের সঙ্গে কোম্পানির দূরত্ব অনেক বেশি তৈরি হয়ে গেছে। তবে একে অপরকে দোষারোপের জায়গা থেকে এখন বেরিয়ে এসে সংগীতাঙ্গন নিয়ে ভাবতে হবে। এভাবে আর চলতে পারে না। আমি মনে করি যেহেতু কোম্পানিগুলোই অ্যালবাম প্রকাশ করছে, তাই তাদেরকেই উদ্যোগটা নিতে হবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা না থাকলে এ অবস্থা থেকে আসলে উত্তরণ সম্ভব না। আর আমি দেখছি এখন ঢাকা শহরেই হিসাব করলে হাজার হাজার শিল্পী ও কম্পোজার পাওয়া যাবে। এটা কিভাবে সম্ভব? শিল্পী কিংবা সংগীত পরিচালক হওয়া কি এতটাই সহজ? এর মধ্যে বেশিরভাগ শিল্পী ও সংগীত পরিচালকের কোন যোগ্যতা নেই গান করার। তারপরও অডিও কোম্পানি অর্থের বিনিময়ে এসব শিল্পীর অ্যালবাম প্রকাশ করছে। তবে এটা নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। কারণ, এরা যেভাবে এসেছে সেভাবেই একদিন চলে যাবে। সত্যিকারের শিল্পীরাই টিকে থাকবে দীর্ঘদিন। তবে এখন থেকেই এসব মূর্খ শিল্পী-সংগীত পরিচালককে প্রতিহত করা উচিত কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে। আর এক সময় কিন্তু এই কোম্পানিগুলো অনেক অর্থ আয় করেছে অডিও ইন্ডাস্ট্রি থেকে। এখন মুখ ফিরিয়ে নিলে চলবে না। মনের রাখতে হবে, দুঃসময় এসেছে, তবে এটা স্থায়ী নয়। বাংলাদেশের মানুষ গান পাগল, তাই এ অবস্থা থেকে উত্তরণ একদিন না একদিন ঘটবেই। পাইরেসি ও ইন্টারনেট ডাউনলোডের ক্ষেত্রে অডিও কোম্পানিগুলোকে একত্রিত হয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। প্রয়োজনে সেই উদ্যোগের সঙ্গে আমরা শিল্পীরা একাত্মতা ঘোষণা করবো।
গান প্রকাশের ক্ষেত্রে সেন্সরশিপ থাকা উচিত - সৈয়দ আবদুল হাদী
এটা প্রযুক্তির যুগ। প্রযুক্তিকে কখনও অস্বীকার করা যাবে না। এর যেমন ভাল দিক রয়েছে ঠিক তেমনি খারাপ দিকও রয়েছে। তবে প্রযুক্তিকে আটকে রাখা সম্ভব নয় বলে আমি মনে করি। সে কারণে যুদ্ধ করেই আসলে একজন শিল্পীকে টিকে থাকতে হবে। আমার মনে হয় ভাল গান হলে সেটা শ্রোতারা নিজের গাঁটের টাকা খরচ করে হলেও কিনবে। কারণ, গানের প্রতি ভালবাসা তাদের রয়েছে। একটি উদাহরণ দিয়ে বোঝাই। সেটা হচ্ছে বই কিংবা দৈনিক পত্রিকা আজকাল ইন্টারনেট থেকেই পড়া যায়, তাই বলে কি বই আর পত্রিকা প্রকাশ কিংবা বিক্রি বন্ধ হয়ে গেছে? তা কিন্তু না। সুতরাং যতই ইন্টারনেট থেকে ফ্রি গান ডাউনলোড করা যাক না কেন, শ্রোতাদের চাহিদা অনুযায়ী গানের অ্যালবাম দিতে পারলে সেটা চলবেই। এক্ষেত্রে অডিও কোম্পানিকে সচেতন হতে হবে। আজকাল মানের বিষয়টি চিন্তা না করে কোম্পানিগুলো যদু, মধু, রাম, সামদের অ্যালবাম দেদার প্রকাশ করছে। উল্টো এসব শিল্পীর কাছ থেকে অর্থ নিয়ে এসব অ্যালবাম প্রকাশ হচ্ছে। এটা আগে বন্ধ করতে হবে। শুধু রাতারাতি ব্যবসা করার চিন্তা বাদ দিয়ে এসব কোম্পানিকে আগ্রহ প্রকাশ করতে হবে ভাল মানের গান প্রকাশের। আগে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তারপর একজন শিল্পীর গান রেকর্ডিং হতো। আসলে এক্ষেত্রে সেন্সরশিপ থাকা উচিত বলে আমি মনে করি। তাহলে শুধুমাত্র ভাল মানের শিল্পীরাই গান গাওয়ার সুযোগ পাবেন, যদু-মধুরা নয়। আমি মনে করি ভাল গান কোম্পানিগুলো প্রকাশ করলে পাইরেসি ও ডাউনলোড হওয়ার পরও যুদ্ধে টিকে থাকা সম্ভব হবে। এক্ষেত্রে কোম্পানিগুলোর শুভ ও সৎ বুদ্ধির উদয় হওয়াটাই সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার, ১৫ নভেম্বর ২০১২
বেশি জরুরি সামাজিক সচেতনতা ও দেশপ্রেম - ফাহমিদা নবী
আমি মনে করি পাইরেসিটা খুব বড় বিষয় নয়। পৃথিবীর সব দেশেই কম বেশি পাইরেসি রয়েছে। এর কারণে কিন্তু সেসব স্থানে সংগীতাঙ্গনে স্থবির অবস্থা বিরাজ করছে না। আর ইন্টারনেট ডাউনলোড বন্ধ করতে হলে নীতিমালার চেয়ে বেশি জরুরি সামাজিক সচেতনতা ও দেশপ্রেম। আমরা সব সময় দেশকে অবহেলার চোখে দেখি। দেশের বিষয়গুলোর চেয়ে আমাদের কাছে সব সময় বিদেশী জিনিসই খুব বেশি দামি। এই মনমানসিকতাটা পাল্টানো জরুরি। দেশকে ভালবাসতে হবে। তবেই সংগীতাঙ্গনের উন্নয়ন সম্ভব। আমি একটি কথায় খুব বিশ্বাসী- ‘আমি পারি তুমি পার না কেন’? আমি সব সময় দেশী কাপড় পরি। বিদেশী কাপড় পরিহার করি। জোর করে আসলে এই ভালবাসা কিংবা সচেতনতা জাগানো যাবে না। ‘আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে’- কবিতার এই লাইনটির মতোই সবাইকে ভাবতে হবে। আমি একদিন চট্টগ্রাম এয়ারপোর্টে যাওয়ার সময় শুনতে পেলাম সেখানে হিন্দি গান বাজছে। রীতিমতো অবাক হলাম। বাংলাদেশের এয়ারপোর্টে কেন হিন্দি গান বাজবে! আমি কর্তৃপক্ষকে সঙ্গে সঙ্গে হিন্দি গান বন্ধ করতে বললাম। এই বিষয়টি আসলে সবারই করা উচিত। নিজেকে আগে ভালবাসতে শিখতে হবে। সেটা যদি হয় তাহলে কোন নীতিমালা লাগবে না, এমনিতেই সংগীতাঙ্গনের উন্নতি সম্ভব হবে।
একত্রিত হয়ে পদক্ষেপ নেয়া উচিত - আইয়ুব বাচ্চু
আসলে এই বিষয়টি নিয়ে সবার একত্রিত হওয়া উচিত। কিন্তু একত্রিত তো আর হওয়া যাচ্ছে না। কারণ যেসব অডিও কোম্পানি সুসময়ে শিল্পীদের অ্যালবাম দিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় করেছে সেই সাউন্ডটেক ও সংগীতা তো এখন নিশ্চুপ। এখন তো শীর্ষ অডিও কোম্পানি হিসেবে তাদের বিষয়টি নিয়ে উদ্যোগ নেয়া উচিত। সবাইকে একত্রিত করার বিষয়টিও আমি মনে করি তাদেরই দেখা উচিত। আর ডাউনলোডের বিষয়টি নিয়ে বলবো, এটি একদম বন্ধ করে দেয়া উচিত। ইউটিউব যেভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে গান ডাউনলোডও সেভাবে বন্ধ করার ব্যবস্থা করতে হবে। আর বিষয়টি সবাইকে একত্রিত হয়ে করতে হবে। যারা ভাল সময়ে হেসেছেন এখন তাদের মুখ ঘুরিয়ে বসে থাকলে চলবে না। একত্রে কাজ করতে হবে। আমি মনে করি তারা এখন অযাচিত কারণে মুখ ঘুরিয়ে রাখছেন। শুনেছি তারা অনেকে এখন ব্যবসা গোটানোর পরিকল্পনা করেছেন। কিন্তু কেন? তাদেরই তো এখন সবার সামনে থেকে বিষয়টি নিয়ে কথা বলা উচিত ছিল। তারপরেও বলবো, এখনও সময় আছে। অডিও ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়নে পাইরেসি ও ডাউনলোড বন্ধে একত্রিত হয়ে পদক্ষেপ নেয়া উচিত। না হলে এরকমভাবে সমস্যা আরও বাড়তে থাকবে
আমি মনে করি পাইরেসিটা খুব বড় বিষয় নয়। পৃথিবীর সব দেশেই কম বেশি পাইরেসি রয়েছে। এর কারণে কিন্তু সেসব স্থানে সংগীতাঙ্গনে স্থবির অবস্থা বিরাজ করছে না। আর ইন্টারনেট ডাউনলোড বন্ধ করতে হলে নীতিমালার চেয়ে বেশি জরুরি সামাজিক সচেতনতা ও দেশপ্রেম। আমরা সব সময় দেশকে অবহেলার চোখে দেখি। দেশের বিষয়গুলোর চেয়ে আমাদের কাছে সব সময় বিদেশী জিনিসই খুব বেশি দামি। এই মনমানসিকতাটা পাল্টানো জরুরি। দেশকে ভালবাসতে হবে। তবেই সংগীতাঙ্গনের উন্নয়ন সম্ভব। আমি একটি কথায় খুব বিশ্বাসী- ‘আমি পারি তুমি পার না কেন’? আমি সব সময় দেশী কাপড় পরি। বিদেশী কাপড় পরিহার করি। জোর করে আসলে এই ভালবাসা কিংবা সচেতনতা জাগানো যাবে না। ‘আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে’- কবিতার এই লাইনটির মতোই সবাইকে ভাবতে হবে। আমি একদিন চট্টগ্রাম এয়ারপোর্টে যাওয়ার সময় শুনতে পেলাম সেখানে হিন্দি গান বাজছে। রীতিমতো অবাক হলাম। বাংলাদেশের এয়ারপোর্টে কেন হিন্দি গান বাজবে! আমি কর্তৃপক্ষকে সঙ্গে সঙ্গে হিন্দি গান বন্ধ করতে বললাম। এই বিষয়টি আসলে সবারই করা উচিত। নিজেকে আগে ভালবাসতে শিখতে হবে। সেটা যদি হয় তাহলে কোন নীতিমালা লাগবে না, এমনিতেই সংগীতাঙ্গনের উন্নতি সম্ভব হবে।
একত্রিত হয়ে পদক্ষেপ নেয়া উচিত - আইয়ুব বাচ্চু
আসলে এই বিষয়টি নিয়ে সবার একত্রিত হওয়া উচিত। কিন্তু একত্রিত তো আর হওয়া যাচ্ছে না। কারণ যেসব অডিও কোম্পানি সুসময়ে শিল্পীদের অ্যালবাম দিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় করেছে সেই সাউন্ডটেক ও সংগীতা তো এখন নিশ্চুপ। এখন তো শীর্ষ অডিও কোম্পানি হিসেবে তাদের বিষয়টি নিয়ে উদ্যোগ নেয়া উচিত। সবাইকে একত্রিত করার বিষয়টিও আমি মনে করি তাদেরই দেখা উচিত। আর ডাউনলোডের বিষয়টি নিয়ে বলবো, এটি একদম বন্ধ করে দেয়া উচিত। ইউটিউব যেভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে গান ডাউনলোডও সেভাবে বন্ধ করার ব্যবস্থা করতে হবে। আর বিষয়টি সবাইকে একত্রিত হয়ে করতে হবে। যারা ভাল সময়ে হেসেছেন এখন তাদের মুখ ঘুরিয়ে বসে থাকলে চলবে না। একত্রে কাজ করতে হবে। আমি মনে করি তারা এখন অযাচিত কারণে মুখ ঘুরিয়ে রাখছেন। শুনেছি তারা অনেকে এখন ব্যবসা গোটানোর পরিকল্পনা করেছেন। কিন্তু কেন? তাদেরই তো এখন সবার সামনে থেকে বিষয়টি নিয়ে কথা বলা উচিত ছিল। তারপরেও বলবো, এখনও সময় আছে। অডিও ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়নে পাইরেসি ও ডাউনলোড বন্ধে একত্রিত হয়ে পদক্ষেপ নেয়া উচিত। না হলে এরকমভাবে সমস্যা আরও বাড়তে থাকবে
শুক্রবার, ১৬ নভেম্বর ২০১২
সবার একত্রিত হয়ে কাজ করা প্রয়োজন - আলাউদ্দিন আলী
সংগীতাঙ্গনের মানুষরা আসলে সব সময় বঞ্চিত। শিল্পী, গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালকদের মতো এতটা বঞ্চিত অন্য কোন পেশার মানুষরা আছেন কিনা আমার জানা নেই। নিজের সঠিক অধিকারটিই তারা পাচ্ছেন না। পাইরেসি ও ফ্রি ডাউনলোডের কারণে সংগীতাঙ্গনের অবস্থা এখন খুব খারাপ। এ বিষয়ে সবার একত্রিত হয়ে কাজ করার কথা ছিল। কিন্তু সত্যি কথা বলতে অনেকেই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। অডিও কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে শিল্পীরা সেই শুরু থেকেই প্রতারিত। এখন সেই মাত্রাটা আরও বেড়েছে। তবে আমি বিশ্বাস করি সবার একত্রিত হয়ে কাজ করা প্রয়োজন। আমি সংগীতের শীর্ষ সংগঠন এলসিএসগিল্ডের সভাপতি হিসেবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি শিল্পীর সব ধরনের রয়্যালটির ন্যায্য অধিকার আদায়ে। আমাদের হয়তো একটু সময় লাগছে। তবে সরকারের সহযোগিতা পেলে ধীরে ধীরে বিষয়গুলো সব আয়ত্তে চলে আসবে। এদিকে মোবাইল কোম্পানিগুলোর সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়েছে রয়্যালটির ব্যাপারে। কিন্তু এক্ষেত্রেও কিছু ঝামেলা রয়ে গেছে। কারণ একটি জনপ্রিয় গানের একাধিক কোড ব্যবহার করছে বিভিন্ন সিপি প্রতিষ্ঠান। আর আমাদের দেয়া হচ্ছে একটি কোড। তাই সঠিক হিসেবটা এখনও মিলছে না। মূলত এই একাধিক কোডের বিষয়গুলো সমাধান করতেই সময়টা লাগছে। মোবাইল কোম্পানির পর রেডিও স্টেশন ও চ্যানেলগুলোতেও আমরা রয়্যালটির ব্যাপারে বসবো এলসিএসগিল্ডের পক্ষ থেকে। এসব ক্ষেত্রে আমরা অনেক ছাড় দিয়ে ফেলেছি, যেটা আমাদের উচিত হয়নি। এখন থেকে আমরা এসব বিষয়ে বাধার সম্মুখীন হলে আইনের আশ্রয় নেবো। আশা করছি আগামী এক বছরের মধ্যে একটি ভাল ফল আমরা এখান থেকে পাবো।
শিল্পীদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখালে হবে না - এন্ড্রু কিশোর
প্রথম দিকে পাইরেসি এবং পরবর্তীতে ফ্রি ডাউনলোডের শিকার আমরা শিল্পীরা হয়েছি। এর মাধ্যমে অডিও প্রযোজকরাও ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। তবে আমি মনে করি ভাল মানের শিল্পীদের শ্রোতা রয়েছে। তাই যত কিছু হোক না কেন সেই শ্রোতা কিন্তু সেই প্রিয় শিল্পীর অ্যালবাম ঠিকই কিনবেন। এটা গানের প্রতি ও শিল্পীর প্রতি ভালবাসা, ভাল লাগা ও শ্রদ্ধাবোধ থেকেই আসলে হয়। তাই কোম্পানিগুলো যতটা হা-হুতাশ করছে, ততটা খারাপ অবস্থা এখন নয়। আর এখন অনেক সিপি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকেই কিন্তু অনেক অডিও কোম্পানি রয়্যালটি বুঝে নিচ্ছেন। বরং সেই রয়্যালটি শিল্পী-গীতিকার-সুরকার ও সংগীত পরিচালকদের মধ্যে কতটুকু বণ্টন করা হচ্ছে সেটাই দেখার ব্যাপার। একটা গান ভালভাবে হিট হলে সেটার ওয়েলকাম টিউন থেকেই ভাল একটি অর্থ পাওয়া যায়। কিন্তু সেটা বেশিরভাগ সময়ই শিল্পীদের কাছে পৌঁছে না। আমি বলবো শিল্পী ও অডিও কোম্পানিগুলো একত্রিত হয়ে কাজ করা উচিত। তবে এক্ষেত্রে কোম্পানিগুলোকে আরও সচেতন হতে হবে। একতরফা ব্যবসা নেই বলে শিল্পীদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখালে হবে না। আর অবশ্যই কপিরাইটের নিয়মগুলো অনুসরণ করতে হবে। নিজের ইচ্ছেমতো নিয়ম তৈরি করলে হবে না। আমরা চাই না একজন সাবিনা ইয়াসমিন কিংবা আজম খানের মতো কোন শিল্পীর চিকিৎসা করতে হিমশিম খেতে হয়। অথচ একজন শিল্পী যদি তার সঠিক সম্মানী পেতো তাহলে এ ধরনের দৃশ্য দেখতে হতো না। তাই শিল্পীদের অধিকার রক্ষায় সরকারি উদ্যোগও জরুরি বলে আমি মনে করি।
সংগীতাঙ্গনের মানুষরা আসলে সব সময় বঞ্চিত। শিল্পী, গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালকদের মতো এতটা বঞ্চিত অন্য কোন পেশার মানুষরা আছেন কিনা আমার জানা নেই। নিজের সঠিক অধিকারটিই তারা পাচ্ছেন না। পাইরেসি ও ফ্রি ডাউনলোডের কারণে সংগীতাঙ্গনের অবস্থা এখন খুব খারাপ। এ বিষয়ে সবার একত্রিত হয়ে কাজ করার কথা ছিল। কিন্তু সত্যি কথা বলতে অনেকেই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। অডিও কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে শিল্পীরা সেই শুরু থেকেই প্রতারিত। এখন সেই মাত্রাটা আরও বেড়েছে। তবে আমি বিশ্বাস করি সবার একত্রিত হয়ে কাজ করা প্রয়োজন। আমি সংগীতের শীর্ষ সংগঠন এলসিএসগিল্ডের সভাপতি হিসেবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি শিল্পীর সব ধরনের রয়্যালটির ন্যায্য অধিকার আদায়ে। আমাদের হয়তো একটু সময় লাগছে। তবে সরকারের সহযোগিতা পেলে ধীরে ধীরে বিষয়গুলো সব আয়ত্তে চলে আসবে। এদিকে মোবাইল কোম্পানিগুলোর সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়েছে রয়্যালটির ব্যাপারে। কিন্তু এক্ষেত্রেও কিছু ঝামেলা রয়ে গেছে। কারণ একটি জনপ্রিয় গানের একাধিক কোড ব্যবহার করছে বিভিন্ন সিপি প্রতিষ্ঠান। আর আমাদের দেয়া হচ্ছে একটি কোড। তাই সঠিক হিসেবটা এখনও মিলছে না। মূলত এই একাধিক কোডের বিষয়গুলো সমাধান করতেই সময়টা লাগছে। মোবাইল কোম্পানির পর রেডিও স্টেশন ও চ্যানেলগুলোতেও আমরা রয়্যালটির ব্যাপারে বসবো এলসিএসগিল্ডের পক্ষ থেকে। এসব ক্ষেত্রে আমরা অনেক ছাড় দিয়ে ফেলেছি, যেটা আমাদের উচিত হয়নি। এখন থেকে আমরা এসব বিষয়ে বাধার সম্মুখীন হলে আইনের আশ্রয় নেবো। আশা করছি আগামী এক বছরের মধ্যে একটি ভাল ফল আমরা এখান থেকে পাবো।
