গানের খবর
ডিসেম্বর ২০১২
চলে গেলেন নজরুলসংগীতের কিংবদন্তি সোহরাব হোসেন
দীর্ঘ আট দশক নজরুলসংগীতের সাধনায় নিমগ্ন রেখেছেন নিজেকে। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর ছয়টা ২৫ মিনিটে সেই মধুর কণ্ঠটি স্তব্ধ হলো চিরতরে। শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন সংগীতজ্ঞ সোহরাব হোসেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
সোহরাব হোসেনের বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন অনেক দিন ধরে। রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নির্বাপিত হলো তাঁর জীবনপ্রদীপ। তিনি স্ত্রী সুরাতুন্নেচ্ছা; তিন মেয়ে রওশন আরা, রাহাত আরা ও রিফাত আরা; দুই ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেন, মারুফ হোসেনসহ নাতি-নাতনি, আত্মীয়স্বজন এবং দেশ-বিদেশে অসংখ্য গুণমুগ্ধ রেখে গেছেন।
গতকাল সোহরাব হোসেনের মরদেহ স্কয়ার হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আজ শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে এক ঘণ্টা তাঁর মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে। এরপর বাদ জুমা মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডে তাঁর বাসার পাশের মসজিদে জানাজা হবে। পরে শিল্পীর অন্তিম শয্যা রচনা করা হবে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে।
সোহরাব হোসেনের নাতনি সামিহা হক প্রথম আলোকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বহুমূত্র তো ছিলই, বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যার সঙ্গে সম্প্রতি যোগ হয়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ। ভোর থেকে তাঁর হূদ্যন্ত্র আস্তে আস্তে কর্মক্ষমতা হারাতে থাকে। সকাল ছয়টা ২৫ মিনিটে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে সোহরাব হোসেনকে গত নভেম্বর মাসে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে ১৩ ডিসেম্বর তাঁকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। দুই দিন পরই আবার তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটলে ১৬ ডিসেম্বর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শিল্পী সোহরাব হোসেনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া শোকবাণী দিয়েছেন। বাণীতে তাঁরা মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
সোহরাব হোসেনের মৃত্যুর সংবাদে রাজধানীর সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে আসে। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সংগীতজ্ঞ ও তাঁর বন্ধু সুধীন দাশ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী, সংগীতজ্ঞ সন্জীদা খাতুন, শাহীন সামাদ, খায়রুল আনাম শাকিল, ডালিয়া নওশীন, সাদিয়া আফরিন মল্লিক, রফিকুল আলমসহ দেশের সংগীত ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা স্কয়ার হাসপাতালে ছুটে যান।
