গানের আসর
নভেম্বর ২০১২
সামিনা চৌধুরী-একক সঙ্গীত সন্ধ্যা
|
হাবীব ওয়াহিদ-একক সঙ্গীত সন্ধ্যা
|
রাধারমণ সংগীত উৎসব ২০১২
৯ ও ১০ নভেম্বর ২০১২
শিল্পকলা একাডেমীর উন্মুক্ত প্রাঙ্গণ
আগামী ৯ ও ১০ নভেম্বর শুক্র ও শনিবার, দিনব্যাপী বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে 'রাধারমণ সংগীত উৎসব'। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছে যৌথভাবে রাধারমণ সংস্কৃতিচর্চা কেন্দ্র ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী। দ্বিতীয়বারের মত এই আয়োজন উদ্বোধন করবেন ৮১ বছর বয়স্কা প্রবীণ শিল্পী চন্দ্রাবতী রায়বর্মণ। শুক্রবার সকাল ১০টায় এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হবে। ঢাকা, সিলেট, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজারসহ বিভিন্নস্থানের প্রায় শতাধিক শিল্পী এই অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। অনুষ্ঠানটি সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। উল্লেখ্য, ২৬ কার্তিক (১০ নভেম্বর) রাধারমণের ৯৬তম মৃত্যুবার্ষিকী।
লালন শাহ ও আব্বাস উদ্দিন আহমদ স্মরণে সঙ্গীত অনুষ্ঠান
আয়োজনেঃ বাংলাদেশ লোকশিল্পী সঙ্গীত পরিষদ
১১ নভেম্বর বিকাল ৫টা । শিল্পকলা একাডেমীর সঙ্গীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র
আধ্যাত্মিক সঙ্গীত সাধক ফকির লালন শাহ এবং বাংলা পল্লীগানের কালজয়ী সঙ্গীতশিল্পী আব্বাস উদ্দিন আহমদ। এ দুই অমর সঙ্গীত স্রষ্টার স্মরণে 'বাংলাদেশ লোকশিল্পী সঙ্গীত পরিষদ' বিশেষ সঙ্গীত অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। আগামী ১১ নভেম্বর বিকাল ৫টায় ঢাকাস্থ শিল্পকলা একাডেমীর সঙ্গীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্রে এ সঙ্গীতানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, বিশেষ অতিথি থাকবেন বিশিষ্ট লোক সঙ্গীতশিল্পী কে এম চাঁদ মিয়া। অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশনের পাশাপাশি ফকির লালন শাহ এবং আব্বাস উদ্দিন আহমদের সঙ্গীত জীবন ও কর্মের নানাদিক নিয়ে আলোচনা করা হবে। এ অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করবেন ইন্দ্রমোহন রাজবংশী, দিপ্তী রাজবংশী, অনিমা মুক্তি গোমেজ, আবু বকর সিদ্দিক, কে এম চাঁদ মিয়াসহ লোকসঙ্গীত শিল্পী পরিষদের শিল্পীবৃন্দ। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ লোকসঙ্গীত শিল্পী পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ইন্দ্রমোহন রাজবংশী বলেন, 'আধ্যাত্মিক সঙ্গীত সাধক লালন ফকির এবং পল্লীগানের কালজয়ী শিল্পী আব্বাস উদ্দিন স্মরণে প্রতি বছর আমরা এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকি। এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা নতুন প্রজন্মের কাছে বাংলা সঙ্গীতের দুই দিক পালকে তুলে ধরতে চাই। আগামীতেও এ অনুষ্ঠানের আয়োজন অব্যাহত থাকবে।' উল্লেখ্য যে, লালন ফকির (১৭৭৪-১৮৯০) ভারতীয় উপমহাদেশের আধ্যাত্মিক সাধকদের অন্যতম। তিনি একাধারে ফকির এবং মানবতাবাদী দার্শনিক। তিনি অসংখ্য গানের গীতিকার, সুরকার ও গায়ক। ভারতের মহাত্মা গান্ধীরও ২৫ বছর আগে, ভারতীয় উপমহাদেশে সর্বপ্রথম লালন ফকিরকেই 'মহাত্মা' উপাধি দেয়া হয়েছিল। অন্যদিকে, আব্বাস উদ্দিন আহমদ (১৯০১-১৯৫৯) পশ্চিমবঙ্গের কুচবিহার জেলার তুফানগঞ্জ মহকুমার বলরামপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি আধুনিক গান, স্বদেশী গান, ইসলামী গান, পল্লীগীতি, উর্দুগানসহ বিভিন্ন ধরনের গান গেয়েছেন। তবে পল্লীগীতিতে তার মৌলিকতা ও সাফল্য সবচেয়ে বেশি। গানের জগতে তার কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বা ওস্তাদ ছিল না। আপন প্রতিভাবলে তিনি নিজেকে সবার সামনে তুলে ধরেছেন। তিনি পল্লী গানের অমর শিল্পী।