শিল্পীদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখালে হবে না - এন্ড্রু কিশোর
প্রথম দিকে পাইরেসি এবং পরবর্তীতে ফ্রি ডাউনলোডের শিকার আমরা শিল্পীরা হয়েছি। এর মাধ্যমে অডিও প্রযোজকরাও ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। তবে আমি মনে করি ভাল মানের শিল্পীদের শ্রোতা রয়েছে। তাই যত কিছু হোক না কেন সেই শ্রোতা কিন্তু সেই প্রিয় শিল্পীর অ্যালবাম ঠিকই কিনবেন। এটা গানের প্রতি ও শিল্পীর প্রতি ভালবাসা, ভাল লাগা ও শ্রদ্ধাবোধ থেকেই আসলে হয়। তাই কোম্পানিগুলো যতটা হা-হুতাশ করছে, ততটা খারাপ অবস্থা এখন নয়। আর এখন অনেক সিপি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকেই কিন্তু অনেক অডিও কোম্পানি রয়্যালটি বুঝে নিচ্ছেন। বরং সেই রয়্যালটি শিল্পী-গীতিকার-সুরকার ও সংগীত পরিচালকদের মধ্যে কতটুকু বণ্টন করা হচ্ছে সেটাই দেখার ব্যাপার। একটা গান ভালভাবে হিট হলে সেটার ওয়েলকাম টিউন থেকেই ভাল একটি অর্থ পাওয়া যায়। কিন্তু সেটা বেশিরভাগ সময়ই শিল্পীদের কাছে পৌঁছে না। আমি বলবো শিল্পী ও অডিও কোম্পানিগুলো একত্রিত হয়ে কাজ করা উচিত। তবে এক্ষেত্রে কোম্পানিগুলোকে আরও সচেতন হতে হবে। একতরফা ব্যবসা নেই বলে শিল্পীদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখালে হবে না। আর অবশ্যই কপিরাইটের নিয়মগুলো অনুসরণ করতে হবে। নিজের ইচ্ছেমতো নিয়ম তৈরি করলে হবে না। আমরা চাই না একজন সাবিনা ইয়াসমিন কিংবা আজম খানের মতো কোন শিল্পীর চিকিৎসা করতে হিমশিম খেতে হয়। অথচ একজন শিল্পী যদি তার সঠিক সম্মানী পেতো তাহলে এ ধরনের দৃশ্য দেখতে হতো না। তাই শিল্পীদের অধিকার রক্ষায় সরকারি উদ্যোগও জরুরি বলে আমি মনে করি।
শনিবার, ১৭ নভেম্বর ২০১২
শিল্পী ও অডিও কোম্পানিকে একত্রিত হতে হবে - আলম খান
দিন দিন কেবল অস্থিরই হচ্ছে অডিও অঙ্গন। একটি কথা বলতে চাই, আমরা নিজেরাই বোধ হয় নিজেদের ভাল চাই না। না হলে তো এরকমটা হওয়ার কথা ছিল না। কারণ, শিল্পীরা সংঘবদ্ধ থাকলে পাইরেসি হোক আর ইন্টারনেটে ফ্রি ডাউনলোড, এগুলো এই পরিমাণে থাকতো না বলে আমার বিশ্বাস। ‘একের লাঠি দশের বোঝা’ এ প্রবাদটা মেনে চলাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। একা একা আন্দোলন করে কিংবা একটি মাত্র সংগঠনের আন্দোলনে সার্বিক পরিস্থিতি বদলানো সম্ভব নয়। এর জন্য এক হওয়া প্রয়োজন। এক হয়ে সরকারের কাছে প্রস্তাব রাখতে হবে পাইরেসি ও ইন্টারনেটে ডাউনলোডের বিষয়টি নিয়ে। এক না হয়ে প্রস্তাব করলে সেটা তেমন গুরুত্ব পাবে না। তাই এক্ষেত্রে শিল্পী এবং অডিও কোম্পানিকে একত্রিত হতে হবে। কারণ, শিল্পীর গান দিয়েই কিন্তু আজকের কোম্পানি। আর শিল্পীর জন্যও কোম্পানি বেশ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই রেষারেষি করে লাভ নেই। নিজেদের ভাল চাইতে হলে এক হয়েই কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে কোম্পানিগুলোকে আগে একত্রিত হয়ে উদ্যোগ নিতে হবে। শিল্পীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে। যে দূরত্ব ও দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়েছে তার জন্য কোম্পানিগুলো বেশি দায়ী। তাই সেটা দূর করতে হবে। এরপর আলোচনার মাধ্যমে একটি জায়গায় সংঘবদ্ধ হয়ে সরকারের কাছে প্রস্তাব করতে হবে। এটা যদি হয় তাহলে এ অবস্থা বদলে যাবে বলে আমার বিশ্বাস। অনেক সময় চলে গেছে, এরকম উদ্যোগ আগেই নেয়া উচিত ছিল। তবে এখন থেকে উদ্যোগ না গ্রহণ করলে অডিও শিল্প কিন্তু পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে। সেটা হওয়ার আগেই যা করার করতে হবে। আমি কখনই হতাশাবাদীদের দলে নই। আমাদের সংগীত ভাণ্ডার সমৃদ্ধ। এর একটি উজ্জ্বল অতীত-ইতিহাস রয়েছে। তাই সামনেও অডিও ইন্ডাস্ট্রি তথা পুরো সংগীতাঙ্গন নিয়ে আমি অনেক আশাবাদী।
সরকারি উদ্যোগে ফ্রি গান ডাউনলোড বন্ধ করা উচিত - আবিদা সুলতানা
আসলে হঠাৎ করে পাইরেসি ও ইন্টারনেটে ফ্রি গান ডাউনলোডের বিষয়টি আমাদের পুরো অডিও ইন্ডাস্ট্রিকে অস্থির করে তুলেছে। দিন দিনই খারাপের দিকে যাচ্ছে অবস্থা। কিন্তু এর বিরুদ্ধে কোন উদ্যোগ নেই। কিছুদিন শুনেছি পাইরেসির বিরুদ্ধে সরকারের অ্যাকশনের কথা। তবে এখন সবচেয়ে বড় বিষয় হলো ইন্টারনেটে গান ডাউনলোডের বিষয়টি। এটা সবার আগে বন্ধ করতে হবে। প্রযুক্তিকে অবশ্যই স্বীকার করতে হবে, তবে তার ব্যবহারটা কেবল ভাল কাজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকা উচিত। আমার মনে হয় এটা খুব বড় কোন বিষয় নয় সরকারের কাছে। আমাদের সব শিল্পীর বৃহৎ স্বার্থে সরকারি উদ্যোগের মাধ্যমে ফ্রি গান ডাউনলোডের সাইটগুলো মনিটরিং করে বন্ধ করা উচিত। ইউটিউব যদি বন্ধ হতে পারে তাহলে এটাও আমার মনে হয় বন্ধ করা কোন ব্যাপার নয়। এ ব্যাপারে সরকার দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে আশা করি। আর অডিও কোম্পানির কথা আর কি বলবো! নেই, নেই আর নেই। এই হলো কোম্পানিগুলোর চিরপরিচিত ভাষা। আর এখন তো পাইরেসি ও প্রযুক্তির দোহাই দিয়ে শিল্পীদের আরও বেশি বঞ্চিত করছে কোম্পানিগুলো। এ কারণে আমি নিজেও নতুন অ্যালবাম প্রকাশ করার সাহস পাচ্ছি না। কোম্পানির হাতে তুলে না দিয়ে বিকল্প কোন উপায়ে অ্যালবাম প্রকাশ করবো কিনা ভাবছি। তবে এসব অডিও কোম্পানিগুলোকে ভাবতে হবে শিল্পীদের ছাড়া তাদের পথচলা অসম্ভব। তাই তাদের ন্যায্য অধিকার দিতেই হবে। এক্ষেত্রে শিল্পীদের একাত্মতার অভাবটা বড় অনুভব করি। শিল্পীরা এক থাকলে সব সমস্যারই সমাধান হয়ে যাবে বলেই আমার বিশ্বাস।
দিন দিন কেবল অস্থিরই হচ্ছে অডিও অঙ্গন। একটি কথা বলতে চাই, আমরা নিজেরাই বোধ হয় নিজেদের ভাল চাই না। না হলে তো এরকমটা হওয়ার কথা ছিল না। কারণ, শিল্পীরা সংঘবদ্ধ থাকলে পাইরেসি হোক আর ইন্টারনেটে ফ্রি ডাউনলোড, এগুলো এই পরিমাণে থাকতো না বলে আমার বিশ্বাস। ‘একের লাঠি দশের বোঝা’ এ প্রবাদটা মেনে চলাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। একা একা আন্দোলন করে কিংবা একটি মাত্র সংগঠনের আন্দোলনে সার্বিক পরিস্থিতি বদলানো সম্ভব নয়। এর জন্য এক হওয়া প্রয়োজন। এক হয়ে সরকারের কাছে প্রস্তাব রাখতে হবে পাইরেসি ও ইন্টারনেটে ডাউনলোডের বিষয়টি নিয়ে। এক না হয়ে প্রস্তাব করলে সেটা তেমন গুরুত্ব পাবে না। তাই এক্ষেত্রে শিল্পী এবং অডিও কোম্পানিকে একত্রিত হতে হবে। কারণ, শিল্পীর গান দিয়েই কিন্তু আজকের কোম্পানি। আর শিল্পীর জন্যও কোম্পানি বেশ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই রেষারেষি করে লাভ নেই। নিজেদের ভাল চাইতে হলে এক হয়েই কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে কোম্পানিগুলোকে আগে একত্রিত হয়ে উদ্যোগ নিতে হবে। শিল্পীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে। যে দূরত্ব ও দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়েছে তার জন্য কোম্পানিগুলো বেশি দায়ী। তাই সেটা দূর করতে হবে। এরপর আলোচনার মাধ্যমে একটি জায়গায় সংঘবদ্ধ হয়ে সরকারের কাছে প্রস্তাব করতে হবে। এটা যদি হয় তাহলে এ অবস্থা বদলে যাবে বলে আমার বিশ্বাস। অনেক সময় চলে গেছে, এরকম উদ্যোগ আগেই নেয়া উচিত ছিল। তবে এখন থেকে উদ্যোগ না গ্রহণ করলে অডিও শিল্প কিন্তু পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে। সেটা হওয়ার আগেই যা করার করতে হবে। আমি কখনই হতাশাবাদীদের দলে নই। আমাদের সংগীত ভাণ্ডার সমৃদ্ধ। এর একটি উজ্জ্বল অতীত-ইতিহাস রয়েছে। তাই সামনেও অডিও ইন্ডাস্ট্রি তথা পুরো সংগীতাঙ্গন নিয়ে আমি অনেক আশাবাদী।
সরকারি উদ্যোগে ফ্রি গান ডাউনলোড বন্ধ করা উচিত - আবিদা সুলতানা
আসলে হঠাৎ করে পাইরেসি ও ইন্টারনেটে ফ্রি গান ডাউনলোডের বিষয়টি আমাদের পুরো অডিও ইন্ডাস্ট্রিকে অস্থির করে তুলেছে। দিন দিনই খারাপের দিকে যাচ্ছে অবস্থা। কিন্তু এর বিরুদ্ধে কোন উদ্যোগ নেই। কিছুদিন শুনেছি পাইরেসির বিরুদ্ধে সরকারের অ্যাকশনের কথা। তবে এখন সবচেয়ে বড় বিষয় হলো ইন্টারনেটে গান ডাউনলোডের বিষয়টি। এটা সবার আগে বন্ধ করতে হবে। প্রযুক্তিকে অবশ্যই স্বীকার করতে হবে, তবে তার ব্যবহারটা কেবল ভাল কাজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকা উচিত। আমার মনে হয় এটা খুব বড় কোন বিষয় নয় সরকারের কাছে। আমাদের সব শিল্পীর বৃহৎ স্বার্থে সরকারি উদ্যোগের মাধ্যমে ফ্রি গান ডাউনলোডের সাইটগুলো মনিটরিং করে বন্ধ করা উচিত। ইউটিউব যদি বন্ধ হতে পারে তাহলে এটাও আমার মনে হয় বন্ধ করা কোন ব্যাপার নয়। এ ব্যাপারে সরকার দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে আশা করি। আর অডিও কোম্পানির কথা আর কি বলবো! নেই, নেই আর নেই। এই হলো কোম্পানিগুলোর চিরপরিচিত ভাষা। আর এখন তো পাইরেসি ও প্রযুক্তির দোহাই দিয়ে শিল্পীদের আরও বেশি বঞ্চিত করছে কোম্পানিগুলো। এ কারণে আমি নিজেও নতুন অ্যালবাম প্রকাশ করার সাহস পাচ্ছি না। কোম্পানির হাতে তুলে না দিয়ে বিকল্প কোন উপায়ে অ্যালবাম প্রকাশ করবো কিনা ভাবছি। তবে এসব অডিও কোম্পানিগুলোকে ভাবতে হবে শিল্পীদের ছাড়া তাদের পথচলা অসম্ভব। তাই তাদের ন্যায্য অধিকার দিতেই হবে। এক্ষেত্রে শিল্পীদের একাত্মতার অভাবটা বড় অনুভব করি। শিল্পীরা এক থাকলে সব সমস্যারই সমাধান হয়ে যাবে বলেই আমার বিশ্বাস।
রবিবার, ১৮ নভেম্বর ২০১২
এবার সঠিক পদক্ষেপ নেয়ার সময় এসেছে - শাম্মী আখতার
অডিও ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে এটা সম্পূর্ণভাবে মানতে আমি নারাজ। কারণ, পাইরেসি ও ফ্রি গান ডাউনলোড হচ্ছে এটা ঠিক, এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই অ্যালবাম বিক্রি কমেছে। কিন্তু একদমই বিক্রি হচ্ছে না তা ঠিক না। আমি মনে করি এখনও ভাল গানের অ্যালবাম হলে মানুষ নিজের পকেটের টাকা খরচ করেই কিনবে। আসলে প্রযুক্তিকে তো আটকে রাখা যাবে না। তারপরও দেশের বাইরে যেভাবে ইন্টারনেটের মাধ্যমে নিজেদের অ্যালবাম বিক্রি করা হয় সেই নিয়মটা আমাদের এখানে চালু হওয়া প্রয়োজন। এ নিয়মটা চালু হলে শিল্পীদের কোম্পানি কিংবা কেউ আর ঠকাতে পারবে না। তখন আর ফিজিক্যালি অ্যালবামও প্রকাশ করতে হবে না। মানুষ গান ইন্টারনেটের মাধ্যমে কিনে সহজভাবে শুনতে পারবে। তার আগে ফ্রি গান ডাউনলোডের বিষয়টির ওপর সরকারের তরফ থেকে ব্যবস্থা নেয়া উচিত। আর এ বিষয়টিতে অবশ্যই শিল্পীদের একত্রিত হওয়া উচিত। এসব বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা, সেমিনার অনেক হয়েছে। এবার বাস্তবসম্মত সঠিক পদক্ষেপ নেয়ার সময় এসেছে। এক্ষেত্রে সিনিয়রদের পাশাপাশি অবশ্য তরুণ প্রজন্মের সম্ভাবনাময় শিল্পীদেরও অংশগ্রহণ থাকাটা জরুরি। আর একটি কথা বলবো, এখন মোবাইল কোম্পানিগুলো ঠিকই শিল্পীদের জনপ্রিয় গানগুলোর রিংটোন ও ওয়েলকাম টিউন ছেড়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচ্ছে। কিন্তু শিল্পী এক্ষেত্রে তার রয়্যালটি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই পাইরেসি, গান ফ্রি ডাউনলোড ও রয়্যালটির ব্যাপারগুলোতে শিল্পদের এক হয়ে কাজ করলেই হবে, অন্য কারও লাগবে না।
প্রয়োজনে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে - নকিব খান
এখন আসলে গান বিষয়টা খুব সহজ হয়ে গেছে। একাধিক চ্যানেল, রেডিও স্টেশন, ইন্টারনেট, মোবাইলের মাধ্যমে নতুন গানগুলো মানুষ খুব সহজে পাচ্ছে। এটা সাধারণ শ্রোতাদের জন্য হয়তো অনেক সুখের একটি বিষয়। কিন্তু বিষয়গুলো শিল্পীদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আমার কথা হচ্ছে গান অ্যালবাম, রেডিও, টিভি চ্যানেল কিংবা যে পথেই পাওয়া যাক না কেন, শিল্পীদের ন্যায্য অধিকার দিতে হবে। এক্ষেত্রে মাধ্যমগুলোকে সচেতন ভূমিকা পালন করতে হবে। শুধু ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে সবকিছু বিচার করলে হবে না। কারণ, গান মানুষের মনের খোরাক। আর সেই গান কিন্তু একজন শিল্পীর পেশাও বটে। তাই শিল্পীদের পেটে লাথি মারলে সংগীতাঙ্গনের ক্ষতি, দেশের ক্ষতি। আমি মনে করি সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি এক্ষেত্রে মাধ্যমগুলোকে বড় ভূমিকা রাখতে হবে। যেমন একটি রেডিও স্টেশন চলে গান দিয়ে। সেখান থেকে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাণিজ্যও হচ্ছে অনেক। কিন্তু শিল্পীদের কোন অংশ দেয়া হচ্ছে না। মোবাইল কোম্পানিগুলো অর্থ আয় করছে গানের রিংটোন ও ওয়েলকাম টিউন দিয়ে। কিন্তু শিল্পীরা সেখানেও ন্যায্য পাওনা পাচ্ছে না। রেডিও, টিভি চ্যানেল ও মোবাইল কোম্পানি থেকে শিল্পীদের রয়্যালটি দিতে হবে। এটা তাদের হক। আর অডিও কোম্পানির কথা নাইবা বললাম। কারণ, তাদের কাছ থেকে হতাশার বাণী ছাড়া কিছুই শোনা যায় না। অ্যালবামের সঠিক সেল রিপোর্টও তারা বলে না। তাই এ বিষয়গুলোতে শিল্পীদের এক হয়ে কাজ করতে হবে। প্রয়োজনে আইনানুগ ব্যবস্থাও নিতে হবে।