কর্মময় জীবন: সোহরাব হোসেনের জন্ম ১৯২২ সালের ৯ এপ্রিল, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার আয়েশতলা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। বাড়িতে গানবাজনার চর্চা ছিল না। তবে শৈশবেই তিনি সুরের মায়ায় মোহিত হন। যখন বয়স মাত্র নয় বছর, তখন রানাঘাটের এক আসরে তাঁর প্রথম নজরুলসংগীত শোনা। এর পর থেকেই আমৃত্যু তিনি নজরুলের গানের সঙ্গে নিজেকে অবিচ্ছিন্ন রেখেছিলেন নিবিড় বন্ধনে।
প্রথমে জয়নুল আবেদীন নামের এক সংগীতশিক্ষকের কাছে তালিম নেন সোহরাব হোসেন। এরপর পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ার সময় তিনি তালিম নেন সংগীতগুরু কিরণ দে চৌধুরীর কাছে। নজরুলসংগীতের প্রখ্যাত শিল্পী পূরবী দত্তের কাছেও তিনি সংগীতের শিক্ষা নিয়েছেন। পরিবারের তরফ থেকে অবশ্য তাঁর এই সংগীতপ্রীতি ভালোভাবে দেখা হয়নি। তবে তাতে তিনি থেমে যাননি।
রানাঘাটের এক অনুষ্ঠানে শিল্পী আব্বাসউদ্দীন আহ্মদ, ওস্তাদ মোহাম্মদ হোসেন খসরু, পল্লীকবি জসীমউদ্দীন এবং তবলাবাদক বজলুল করিমের সঙ্গে একই মঞ্চে সংগীত পরিবেশন করেন সোহরাব হোসেন। পরে কিরণ দে চৌধুরীর মাধ্যমে কলকাতায় গিয়ে শ্রীরঙ্গম থিয়েটারে গায়ক হিসেবে কাজ শুরু করেন। ১৯৪৬ সাল থেকে তিনি এইচএমভি ও রেডিওতে যুক্ত হন। এ সময় কলকাতায় তখনকার বিখ্যাত শিল্পী আঙ্গুরবালা, ইন্দুবালা, গিরীশ চক্রবর্তী, কৃষ্ণচন্দ্র দের সাহচর্য লাভ করেন। ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ, শিল্পী শচীন দেববর্মণ ও অঞ্জলি মুখার্জির সঙ্গেও ছিল তাঁর ঘনিষ্ঠতা।
ভারত ভাগের পর ১৯৪৭ সালে সোহরাব হোসেন ঢাকায় আসেন। শিল্পী আব্বাসউদ্দীনের সহযোগিতায় সরকারি তথ্য বিভাগে কাজে যোগ দেন। পাশাপাশি বেতারে নিয়মিত অনুষ্ঠান এবং সংগীতশিক্ষক হিসেবে কাজ করতে থাকেন। এ ছাড়া শিল্পী আব্বাসউদ্দীনের সঙ্গে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে গান করেছেন।
ব্যক্তিগতভাবে এখনকার বহু কৃতী শিল্পীকেই সংগীতশিক্ষা দিয়েছেন সোহরাব হোসেন। শিক্ষক হিসেবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানেও কাজ করেছেন দীর্ঘকাল। ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন, করেছেন আমৃত্যু শিক্ষকতা। এ ছাড়া বুলবুল ললিতকলা একাডেমি, ছায়ানট, শিল্পকলা একাডেমী ও নজরুল একাডেমীতেও শিক্ষকতা করেছেন তিনি। কাজ করেছেন নজরুলসংগীত প্রমাণীকরণ পরিষদ ও নজরুল ইনস্টিটিউট ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হিসেবে।
এ ছাড়া আধুনিক গানেও পারঙ্গম ছিলেন সোহরাব হোসেন। মাটির পাহাড়, যে নদী মরুপথে, গোধূলির প্রেম, শীত বিকেল ও এদেশ তোমার আমার চলচ্চিত্রে গান করেছেন তিনি।
দেশের এই কৃতী সংগীতজ্ঞ তাঁর সংগীতসাধনার স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা পদক, মেরিল-প্রথম আলো আজীবন সম্মাননা, নজরুল একাডেমী পদক, চ্যানেল আই পদকসহ বিভিন্ন সম্মাননা।