সংগীত সন্ধ্যা-শায়ান চৌধুরী অর্ণব
|
লাকী আখন্দ-একক সঙ্গীত সন্ধ্যা
|
কমল দাশগুপ্তর জন্মশতবর্ষ উদ্যাপন
১৬ নভেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যা ০৬:৩০
ছায়ানট মিলনায়তন
বাড়ি ৭২, সড়ক ১৫এ ধানমণ্ডি আ/এ, ঢাকা - ১২০৯. ফোন - ৮৮-০২-৯১৩৩৭১৬, ৮৮-০২-৮১১৫৭৪৮
নব্বইয়ের দশকের শীর্ষস্থানীয় ব্যান্ড ফিডব্যাক, সোলস, এলআরবি, নগর বাউল (জেমস), ওয়ারফেজ, মাকসুদ ও ঢাকা, ডিফরেন্ট টাচ, নোভা, আর্ক ও প্রমিথিউস এবার গান করবে একই মঞ্চে। ১৬ নভেম্বর বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে আয়োজন করা হয়েছে কনসার্ট ‘ওল্ড ইজ গোল্ড’। কনসার্টের আয়োজন করেছে আয়েশা মেমোরিয়াল স্পেশালাইজড হসপিটাল (প্রা.) লিমিটেড। হাসপাতালের পরিচালক আশীষ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘দরিদ্র ও দুস্থ রোগীদের চিকিৎসা সহায়তায় তহবিল গঠনের জন্য আমরা এই চ্যারিটি কনসার্টের আয়োজন করেছি। কনসার্ট থেকে পাওয়া অর্থ হাসপাতালে আসা গরিব ও সুবিধাবঞ্চিত রোগীদের চিকিৎসায় ব্যয় করা হবে।’ টিকিটের দাম ২০০ টাকা। পাওয়া যাবে হেলভেশিয়া ফাস্টফুড (ঢাকার সব শাখা), আনন্দ কনফেকশনারি (শাহীন কলেজ সংলগ্ন), আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতাল কফি হাউস (মহাখালী), এবিসি রেডিও অফিস (কারওয়ান বাজার) ও ঘুড্ডিতে (লেভেল-৬, বসুন্ধরা সিটি)।
কবিতা সন্ধ্যা
বিপ্লবী জাগরণ-আরব বসন্ত আবদেলওয়াহাব মেদেব, প্রফেসর কায়সার হক ১৯ নভেম্বর সোমবার সন্ধ্যা ০৬:০০ আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ, অডিটোরিয়াম ২৬, মিরপুর রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা- ১২০৫ ফোন- ৮৬১১৫৫৭, ৯৬৭৫২৪৯ ও ৯৬৭৫২৫৮ www.afdhaka.org |
প্রকৃতির প্রেম বিষয়ক আলেখ্যানুষ্ঠান
আয়োজক: উত্তরায়ণ সংগীত সংগঠন
২৩ নভেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যা ০৭:০০
শিল্পকলা একাডেমী মূল থিয়েটার হল, সেগুন বাগিচা
একক রবীন্দ্রসঙ্গীত সন্ধ্যা - তপন মাহমুদ
অনুষ্ঠানটি সবার জন্য উন্মুক্ত
৩০ নভেম্বর সন্ধ্যা ০৬:৩০
ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, গুলশান
বাসা ৩৫, রোড ২৪, গুলশান ১
বেঙ্গল-আইটিসি এসআরএ উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসব
দেশে প্রথমবারের মতো বিপুল পরিসরে আয়োজিত হতে যাচ্ছে চার দিনের উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসব। এ উৎসবে ভারত ও বাংলাদেশের প্রায় অর্ধশত প্রখ্যাত উচ্চাঙ্গসংগীতজ্ঞ অংশ নেবেন। ‘বেঙ্গল-আইটিসি এসআরএ উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসব ২০১২’ নামের এই আয়োজন শুরু হবে আগামী ২৯ নভেম্বর। যৌথভাবে এর আয়োজন করেছে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন ও কলকাতার আইটিসি সংগীত রিসার্চ একাডেমি। উৎসব উৎসর্গ করা হয়েছে ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁকে।