অডিও ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে এটা সম্পূর্ণভাবে মানতে আমি নারাজ। কারণ, পাইরেসি ও ফ্রি গান ডাউনলোড হচ্ছে এটা ঠিক, এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই অ্যালবাম বিক্রি কমেছে। কিন্তু একদমই বিক্রি হচ্ছে না তা ঠিক না। আমি মনে করি এখনও ভাল গানের অ্যালবাম হলে মানুষ নিজের পকেটের টাকা খরচ করেই কিনবে। আসলে প্রযুক্তিকে তো আটকে রাখা যাবে না। তারপরও দেশের বাইরে যেভাবে ইন্টারনেটের মাধ্যমে নিজেদের অ্যালবাম বিক্রি করা হয় সেই নিয়মটা আমাদের এখানে চালু হওয়া প্রয়োজন। এ নিয়মটা চালু হলে শিল্পীদের কোম্পানি কিংবা কেউ আর ঠকাতে পারবে না। তখন আর ফিজিক্যালি অ্যালবামও প্রকাশ করতে হবে না। মানুষ গান ইন্টারনেটের মাধ্যমে কিনে সহজভাবে শুনতে পারবে। তার আগে ফ্রি গান ডাউনলোডের বিষয়টির ওপর সরকারের তরফ থেকে ব্যবস্থা নেয়া উচিত। আর এ বিষয়টিতে অবশ্যই শিল্পীদের একত্রিত হওয়া উচিত। এসব বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা, সেমিনার অনেক হয়েছে। এবার বাস্তবসম্মত সঠিক পদক্ষেপ নেয়ার সময় এসেছে। এক্ষেত্রে সিনিয়রদের পাশাপাশি অবশ্য তরুণ প্রজন্মের সম্ভাবনাময় শিল্পীদেরও অংশগ্রহণ থাকাটা জরুরি। আর একটি কথা বলবো, এখন মোবাইল কোম্পানিগুলো ঠিকই শিল্পীদের জনপ্রিয় গানগুলোর রিংটোন ও ওয়েলকাম টিউন ছেড়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচ্ছে। কিন্তু শিল্পী এক্ষেত্রে তার রয়্যালটি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই পাইরেসি, গান ফ্রি ডাউনলোড ও রয়্যালটির ব্যাপারগুলোতে শিল্পদের এক হয়ে কাজ করলেই হবে, অন্য কারও লাগবে না।
প্রয়োজনে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে - নকিব খান
এখন আসলে গান বিষয়টা খুব সহজ হয়ে গেছে। একাধিক চ্যানেল, রেডিও স্টেশন, ইন্টারনেট, মোবাইলের মাধ্যমে নতুন গানগুলো মানুষ খুব সহজে পাচ্ছে। এটা সাধারণ শ্রোতাদের জন্য হয়তো অনেক সুখের একটি বিষয়। কিন্তু বিষয়গুলো শিল্পীদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আমার কথা হচ্ছে গান অ্যালবাম, রেডিও, টিভি চ্যানেল কিংবা যে পথেই পাওয়া যাক না কেন, শিল্পীদের ন্যায্য অধিকার দিতে হবে। এক্ষেত্রে মাধ্যমগুলোকে সচেতন ভূমিকা পালন করতে হবে। শুধু ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে সবকিছু বিচার করলে হবে না। কারণ, গান মানুষের মনের খোরাক। আর সেই গান কিন্তু একজন শিল্পীর পেশাও বটে। তাই শিল্পীদের পেটে লাথি মারলে সংগীতাঙ্গনের ক্ষতি, দেশের ক্ষতি। আমি মনে করি সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি এক্ষেত্রে মাধ্যমগুলোকে বড় ভূমিকা রাখতে হবে। যেমন একটি রেডিও স্টেশন চলে গান দিয়ে। সেখান থেকে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাণিজ্যও হচ্ছে অনেক। কিন্তু শিল্পীদের কোন অংশ দেয়া হচ্ছে না। মোবাইল কোম্পানিগুলো অর্থ আয় করছে গানের রিংটোন ও ওয়েলকাম টিউন দিয়ে। কিন্তু শিল্পীরা সেখানেও ন্যায্য পাওনা পাচ্ছে না। রেডিও, টিভি চ্যানেল ও মোবাইল কোম্পানি থেকে শিল্পীদের রয়্যালটি দিতে হবে। এটা তাদের হক। আর অডিও কোম্পানির কথা নাইবা বললাম। কারণ, তাদের কাছ থেকে হতাশার বাণী ছাড়া কিছুই শোনা যায় না। অ্যালবামের সঠিক সেল রিপোর্টও তারা বলে না। তাই এ বিষয়গুলোতে শিল্পীদের এক হয়ে কাজ করতে হবে। প্রয়োজনে আইনানুগ ব্যবস্থাও নিতে হবে।
সোমবার, ১৯ নভেম্বর ২০১২
সবকিছুর ওপর নিয়ন্ত্রণ দরকার রয়েছে - রফিকুল আলম
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সব কিছুরই পরিবর্তন হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেই পরিবর্তনের মাধ্যমে উন্নতি সবাই আশা করে, অবনতি নয়। এদিকে প্রযুক্তির ফলে দেখা যাচ্ছে অডিও ইন্ডাস্ট্রিতে ধংস নেমে এসেছে। আসলে সব কিছুর ওপর নিয়ন্ত্রণ দরকার রয়েছে। সেটা না থাকলে ভাল জিনিসও খারাপ কাজে ব্যবহৃত হতে পারে। এর একটি প্রমাণ হলো প্রযুক্তি। আমরা প্রযুক্তি থেকে ভাল গ্রহণ করবো আর খারাপকে বর্জন। আর এ বিষয়ে আইন থাকতে হবে। অন্তত যেসব ওয়েবসাইটে ফ্রি গান ডাউনলোড করা হচ্ছে সেগুলো মনিটরিংয়ের মাধ্যমে বন্ধ করে দেয়া উচিত। সব সময় এই বিষয়টি মনিটরিংয়ে রাখলে ও এসব ওয়েবসাইটের হোতাদের শাস্তির ব্যবস্থা করলে আমার মনে হয় অডিও ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়ন দ্রুতই হবে। একজন দু’জনকে শাস্তি দিলে আর কেউ এরকম কাজ করার সাহস পাবে না। তবে এই বিষয়টি নিয়ে শিল্পীদেরই বসতে হবে প্রশাসনের সঙ্গে। তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করাতে হবে। এক্ষেত্রে অডিও কোম্পানি ও শিল্পীরা একসঙ্গে কাজ করলে ভাল ফলাফল পাওয়া যাবে। আর পাইরেসির ব্যাপারেও সামাজিক সচেতনতা গড়ে তোলা দরকার। তবে কোম্পনিগুলোকেও সচেতন হতে হবে শিল্পীদের ব্যাপারে। তাদের ন্যায্য পাওনা বুঝিয়ে দিতে হবে। শিল্পীরা আসলে সব সময়ই বঞ্চিত ছিল। এখন ২০১২ সালে এসেও যদি শিল্পীদের এসব মৌলিক বিষয় নিয়ে লড়াই করতে হয় তার চেয়ে দুঃখজনক ব্যাপার আর কিছু নেই। আমি আশা করবো সরকার, শিল্পী ও অডিও কোম্পানির সম্মিলিত উদ্যোগে অডিও ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়নের সব অন্তরায়গুলো খুব শিগগিরই দূর হয়ে যাবে।
যৌথভাবে কাজ না করলে অনেক দেরি হয়ে যাবে - একেএম আরিফুর রহমান
অডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান লেজারভিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে আমি মনে করি অডিও ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়নে একত্রিত হওয়া ছাড়া কোন বিকল্প নেই। যেভাবেই হোক শিল্পী ও কোম্পানিকে একত্রিত হতে হবে। কিন্তু যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে সব কিছু হারিয়েই বুঝি আমরা এক হবো! পাইরেসি, ফ্রি গান ডাউনলোড কিংবা রয়্যালটির ব্যাপারে আমরা বিচ্ছিন্নভাবে আন্দোলন করছি। বিচ্ছিন্ন থাকার ফলে শিল্পীরাও লাভবান হচ্ছে না, কোম্পানিও ক্ষতির অংক কেবল গুনছে। অথচ যৌথভাবে কাজ করলে সব সমস্যাই সমাধান হতো। আমরা এমআইবি (অডিও প্রযোজকদের সংগঠন)-এর তরফ থেকে বেশ কয়েকবারই এই বিষয়টিতে সিনিয়র শিল্পীদের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব করেছি। কিন্তু কোন সাড়া শিল্পীদের তরফ থেকে পাইনি। তাদের হয়তো অনেক অভিমান কিংবা ক্ষোভ রয়েছে, সেটা আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করতে হবে। সবারই মানতে হবে যে পাইরেসি এবং ফ্রি ডাউনলোডের ফলে অডিও ইন্ডাস্ট্রি ধ্বংসের মুখে। এখনই যদি এই বিষয়ে যৌথভাবে কাজ না করা হয় তবে অনেক দেরি হয়ে যাবে। রেডিও স্টেশন, টিভি চ্যানেল এবং মোবাইল কোম্পানি থেকেও রয়্যালটি পাওয়ার কথা আমাদের। কিন্তু একত্রিত না হওয়ায় সেটা হচ্ছে না। তবে এটা বলতে পারি যে অন্তত লেজারভিশন থেকে আমরা একজন শিল্পীর সঙ্গে আলোচনা করে সমঝোতার মাধ্যমেই অ্যালবাম প্রকাশ করছি। এক্ষেত্রে কোন শিল্পীর কোন অভিযোগও নেই। আমরা তো এখানে শিল্পীদের নিয়েই কাজ করতে এসেছি। একটি অ্যালবাম দশ লাখ টাকা দিয়ে করলে যদি সেটা রিটার্ন আসে তাহলে তো অ্যালবাম করতে আমাদের কোন বাধা নেই। আমি এখনও সিনিয়র শিল্পীদের আমন্ত্রণ জানাই আলোচনায় বসার। এরপর দুই পক্ষের সমঝোতার ভিত্তিতে কাজ করলে অডিও ইন্ডাস্ট্রি আবারও আগের অবস্থানে ফিরে যাবে বলে আমার বিশ্বাস।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সব কিছুরই পরিবর্তন হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেই পরিবর্তনের মাধ্যমে উন্নতি সবাই আশা করে, অবনতি নয়। এদিকে প্রযুক্তির ফলে দেখা যাচ্ছে অডিও ইন্ডাস্ট্রিতে ধংস নেমে এসেছে। আসলে সব কিছুর ওপর নিয়ন্ত্রণ দরকার রয়েছে। সেটা না থাকলে ভাল জিনিসও খারাপ কাজে ব্যবহৃত হতে পারে। এর একটি প্রমাণ হলো প্রযুক্তি। আমরা প্রযুক্তি থেকে ভাল গ্রহণ করবো আর খারাপকে বর্জন। আর এ বিষয়ে আইন থাকতে হবে। অন্তত যেসব ওয়েবসাইটে ফ্রি গান ডাউনলোড করা হচ্ছে সেগুলো মনিটরিংয়ের মাধ্যমে বন্ধ করে দেয়া উচিত। সব সময় এই বিষয়টি মনিটরিংয়ে রাখলে ও এসব ওয়েবসাইটের হোতাদের শাস্তির ব্যবস্থা করলে আমার মনে হয় অডিও ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়ন দ্রুতই হবে। একজন দু’জনকে শাস্তি দিলে আর কেউ এরকম কাজ করার সাহস পাবে না। তবে এই বিষয়টি নিয়ে শিল্পীদেরই বসতে হবে প্রশাসনের সঙ্গে। তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করাতে হবে। এক্ষেত্রে অডিও কোম্পানি ও শিল্পীরা একসঙ্গে কাজ করলে ভাল ফলাফল পাওয়া যাবে। আর পাইরেসির ব্যাপারেও সামাজিক সচেতনতা গড়ে তোলা দরকার। তবে কোম্পনিগুলোকেও সচেতন হতে হবে শিল্পীদের ব্যাপারে। তাদের ন্যায্য পাওনা বুঝিয়ে দিতে হবে। শিল্পীরা আসলে সব সময়ই বঞ্চিত ছিল। এখন ২০১২ সালে এসেও যদি শিল্পীদের এসব মৌলিক বিষয় নিয়ে লড়াই করতে হয় তার চেয়ে দুঃখজনক ব্যাপার আর কিছু নেই। আমি আশা করবো সরকার, শিল্পী ও অডিও কোম্পানির সম্মিলিত উদ্যোগে অডিও ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়নের সব অন্তরায়গুলো খুব শিগগিরই দূর হয়ে যাবে।
যৌথভাবে কাজ না করলে অনেক দেরি হয়ে যাবে - একেএম আরিফুর রহমান
অডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান লেজারভিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে আমি মনে করি অডিও ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়নে একত্রিত হওয়া ছাড়া কোন বিকল্প নেই। যেভাবেই হোক শিল্পী ও কোম্পানিকে একত্রিত হতে হবে। কিন্তু যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে সব কিছু হারিয়েই বুঝি আমরা এক হবো! পাইরেসি, ফ্রি গান ডাউনলোড কিংবা রয়্যালটির ব্যাপারে আমরা বিচ্ছিন্নভাবে আন্দোলন করছি। বিচ্ছিন্ন থাকার ফলে শিল্পীরাও লাভবান হচ্ছে না, কোম্পানিও ক্ষতির অংক কেবল গুনছে। অথচ যৌথভাবে কাজ করলে সব সমস্যাই সমাধান হতো। আমরা এমআইবি (অডিও প্রযোজকদের সংগঠন)-এর তরফ থেকে বেশ কয়েকবারই এই বিষয়টিতে সিনিয়র শিল্পীদের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব করেছি। কিন্তু কোন সাড়া শিল্পীদের তরফ থেকে পাইনি। তাদের হয়তো অনেক অভিমান কিংবা ক্ষোভ রয়েছে, সেটা আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করতে হবে। সবারই মানতে হবে যে পাইরেসি এবং ফ্রি ডাউনলোডের ফলে অডিও ইন্ডাস্ট্রি ধ্বংসের মুখে। এখনই যদি এই বিষয়ে যৌথভাবে কাজ না করা হয় তবে অনেক দেরি হয়ে যাবে। রেডিও স্টেশন, টিভি চ্যানেল এবং মোবাইল কোম্পানি থেকেও রয়্যালটি পাওয়ার কথা আমাদের। কিন্তু একত্রিত না হওয়ায় সেটা হচ্ছে না। তবে এটা বলতে পারি যে অন্তত লেজারভিশন থেকে আমরা একজন শিল্পীর সঙ্গে আলোচনা করে সমঝোতার মাধ্যমেই অ্যালবাম প্রকাশ করছি। এক্ষেত্রে কোন শিল্পীর কোন অভিযোগও নেই। আমরা তো এখানে শিল্পীদের নিয়েই কাজ করতে এসেছি। একটি অ্যালবাম দশ লাখ টাকা দিয়ে করলে যদি সেটা রিটার্ন আসে তাহলে তো অ্যালবাম করতে আমাদের কোন বাধা নেই। আমি এখনও সিনিয়র শিল্পীদের আমন্ত্রণ জানাই আলোচনায় বসার। এরপর দুই পক্ষের সমঝোতার ভিত্তিতে কাজ করলে অডিও ইন্ডাস্ট্রি আবারও আগের অবস্থানে ফিরে যাবে বলে আমার বিশ্বাস।
মঙ্গলবার, ২০ নভেম্বর ২০১২
সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের দায়িত্ব কোম্পানিগুলোরই - আগুন
অডিও ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা খারাপ এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে যতটুকু না অবস্থা খারাপ তার চাইতে বেশি খারাপ জাহির করছে অডিও কেম্পানিগুলো। এই কোম্পানিগুলো সিনিয়র শিল্পীদের অ্যালবাম দিয়ে অনেক অর্থ আয় করেছে। কিন্তু এখন তারা পিছপা হয়ে গেছে। অথচ এই সময়ে শিল্পী এবং অডিও ইন্ডাস্ট্রির পাশে দাঁড়ানোই সবচেয়ে বেশি উচিত ছিল কোম্পানিগুলোর। এখন কিছু তরুণ শিল্পীর অ্যালবাম তারা নাম পরিমাণ অর্থের মাধ্যমে কিনছে। সেগুলোতে বিনিয়োগ করা অর্থ সহজেই ওয়েলকাম টিউনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে উঠেও আসছে। আর নতুন শিল্পীদের অ্যালবাম করতে উল্টো টাকা নিচ্ছে তারা। অন্যদিকে সিনিয়র শিল্পীরা নাম পরিমাণ অর্থের মাধ্যমে অ্যালবাম করছেন না। স্পন্সর ছাড়া তাই অ্যালবাম প্রকাশ করতে আমাদের কষ্টই বটে। এই হলো শিল্পী ও কোম্পানির মধ্যেকার বর্তমান সম্পর্ক। সম্পর্কটা পুরোপুরি ব্যবসায়িক করে ফেলেছে কোম্পানিগুলো। তাদের এরকম আচরণের ফলেই পাইরেসি ও ফ্রি গান ডাউনলোডের বিষয়গুলো বেশি মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। সম্পর্কের যে অবনতি হয়েছে তা পুনরুদ্ধারের দায়িত্ব কোম্পানিগুলোরই। তবে আমি অবশ্যই মনে করি যে পাইরেসি ও ফ্রি ডাউনলোডের ব্যাপারে একত্রিত হওয়া উচিত। আর সেটা হতে হবে শিল্পী ও কোম্পানির আলোচনার মাধ্যমে। প্রযুক্তির সৎ ব্যবহার আমরা সব সময় আশা করি। কিন্তু প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘরে বসে বসে নতুন গান ফ্রি পেয়ে যাওয়ার বিষয়টি সত্যিই দুঃখজনক। কারণ ডিজিটালি গান প্রকাশ বাইরের দেশেও আছে। সেখানে শিল্পীরা অ্যালবামের পাশাপাশি একইসঙ্গে নিজেদের ওয়েবসাইটে গান প্রকাশ করেন। তবে সেটা ফ্রি ডাউনলোড করা সম্ভব নয়। একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দিয়ে গান ডাইনলোড করতে হয়। এই বিষয়টি বাংলাদেশে চালু হওয়া প্রয়োজন। বিষয়টি নিয়ে শিল্পীদের একত্রিত হয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা উচিত। তাহলে ইন্ডাস্ট্রির অস্থির অবস্থাটা অনেকাংশে দূর হবে।