শোক: সংগীতজ্ঞ সোহরাব হোসেনের মৃত্যুতে ব্যক্তিগতভাবে অনেকে এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়েছে। পৃথক শোকবাণীতে দেশের সংগীতচর্চায় তাঁর অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করে বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়েছে। প্রথম আলো
সোহরাব হোসেনের বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন অনেক দিন ধরে। রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নির্বাপিত হলো তাঁর জীবনপ্রদীপ। তিনি স্ত্রী সুরাতুন্নেচ্ছা; তিন মেয়ে রওশন আরা, রাহাত আরা ও রিফাত আরা; দুই ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেন, মারুফ হোসেনসহ নাতি-নাতনি, আত্মীয়স্বজন এবং দেশ-বিদেশে অসংখ্য গুণমুগ্ধ রেখে গেছেন।
গতকাল সোহরাব হোসেনের মরদেহ স্কয়ার হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আজ শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে এক ঘণ্টা তাঁর মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে। এরপর বাদ জুমা মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডে তাঁর বাসার পাশের মসজিদে জানাজা হবে। পরে শিল্পীর অন্তিম শয্যা রচনা করা হবে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে।
সোহরাব হোসেনের নাতনি সামিহা হক প্রথম আলোকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বহুমূত্র তো ছিলই, বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যার সঙ্গে সম্প্রতি যোগ হয়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ। ভোর থেকে তাঁর হূদ্যন্ত্র আস্তে আস্তে কর্মক্ষমতা হারাতে থাকে। সকাল ছয়টা ২৫ মিনিটে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে সোহরাব হোসেনকে গত নভেম্বর মাসে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে ১৩ ডিসেম্বর তাঁকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। দুই দিন পরই আবার তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটলে ১৬ ডিসেম্বর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শিল্পী সোহরাব হোসেনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া শোকবাণী দিয়েছেন। বাণীতে তাঁরা মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
সোহরাব হোসেনের মৃত্যুর সংবাদে রাজধানীর সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে আসে। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সংগীতজ্ঞ ও তাঁর বন্ধু সুধীন দাশ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী, সংগীতজ্ঞ সন্জীদা খাতুন, শাহীন সামাদ, খায়রুল আনাম শাকিল, ডালিয়া নওশীন, সাদিয়া আফরিন মল্লিক, রফিকুল আলমসহ দেশের সংগীত ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা স্কয়ার হাসপাতালে ছুটে যান।
কর্মময় জীবন: সোহরাব হোসেনের জন্ম ১৯২২ সালের ৯ এপ্রিল, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার আয়েশতলা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। বাড়িতে গানবাজনার চর্চা ছিল না। তবে শৈশবেই তিনি সুরের মায়ায় মোহিত হন। যখন বয়স মাত্র নয় বছর, তখন রানাঘাটের এক আসরে তাঁর প্রথম নজরুলসংগীত শোনা। এর পর থেকেই আমৃত্যু তিনি নজরুলের গানের সঙ্গে নিজেকে অবিচ্ছিন্ন রেখেছিলেন নিবিড় বন্ধনে।