গতকাল রোববার সকালে এ উপলক্ষে হোটেল সোনারগাঁওয়ে আয়োজিত সাংবাদ সম্মেলনে উৎসব এবং উচ্চাঙ্গসংগীতের চর্চা ও বিকাশ সম্পর্কে বেঙ্গল ও আইটিসি এসআরএর উদ্যোগ নিয়ে বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরা হয়। সম্মেলনে আইটিসি এসআরএর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী পরিচালক রবি মাথুর, সংগীত রিসার্চ একাডেমির ওস্তাদ মশকুর আলী খান, পণ্ডিত উলহাস কশলকার। এ ছাড়া বক্তব্য দেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের সভাপতি আবুল খায়ের, প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম, মাছরাঙা টেলিভিশনের সিইও ফাহিম মুনয়েম, দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার সংস্কৃতি সম্পাদক সাদিয়া আফরিন মল্লিক। লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরী। এ উৎসবের সার্বিক সহযোগিতা করছে প্রথম আলো। সহযোগী হিসেবে রয়েছে দ্য ডেইলি স্টার। মিডিয়া পার্টনার আইস মিডিয়া, রেডিও সহযোগী এবিসি রেডিও এবং সম্প্রচার সহযোগী মাছরাঙা টেলিভিশন।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বাংলাদেশে উচ্চাঙ্গসংগীতের চর্চা অব্যাহত রাখা ও প্রচার-প্রসারের উদ্দেশ্যে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন ও কলকাতার আইটিসি সংগীত রিসার্চ একাডেমি একটি দীর্ঘমেয়াদি সমঝোতায় উপনীত হয়েছে। এই পরিকল্পনার আওতায় এ বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে সংগীত রিসার্চ একাডেমীর শিল্পী ও বাংলাদেশের শিল্পীদের নিয়ে ঢাকায় ও ঢাকার বাইরে দ্বিমাসিক সংগীতানুষ্ঠান শুরু হয়েছে। এ ছাড়া দেশের মেধাবী উচ্চাঙ্গসংগীতের শিল্পী-শিক্ষার্থীদের নিয়ে সংগীতবিষয়ক কর্মশালা আয়োজন ও বৃত্তি দেওয়া এবং সংগীত রিসার্চ একাডেমির সহযোগিতায় উচ্চাঙ্গসংগীতে গুরুকুল পদ্ধতিতে শিক্ষা দেওয়ার জন্য পরম্পরা সংগীত একাডেমি প্রতিষ্ঠাও রয়েছে কর্মসূচির অন্তর্গত। গত ২৮ এপ্রিল বেঙ্গল শিল্পালয়ে আইটিসি সংগীত রিসার্চ একাডেমির নির্বাহী পরিচালক রবি মাথুর ও প্রখ্যাত সংগীতগুরু পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর উপস্থিতিতে এই মর্মে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়।
সম্মেলনে জানানো হয়, এই কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় আগামী নভেম্বরে উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসব আয়োজনের মধ্য দিয়ে বড় পরিসরের বাৎসরিক সংগীত উৎসব আয়োজন করা হবে। প্রতিবছর একই সময়ে এই উৎসব আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। আর্মি স্টেডিয়ামে উৎসব শুরু হবে সন্ধ্যা ছয়টায়। প্রথম দুই দিন সন্ধ্যা থেকে ভোর চারটা পর্যন্ত এবং ১ ও ২ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠান হবে। অনুষ্ঠান সবার জন্য উন্মুক্ত। এ জন্য আগ্রহী শ্রোতাদের ইন্টারনেটে কিংবা বেঙ্গল গ্যালারি (ধানমন্ডি), বেঙ্গল সেন্টার (উত্তরা), অরণ্য (বনানী) ও বেঙ্গল আর্ট লাউঞ্জে (গুলশান) বিনা মূল্যে নাম নিবন্ধন করতে হবে। অনুষ্ঠানের শুরুতেও আসরে একই পদ্ধতিতে নিবন্ধন করা যাবে। আগামী মাসে অনলাইন নিবন্ধন শুরু হবে। বিস্তারিত জানা যাবে www.bengalfoundation.org, এবং www.facebook.com/bfmusicfest ওয়েবসাইটে।