গান প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে ওয়েবসাইটকে বেছে নিতে হবে - বিপ্লব
আমি আসলে এই যুগে এসে প্রযুক্তিকে অস্বীকার করতে পারবো না। কারণ সেটা করলে আমি নিজেই পিছিয়ে পড়বো। সে কারণে ইতিমধ্যে আমি ব্যক্তিগতভাবে আমার একক এবং ব্যান্ড প্রমিথিউস এর অ্যালবাম ফিজিক্যালি প্রকাশ করবো না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা গত এক বছর ধরে আমাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে গান প্রকাশ করছি। আপাতত আমরা এখান থেকে শ্রোতাদের ফ্রি গান ডাউনলোডের সুযোগ দিয়েছি। আর প্রতিটি গানের জন্য আমরা স্পন্সর নিচ্ছি একটি করে কোম্পানির। আমি মনে করি আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ফিজিক্যাল অ্যালবামের দিন শেষ হয়ে যাবে। তখন গান প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে শিল্পীদের ওয়েবসাইটকেই বেছে নিতে হবে। তবে শিল্পীদের গান নিয়ে যারা নিজেদের ওয়েবসাইটে দিচ্ছেন সেসব ওয়েবসাইট অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। আর এটা খুব শিগগিরই হবে বলেই আমার বিশ্বাস। ওয়েবসাইটে গান প্রকাশ করলে কোন কোম্পানির ওপর নির্ভর হয়ে থাকতে হবে না। অন্যদিকে যখন অন্য ওয়েবসাইটে গান প্রকাশ বন্ধ হবে তখন শ্রোতারা একটি নির্দিষ্ট অর্থ দিয়ে শিল্পীদের ওয়েবসাইট থেকেই গান ক্রয় করবেন। এখন নিজেদের স্বার্থে আমাদের শিল্পীদের এই দিকটিতে নজর দিয়ে অন্য ওয়েবসাইটে গান প্রকাশ বন্ধ করার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করা প্রয়োজন। এটা ইচ্ছে করলেই সরকার বন্ধ করতে পারে। তবে অবশ্যই শিল্পীদের একত্রিত হয়ে সরকারকে জানাতে হবে। আর ইতিমধ্যে আমাদের ওয়েবসাইটে গান প্রকাশ দেখে অনেক শিল্পীই বিষয়টির দিকে ঝুঁকছেন। সামনে ধীরে ধীরে এই পদ্ধতিতে গান প্রকাশটিই জনপ্রিয় হয়ে যাবে। আর তখন পুরো ইন্ডাস্ট্রিও একটি আমূল পরিবর্তন ঘটবে বলেই আমার বিশ্বাস।
অডিও ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা খারাপ এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে যতটুকু না অবস্থা খারাপ তার চাইতে বেশি খারাপ জাহির করছে অডিও কেম্পানিগুলো। এই কোম্পানিগুলো সিনিয়র শিল্পীদের অ্যালবাম দিয়ে অনেক অর্থ আয় করেছে। কিন্তু এখন তারা পিছপা হয়ে গেছে। অথচ এই সময়ে শিল্পী এবং অডিও ইন্ডাস্ট্রির পাশে দাঁড়ানোই সবচেয়ে বেশি উচিত ছিল কোম্পানিগুলোর। এখন কিছু তরুণ শিল্পীর অ্যালবাম তারা নাম পরিমাণ অর্থের মাধ্যমে কিনছে। সেগুলোতে বিনিয়োগ করা অর্থ সহজেই ওয়েলকাম টিউনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে উঠেও আসছে। আর নতুন শিল্পীদের অ্যালবাম করতে উল্টো টাকা নিচ্ছে তারা। অন্যদিকে সিনিয়র শিল্পীরা নাম পরিমাণ অর্থের মাধ্যমে অ্যালবাম করছেন না। স্পন্সর ছাড়া তাই অ্যালবাম প্রকাশ করতে আমাদের কষ্টই বটে। এই হলো শিল্পী ও কোম্পানির মধ্যেকার বর্তমান সম্পর্ক। সম্পর্কটা পুরোপুরি ব্যবসায়িক করে ফেলেছে কোম্পানিগুলো। তাদের এরকম আচরণের ফলেই পাইরেসি ও ফ্রি গান ডাউনলোডের বিষয়গুলো বেশি মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। সম্পর্কের যে অবনতি হয়েছে তা পুনরুদ্ধারের দায়িত্ব কোম্পানিগুলোরই। তবে আমি অবশ্যই মনে করি যে পাইরেসি ও ফ্রি ডাউনলোডের ব্যাপারে একত্রিত হওয়া উচিত। আর সেটা হতে হবে শিল্পী ও কোম্পানির আলোচনার মাধ্যমে। প্রযুক্তির সৎ ব্যবহার আমরা সব সময় আশা করি। কিন্তু প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘরে বসে বসে নতুন গান ফ্রি পেয়ে যাওয়ার বিষয়টি সত্যিই দুঃখজনক। কারণ ডিজিটালি গান প্রকাশ বাইরের দেশেও আছে। সেখানে শিল্পীরা অ্যালবামের পাশাপাশি একইসঙ্গে নিজেদের ওয়েবসাইটে গান প্রকাশ করেন। তবে সেটা ফ্রি ডাউনলোড করা সম্ভব নয়। একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দিয়ে গান ডাইনলোড করতে হয়। এই বিষয়টি বাংলাদেশে চালু হওয়া প্রয়োজন। বিষয়টি নিয়ে শিল্পীদের একত্রিত হয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা উচিত। তাহলে ইন্ডাস্ট্রির অস্থির অবস্থাটা অনেকাংশে দূর হবে।
গান প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে ওয়েবসাইটকে বেছে নিতে হবে - বিপ্লব
আমি আসলে এই যুগে এসে প্রযুক্তিকে অস্বীকার করতে পারবো না। কারণ সেটা করলে আমি নিজেই পিছিয়ে পড়বো। সে কারণে ইতিমধ্যে আমি ব্যক্তিগতভাবে আমার একক এবং ব্যান্ড প্রমিথিউস এর অ্যালবাম ফিজিক্যালি প্রকাশ করবো না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা গত এক বছর ধরে আমাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে গান প্রকাশ করছি। আপাতত আমরা এখান থেকে শ্রোতাদের ফ্রি গান ডাউনলোডের সুযোগ দিয়েছি। আর প্রতিটি গানের জন্য আমরা স্পন্সর নিচ্ছি একটি করে কোম্পানির। আমি মনে করি আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ফিজিক্যাল অ্যালবামের দিন শেষ হয়ে যাবে। তখন গান প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে শিল্পীদের ওয়েবসাইটকেই বেছে নিতে হবে। তবে শিল্পীদের গান নিয়ে যারা নিজেদের ওয়েবসাইটে দিচ্ছেন সেসব ওয়েবসাইট অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। আর এটা খুব শিগগিরই হবে বলেই আমার বিশ্বাস। ওয়েবসাইটে গান প্রকাশ করলে কোন কোম্পানির ওপর নির্ভর হয়ে থাকতে হবে না। অন্যদিকে যখন অন্য ওয়েবসাইটে গান প্রকাশ বন্ধ হবে তখন শ্রোতারা একটি নির্দিষ্ট অর্থ দিয়ে শিল্পীদের ওয়েবসাইট থেকেই গান ক্রয় করবেন। এখন নিজেদের স্বার্থে আমাদের শিল্পীদের এই দিকটিতে নজর দিয়ে অন্য ওয়েবসাইটে গান প্রকাশ বন্ধ করার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করা প্রয়োজন। এটা ইচ্ছে করলেই সরকার বন্ধ করতে পারে। তবে অবশ্যই শিল্পীদের একত্রিত হয়ে সরকারকে জানাতে হবে। আর ইতিমধ্যে আমাদের ওয়েবসাইটে গান প্রকাশ দেখে অনেক শিল্পীই বিষয়টির দিকে ঝুঁকছেন। সামনে ধীরে ধীরে এই পদ্ধতিতে গান প্রকাশটিই জনপ্রিয় হয়ে যাবে। আর তখন পুরো ইন্ডাস্ট্রিও একটি আমূল পরিবর্তন ঘটবে বলেই আমার বিশ্বাস।
বুধবার, ২১ নভেম্বর ২০১২
কোম্পানিকেই উদ্যোগ নিতে হবে সম্পর্ক উন্নয়নের - কনকচাঁপা
পাইরেসি, ইন্টারনেটে ফ্রি গান ডাউনলোড এবং অডিও কোম্পানির সঙ্গে শিল্পীদের দ্বন্দ্ব- এই বিষয়গুলো আমাদের অডিও ইন্ডাস্ট্রির জন্য দুঃখজনক ব্যাপার। তবে দ্বন্দ্বের বিষয়টির জন্য অডিও কোম্পানিগুলোই দায়ী। কারণ, শিল্পীদের ঠকানোর প্রবণতা সব সময়ই লক্ষ্য করা গেছে কোম্পানিগুলোর মধ্যে। অ্যালবাম ভাল চললেও তারা সেটা স্বীকার করতে নারাজ। এটা কেন হবে! শুধুমাত্র নিজের ব্যবসাটা বুঝলে তো চলবে না। গান মনের খোরাক, সেটা নিয়ে ছেলে খেলা করলে কি চলে!। গান প্রকাশ করে ব্যবসা করবেন ঠিক আছে। কিন্তু এক্ষেত্রে শিল্পীদের ন্যায্য পাওনাটুকু তো অন্তত দেবেন। কারণ, যারা আমরা পেশাগতভাবে গান করি তাদের তো এটার ওপরই নির্ভর হয়ে থাকতে হয়। এখন আসলে কোম্পানির প্রতি শিল্পীদের বিশ্বাসটা উঠে গেছে। সে কারণেই দ্বন্দ্বটা সবার চোখের সামনে চলে এসেছে। এই দ্বন্দ্বের অবসান ঘটানোটা আগেই দরকার ছিল। অনেক সময় চলে গেছে। তারপরও আমি বলবো কোম্পানিকেই উদ্যোগ নিতে হবে সম্পর্ক উন্নয়নের। আর রয়্যালটির ব্যাপারেও মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোকে শিল্পীদের ন্যায্য অধিকারের ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। একটি গান দিয়ে এ মোবাইল কোম্পানিগুলো লাখ লাখ টাকা আয় করছে। আর শিল্পীরা তার থেকে রয়্যালটি তেমন কিছুই পাচ্ছে না। আর পাইরেসি ও ফ্রি ডাউনলোডের বিষয়টি প্রযুক্তিগত ব্যাপার। এগুলো থামিয়ে রাখাটা কঠিন। এ বিষয়ে সরকারের পাশাপাশি শ্রোতাদেরও সচেতন হতে হবে। আর সরকারিভাবে মনিটরিংয়ের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিলে হয়তো কিছুটা হলেও প্রাণ ফিরে পাবে অডিও ইন্ডাস্ট্রি। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই আইনের প্রয়োগ করতে হবে। আর এ বিষয়টিতে কোম্পানি ও শিল্পীরা একত্রিত হয়ে কাজ করলে সুফল বেশি পাওয়া যাবে।
এ বিষয়ে কোম্পানি ও শিল্পীদের এক টেবিলে বসতে হবে - এস ডি রুবেল
পাইরেসি ও ফ্রি গান ডাউনলোডের কারণে আগের তুলনায় অডিও ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা এখন খারাপ এটা ঠিক। কিন্তু অডিও কোম্পানির মালিকরা যে পরিমাণ খারাপের কথা বলছেন এবং শিল্পীদের অধিকার থেকে বার বার বঞ্চিত করছেন তা একদমই ঠিক নয়। অ্যালবাম বিক্রি ও রয়্যালটির সঠিক তথ্য কোনটাই শিল্পীরা পাচ্ছেন না। শিল্পীদের সঙ্গে নিয়েই কিন্তু কোম্পানিকে পথ চলতে হবে। তাই তাদের ঠকালে শেষ পর্যন্ত কোন লাভ হবে না। অডিও কোম্পানিকে শিল্পীদের ব্যাপারে অনেক বেশি সচেতন হতে হবে। কোম্পানিগুলো এই শিল্পীদের অ্যালবাম প্রকাশ করেই আগে অনেক ব্যবসা করেছে। এখন কিছুটা কম করছে। তাই বলে অডিও ইন্ডাস্ট্রির এই দুঃসময়ে মুখ ফিরিয়ে নিলে চলবে না। এখন পাইরেসি ও ফ্রি গান ডাউনলোডের বিষয়গুলো ক্ষতি করছে ইন্ডাস্ট্রির। কিন্তু রিংটোন ও ওয়েলকাম টিউনের বিষয়গুলো কিন্তু যোগ হয়েছে আয়ের মাধ্যম হিসেবে। এই মাধ্যম থেকে অনেক অর্থ আয় করছে কোম্পানিগুলো। কিন্তু তার থেকে রয়্যালটি সঠিকভাবে পাচ্ছেন না শিল্পীরা। আর পাইরেসি ও ফ্রি ডাউনলোডের ব্যাপারে আসলে শ্রোতাদের মাঝে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। সচেনতার চেয়ে বড় ব্যবস্থা এক্ষেত্রে আর কিছু হতে পারে না। এই বিষয়ে কোম্পানি ও শিল্পীদের এক টেবিলে বসতে হবে। পাশাপাশি আইনের শাসনটা বাড়াতে হবে। পাইরেসি ও ডাউনলোডের ব্যাপারে আমরা অনেক বার জানিয়েছি সরকারকে। তারা কিছু আইনও করেছেন। তবে তার বাস্তবায়নটা খুব কম। এই বাস্তবায়নটা বাড়াতে হবে।
পাইরেসি, ইন্টারনেটে ফ্রি গান ডাউনলোড এবং অডিও কোম্পানির সঙ্গে শিল্পীদের দ্বন্দ্ব- এই বিষয়গুলো আমাদের অডিও ইন্ডাস্ট্রির জন্য দুঃখজনক ব্যাপার। তবে দ্বন্দ্বের বিষয়টির জন্য অডিও কোম্পানিগুলোই দায়ী। কারণ, শিল্পীদের ঠকানোর প্রবণতা সব সময়ই লক্ষ্য করা গেছে কোম্পানিগুলোর মধ্যে। অ্যালবাম ভাল চললেও তারা সেটা স্বীকার করতে নারাজ। এটা কেন হবে! শুধুমাত্র নিজের ব্যবসাটা বুঝলে তো চলবে না। গান মনের খোরাক, সেটা নিয়ে ছেলে খেলা করলে কি চলে!। গান প্রকাশ করে ব্যবসা করবেন ঠিক আছে। কিন্তু এক্ষেত্রে শিল্পীদের ন্যায্য পাওনাটুকু তো অন্তত দেবেন। কারণ, যারা আমরা পেশাগতভাবে গান করি তাদের তো এটার ওপরই নির্ভর হয়ে থাকতে হয়। এখন আসলে কোম্পানির প্রতি শিল্পীদের বিশ্বাসটা উঠে গেছে। সে কারণেই দ্বন্দ্বটা সবার চোখের সামনে চলে এসেছে। এই দ্বন্দ্বের অবসান ঘটানোটা আগেই দরকার ছিল। অনেক সময় চলে গেছে। তারপরও আমি বলবো কোম্পানিকেই উদ্যোগ নিতে হবে সম্পর্ক উন্নয়নের। আর রয়্যালটির ব্যাপারেও মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোকে শিল্পীদের ন্যায্য অধিকারের ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। একটি গান দিয়ে এ মোবাইল কোম্পানিগুলো লাখ লাখ টাকা আয় করছে। আর শিল্পীরা তার থেকে রয়্যালটি তেমন কিছুই পাচ্ছে না। আর পাইরেসি ও ফ্রি ডাউনলোডের বিষয়টি প্রযুক্তিগত ব্যাপার। এগুলো থামিয়ে রাখাটা কঠিন। এ বিষয়ে সরকারের পাশাপাশি শ্রোতাদেরও সচেতন হতে হবে। আর সরকারিভাবে মনিটরিংয়ের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিলে হয়তো কিছুটা হলেও প্রাণ ফিরে পাবে অডিও ইন্ডাস্ট্রি। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই আইনের প্রয়োগ করতে হবে। আর এ বিষয়টিতে কোম্পানি ও শিল্পীরা একত্রিত হয়ে কাজ করলে সুফল বেশি পাওয়া যাবে।
এ বিষয়ে কোম্পানি ও শিল্পীদের এক টেবিলে বসতে হবে - এস ডি রুবেল
পাইরেসি ও ফ্রি গান ডাউনলোডের কারণে আগের তুলনায় অডিও ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা এখন খারাপ এটা ঠিক। কিন্তু অডিও কোম্পানির মালিকরা যে পরিমাণ খারাপের কথা বলছেন এবং শিল্পীদের অধিকার থেকে বার বার বঞ্চিত করছেন তা একদমই ঠিক নয়। অ্যালবাম বিক্রি ও রয়্যালটির সঠিক তথ্য কোনটাই শিল্পীরা পাচ্ছেন না। শিল্পীদের সঙ্গে নিয়েই কিন্তু কোম্পানিকে পথ চলতে হবে। তাই তাদের ঠকালে শেষ পর্যন্ত কোন লাভ হবে না। অডিও কোম্পানিকে শিল্পীদের ব্যাপারে অনেক বেশি সচেতন হতে হবে। কোম্পানিগুলো এই শিল্পীদের অ্যালবাম প্রকাশ করেই আগে অনেক ব্যবসা করেছে। এখন কিছুটা কম করছে। তাই বলে অডিও ইন্ডাস্ট্রির এই দুঃসময়ে মুখ ফিরিয়ে নিলে চলবে না। এখন পাইরেসি ও ফ্রি গান ডাউনলোডের বিষয়গুলো ক্ষতি করছে ইন্ডাস্ট্রির। কিন্তু রিংটোন ও ওয়েলকাম টিউনের বিষয়গুলো কিন্তু যোগ হয়েছে আয়ের মাধ্যম হিসেবে। এই মাধ্যম থেকে অনেক অর্থ আয় করছে কোম্পানিগুলো। কিন্তু তার থেকে রয়্যালটি সঠিকভাবে পাচ্ছেন না শিল্পীরা। আর পাইরেসি ও ফ্রি ডাউনলোডের ব্যাপারে আসলে শ্রোতাদের মাঝে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। সচেনতার চেয়ে বড় ব্যবস্থা এক্ষেত্রে আর কিছু হতে পারে না। এই বিষয়ে কোম্পানি ও শিল্পীদের এক টেবিলে বসতে হবে। পাশাপাশি আইনের শাসনটা বাড়াতে হবে। পাইরেসি ও ডাউনলোডের ব্যাপারে আমরা অনেক বার জানিয়েছি সরকারকে। তারা কিছু আইনও করেছেন। তবে তার বাস্তবায়নটা খুব কম। এই বাস্তবায়নটা বাড়াতে হবে।
বৃহস্পতিবার, ২২ নভেম্বর ২০১২
বিচ্ছিন্ন হয়ে কাজ করলে চলবে না - শাকিলা জাফর