প্রথমে জয়নুল আবেদীন নামের এক সংগীতশিক্ষকের কাছে তালিম নেন সোহরাব হোসেন। এরপর পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ার সময় তিনি তালিম নেন সংগীতগুরু কিরণ দে চৌধুরীর কাছে। নজরুলসংগীতের প্রখ্যাত শিল্পী পূরবী দত্তের কাছেও তিনি সংগীতের শিক্ষা নিয়েছেন। পরিবারের তরফ থেকে অবশ্য তাঁর এই সংগীতপ্রীতি ভালোভাবে দেখা হয়নি। তবে তাতে তিনি থেমে যাননি।
রানাঘাটের এক অনুষ্ঠানে শিল্পী আব্বাসউদ্দীন আহ্মদ, ওস্তাদ মোহাম্মদ হোসেন খসরু, পল্লীকবি জসীমউদ্দীন এবং তবলাবাদক বজলুল করিমের সঙ্গে একই মঞ্চে সংগীত পরিবেশন করেন সোহরাব হোসেন। পরে কিরণ দে চৌধুরীর মাধ্যমে কলকাতায় গিয়ে শ্রীরঙ্গম থিয়েটারে গায়ক হিসেবে কাজ শুরু করেন। ১৯৪৬ সাল থেকে তিনি এইচএমভি ও রেডিওতে যুক্ত হন। এ সময় কলকাতায় তখনকার বিখ্যাত শিল্পী আঙ্গুরবালা, ইন্দুবালা, গিরীশ চক্রবর্তী, কৃষ্ণচন্দ্র দের সাহচর্য লাভ করেন। ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ, শিল্পী শচীন দেববর্মণ ও অঞ্জলি মুখার্জির সঙ্গেও ছিল তাঁর ঘনিষ্ঠতা।
ভারত ভাগের পর ১৯৪৭ সালে সোহরাব হোসেন ঢাকায় আসেন। শিল্পী আব্বাসউদ্দীনের সহযোগিতায় সরকারি তথ্য বিভাগে কাজে যোগ দেন। পাশাপাশি বেতারে নিয়মিত অনুষ্ঠান এবং সংগীতশিক্ষক হিসেবে কাজ করতে থাকেন। এ ছাড়া শিল্পী আব্বাসউদ্দীনের সঙ্গে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে গান করেছেন।
ব্যক্তিগতভাবে এখনকার বহু কৃতী শিল্পীকেই সংগীতশিক্ষা দিয়েছেন সোহরাব হোসেন। শিক্ষক হিসেবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানেও কাজ করেছেন দীর্ঘকাল। ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন, করেছেন আমৃত্যু শিক্ষকতা। এ ছাড়া বুলবুল ললিতকলা একাডেমি, ছায়ানট, শিল্পকলা একাডেমী ও নজরুল একাডেমীতেও শিক্ষকতা করেছেন তিনি। কাজ করেছেন নজরুলসংগীত প্রমাণীকরণ পরিষদ ও নজরুল ইনস্টিটিউট ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হিসেবে।
এ ছাড়া আধুনিক গানেও পারঙ্গম ছিলেন সোহরাব হোসেন। মাটির পাহাড়, যে নদী মরুপথে, গোধূলির প্রেম, শীত বিকেল ও এদেশ তোমার আমার চলচ্চিত্রে গান করেছেন তিনি।
দেশের এই কৃতী সংগীতজ্ঞ তাঁর সংগীতসাধনার স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা পদক, মেরিল-প্রথম আলো আজীবন সম্মাননা, নজরুল একাডেমী পদক, চ্যানেল আই পদকসহ বিভিন্ন সম্মাননা।
শোক: সংগীতজ্ঞ সোহরাব হোসেনের মৃত্যুতে ব্যক্তিগতভাবে অনেকে এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়েছে। পৃথক শোকবাণীতে দেশের সংগীতচর্চায় তাঁর অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করে বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়েছে। প্রথম আলো
বাংলা একাডেমী ফেলোশিপ পাচ্ছেন তিন সংগীতশিল্পী