রবি মাথুর জানান, বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতেও আইটিসি প্রতিবছর যেসব উচ্চাঙ্গসংগীতের উৎসব করে থাকে, সেখানেও এখন থেকে বাংলাদেশের শিল্পীরা অংশ নেবেন। এ ছাড়া বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী সমৃদ্ধ লোকসংগীতও বিভিন্ন উৎসবে উপস্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
ওস্তাদ মশকুর আলী খান বলেন, বাংলাদেশের উচ্চাঙ্গসংগীতের ঐতিহ্য অত্যন্ত পুরোনো ও সমৃদ্ধ। উভয় দেশের শিল্পীদের আদান-প্রদান ও গুরুপরম্পরার শিক্ষার মধ্য দিয়ে যেমন উচ্চাঙ্গসংগীতের চর্চা প্রসারিত হবে, তেমনি দুই দেশের জনগণের মধ্যেও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার হবে।
পণ্ডিত উলহাস কশলকার বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের উচ্চাঙ্গসংগীতের ধারা আলাদা কিছু নয়। এ দেশে অনেক বড় মাপের শিল্পীর জন্ম হয়েছে। তিনি আগের সফরের অভিজ্ঞতার উল্লেখ করে বেলেন, বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের মধ্যে অনেক সম্ভাবনাময় শিল্পী রয়েছে। তাদের দীর্ঘমেয়াদে উপযুক্ত তালিম দিলে এখান থেকে অনেক বড় মাপের সংগীতজ্ঞ বেরিয়ে আসবে।
আবুল খায়ের বলেন, উচ্চাঙ্গসংগীতের স্রোতা সৃষ্টি ও চর্চার বিকাশে তাঁদের অনেক বড় পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রতিবছর আইটিসির সঙ্গে উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসব, বাংলাদেশের শিল্পীদের নিয়ে ভারতেও অনুরূপ উৎসব আয়োজন এবং ঢাকায় সংগীত বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে গুরুকুল পদ্ধতিতে শিক্ষাদান। বড় উৎসব ছাড়াও প্রতি দুই মাস অন্তর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে উচ্চাঙ্গসংগীতের অনুষ্ঠান করা হবে।
গতকাল রোববার সকালে এ উপলক্ষে হোটেল সোনারগাঁওয়ে আয়োজিত সাংবাদ সম্মেলনে উৎসব এবং উচ্চাঙ্গসংগীতের চর্চা ও বিকাশ সম্পর্কে বেঙ্গল ও আইটিসি এসআরএর উদ্যোগ নিয়ে বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরা হয়। সম্মেলনে আইটিসি এসআরএর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী পরিচালক রবি মাথুর, সংগীত রিসার্চ একাডেমির ওস্তাদ মশকুর আলী খান, পণ্ডিত উলহাস কশলকার। এ ছাড়া বক্তব্য দেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের সভাপতি আবুল খায়ের, প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম, মাছরাঙা টেলিভিশনের সিইও ফাহিম মুনয়েম, দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার সংস্কৃতি সম্পাদক সাদিয়া আফরিন মল্লিক। লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরী। এ উৎসবের সার্বিক সহযোগিতা করছে প্রথম আলো। সহযোগী হিসেবে রয়েছে দ্য ডেইলি স্টার। মিডিয়া পার্টনার আইস মিডিয়া, রেডিও সহযোগী এবিসি রেডিও এবং সম্প্রচার সহযোগী মাছরাঙা টেলিভিশন।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বাংলাদেশে উচ্চাঙ্গসংগীতের চর্চা অব্যাহত রাখা ও প্রচার-প্রসারের উদ্দেশ্যে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন ও কলকাতার আইটিসি সংগীত রিসার্চ একাডেমি একটি দীর্ঘমেয়াদি সমঝোতায় উপনীত হয়েছে। এই পরিকল্পনার আওতায় এ বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে সংগীত রিসার্চ একাডেমীর শিল্পী ও বাংলাদেশের শিল্পীদের নিয়ে ঢাকায় ও ঢাকার বাইরে দ্বিমাসিক সংগীতানুষ্ঠান শুরু হয়েছে। এ ছাড়া দেশের মেধাবী উচ্চাঙ্গসংগীতের