পাইরেসি, ফ্রি গান ডাউনলোড এ সবকিছুই ঠিক আছে। তবে আমার মনে হয় অডিও ইন্ডাস্ট্রির যতটা না খারাপ অবস্থা তার চেয়ে অনেক বেশি প্রচার চলছে। কারণ, অডিও কোম্পানিগুলো কিন্তু অ্যালবাম ঠিকই প্রকাশ করছে। হয়তো আগের তুলনায় অ্যালবামের বিক্রি কিছুটা কমেছে। এটা প্রযুক্তির কারণে। এটাকে আমি খুব সাধারণ ও স্বাভাবিক ব্যাপার মনে করি। এর ফলে অ্যালবাম বিক্রি একদম বন্ধ হয়ে গেছে সেটা তো আসলে মানা যায় না। অডিও কোম্পানিগুলোর মধ্যে সব সময় শিল্পীদের ঠকানোর প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। আমি মনে করি অডিও ইন্ডাস্ট্রির অস্থিরতার জন্য অডিও কোম্পানিগুলোই দায়ী। কারণ সবকিছুর একটি সীমারেখা আছে। সেটা পার করে এলে কারও জন্যই মঙ্গল বয়ে আনে না। আর শিল্পীরা অডিও কোম্পানি থেকেই অ্যালবাম প্রকাশ করে। শিল্পী-প্রযোজকদের একে অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করা উচিত। কিন্তু শিল্পীদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করাটা কাম্য ছিল না। হয়েছে তেমনটাই। সেই থেকেই অডিও ইন্ডাস্ট্রির ধ্বংসের শুরুটা হয়েছিল। এখন তো সিনিয়র শিল্পীরা অনেকেই অ্যালবাম প্রকাশ বন্ধ রেখেছেন। কারণ, এই শিল্পীদের অ্যালবাম দিয়েই কোটি কোটি টাকা আয় করেছে অনেক কোম্পানি। তাই আমি মনে করি অডিও ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়নে অডিও কোম্পানিকেই এগিয়ে আসতে হবে। শিল্পীদের নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আর একত্রিত হয়ে সরকারের কাছে পাইরেসি ও ফ্রি গান ডাউনলোড বন্ধের ব্যাপারে আবেদন জানালে সেটা বেশি কার্যকর হবে। বিচ্ছিন্ন হয়ে কাজ করলে চলবে না।
ফ্রি ডাউনলোড বন্ধ করতে হবে - রবি চৌধূরী
আসলে এসব বিষয়ে অনেক কথা বলেছি। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। পাইরেসি আগেও ছিল, এখনও আছে। এখন মাত্রাটা হয়তো একটু বেড়েছে। আর নতুন করে যোগ হয়েছে গান ফ্রি ডাউনলোডের বিষয়টি। আমার কথা হচ্ছে অ্যালবাম না চললে কোম্পনিগুলো চলছে কিভাবে। তারা কিন্তু চলছে এ অ্যালবাম বিক্রির অর্থ দিয়েই। কিন্তু শিল্পীদের কাছে তারা সঠিক হিসাবটা দিতে চায় না। এ ধরনের মনমানসিকতা থাকলে তো অডিও ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়ন সম্ভব নয়। এই শিল্পীদের দিয়েই কিন্তু ইন্ডাস্ট্রি। তাই শিল্পীদের সঠিক সম্মান ও সম্মানী দিতে না পারলে কিভাবে হবে। তাই এ ব্যাপারে খুব বেশি সচেতন হতে হবে অডিও মালিকদের। অন্যদিকে পাইরেসির বিরুদ্ধে কিছু অভিযানের কথা শুনেছিলাম। সেটা অব্যাহত থাকা প্রয়োজন। আর ফ্রি গান ডাউনলোডের বিষয়টি সবচেয়ে বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে অডিও ইন্ডাস্ট্রির জন্য। এটা যে কোনভাবে বন্ধ করতে হবে। আর এই বিষয়টিতে শিল্পী ও অডিও প্রযোজকদের একত্রিত উদ্যোগ প্রয়োজন। আমার মনে হয় এটা বন্ধ করা তেমন কোন ব্যাপার নয়। আসলে এখন শিল্পী-প্রযোজক একত্রিত হয়ে কাজ না করলে অডিও ইন্ডাস্ট্রি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে। আমার মতে, শিল্পী ও প্রযোজকদের বিষয়টি মাথায় নেয়া উচিত। ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করে প্রত্যেকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত। পাইরেসি, ফ্রি ডাউনলোড ছাড়াও বিভিন্ন মাধ্যমের রয়্যালটি নিয়েও আলোচনা করে একমতে আসতে হবে। না হলে আমাদের গান দিয়ে অন্যরা ব্যবসা করেই যাবে, আমরা শুধু চেয়ে চেয়ে দেখবো। যেমনটা করছে মোবাইল ফোন কোম্পানি ও রেডিও স্টেশনগুলো।
পাইরেসি, ফ্রি গান ডাউনলোড এ সবকিছুই ঠিক আছে। তবে আমার মনে হয় অডিও ইন্ডাস্ট্রির যতটা না খারাপ অবস্থা তার চেয়ে অনেক বেশি প্রচার চলছে। কারণ, অডিও কোম্পানিগুলো কিন্তু অ্যালবাম ঠিকই প্রকাশ করছে। হয়তো আগের তুলনায় অ্যালবামের বিক্রি কিছুটা কমেছে। এটা প্রযুক্তির কারণে। এটাকে আমি খুব সাধারণ ও স্বাভাবিক ব্যাপার মনে করি। এর ফলে অ্যালবাম বিক্রি একদম বন্ধ হয়ে গেছে সেটা তো আসলে মানা যায় না। অডিও কোম্পানিগুলোর মধ্যে সব সময় শিল্পীদের ঠকানোর প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। আমি মনে করি অডিও ইন্ডাস্ট্রির অস্থিরতার জন্য অডিও কোম্পানিগুলোই দায়ী। কারণ সবকিছুর একটি সীমারেখা আছে। সেটা পার করে এলে কারও জন্যই মঙ্গল বয়ে আনে না। আর শিল্পীরা অডিও কোম্পানি থেকেই অ্যালবাম প্রকাশ করে। শিল্পী-প্রযোজকদের একে অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করা উচিত। কিন্তু শিল্পীদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করাটা কাম্য ছিল না। হয়েছে তেমনটাই। সেই থেকেই অডিও ইন্ডাস্ট্রির ধ্বংসের শুরুটা হয়েছিল। এখন তো সিনিয়র শিল্পীরা অনেকেই অ্যালবাম প্রকাশ বন্ধ রেখেছেন। কারণ, এই শিল্পীদের অ্যালবাম দিয়েই কোটি কোটি টাকা আয় করেছে অনেক কোম্পানি। তাই আমি মনে করি অডিও ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়নে অডিও কোম্পানিকেই এগিয়ে আসতে হবে। শিল্পীদের নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আর একত্রিত হয়ে সরকারের কাছে পাইরেসি ও ফ্রি গান ডাউনলোড বন্ধের ব্যাপারে আবেদন জানালে সেটা বেশি কার্যকর হবে। বিচ্ছিন্ন হয়ে কাজ করলে চলবে না।
ফ্রি ডাউনলোড বন্ধ করতে হবে - রবি চৌধূরী
আসলে এসব বিষয়ে অনেক কথা বলেছি। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। পাইরেসি আগেও ছিল, এখনও আছে। এখন মাত্রাটা হয়তো একটু বেড়েছে। আর নতুন করে যোগ হয়েছে গান ফ্রি ডাউনলোডের বিষয়টি। আমার কথা হচ্ছে অ্যালবাম না চললে কোম্পনিগুলো চলছে কিভাবে। তারা কিন্তু চলছে এ অ্যালবাম বিক্রির অর্থ দিয়েই। কিন্তু শিল্পীদের কাছে তারা সঠিক হিসাবটা দিতে চায় না। এ ধরনের মনমানসিকতা থাকলে তো অডিও ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়ন সম্ভব নয়। এই শিল্পীদের দিয়েই কিন্তু ইন্ডাস্ট্রি। তাই শিল্পীদের সঠিক সম্মান ও সম্মানী দিতে না পারলে কিভাবে হবে। তাই এ ব্যাপারে খুব বেশি সচেতন হতে হবে অডিও মালিকদের। অন্যদিকে পাইরেসির বিরুদ্ধে কিছু অভিযানের কথা শুনেছিলাম। সেটা অব্যাহত থাকা প্রয়োজন। আর ফ্রি গান ডাউনলোডের বিষয়টি সবচেয়ে বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে অডিও ইন্ডাস্ট্রির জন্য। এটা যে কোনভাবে বন্ধ করতে হবে। আর এই বিষয়টিতে শিল্পী ও অডিও প্রযোজকদের একত্রিত উদ্যোগ প্রয়োজন। আমার মনে হয় এটা বন্ধ করা তেমন কোন ব্যাপার নয়। আসলে এখন শিল্পী-প্রযোজক একত্রিত হয়ে কাজ না করলে অডিও ইন্ডাস্ট্রি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে। আমার মতে, শিল্পী ও প্রযোজকদের বিষয়টি মাথায় নেয়া উচিত। ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করে প্রত্যেকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত। পাইরেসি, ফ্রি ডাউনলোড ছাড়াও বিভিন্ন মাধ্যমের রয়্যালটি নিয়েও আলোচনা করে একমতে আসতে হবে। না হলে আমাদের গান দিয়ে অন্যরা ব্যবসা করেই যাবে, আমরা শুধু চেয়ে চেয়ে দেখবো। যেমনটা করছে মোবাইল ফোন কোম্পানি ও রেডিও স্টেশনগুলো।
শুক্রবার, ২৩ নভেম্বর ২০১২
এক ছাতার নিচে আসতে হবে - বাসু
ফ্রি গান ডাউনলোড এবং পাইরেসিই কেবল অডিও ইন্ডাস্ট্রির এই দশার জন্য দায়ী নয়। অডিও কোম্পানির সঙ্গে শিল্পী, গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালকদের দ্বন্দ্বও এই অবস্থা সৃষ্টির অন্যতম একটি কারণ। এখন এই অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটাতে চাইলে অবশ্যই এক ছাতার নিতে আসতে হবে সবাইকে। একসঙ্গে কাজ না করলে আরও খারাপ অবস্থার দিকে ধাবিত হবে অডিও ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা। আর আমি মনে করি বাংলাদেশের সবাই কিন্তু মোবাইলে গান শোনে না কিংবা গান ফ্রি ডাউনলোড করে শোনে না। সব সময়ই অ্যালবাম কেনার আলাদা একটি শ্রোতা আছে। এখন ভাল গান খুব কম হচ্ছে। তাই মানুষ টাকা খরচ করে অ্যালবাম কিনছে না। আমাদের দেশের মানুষ গান পাগল। তাই ভাল গান হলে অবশ্যই সেটা মানুষ শুনবে। আর একসঙ্গে মিলে আসলে পাইরেসি ও ফ্রি গান ডাউনলোডের বিরুদ্ধে কাজ করতে হবে। শুধু তাই নয়, রেডিও স্টেশনগুলো সারাদিন গান বাজাচ্ছে ফ্রিতে। একত্রিত হলে সেখান থেকেও রয়্যালটি পাওয়া সম্ভব। ঠিক তেমনি মোবাইল ফোন কোম্পানি থেকেও সঠিক রয়্যালটি আমরা পাচ্ছি না। তবে প্রশ্নটা হলো আমরা একত্রিত কেন হচ্ছি না? তাহলে আমার উত্তর হবে, যোগ্য নেতৃত্বের বড় অভাব। সে কারণেই একত্রিত হওয়া হচ্ছে না। যোগ্য নেতৃত্ব চলে আসলে এই অবস্থার উত্তরণ ঘটে যাবে বলেই আমার বিশ্বাস। তবে আবারও বলবো সবাইকেই মনমানসিকতা ঠিক করে এক ছাতার নিচে আসতে হবে। আলোচনা হবে অডিও ইন্ডাস্ট্রির সমস্যাগুলো নিয়ে।
কোম্পানিগুলোকে উদ্যোগ নিতে হবে - রিজিয়া পারভিন
আসলে অডিও কোম্পানিগুলো সব সময়ই বলে আসছে ব্যবসা নেই তাদের। ব্যবসাই যদি না থাকে তবে অ্যালবাম প্রকাশ বন্ধ হচ্ছে না কেন। প্রতি মাসেই তো আমি দেখছি বেশ কিছু অ্যালবামই প্রকাশ পাচ্ছে। তবে তাদের প্রক্রিয়া বদলে গেছে। এখন তারা টাকার বিনিময়ে অ্যালবাম প্রকাশ করেন। বিশেষ করে নতুন শিল্পীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে অ্যালবাম করছেন তারা। বিষয়টি কতটুকু যৌক্তিক সেটাই হলো প্রশ্ন। আর সিনিয়র শিল্পীদের অ্যালবামের ক্ষেত্রেও তারা এখন বিনিয়োগ করতে নারাজ। কারণ নতুন শিল্পীদের অ্যালবাম প্রকাশেই তাদের লাভ বেশি। আগের দিনগুলোর কথা তারা ভুলে বসেছে, যখন এই সিনিয়র শিল্পীদের গান দিয়ে কোটি কোটি টাকা আয় করেছে। এখন কোম্পানিকেই আসলে উদ্যোগ নিতে হবে শিল্পীদের সঙ্গে বসে এই বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করার। আর পাইরেসি ও ফ্রি গান ডাউনলোড এক তরফাভাবে হচ্ছে। এই ব্যাপারে কোন পদক্ষেপই নেয়া হচ্ছে না। আমি মনে করি শিল্পীদের এই ধ্বংসযজ্ঞের হাত থেকে রক্ষা করতে হলে পাইরেসি ও ফ্রি গান ডাউনলোডের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আর এর জন্য শিল্পী ও কোম্পানিকে একত্রিত হওয়াটাও জরুরি মনে করি। তবে শিল্পীদের ঠকানোর মনোভাব থেকে কোম্পানিগুলোকে সরে আসতে হবে। কারণ শিল্পীদের দিয়েই কিন্তু কোম্পানি। তাই এই বিষয়ে অবশ্যই সচেতন হতে হবে। কোম্পানি ও শিল্পী এক হলে রেডিও স্টেশন ও টিভি চ্যানেলগুলো থেকেও রয়্যালটি পাওয়া সম্ভব হবে। তাই দ্রুত এ বিষয়ে কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকেই উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
ফ্রি গান ডাউনলোড এবং পাইরেসিই কেবল অডিও ইন্ডাস্ট্রির এই দশার জন্য দায়ী নয়। অডিও কোম্পানির সঙ্গে শিল্পী, গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালকদের দ্বন্দ্বও এই অবস্থা সৃষ্টির অন্যতম একটি কারণ। এখন এই অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটাতে চাইলে অবশ্যই এক ছাতার নিতে আসতে হবে সবাইকে। একসঙ্গে কাজ না করলে আরও খারাপ অবস্থার দিকে ধাবিত হবে অডিও ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা। আর আমি মনে করি বাংলাদেশের সবাই কিন্তু মোবাইলে গান শোনে না কিংবা গান ফ্রি ডাউনলোড করে শোনে না। সব সময়ই অ্যালবাম কেনার আলাদা একটি শ্রোতা আছে। এখন ভাল গান খুব কম হচ্ছে। তাই মানুষ টাকা খরচ করে অ্যালবাম কিনছে না। আমাদের দেশের মানুষ গান পাগল। তাই ভাল গান হলে অবশ্যই সেটা মানুষ শুনবে। আর একসঙ্গে মিলে আসলে পাইরেসি ও ফ্রি গান ডাউনলোডের বিরুদ্ধে কাজ করতে হবে। শুধু তাই নয়, রেডিও স্টেশনগুলো সারাদিন গান বাজাচ্ছে ফ্রিতে। একত্রিত হলে সেখান থেকেও রয়্যালটি পাওয়া সম্ভব। ঠিক তেমনি মোবাইল ফোন কোম্পানি থেকেও সঠিক রয়্যালটি আমরা পাচ্ছি না। তবে প্রশ্নটা হলো আমরা একত্রিত কেন হচ্ছি না? তাহলে আমার উত্তর হবে, যোগ্য নেতৃত্বের বড় অভাব। সে কারণেই একত্রিত হওয়া হচ্ছে না। যোগ্য নেতৃত্ব চলে আসলে এই অবস্থার উত্তরণ ঘটে যাবে বলেই আমার বিশ্বাস। তবে আবারও বলবো সবাইকেই মনমানসিকতা ঠিক করে এক ছাতার নিচে আসতে হবে। আলোচনা হবে অডিও ইন্ডাস্ট্রির সমস্যাগুলো নিয়ে।
কোম্পানিগুলোকে উদ্যোগ নিতে হবে - রিজিয়া পারভিন
আসলে অডিও কোম্পানিগুলো সব সময়ই বলে আসছে ব্যবসা নেই তাদের। ব্যবসাই যদি না থাকে তবে অ্যালবাম প্রকাশ বন্ধ হচ্ছে না কেন। প্রতি মাসেই তো আমি দেখছি বেশ কিছু অ্যালবামই প্রকাশ পাচ্ছে। তবে তাদের প্রক্রিয়া বদলে গেছে। এখন তারা টাকার বিনিময়ে অ্যালবাম প্রকাশ করেন। বিশেষ করে নতুন শিল্পীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে অ্যালবাম করছেন তারা। বিষয়টি কতটুকু যৌক্তিক সেটাই হলো প্রশ্ন। আর সিনিয়র শিল্পীদের অ্যালবামের ক্ষেত্রেও তারা এখন বিনিয়োগ করতে নারাজ। কারণ নতুন শিল্পীদের অ্যালবাম প্রকাশেই তাদের লাভ বেশি। আগের দিনগুলোর কথা তারা ভুলে বসেছে, যখন এই সিনিয়র শিল্পীদের গান দিয়ে কোটি কোটি টাকা আয় করেছে। এখন কোম্পানিকেই আসলে উদ্যোগ নিতে হবে শিল্পীদের সঙ্গে বসে এই বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করার। আর পাইরেসি ও ফ্রি গান ডাউনলোড এক তরফাভাবে হচ্ছে। এই ব্যাপারে কোন পদক্ষেপই নেয়া হচ্ছে না। আমি মনে করি শিল্পীদের এই ধ্বংসযজ্ঞের হাত থেকে রক্ষা করতে হলে পাইরেসি ও ফ্রি গান ডাউনলোডের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আর এর জন্য শিল্পী ও কোম্পানিকে একত্রিত হওয়াটাও জরুরি মনে করি। তবে শিল্পীদের ঠকানোর মনোভাব থেকে কোম্পানিগুলোকে সরে আসতে হবে। কারণ শিল্পীদের দিয়েই কিন্তু কোম্পানি। তাই এই বিষয়ে অবশ্যই সচেতন হতে হবে। কোম্পানি ও শিল্পী এক হলে রেডিও স্টেশন ও টিভি চ্যানেলগুলো থেকেও রয়্যালটি পাওয়া সম্ভব হবে। তাই দ্রুত এ বিষয়ে কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকেই উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