সংগীতে অসামান্য অবদানের জন্য বাংলা একাডেমীর ‘সম্মানসূচক ফেলোশিপ’ সম্মাননা পাচ্ছেন বাংলাদেশের তিন গুণী কণ্ঠশিল্পী। তাঁরা হলেন: সাবিনা ইয়াসমীন, রুনা লায়লা ও রামকানাই দাশ। বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান এই তিন কণ্ঠশিল্পীর ফেলোশিপ পাওয়ার খবরটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘প্রতিবছরই বাংলা একাডেমী গুণীদের সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রদান করছে। বাংলাদেশের সংগীতজগতে অসামান্য অবদানের জন্য এবার কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমীন, রুনা লায়লা ও রামকানাই দাশকে সম্মানিত করা হচ্ছে। গুণী এই তিন শিল্পীকে সম্মানিত করতে পেরে বাংলা একাডেমীও সম্মানিতবোধ করছে।’
ফেলোশিপ পাওয়ার প্রাক্কালে অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে সাবিনা ইয়াসমীন বলেন, ‘দীর্ঘ সংগীতজীবনে অসংখ্য সম্মানায় ভূষিত হয়েছি। তবে এই সম্মাননা নিয়ে আমি বেশ আনন্দিত। সামনের দিনগুলোতে আরও ভালো কাজ করার উৎসাহ জোগাবে এই সম্মাননা।’
বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গণে আজ শুক্রবার দিনব্যাপী আয়োজন করা হয়েছে একাডেমীর বার্ষিক কর্মসভার। বেলা তিনটার দিকে সাবিনা ইয়াসমীন, রুনা লায়লা ও রামকানাই দাশের হাতে ‘সম্মানসূচক ফেলোশিপ’ তুলে দেবেন একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খানসহ অন্য অতিথিরা। - প্রথম আলো
ফেলোশিপ পাওয়ার প্রাক্কালে অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে সাবিনা ইয়াসমীন বলেন, ‘দীর্ঘ সংগীতজীবনে অসংখ্য সম্মানায় ভূষিত হয়েছি। তবে এই সম্মাননা নিয়ে আমি বেশ আনন্দিত। সামনের দিনগুলোতে আরও ভালো কাজ করার উৎসাহ জোগাবে এই সম্মাননা।’
বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গণে আজ শুক্রবার দিনব্যাপী আয়োজন করা হয়েছে একাডেমীর বার্ষিক কর্মসভার। বেলা তিনটার দিকে সাবিনা ইয়াসমীন, রুনা লায়লা ও রামকানাই দাশের হাতে ‘সম্মানসূচক ফেলোশিপ’ তুলে দেবেন একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খানসহ অন্য অতিথিরা। - প্রথম আলো
নতুন বছরে হাসানের নতুন গান
সাত বছর পর নতুন একক অ্যালবাম বের করতে যাচ্ছেন হাসান। আগামী ৩১ ডিসেম্বর ইংরেজি নতুন বছরের প্রাক্কালে অ্যালবামটির অপ্রকাশিত গান গেয়ে শোনাবেন তিনি। কক্সবাজারে সমুদ্র সৈকতঘেঁষা হোটেল ওশান প্যারাডাইসের ছাদে এই কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে। নতুন অ্যালবাম প্রসঙ্গে হাসান বললেন, 'নিজেকে গোছাতে একটু সময় লেগেছে। দর্শক-শ্রোতার মাঝে আবার ফিরে আসতে চাই। সে লক্ষ্যে কাজ করছি। এরই মধ্যে অ্যালবামের জন্য বেশ কিছু গান নির্বাচন করেছি। তবে অ্যালবামটির নাম এখনও চূড়ান্ত করিনি। আগামী বছরের মাঝামাঝি এটি প্রকাশ হবে। তার আগে নতুন অ্যালবামের গান দিয়েই নতুন ইংরেজি বছরটা শুরু করতে চাই। কনসার্টে আমার সঙ্গে কিছু গানে ফিউশন করবেন ডিজে রিটা। রাত ১২টার দিকে আতশবাজিও ফোটানো হবে আমার কনসার্টে।'