শিল্পী-শিক্ষার্থীদের নিয়ে সংগীতবিষয়ক কর্মশালা আয়োজন ও বৃত্তি দেওয়া এবং সংগীত রিসার্চ একাডেমির সহযোগিতায় উচ্চাঙ্গসংগীতে গুরুকুল পদ্ধতিতে শিক্ষা দেওয়ার জন্য পরম্পরা সংগীত একাডেমি প্রতিষ্ঠাও রয়েছে কর্মসূচির অন্তর্গত। গত ২৮ এপ্রিল বেঙ্গল শিল্পালয়ে আইটিসি সংগীত রিসার্চ একাডেমির নির্বাহী পরিচালক রবি মাথুর ও প্রখ্যাত সংগীতগুরু পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর উপস্থিতিতে এই মর্মে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়।
সম্মেলনে জানানো হয়, এই কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় আগামী নভেম্বরে উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসব আয়োজনের মধ্য দিয়ে বড় পরিসরের বাৎসরিক সংগীত উৎসব আয়োজন করা হবে। প্রতিবছর একই সময়ে এই উৎসব আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। আর্মি স্টেডিয়ামে উৎসব শুরু হবে সন্ধ্যা ছয়টায়। প্রথম দুই দিন সন্ধ্যা থেকে ভোর চারটা পর্যন্ত এবং ১ ও ২ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠান হবে। অনুষ্ঠান সবার জন্য উন্মুক্ত। এ জন্য আগ্রহী শ্রোতাদের ইন্টারনেটে কিংবা বেঙ্গল গ্যালারি (ধানমন্ডি), বেঙ্গল সেন্টার (উত্তরা), অরণ্য (বনানী) ও বেঙ্গল আর্ট লাউঞ্জে (গুলশান) বিনা মূল্যে নাম নিবন্ধন করতে হবে। অনুষ্ঠানের শুরুতেও আসরে একই পদ্ধতিতে নিবন্ধন করা যাবে। আগামী মাসে অনলাইন নিবন্ধন শুরু হবে। বিস্তারিত জানা যাবে www.bengalfoundation.org, এবং www.facebook.com/bfmusicfest ওয়েবসাইটে।
রবি মাথুর জানান, বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতেও আইটিসি প্রতিবছর যেসব উচ্চাঙ্গসংগীতের উৎসব করে থাকে, সেখানেও এখন থেকে বাংলাদেশের শিল্পীরা অংশ নেবেন। এ ছাড়া বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী সমৃদ্ধ লোকসংগীতও বিভিন্ন উৎসবে উপস্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
ওস্তাদ মশকুর আলী খান বলেন, বাংলাদেশের উচ্চাঙ্গসংগীতের ঐতিহ্য অত্যন্ত পুরোনো ও সমৃদ্ধ। উভয় দেশের শিল্পীদের আদান-প্রদান ও গুরুপরম্পরার শিক্ষার মধ্য দিয়ে যেমন উচ্চাঙ্গসংগীতের চর্চা প্রসারিত হবে, তেমনি দুই দেশের জনগণের মধ্যেও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার হবে।
পণ্ডিত উলহাস কশলকার বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের উচ্চাঙ্গসংগীতের ধারা আলাদা কিছু নয়। এ দেশে অনেক বড় মাপের শিল্পীর জন্ম হয়েছে। তিনি আগের সফরের অভিজ্ঞতার উল্লেখ করে বেলেন, বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের মধ্যে অনেক সম্ভাবনাময় শিল্পী রয়েছে। তাদের দীর্ঘমেয়াদে উপযুক্ত তালিম দিলে এখান থেকে অনেক বড় মাপের সংগীতজ্ঞ বেরিয়ে আসবে।
আবুল খায়ের বলেন, উচ্চাঙ্গসংগীতের স্রোতা সৃষ্টি ও চর্চার বিকাশে তাঁদের অনেক বড় পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রতিবছর আইটিসির সঙ্গে উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসব, বাংলাদেশের শিল্পীদের নিয়ে ভারতেও অনুরূপ উৎসব আয়োজন এবং ঢাকায় সংগীত বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে গুরুকুল পদ্ধতিতে শিক্ষাদান। বড় উৎসব ছাড়াও প্রতি দুই মাস অন্তর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে উচ্চাঙ্গসংগীতের অনুষ্ঠান করা হবে।