শনিবার, ২৪ নভেম্বর ২০১২
এখনই একতাবদ্ধ হওয়া উচিত - শুভ্রদেব
আসলে পৃথিবীর সব স্থানেই অডিও ইন্ডাস্ট্রি ভাল চলছে। কিন্তু আমাদের ইন্ডাস্ট্রি স্থবির। এই স্থবিরতার অনেক কারণ আছে। এর একটি দিক হলো প্রযুক্তিগত দিক। প্রযুক্তির কারণে গান রেডিও স্টেশন, ইন্টারনেট, মোবাইল, পেনড্রাইভে চলে গেছে। এর ফলে ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা খারাপ হয়েছে এটা ঠিক। কিন্তু তারচেয়েও বড় কারণ হিসেবে আমার মনে হয় এখন মানসম্পন্ন গানের খুব অভাব। আগে শ্রোতারা অ্যালবাম কিনে শুনতো। সেটা সংগ্রহে রাখতে চাইতো। কারণ, তখন মানসম্পন্ন গান হতো। এক একটি অ্যালবামে ৭ থেকে ৮টি হিট গান থাকতো। আর এখন মানসম্পন্ন কাজের অভাবে বাজারটা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এখন বাজারে কোয়ালিটি কাজ নেই। এখন যারা কাজ করছে তাদের গান হয়তো বিক্ষিপ্তভাবে হিট করছে। আজ থেকে দশ বছর আগে যেসব শিল্পী গান করতো তারা বছরের পর বছর হিট গান দিয়েছে। এখন শিল্পীদের মধ্যে সেই ধারাবাহিকতার অভাব রয়েছে। কারণ, এখন মৌলিক গান খুব কম হচ্ছে। নকল গানের সংখ্যাই বেশি এখন। তাই মানুষ দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যাচ্ছে গান নিয়ে। বুঝে উঠতে পারছে না। এখন রিয়েল সিঙ্গার বলতে যা বোঝায় সে ধরনের শিল্পী খুব কম রয়েছে। বেশিরভাগই সফটওয়্যার গায়ক কিংবা গায়িকা। এর মধ্য থেকে অনেকে আবার তামিল গান নকল করছে। এটা আসলে অডিও ইন্ডাস্ট্রির জন্য অনেক বড় দুঃসময়। অনেক নিচে এখন পড়ে গেছে আমাদের ইন্ডাস্ট্রি। একটি বাস কিংবা ট্র্যাক বেশ সহজেই খাদে পড়ে যায়, কিন্তু তাকে উঠানোটা খুব কষ্টসাধ্য। সেভাবে অডিও ইন্ডাস্ট্রিকে এখন আগের অবস্থায় ফিরে যাওয়াটা খুব কঠিন ব্যাপার। তবে শিল্পী, গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালক ও অডিও কোম্পানি একতাবদ্ধ হলে সেটা সম্ভব। আমি মনে করি এখনই একতাবদ্ধ হওয়া উচিত। এর পাশাপাশি ভাল ভাল প্রোডাকশন দিতে হবে। মানসম্পন্ন কাজ দিতে হবে। ধারাবাহিকভাবে সফলতা পাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
অডিও ইন্ডাস্ট্রি আবার প্রাণ ফিরে পাবে - নাজমুল হক ভূঁইয়া খালেদ
আসলে প্রযুক্তিগত কারণে আমাদের অডিও ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা খারাপ এটা ঠিক। কিন্তু শিল্পীর সঙ্গে কোম্পানির দ্বন্দ্ব চলছে এটা বলা যাবে না। কারণ, একটি পরিবারে পাঁচশ’ থেকে এক হাজার কিংবা তার বেশি সদস্য থাকলে মতবিরোধ তো হতেই পারে। পৃথিবীর প্রত্যেকটি পরিবারেই মান অভিমান চলে। এটাকে সেই পর্যায়েই ফেলা যায়। এটা বড় কোন সমস্যা বলে মনে করি না। কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা দিয়ে পুরো ইন্ডাস্ট্রিকে আসলে বিচার করলে চলবে না। সমস্যা হলো অন্য জায়গায়। এখন মানুষ ডিভাইসে গান শুনছে। মোবাইল, এমপিথ্রি, কম্পিউটারে গান শুনছে তারা। এক্ষেত্রে আমাদের কিছু করার নেই। কিন্তু রেডিও স্টেশন, মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে বিচ্ছিন্নভাবে রয়্যালটি আদায় করা যাচ্ছে না। এক্ষেত্রে বার বার চেষ্টার পর মোবাইল অপারেটররা ইতিমধ্যে অনেকটা লাইনে চলে আসছে। এখনও শতভাগ আসেনি, তবে পঞ্চাশভাগ এসেছে। আমরা আশাবাদী খুব শিগগিরই সঠিক রয়্যালটি আমরা পাবো। আর রেডিও স্টেশনগুলোতেও রয়্যালটির বিষয়ে কথাবার্তা চলছে। অডিও প্রযোজক ও এমআইবির সভাপতি হিসেবে আমি মনে করি অনেক বড় একটা দুঃসময় চলছে এখন। তবে প্রত্যেকটি জায়গায় সমস্যা সমাধানে আমরা অনেক কাছাকাছি চলে এসেছি। আমি খুবই আশাবাদী, শিগগিরই সব সমস্যার সমাধান হয়ে অডিও ইন্ডাস্ট্রি আবার প্রাণ ফিরে পাবে। কারণ, আমাদের দেশের মানুষ গান পাগল। চাষী ফসল ফলানোর সময় গান গায়, মাঝি নৌকা চালানোর সময় গান গায়, রাখাল বাঁশিতে সুর তোলে- আসলে সেই শুরু থেকে সংগীত আমাদের রক্তে মিশে আছে। তাই এ গানের ধ্বংস হতে পারে না। পজিটিভ দিক হলো এখনও মানুষ অনেক বেশি গান শুনছে। তাই অবশ্যই সবার প্রচেষ্টায় অডিও ইন্ডাস্ট্রির উত্তরণ আশু ঘটবে।
আসলে পৃথিবীর সব স্থানেই অডিও ইন্ডাস্ট্রি ভাল চলছে। কিন্তু আমাদের ইন্ডাস্ট্রি স্থবির। এই স্থবিরতার অনেক কারণ আছে। এর একটি দিক হলো প্রযুক্তিগত দিক। প্রযুক্তির কারণে গান রেডিও স্টেশন, ইন্টারনেট, মোবাইল, পেনড্রাইভে চলে গেছে। এর ফলে ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা খারাপ হয়েছে এটা ঠিক। কিন্তু তারচেয়েও বড় কারণ হিসেবে আমার মনে হয় এখন মানসম্পন্ন গানের খুব অভাব। আগে শ্রোতারা অ্যালবাম কিনে শুনতো। সেটা সংগ্রহে রাখতে চাইতো। কারণ, তখন মানসম্পন্ন গান হতো। এক একটি অ্যালবামে ৭ থেকে ৮টি হিট গান থাকতো। আর এখন মানসম্পন্ন কাজের অভাবে বাজারটা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এখন বাজারে কোয়ালিটি কাজ নেই। এখন যারা কাজ করছে তাদের গান হয়তো বিক্ষিপ্তভাবে হিট করছে। আজ থেকে দশ বছর আগে যেসব শিল্পী গান করতো তারা বছরের পর বছর হিট গান দিয়েছে। এখন শিল্পীদের মধ্যে সেই ধারাবাহিকতার অভাব রয়েছে। কারণ, এখন মৌলিক গান খুব কম হচ্ছে। নকল গানের সংখ্যাই বেশি এখন। তাই মানুষ দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যাচ্ছে গান নিয়ে। বুঝে উঠতে পারছে না। এখন রিয়েল সিঙ্গার বলতে যা বোঝায় সে ধরনের শিল্পী খুব কম রয়েছে। বেশিরভাগই সফটওয়্যার গায়ক কিংবা গায়িকা। এর মধ্য থেকে অনেকে আবার তামিল গান নকল করছে। এটা আসলে অডিও ইন্ডাস্ট্রির জন্য অনেক বড় দুঃসময়। অনেক নিচে এখন পড়ে গেছে আমাদের ইন্ডাস্ট্রি। একটি বাস কিংবা ট্র্যাক বেশ সহজেই খাদে পড়ে যায়, কিন্তু তাকে উঠানোটা খুব কষ্টসাধ্য। সেভাবে অডিও ইন্ডাস্ট্রিকে এখন আগের অবস্থায় ফিরে যাওয়াটা খুব কঠিন ব্যাপার। তবে শিল্পী, গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালক ও অডিও কোম্পানি একতাবদ্ধ হলে সেটা সম্ভব। আমি মনে করি এখনই একতাবদ্ধ হওয়া উচিত। এর পাশাপাশি ভাল ভাল প্রোডাকশন দিতে হবে। মানসম্পন্ন কাজ দিতে হবে। ধারাবাহিকভাবে সফলতা পাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
অডিও ইন্ডাস্ট্রি আবার প্রাণ ফিরে পাবে - নাজমুল হক ভূঁইয়া খালেদ
আসলে প্রযুক্তিগত কারণে আমাদের অডিও ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা খারাপ এটা ঠিক। কিন্তু শিল্পীর সঙ্গে কোম্পানির দ্বন্দ্ব চলছে এটা বলা যাবে না। কারণ, একটি পরিবারে পাঁচশ’ থেকে এক হাজার কিংবা তার বেশি সদস্য থাকলে মতবিরোধ তো হতেই পারে। পৃথিবীর প্রত্যেকটি পরিবারেই মান অভিমান চলে। এটাকে সেই পর্যায়েই ফেলা যায়। এটা বড় কোন সমস্যা বলে মনে করি না। কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা দিয়ে পুরো ইন্ডাস্ট্রিকে আসলে বিচার করলে চলবে না। সমস্যা হলো অন্য জায়গায়। এখন মানুষ ডিভাইসে গান শুনছে। মোবাইল, এমপিথ্রি, কম্পিউটারে গান শুনছে তারা। এক্ষেত্রে আমাদের কিছু করার নেই। কিন্তু রেডিও স্টেশন, মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে বিচ্ছিন্নভাবে রয়্যালটি আদায় করা যাচ্ছে না। এক্ষেত্রে বার বার চেষ্টার পর মোবাইল অপারেটররা ইতিমধ্যে অনেকটা লাইনে চলে আসছে। এখনও শতভাগ আসেনি, তবে পঞ্চাশভাগ এসেছে। আমরা আশাবাদী খুব শিগগিরই সঠিক রয়্যালটি আমরা পাবো। আর রেডিও স্টেশনগুলোতেও রয়্যালটির বিষয়ে কথাবার্তা চলছে। অডিও প্রযোজক ও এমআইবির সভাপতি হিসেবে আমি মনে করি অনেক বড় একটা দুঃসময় চলছে এখন। তবে প্রত্যেকটি জায়গায় সমস্যা সমাধানে আমরা অনেক কাছাকাছি চলে এসেছি। আমি খুবই আশাবাদী, শিগগিরই সব সমস্যার সমাধান হয়ে অডিও ইন্ডাস্ট্রি আবার প্রাণ ফিরে পাবে। কারণ, আমাদের দেশের মানুষ গান পাগল। চাষী ফসল ফলানোর সময় গান গায়, মাঝি নৌকা চালানোর সময় গান গায়, রাখাল বাঁশিতে সুর তোলে- আসলে সেই শুরু থেকে সংগীত আমাদের রক্তে মিশে আছে। তাই এ গানের ধ্বংস হতে পারে না। পজিটিভ দিক হলো এখনও মানুষ অনেক বেশি গান শুনছে। তাই অবশ্যই সবার প্রচেষ্টায় অডিও ইন্ডাস্ট্রির উত্তরণ আশু ঘটবে।
রবিবার, ২৫ নভেম্বর ২০১২
শুধু পাইরেসির দোষ দিলে হবে না - শেখ সাদি খান
আসলে প্রযুক্তি কখনই মনের চাওয়া কিংবা আবেদনকে গ্রাস করতে পারে না। তাই যতই পাইরেসি হোক কিংবা ফ্রি ডাউনলোড হোক ভাল গানের জয় শেষ পর্যন্ত হবেই। প্রযুক্তির চেয়েও বেশি বড় সমস্যা হলো এখন গান ভাল হচ্ছে না। মনে রাখার মতো গান খুব কম হচ্ছে। ভাল গান হলে মানুষ অ্যালবাম অবশ্যই কিনবে। কারণ, খোঁজ নিলে দেখা যাবে পাইরেসি পৃথিবীর সব জায়গায় আছে। কিন্তু বাংলাদেশের মতো অডিও ইন্ডাস্ট্রির এতো বাজে অবস্থা কিন্তু তাদের হয়নি। আমাদের ইন্ডাস্ট্রি দিন দিন অধঃপতনের দিকে যাচ্ছে ভাল গানের অভাবে, ভাল শিল্পীর অভাবে। আমি ঢাকা শহরে চোখ মেললেই দেখি সবাই যেন আজকাল শিল্পী হওয়ার কসরত করছেন। সংগীত পরিচালকেরও অভাব নেই। এটা কেন হবে। যার যেটা কাজ না সেটা সে করতে এলে তো অবস্থা খারাপ হওয়াটাই স্বাভাবিক। সে শুধু নিজের নয়, পুরো ইন্ডাস্ট্রির ক্ষতি করছে। এদের মধ্যে আবার অনেকে হালকা গান করে সাময়িক জনপ্রিয়তাও বগলদাবা করছে। কিন্তু এটা খুব সাময়িক। এভাবে বেশি দূর যাওয়া যাবে না। আগে মানুষ অনেক পরিমাণে ক্যাসেট কিনতো। কিন্তু এখন কেন কিনছে না, সেটা ভেবে দেখতে হবে। শুধু পাইরেসির দোষ দিলে হবে না। গুণী শিল্পী যারা রয়েছেন এখন তাদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। ভাল ভাল গান উপহার দিতে হবে। নকল গান থেকে বিরত থাকতে হবে। তাহলেই অবস্থার উন্নতি সম্ভব। আর পাইরেসি কিংবা ফ্রি ডাউনলোডের ব্যাপারে কোম্পানি থেকে শুরু করে সংগীত সংশ্লিষ্ট সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। ভাল গান উপহার দিতে পারলে এই বিষয়গুলো নিজে নিজে চলে যাবে বলে আমার বিশ্বাস। কারণ, বাজার ঘুরলে দেখা যাবে ভাল গান হলে এখনও কিন্তু অ্যালবাম মানুষ কিনছে।
কোম্পানিগুলোকে শিল্পীদের ব্যাপারে সচেতন হতে হবে - সামিনা চৌধুরী
পাইরেসি ও ফ্রি ডাউনলোড বন্ধের ব্যাপারে তো কোন ব্যবস্থাই নেয়া হচ্ছে না। প্রযুক্তিকে আটকে রাখা কঠিন। কিন্তু মনিটরিংয়ের মাধ্যমে বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। ইউটিউব যেভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, সেরকম করেই ফ্রি গান ডাউনলোডও বন্ধ করা সম্ভব। না হয় শিল্পীরা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে। আমি মনে করি এর বিরুদ্ধে সব শিল্পী, সুরকার, গীতিকার, সংগীত পরিচালক ও অডিও কোম্পানিকে একত্রিত হয়ে কাজ করা উচিত। সরকারকে বিষয়গুলো ভালভাবে জানানো উচিত, যেন তারা বাস্তবসম্মত ব্যবস্থা গ্রহণ করে। কারণ, অনেক সময় চলে গেছে, অনেক অপেক্ষা করেছি। এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। আর কোন উপায় নেই। নিজেদের সত্তা নিজেদেরই টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করতে হবে। একইভাবে কোম্পানিগুলোকেও শিল্পীদের ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। তাদের ন্যায্য পাওনাটা বুঝিয়ে দিতে হবে। শিল্পীদের এই দুঃসময়ে সচেনতার সঙ্গে পদক্ষেপ নিতে হবে যে কোন বিষয়ে। কেউ যেন সুযোগ নিতে না পারে, অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো শ্রোতাদের সচেতন হতে হবে পাইরেসি ও ফ্রি গান ডাউনলোডের ব্যাপারে। কারণ, তারা কিন্তু শিল্পী ও তার গানকে ভালবাসে। কিন্তু সচেতনতার অভাবে তারা এগুলো করছে। তাদের ভালভাবে বুঝাতে পারলে পাইরেসি ও ফ্রি ডাউনলোড অনেকখানি কমে যাবে। আমরা দেখা যায় অনেক ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করি। কিন্তু এ ব্যাপারগুলোতে বোঝানোর কোন ব্যবস্থা নেই। এই বিষয়টিকে সরকারিভাবে গুরুত্ব দেয়া উচিত। কারণ, শিল্পী বাঁচলেই কিন্তু শিল্প বাঁচবে। আর আমরা হলাম গান পাগল জাতি। সবাই মিলে একটু সচেতন হলেই আমাদের গানের বাজার আবার চাঙ্গা হবে বলেই আমার বিশ্বাস।
আসলে প্রযুক্তি কখনই মনের চাওয়া কিংবা আবেদনকে গ্রাস করতে পারে না। তাই যতই পাইরেসি হোক কিংবা ফ্রি ডাউনলোড হোক ভাল গানের জয় শেষ পর্যন্ত হবেই। প্রযুক্তির চেয়েও বেশি বড় সমস্যা হলো এখন গান ভাল হচ্ছে না। মনে রাখার মতো গান খুব কম হচ্ছে। ভাল গান হলে মানুষ অ্যালবাম অবশ্যই কিনবে। কারণ, খোঁজ নিলে দেখা যাবে পাইরেসি পৃথিবীর সব জায়গায় আছে। কিন্তু বাংলাদেশের মতো অডিও ইন্ডাস্ট্রির এতো বাজে অবস্থা কিন্তু তাদের হয়নি। আমাদের ইন্ডাস্ট্রি দিন দিন অধঃপতনের দিকে যাচ্ছে ভাল গানের অভাবে, ভাল শিল্পীর অভাবে। আমি ঢাকা শহরে চোখ মেললেই দেখি সবাই যেন আজকাল শিল্পী হওয়ার কসরত করছেন। সংগীত পরিচালকেরও অভাব নেই। এটা কেন হবে। যার যেটা কাজ না সেটা সে করতে এলে তো অবস্থা খারাপ হওয়াটাই স্বাভাবিক। সে শুধু নিজের নয়, পুরো ইন্ডাস্ট্রির ক্ষতি করছে। এদের মধ্যে আবার অনেকে হালকা গান করে সাময়িক জনপ্রিয়তাও বগলদাবা করছে। কিন্তু এটা খুব সাময়িক। এভাবে বেশি দূর যাওয়া যাবে না। আগে মানুষ অনেক পরিমাণে ক্যাসেট কিনতো। কিন্তু এখন কেন কিনছে না, সেটা ভেবে দেখতে হবে। শুধু পাইরেসির দোষ দিলে হবে না। গুণী শিল্পী যারা রয়েছেন এখন তাদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। ভাল ভাল গান উপহার দিতে হবে। নকল গান থেকে বিরত থাকতে হবে। তাহলেই অবস্থার উন্নতি সম্ভব। আর পাইরেসি কিংবা ফ্রি ডাউনলোডের ব্যাপারে কোম্পানি থেকে শুরু করে সংগীত সংশ্লিষ্ট সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। ভাল গান উপহার দিতে পারলে এই বিষয়গুলো নিজে নিজে চলে যাবে বলে আমার বিশ্বাস। কারণ, বাজার ঘুরলে দেখা যাবে ভাল গান হলে এখনও কিন্তু অ্যালবাম মানুষ কিনছে।