ক্রিয়েটিভ কমিউনিকেশনের আয়োজনে 'গ্যালাক্সি গ্যাদারিং' শীর্ষক এই কনসার্টে হাসানের পাশাপাশি থাকছে ডিজে রিতার পরিবেশনা। তাকে সঙ্গ দেবেন হারমোনিয়াম ও বাঁশিতে শিশির রহমান, তবলায় প্রবীর, ডিজে মাহের, ডিজে পূজা ও থাইল্যান্ডের ডিজে শাজ। এ ছাড়া রয়েছে আনিলা হৃদির পরিকল্পনায় ফ্যাশন শো। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করবেন হোমায়রা হিমু ও শাহাদাত। শুরু হবে ৩১ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ১২টায়। - সমকাল
ক্রিয়েটিভ কমিউনিকেশনের আয়োজনে 'গ্যালাক্সি গ্যাদারিং' শীর্ষক এই কনসার্টে হাসানের পাশাপাশি থাকছে ডিজে রিতার পরিবেশনা। তাকে সঙ্গ দেবেন হারমোনিয়াম ও বাঁশিতে শিশির রহমান, তবলায় প্রবীর, ডিজে মাহের, ডিজে পূজা ও থাইল্যান্ডের ডিজে শাজ। এ ছাড়া রয়েছে আনিলা হৃদির পরিকল্পনায় ফ্যাশন শো। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করবেন হোমায়রা হিমু ও শাহাদাত। শুরু হবে ৩১ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ১২টায়। - সমকাল
তিন অ্যালবাম নিয়ে সামিনা
একসঙ্গে তিনটি একক অ্যালবামের কাজ শুরু করেছেন সামিনা চৌধুরী। এর মধ্যে একটি রবীন্দ্রসংগীতের, অন্য দুটি আধুনিক গান নিয়ে। তিনি জানান, আধুনিক গানের দুটি অ্যালবামের মধ্যে একটির কাজ প্রায় শেষ। এতে গান থাকছে আটটি। নাম 'পুষ্পবৃষ্টি'। অ্যালবামটির সংগীত পরিচালনায় রয়েছেন বাপ্পা মজুমদার ও ইবরার টিপু। গানগুলোর গীতিকার আবদুল বারী। এসব গান একটু পুরনো ধাঁচের।
সামিনা বলেন, 'আধুনিক গানের দ্বিতীয় অ্যালবামটির গান বাছাইয়ের কাজও শেষ। এতে আমার ভাই পঞ্চম ছাড়াও আরো দু-একজন সংগীত পরিচালকের কাজ করার কথা রয়েছে।' কবে নাগাদ অ্যালবামগুলো প্রকাশ পাবে_এ প্রশ্নের জবাবে সামিনা বলেন, 'গানগুলোর রেকর্ডিংয়ের কাজ শেষ হলেই অ্যালবামগুলো প্রকাশ করব। তিনটি অ্যালবাম আলাদা বের করার সম্ভাবনাই বেশি। তবে আগামী বছরই তা প্রকাশ করতে পারব আশা করি।'
উল্লেখ্য, বর্তমানে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত হচ্ছে সামিনা চৌধুরী অভিনীত একটি বিজ্ঞাপনচিত্র। এটি তাঁর প্রথম কোনো টিভি বিজ্ঞাপনচিত্র। অ্যালবাম তৈরিতে সময় দেওয়ার পাশাপাশি সামিনা বিভিন্ন স্টেজ শো, টিভি অনুষ্ঠান ও চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দেওয়া নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। - কালের কণ্ঠ
সামিনা বলেন, 'আধুনিক গানের দ্বিতীয় অ্যালবামটির গান বাছাইয়ের কাজও শেষ। এতে আমার ভাই পঞ্চম ছাড়াও আরো দু-একজন সংগীত পরিচালকের কাজ করার কথা রয়েছে।' কবে নাগাদ অ্যালবামগুলো প্রকাশ পাবে_এ প্রশ্নের জবাবে সামিনা বলেন, 'গানগুলোর রেকর্ডিংয়ের কাজ শেষ হলেই অ্যালবামগুলো প্রকাশ করব। তিনটি অ্যালবাম আলাদা বের করার সম্ভাবনাই বেশি। তবে আগামী বছরই তা প্রকাশ করতে পারব আশা করি।'