কোম্পানিগুলোকে শিল্পীদের ব্যাপারে সচেতন হতে হবে - সামিনা চৌধুরী
পাইরেসি ও ফ্রি ডাউনলোড বন্ধের ব্যাপারে তো কোন ব্যবস্থাই নেয়া হচ্ছে না। প্রযুক্তিকে আটকে রাখা কঠিন। কিন্তু মনিটরিংয়ের মাধ্যমে বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। ইউটিউব যেভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, সেরকম করেই ফ্রি গান ডাউনলোডও বন্ধ করা সম্ভব। না হয় শিল্পীরা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে। আমি মনে করি এর বিরুদ্ধে সব শিল্পী, সুরকার, গীতিকার, সংগীত পরিচালক ও অডিও কোম্পানিকে একত্রিত হয়ে কাজ করা উচিত। সরকারকে বিষয়গুলো ভালভাবে জানানো উচিত, যেন তারা বাস্তবসম্মত ব্যবস্থা গ্রহণ করে। কারণ, অনেক সময় চলে গেছে, অনেক অপেক্ষা করেছি। এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। আর কোন উপায় নেই। নিজেদের সত্তা নিজেদেরই টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করতে হবে। একইভাবে কোম্পানিগুলোকেও শিল্পীদের ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। তাদের ন্যায্য পাওনাটা বুঝিয়ে দিতে হবে। শিল্পীদের এই দুঃসময়ে সচেনতার সঙ্গে পদক্ষেপ নিতে হবে যে কোন বিষয়ে। কেউ যেন সুযোগ নিতে না পারে, অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো শ্রোতাদের সচেতন হতে হবে পাইরেসি ও ফ্রি গান ডাউনলোডের ব্যাপারে। কারণ, তারা কিন্তু শিল্পী ও তার গানকে ভালবাসে। কিন্তু সচেতনতার অভাবে তারা এগুলো করছে। তাদের ভালভাবে বুঝাতে পারলে পাইরেসি ও ফ্রি ডাউনলোড অনেকখানি কমে যাবে। আমরা দেখা যায় অনেক ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করি। কিন্তু এ ব্যাপারগুলোতে বোঝানোর কোন ব্যবস্থা নেই। এই বিষয়টিকে সরকারিভাবে গুরুত্ব দেয়া উচিত। কারণ, শিল্পী বাঁচলেই কিন্তু শিল্প বাঁচবে। আর আমরা হলাম গান পাগল জাতি। সবাই মিলে একটু সচেতন হলেই আমাদের গানের বাজার আবার চাঙ্গা হবে বলেই আমার বিশ্বাস।
বুধবার, ২৮ নভেম্বর ২০১২
যেভাবেই হোক একত্রিত হয়ে আলোচনায় বসা দরকার - দিলরুবা খান
আসলে কি থেকে যে কি হয়ে গেল সেটা যেন বুঝেই উঠতে পারলাম না। হঠাৎ করেই অডিও ইন্ডাস্ট্রির এমন দুরবস্থা তৈরি হয়ে গেল। পাইরেসি এবং ইন্টারনেটে ফ্রি গান ডাউনলোডের বিষয়গুলো অডিও ইন্ডাস্ট্রির জন্য একটি মরণব্যাধি হিসেবে কাজ করছে। ধীরে ধীরে ইন্ডাস্ট্রির আয়ু কমিয়ে ফেলছে। এ বিষয়ে কারোরই যেন কিছু করার নেই ভাবতেই অবাক লাগে। কারণ, পাইরেসি এবং ডাউনলোডের বিষয়ে বাইরের দেশে আইন রয়েছে। সেই আইনের বাস্তবায়নও আছে। তাই সেখানে পাইরেসি তেমন নেই এবং গান ডাউনলোড করতে হয় নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে। এ কারণে সেখানকার অডিও ইন্ডাস্ট্রি দিনে দিনে ভালর দিকে যাচ্ছে। তবে আমাদেরটা ধ্বংস কেন হবে? কারণটা হচ্ছে পাইরেসি এবং ডাউনলোডের ব্যাপারে আমাদের আইন নেই, ব্যবস্থা নেই। কারও বিরুদ্ধে যদি একটিও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হতো তবে এটি বন্ধ হয়ে যেতো। পাইরেসির বিরুদ্ধে অভিযানের কথা শুনেছি। কিন্তু সেটা ধারাবাহিকভাবে হয়নি। আর ডাউনলোড বন্ধের ব্যাপারে তো কেউ কোন ব্যবস্থাই নেয়নি। অন্যদিকে কোম্পানিগুলোও শিল্পীদের রয়্যালটির দিক দিয়ে ঠকাচ্ছে। মোবাইল ফোন কোম্পানি, রেডিও স্টেশনও রয়্যালটি দিচ্ছে না শিল্পীদের। তাহলে শিল্পীরা যাবে কোথায়? শিল্পীদের গান নিয়ে এতো আয়োজন আর এতো বাণিজ্যিক পসরা। কিন্তু শিল্পীরা হলো সবচেয়ে বঞ্চিত। তাদের যাওয়ার কোন স্থান নেই। তারপরও আমি বলবো, শিল্পী, সুরকার, গীতিকার, সংগীত পরিচালক ও কোম্পানিকে সব দ্বন্দ্ব ভুলে একসঙ্গে বসে অডিও ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়ন কিভাবে করা যায়, সেই বিষয়ে আলোচনায় বসা উচিত। আলোচনা ছাড়া কোন পথ নেই। না হলে কিন্তু তৃতীয়পক্ষ সুযোগ নিয়ে ফায়দা লুটেই যাবে। আর বঞ্চিত হবো আমরা সবাই, যারা সংগীত সংশ্লিষ্ট। তাই যেভাবেই হোক একত্রিত হয়ে এ বিষয়গুলোতে আলোচনায় বসা দরকার।
শিল্পীদের ন্যায্য পাওনা বুঝিয়ে দিতে হবে - হাসান
অডিও ইন্ডাস্ট্রির এমন অবস্থার জন্য মূলত কিছু অডিও কোম্পানিই দায়ী। কারণ, তারা এখন গাছাড়া ভাব দেখাচ্ছে। শিল্পবোধ কিংবা শিল্পের প্রতি ভালবাসা তারা প্রদর্শন করছে না। তারা ব্যবসাটাকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে। কিন্তু বেশি দিন আগের কথা নয়, এই আমাদের অ্যালবাম দিয়েই অডিও কোম্পানিগুলো কোটি কোটি টাকা আয় করেছে। অনেক সময় শিল্পীদের অনুমতি না নিয়ে গান ইচ্ছেমত প্রকাশ করেছে অ্যালবাম আকারে। সেসব দিনের কথা ভুলে গেলে চলবে না। এখন শুনেছি সেসব কোম্পানির অনেকেই ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছেন। এই অডিও ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে তাদের মধ্যে কিঞ্চিত পরিমাণ ভাবনা নেই। পৃথিবীর সব স্থানে বাজার খারাপ হলে শীর্ষ কোম্পানিগুলো বিভিন্নভাবে এগিয়ে আসে। কিন্তু আমাদের দেশে তার বিপরীত। অডিও কোম্পানি বাজারে আসবে ব্যবসা করতে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ভালবাসা থাকতে হবে সংগীতের প্রতি। সেটা নেই বলেই এরকম তথৈবচ অবস্থা তৈরি হয়েছে। এ কারণে আমরা অনেকে গান থেকে দূরে সরে আছি। আর আমি মনে করি পাইরেসি ও ফ্রি ডাউনলোড তো পরের ব্যাপার, আগে শিল্পী, সুরকার, গীতিকার, সংগীত পরিচালক ও কোম্পানিকে এক হতে হবে। এক না হলে তো পাইরেসি কিংবা ডাউনলোড বিষয়ে সুরাহা করা যাবে না। আর এক হওয়ার প্রয়াসটি আমি মনে করি শীর্ষ কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে আসা উচিত। শুধু নিজেরটা না ভেবে সবার দিক ভাবতে হবে। আর শিল্পীদের ন্যায্য পাওনা বুঝিয়ে দিতে হবে। এছাড়া কোনভাবেই অডিও ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়ন কিংবা উত্তরণ সম্ভব না। সবাই এক হয়ে সরকারের কাছে আবেদন করলে পাইরেসি ও ফ্রি ডাউনলোড অবশ্যই বন্ধ হবে। শুধু তাই নয়, এখন কিন্তু বাজার ছোট হয়নি বরং বিশাল। এখন ইচ্ছা করলেই বিভিন্ন মাধ্যম থেকে রয়্যালটি পাওয়া সম্ভব। একত্রিত হলে রয়্যালটির বিষয়টি নিয়েও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনায় বসা যাবে।
আসলে কি থেকে যে কি হয়ে গেল সেটা যেন বুঝেই উঠতে পারলাম না। হঠাৎ করেই অডিও ইন্ডাস্ট্রির এমন দুরবস্থা তৈরি হয়ে গেল। পাইরেসি এবং ইন্টারনেটে ফ্রি গান ডাউনলোডের বিষয়গুলো অডিও ইন্ডাস্ট্রির জন্য একটি মরণব্যাধি হিসেবে কাজ করছে। ধীরে ধীরে ইন্ডাস্ট্রির আয়ু কমিয়ে ফেলছে। এ বিষয়ে কারোরই যেন কিছু করার নেই ভাবতেই অবাক লাগে। কারণ, পাইরেসি এবং ডাউনলোডের বিষয়ে বাইরের দেশে আইন রয়েছে। সেই আইনের বাস্তবায়নও আছে। তাই সেখানে পাইরেসি তেমন নেই এবং গান ডাউনলোড করতে হয় নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে। এ কারণে সেখানকার অডিও ইন্ডাস্ট্রি দিনে দিনে ভালর দিকে যাচ্ছে। তবে আমাদেরটা ধ্বংস কেন হবে? কারণটা হচ্ছে পাইরেসি এবং ডাউনলোডের ব্যাপারে আমাদের আইন নেই, ব্যবস্থা নেই। কারও বিরুদ্ধে যদি একটিও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হতো তবে এটি বন্ধ হয়ে যেতো। পাইরেসির বিরুদ্ধে অভিযানের কথা শুনেছি। কিন্তু সেটা ধারাবাহিকভাবে হয়নি। আর ডাউনলোড বন্ধের ব্যাপারে তো কেউ কোন ব্যবস্থাই নেয়নি। অন্যদিকে কোম্পানিগুলোও শিল্পীদের রয়্যালটির দিক দিয়ে ঠকাচ্ছে। মোবাইল ফোন কোম্পানি, রেডিও স্টেশনও রয়্যালটি দিচ্ছে না শিল্পীদের। তাহলে শিল্পীরা যাবে কোথায়? শিল্পীদের গান নিয়ে এতো আয়োজন আর এতো বাণিজ্যিক পসরা। কিন্তু শিল্পীরা হলো সবচেয়ে বঞ্চিত। তাদের যাওয়ার কোন স্থান নেই। তারপরও আমি বলবো, শিল্পী, সুরকার, গীতিকার, সংগীত পরিচালক ও কোম্পানিকে সব দ্বন্দ্ব ভুলে একসঙ্গে বসে অডিও ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়ন কিভাবে করা যায়, সেই বিষয়ে আলোচনায় বসা উচিত। আলোচনা ছাড়া কোন পথ নেই। না হলে কিন্তু তৃতীয়পক্ষ সুযোগ নিয়ে ফায়দা লুটেই যাবে। আর বঞ্চিত হবো আমরা সবাই, যারা সংগীত সংশ্লিষ্ট। তাই যেভাবেই হোক একত্রিত হয়ে এ বিষয়গুলোতে আলোচনায় বসা দরকার।
শিল্পীদের ন্যায্য পাওনা বুঝিয়ে দিতে হবে - হাসান
অডিও ইন্ডাস্ট্রির এমন অবস্থার জন্য মূলত কিছু অডিও কোম্পানিই দায়ী। কারণ, তারা এখন গাছাড়া ভাব দেখাচ্ছে। শিল্পবোধ কিংবা শিল্পের প্রতি ভালবাসা তারা প্রদর্শন করছে না। তারা ব্যবসাটাকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে। কিন্তু বেশি দিন আগের কথা নয়, এই আমাদের অ্যালবাম দিয়েই অডিও কোম্পানিগুলো কোটি কোটি টাকা আয় করেছে। অনেক সময় শিল্পীদের অনুমতি না নিয়ে গান ইচ্ছেমত প্রকাশ করেছে অ্যালবাম আকারে। সেসব দিনের কথা ভুলে গেলে চলবে না। এখন শুনেছি সেসব কোম্পানির অনেকেই ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছেন। এই অডিও ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে তাদের মধ্যে কিঞ্চিত পরিমাণ ভাবনা নেই। পৃথিবীর সব স্থানে বাজার খারাপ হলে শীর্ষ কোম্পানিগুলো বিভিন্নভাবে এগিয়ে আসে। কিন্তু আমাদের দেশে তার বিপরীত। অডিও কোম্পানি বাজারে আসবে ব্যবসা করতে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ভালবাসা থাকতে হবে সংগীতের প্রতি। সেটা নেই বলেই এরকম তথৈবচ অবস্থা তৈরি হয়েছে। এ কারণে আমরা অনেকে গান থেকে দূরে সরে আছি। আর আমি মনে করি পাইরেসি ও ফ্রি ডাউনলোড তো পরের ব্যাপার, আগে শিল্পী, সুরকার, গীতিকার, সংগীত পরিচালক ও কোম্পানিকে এক হতে হবে। এক না হলে তো পাইরেসি কিংবা ডাউনলোড বিষয়ে সুরাহা করা যাবে না। আর এক হওয়ার প্রয়াসটি আমি মনে করি শীর্ষ কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে আসা উচিত। শুধু নিজেরটা না ভেবে সবার দিক ভাবতে হবে। আর শিল্পীদের ন্যায্য পাওনা বুঝিয়ে দিতে হবে। এছাড়া কোনভাবেই অডিও ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়ন কিংবা উত্তরণ সম্ভব না। সবাই এক হয়ে সরকারের কাছে আবেদন করলে পাইরেসি ও ফ্রি ডাউনলোড অবশ্যই বন্ধ হবে। শুধু তাই নয়, এখন কিন্তু বাজার ছোট হয়নি বরং বিশাল। এখন ইচ্ছা করলেই বিভিন্ন মাধ্যম থেকে রয়্যালটি পাওয়া সম্ভব। একত্রিত হলে রয়্যালটির বিষয়টি নিয়েও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনায় বসা যাবে।
বৃহস্পতিবার, ২৯ নভেম্বর ২০১২
এক ছাতার নিচে আসতে হবে - আখি আলমগীর
একাধারে কারও দোষ দিতে আমি রাজি নই। অডিও ইন্ডাস্ট্রির এ অবস্থা কারোরই কাম্য নয়। বিষয়টি নিয়ে শিল্পী ও কোম্পানি উভয়কেই সচেতন হতে হবে। কারণ, এখন সত্যি সত্যি অডিও ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা খারাপ। সেদিক থেকে শিল্পীদেরকেও আকাশছোঁয়া সম্মানী চাইলে হবে না। অন্যদিকে কোম্পানিকেও শিল্পীদের অধিকারের ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। শিল্পীদের ঠকানোর মনোভাব থেকে সরে আসতে হবে। দুদিক থেকেই নমনীয়তা দেখানোটা খুব জরুরি হয়ে পড়েছে এখন। আর একটি বিষয় হলো, এখন অনেক সুরকারই অডিও ইন্ডাস্ট্রির এই দুরবস্থার মধ্যে একটি গানের জন্য এক লাখ টাকা দাবি করছেন। তাহলে দশটি গানের একটি অ্যালবাম করতে লাগবে ১০ লাখ টাকা। যা এই সময়ে একদমই সম্ভবপর হচ্ছে না। আগে অবস্থা যখন ভাল ছিল তখন এরকম দাবি করলে মানা যেতো। কিন্তু এখন কিভাবে সম্ভব। এ বিষয়টা নিয়েও ভাবার দরকার রয়েছে। আর একটি অসাধুচক্র পাইরেসি করেই যাচ্ছে। অন্যদিকে এখন আবার যোগ হয়েছে ফ্রি গান ডাউনলোডের বিষয়টি। সব মিলিয়ে খুবই খারাপ অবস্থা আমাদের। এখান থেকে বেরিয়ে আসতে হলে শিল্পী ও কোম্পানির একসঙ্গে কাজ করা প্রয়োজন। আর পাইরেসির ব্যাপারে শ্রোতাদের সচেতন করে তুলতে হবে। অন্য অনেক বিষয়ে দেখি সচেতন করা হয়। কিন্তু এ বিষয়টির দিকে কোন জোর আমি লক্ষ্য করি না। শ্রোতারা সচেতন হলে পাইরেসি আর থাকবে না। আর সময় অনেক চলে গেছে। শিল্পী, সুরকার, গীতিকার, সংগীত পরিচালক ও কোম্পানিকে এক ছাতার নিচে আসতে হবে। একসঙ্গে বসে সবকিছু আলোচনা করতে হবে। এক হয়ে কাজ না করলে সুফল পাওয়া যাবে না। অডিও ইন্ডাস্ট্রিকে বাঁচানোর বৃহৎ স্বার্থে তাই এক হতে হবে।
আমাদের একত্রিত হতে হবে - পলাশ
শিল্পীরা আসলে নিজেদের অধিকার সম্পর্কে তেমন একটা জানে না। সবাই জানে না সেটাও নয়। এই না জানার কারণে শিল্পীরা বেশি বঞ্চিত। অডিও কোম্পানিগুলো সেই শুরু থেকে শিল্পীদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে আসছে। ইন্ডাস্ট্রির এই দুরবস্থার জন্য দায়ীও কোম্পানিগুলো। আইনগতভাবে কিন্তু কোম্পানি রয়্যালটি পায় না। কিন্তু শিল্পী, সুরকার, গীতিকার, সংগীত পরিচালকদের রয়্যালটি থেকে বঞ্চিত করে কোম্পানিগুলো নিজেরা ব্যবসা করে যাচ্ছে দিনের পর দিন। এর ফলে মোবাইল কোম্পানি ও রেডিও স্টেশনগুলোও শিল্পীদের গান দিয়ে বাণিজ্য করে যাচ্ছে। গত দুই বছর ধরে একটি কনটেন্টে আমার গাওয়া চলচ্চিত্রের ‘ভালবাসার গল্প শুরু হলো’ শীর্ষক গানটি টপচার্টের শীর্ষে অবস্থান করছে। কিন্তু সেই ছবির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কেউই বলতে পারে না যে গানটি কিভাবে, কার কাছ থেকে সেই কোম্পানি নিয়ে দেদার ব্যবসা করছে। আর কোম্পানিগুলো এখন ফেক কাগজ তৈরি করছে। সেই কাগজ মোবাইল কোম্পানিকে দেখিয়ে ছয় নয় বোঝাচ্ছে। এভাবেই প্রতারণা করছে কোম্পানিগুলো। আমি মনে করি এই দুঃসময়ে শিল্পীদের পক্ষ থেকে যাদের নেতৃত্ব দেয়ার কথা তারা সেটা দিচ্ছে না। কারণ, তারা মনে করে আমার তো যা হওয়ার হয়েছে, শুধু শুধু চেঁচামেচি করে কি লাভ? আর কোম্পানিগুলো এখন পাইরেসির দোহাই দিয়ে ব্যবসা নেই বলে প্রচার করছে। কিন্তু এই পাইরেসি কিন্তু কোম্পানিরই তৈরি। হিন্দি ও ইংরেজি গানের অ্যালবাম তারা আগে পাইরেসি করে বিক্রি শুরু করেছে। এরপর বাংলা গানের অ্যালবাম পাইরেসি হয়েছে। সুতরাং পথটা তাদেরই তৈরি। এখন ফ্রি ডাউনলোড ও পাইরেসি কিভাবে বন্ধ করা যায় সেই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে। আমাদের একত্রিত হতে হবে। এরপর সরকারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে হবে। সরকার ইচ্ছা করলেই এগুলো বন্ধ করে দিতে পারে।
একাধারে কারও দোষ দিতে আমি রাজি নই। অডিও ইন্ডাস্ট্রির এ অবস্থা কারোরই কাম্য নয়। বিষয়টি নিয়ে শিল্পী ও কোম্পানি উভয়কেই সচেতন হতে হবে। কারণ, এখন সত্যি সত্যি অডিও ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা খারাপ। সেদিক থেকে শিল্পীদেরকেও আকাশছোঁয়া সম্মানী চাইলে হবে না। অন্যদিকে কোম্পানিকেও শিল্পীদের অধিকারের ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। শিল্পীদের ঠকানোর মনোভাব থেকে সরে আসতে হবে। দুদিক থেকেই নমনীয়তা দেখানোটা খুব জরুরি হয়ে পড়েছে এখন। আর একটি বিষয় হলো, এখন অনেক সুরকারই অডিও ইন্ডাস্ট্রির এই দুরবস্থার মধ্যে একটি গানের জন্য এক লাখ টাকা দাবি করছেন। তাহলে দশটি গানের একটি অ্যালবাম করতে লাগবে ১০ লাখ টাকা। যা এই সময়ে একদমই সম্ভবপর হচ্ছে না। আগে অবস্থা যখন ভাল ছিল তখন এরকম দাবি করলে মানা যেতো। কিন্তু এখন কিভাবে সম্ভব। এ বিষয়টা নিয়েও ভাবার দরকার রয়েছে। আর একটি অসাধুচক্র পাইরেসি করেই যাচ্ছে। অন্যদিকে এখন আবার যোগ হয়েছে ফ্রি গান ডাউনলোডের বিষয়টি। সব মিলিয়ে খুবই খারাপ অবস্থা আমাদের। এখান থেকে বেরিয়ে আসতে হলে শিল্পী ও কোম্পানির একসঙ্গে কাজ করা প্রয়োজন। আর পাইরেসির ব্যাপারে শ্রোতাদের সচেতন করে তুলতে হবে। অন্য অনেক বিষয়ে দেখি সচেতন করা হয়। কিন্তু এ বিষয়টির দিকে কোন জোর আমি লক্ষ্য করি না। শ্রোতারা সচেতন হলে পাইরেসি আর থাকবে না। আর সময় অনেক চলে গেছে। শিল্পী, সুরকার, গীতিকার, সংগীত পরিচালক ও কোম্পানিকে এক ছাতার নিচে আসতে হবে। একসঙ্গে বসে সবকিছু আলোচনা করতে হবে। এক হয়ে কাজ না করলে সুফল পাওয়া যাবে না। অডিও ইন্ডাস্ট্রিকে বাঁচানোর বৃহৎ স্বার্থে তাই এক হতে হবে।
আমাদের একত্রিত হতে হবে - পলাশ
শিল্পীরা আসলে নিজেদের অধিকার সম্পর্কে তেমন একটা জানে না। সবাই জানে না সেটাও নয়। এই না জানার কারণে শিল্পীরা বেশি বঞ্চিত। অডিও কোম্পানিগুলো সেই শুরু থেকে শিল্পীদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে আসছে। ইন্ডাস্ট্রির এই দুরবস্থার জন্য দায়ীও কোম্পানিগুলো। আইনগতভাবে কিন্তু কোম্পানি রয়্যালটি পায় না। কিন্তু শিল্পী, সুরকার, গীতিকার, সংগীত পরিচালকদের রয়্যালটি থেকে বঞ্চিত করে কোম্পানিগুলো নিজেরা ব্যবসা করে যাচ্ছে দিনের পর দিন। এর ফলে মোবাইল কোম্পানি ও রেডিও স্টেশনগুলোও শিল্পীদের গান দিয়ে বাণিজ্য করে যাচ্ছে। গত দুই বছর ধরে একটি কনটেন্টে আমার গাওয়া চলচ্চিত্রের ‘ভালবাসার গল্প শুরু হলো’ শীর্ষক গানটি টপচার্টের শীর্ষে অবস্থান করছে। কিন্তু সেই ছবির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কেউই বলতে পারে না যে গানটি কিভাবে, কার কাছ থেকে সেই কোম্পানি নিয়ে দেদার ব্যবসা করছে। আর কোম্পানিগুলো এখন ফেক কাগজ তৈরি করছে। সেই কাগজ মোবাইল কোম্পানিকে দেখিয়ে ছয় নয় বোঝাচ্ছে। এভাবেই প্রতারণা করছে কোম্পানিগুলো। আমি মনে করি এই দুঃসময়ে শিল্পীদের পক্ষ থেকে যাদের নেতৃত্ব দেয়ার কথা তারা সেটা দিচ্ছে না। কারণ, তারা মনে করে আমার তো যা হওয়ার হয়েছে, শুধু শুধু চেঁচামেচি করে কি লাভ? আর কোম্পানিগুলো এখন পাইরেসির দোহাই দিয়ে ব্যবসা নেই বলে প্রচার করছে। কিন্তু এই পাইরেসি কিন্তু কোম্পানিরই তৈরি। হিন্দি ও ইংরেজি গানের অ্যালবাম তারা আগে পাইরেসি করে বিক্রি শুরু করেছে। এরপর বাংলা গানের অ্যালবাম পাইরেসি হয়েছে। সুতরাং পথটা তাদেরই তৈরি। এখন ফ্রি ডাউনলোড ও পাইরেসি কিভাবে বন্ধ করা যায় সেই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে। আমাদের একত্রিত হতে হবে। এরপর সরকারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে হবে। সরকার ইচ্ছা করলেই এগুলো বন্ধ করে দিতে পারে।
শুক্রবার, ৩০ নভেম্বর ২০১২
এক প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হতে হবে - সেলিম খান
আমার মনে হয় এখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। এরই মধ্যে পাইরেসির কারণে অডিও ইন্ডাস্ট্রি প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে। আমরা এই ব্যাপারে আলোচনার জন্য অনেকবার প্রতিষ্ঠিত শিল্পীদের ডেকেছি। কিন্তু সত্যি বলতে কোন সাড়া পাইনি। তারা মনে করে যেভাবে চলছে চলুক। কারণ তারা তো কনসার্টসহ বিভিন্ন দিক থেকে অর্থ আয় করছে। কিন্তু সমস্যা হয়ে যাচ্ছে কোম্পানি ও নতুন শিল্পীদের ক্ষেত্রে। নতুনরা এসেই অডিও ইন্ডাস্ট্রির এই ধ্বংস রূপ দেখতে পাচ্ছে। তবে পাইরেসির ব্যাপারে তরুণ প্রজন্ম বেশ সোচ্চার। তারা চায় প্রযোজকরা বাচুক, শিল্পীরাও বাচুক। আমি মনে করি যারা প্রতিষ্ঠিত শিল্পী রয়েছেন তাদের এই বিষয়ে এগিয়ে আসা উচিত। আগে যখন অ্যালবাম চলতো তখন আমরা ভাল আয় করতাম, শিল্পীরাও অনেক ভাল সম্মানী পেতো। ব্যবসা এভাবে খারাপ হয়ে যাবে ভাবিনি। আর এর জন্য তো আমরা দায়ী নই। বিষয়টা সবার মেনে নিতে হবে। সেই মানসিকতা তৈরি করতে হবে। বুঝতে হবে গানকে অন্তর থেকে ভালবাসি বলেই এখন পর্যন্ত এই দুরবস্থার মধ্যেও আমরা অ্যালবাম প্রকাশ করে যাচ্ছি। এই ভালবাসার কারণেই নিজের গাঁটের টাকা খরচ করে নতুন নতুন গান রিলিজ করছি আমরা। নিজের ক্ষতির ধার ধারছি না। আর ইন্টারনেট পাইরেসি আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর মাধ্যমে অ্যালবাম প্রকাশের পর দিনই তা বিভিন্ন সাইটে চলে যাচ্ছে। আমার কথা হলো সরকার যদি ইউটিউব বন্ধ করে ফেলতে পারে তবে এই গান ডাউনলোড বন্ধ করতে কেন পারবে না। এই বিষয়টিতে শিল্পী ও অডিও প্রযোজকদের এক হতে হবে। এক প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হতে হবে, তাহলে পাইরেসি বন্ধ হয়ে যাবে বলেই আমার বিশ্বাস। আর সেটা হলে কোম্পানি, শিল্পী, সংগীত সংশ্লিষ্ট সবাই বাঁচবে।
আইনের প্রয়োগটা আমরা দেখতে চাই - খালিদ
অডিও কোম্পানির হা-হুতাশ যেদিন থেকে শুরু হয়েছে সেদিন থেকে ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা খারাপ হওয়া শুরু করেছে। যেদিন তাদের এই হা-হুতাশ বন্ধ হবে, শিল্পীদের ন্যায্য অধিকার দেয়া হবে সেদিন আবারও অডিও ইন্ডাস্ট্রি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। তবে বেশি দেরি হয়ে গেলে সমস্যা। কারণ এমনিতেই অনেক দেরি করে ফেলেছি আমরা। তাই অডিও কোম্পানিগুলোকে বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে। শিল্পীদের ঠকিয়ে তারা নিজেরাও বেশি দিন টিকে থাকতে পারবে না। তবে সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হলো মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো পর্যন্ত শিল্পীদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। শিল্পীদের গান ওয়েলকাম টিউন এবং রিংটোন হিসেবে বাজারে ছেড়ে কোটি কোটি টাকা আয় করছে তারা। এরকম আমারই অনেক গানের কথা বলতে পারবো যেগুলো বিভিন্ন কন্টেন্ট সার্ভিসে টানা শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। কিন্তু আমি সেখান থেকে কোন রয়্যালটি সঠিকভাবে পাচ্ছি না। যতটা সম্ভব ততটাই অধিকার বঞ্চিত করা হচ্ছে শিল্পীদের। এর কারণটা হচ্ছে কোন ব্যবস্থা নেই। কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করলে এরকম করার সাহস কেউ পেত না। অন্যদিকে রেডিও স্টেশনগুলোও দিন রাত আমাদের গান বাজিয়ে চলেছে, কিন্তু কোন রয়্যালটি প্রদান করছে না। অডিও কোম্পানি, রেডিও স্টেশন ও মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো রয়্যালটির দিক থেকে শিল্পীদের যেভাবে ঠকাচ্ছে সেটা পৃথিবীর অন্য কোথাও নেই। আর আমাদের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ও এ ব্যাপারে নিশ্চুপ। একজনের জিনিস বিক্রি করে আরেকজন অর্থ আয় করছে এটাতো স্বাভাবিকভাবেই অন্যায়। নিশ্চয়ই এর বিরুদ্ধে আইন আছে। আইনের প্রয়োগটা আমরা দেখতে চাই। আমাদের নিজেদের কলুষ মুক্ত করতে হবে আগে। কোম্পানিসহ রেডিও স্টেশন, মোবাইল কোম্পানিকে গানের জন্য সঠিক রয়্যালটি দিতে হবে। এরপর না আমরা পাইরেসি এবং ইন্টারনেট ডাউনলোডের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবো। সঠিক রয়্যালটি দিলে আমার বিশ্বাস শিল্পী ও কোম্পানির মধ্যে ঐক্য তৈরি হবে। আর সেই ঐক্যের মাধ্যমে পাইরেসি ও ডাউনলোডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হবে।
আমার মনে হয় এখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। এরই মধ্যে পাইরেসির কারণে অডিও ইন্ডাস্ট্রি প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে। আমরা এই ব্যাপারে আলোচনার জন্য অনেকবার প্রতিষ্ঠিত শিল্পীদের ডেকেছি। কিন্তু সত্যি বলতে কোন সাড়া পাইনি। তারা মনে করে যেভাবে চলছে চলুক। কারণ তারা তো কনসার্টসহ বিভিন্ন দিক থেকে অর্থ আয় করছে। কিন্তু সমস্যা হয়ে যাচ্ছে কোম্পানি ও নতুন শিল্পীদের ক্ষেত্রে। নতুনরা এসেই অডিও ইন্ডাস্ট্রির এই ধ্বংস রূপ দেখতে পাচ্ছে। তবে পাইরেসির ব্যাপারে তরুণ প্রজন্ম বেশ সোচ্চার। তারা চায় প্রযোজকরা বাচুক, শিল্পীরাও বাচুক। আমি মনে করি যারা প্রতিষ্ঠিত শিল্পী রয়েছেন তাদের এই বিষয়ে এগিয়ে আসা উচিত। আগে যখন অ্যালবাম চলতো তখন আমরা ভাল আয় করতাম, শিল্পীরাও অনেক ভাল সম্মানী পেতো। ব্যবসা এভাবে খারাপ হয়ে যাবে ভাবিনি। আর এর জন্য তো আমরা দায়ী নই। বিষয়টা সবার মেনে নিতে হবে। সেই মানসিকতা তৈরি করতে হবে। বুঝতে হবে গানকে অন্তর থেকে ভালবাসি বলেই এখন পর্যন্ত এই দুরবস্থার মধ্যেও আমরা অ্যালবাম প্রকাশ করে যাচ্ছি। এই ভালবাসার কারণেই নিজের গাঁটের টাকা খরচ করে নতুন নতুন গান রিলিজ করছি আমরা। নিজের ক্ষতির ধার ধারছি না। আর ইন্টারনেট পাইরেসি আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর মাধ্যমে অ্যালবাম প্রকাশের পর দিনই তা বিভিন্ন সাইটে চলে যাচ্ছে। আমার কথা হলো সরকার যদি ইউটিউব বন্ধ করে ফেলতে পারে তবে এই গান ডাউনলোড বন্ধ করতে কেন পারবে না। এই বিষয়টিতে শিল্পী ও অডিও প্রযোজকদের এক হতে হবে। এক প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হতে হবে, তাহলে পাইরেসি বন্ধ হয়ে যাবে বলেই আমার বিশ্বাস। আর সেটা হলে কোম্পানি, শিল্পী, সংগীত সংশ্লিষ্ট সবাই বাঁচবে।
আইনের প্রয়োগটা আমরা দেখতে চাই - খালিদ
অডিও কোম্পানির হা-হুতাশ যেদিন থেকে শুরু হয়েছে সেদিন থেকে ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা খারাপ হওয়া শুরু করেছে। যেদিন তাদের এই হা-হুতাশ বন্ধ হবে, শিল্পীদের ন্যায্য অধিকার দেয়া হবে সেদিন আবারও অডিও ইন্ডাস্ট্রি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। তবে বেশি দেরি হয়ে গেলে সমস্যা। কারণ এমনিতেই অনেক দেরি করে ফেলেছি আমরা। তাই অডিও কোম্পানিগুলোকে বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে। শিল্পীদের ঠকিয়ে তারা নিজেরাও বেশি দিন টিকে থাকতে পারবে না। তবে সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হলো মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো পর্যন্ত শিল্পীদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। শিল্পীদের গান ওয়েলকাম টিউন এবং রিংটোন হিসেবে বাজারে ছেড়ে কোটি কোটি টাকা আয় করছে তারা। এরকম আমারই অনেক গানের কথা বলতে পারবো যেগুলো বিভিন্ন কন্টেন্ট সার্ভিসে টানা শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। কিন্তু আমি সেখান থেকে কোন রয়্যালটি সঠিকভাবে পাচ্ছি না। যতটা সম্ভব ততটাই অধিকার বঞ্চিত করা হচ্ছে শিল্পীদের। এর কারণটা হচ্ছে কোন ব্যবস্থা নেই। কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করলে এরকম করার সাহস কেউ পেত না। অন্যদিকে রেডিও স্টেশনগুলোও দিন রাত আমাদের গান বাজিয়ে চলেছে, কিন্তু কোন রয়্যালটি প্রদান করছে না। অডিও কোম্পানি, রেডিও স্টেশন ও মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো রয়্যালটির দিক থেকে শিল্পীদের যেভাবে ঠকাচ্ছে সেটা পৃথিবীর অন্য কোথাও নেই। আর আমাদের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ও এ ব্যাপারে নিশ্চুপ। একজনের জিনিস বিক্রি করে আরেকজন অর্থ আয় করছে এটাতো স্বাভাবিকভাবেই অন্যায়। নিশ্চয়ই এর বিরুদ্ধে আইন আছে। আইনের প্রয়োগটা আমরা দেখতে চাই। আমাদের নিজেদের কলুষ মুক্ত করতে হবে আগে। কোম্পানিসহ রেডিও স্টেশন, মোবাইল কোম্পানিকে গানের জন্য সঠিক রয়্যালটি দিতে হবে। এরপর না আমরা পাইরেসি এবং ইন্টারনেট ডাউনলোডের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবো। সঠিক রয়্যালটি দিলে আমার বিশ্বাস শিল্পী ও কোম্পানির মধ্যে ঐক্য তৈরি হবে। আর সেই ঐক্যের মাধ্যমে পাইরেসি ও ডাউনলোডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হবে।