উল্লেখ্য, বর্তমানে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত হচ্ছে সামিনা চৌধুরী অভিনীত একটি বিজ্ঞাপনচিত্র। এটি তাঁর প্রথম কোনো টিভি বিজ্ঞাপনচিত্র। অ্যালবাম তৈরিতে সময় দেওয়ার পাশাপাশি সামিনা বিভিন্ন স্টেজ শো, টিভি অনুষ্ঠান ও চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দেওয়া নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। - কালের কণ্ঠ
গানের স্টুডিও দিলেন রিংকু
গানের স্টুডিও দিলেন ‘ক্লোজআপ ওয়ান তারকা মশিউর রহমান রিংকু। নাম ‘স্টুডিও সম্পর্ক’। দেশীয় সংগীতের উৎকর্ষ সাধন, আধুনিক শব্দ সংমিশ্রণ এবং প্রদর্শনের ব্রত নিয়ে আজ সন্ধ্যা ৭টায় মগবাজারস্থ স্টুডিওটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন রিংকু। স্টুডিও করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সংগীতের বর্তমান বাজারের অবস্থা মন্দা। এই মন্দা থেকে উত্তরণের দায়িত্ব কিন্তু আমাদের তরুণদেরই। দেশীয় লোক সংস্কৃতি এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। এর কারণ পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার অভাব। শুধু প্রযুক্তিনির্ভর না হয়ে সংগীতের
আদি যন্ত্র ব্যবহার এবং গান তৈরির যথাযথ পরিবেশ তৈরির স্বপ্ন নিয়েই স্টুডিওটি দিয়েছি। রিংকু আরও জানান, মাস চারেক আগে আমি এই স্টুডিওটির তৈরির চূড়ান্ত পরিকল্পনা করি। এতে অডিওর পাশাপাশি ভিডিও তৈরির কাজও করা হবে। এদিকে রিংকু সম্প্রতি নিজস্ব ওয়েবসাইটও খুলেছেন। ওয়েবসাইটটির ঠিকানা( www.baulrinku.com)। স্টুডিওটির পাশাপাশি আজ থেকে ওয়েবসাইটটিরও আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হবে। উল্লেখ্য, এ বছরের গোড়ার দিকে প্রকাশিত হয় রিংকুর প্রথম একক অ্যালবাম ‘জগৎ বন্ধু’।
আদি যন্ত্র ব্যবহার এবং গান তৈরির যথাযথ পরিবেশ তৈরির স্বপ্ন নিয়েই স্টুডিওটি দিয়েছি। রিংকু আরও জানান, মাস চারেক আগে আমি এই স্টুডিওটির তৈরির চূড়ান্ত পরিকল্পনা করি। এতে অডিওর পাশাপাশি ভিডিও তৈরির কাজও করা হবে। এদিকে রিংকু সম্প্রতি নিজস্ব ওয়েবসাইটও খুলেছেন। ওয়েবসাইটটির ঠিকানা( www.baulrinku.com)। স্টুডিওটির পাশাপাশি আজ থেকে ওয়েবসাইটটিরও আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হবে। উল্লেখ্য, এ বছরের গোড়ার দিকে প্রকাশিত হয় রিংকুর প্রথম একক অ্যালবাম ‘জগৎ বন্ধু’।
অনন্তের চলচ্চিত্রে শান, কৈলাশ, জুবিন
বাংলাদেশে প্রথম থ্রিডি অ্যানিমেশন প্রযুক্তিতে চলচ্চিত্রের গান নির্মাণ হচ্ছে। এম এ জলিল অনন্তের নির্মাণাধীন 'নিঃস্বার্থ ভালোবাসা'য় থাকছে এই গান। চলচ্চিত্রে তিনটি থ্রিডি গানে কণ্ঠ দিলেন বলিউডের শিল্পী শান, কৈলাশ খের ও জুবিন। এগুলোর মধ্যে শানের কণ্ঠে গাওয়া, 'শোনরে হৃদয়হীনা তোকে আর ভাবিনা, উড়ে যায় বুক ছেড়ে' ও কৈলাশ খেরের গাওয়া 'সাজনা ভালোবেসে ভোলা যায় না' গান দুটির কথা লিখেছেন অনন্ত। অন্যদিকে জুবিনের কণ্ঠের 'শোনো শোনো জনগণ' গানটির গীতিকার হচ্ছেন জাহেদ আকবর। এর মধ্যে শানের গাওয়া গানটি হবে রকস্টাইলের। 'নিঃস্বার্থ ভালোবাসা' চলচ্চিত্রের প্রযোজক-অভিনেত্রী বর্ষা বলেন, অনন্তের চলচ্চিত্র মানে আন্তর্জাতিক মানের নির্মাণ। আমাদের লক্ষ্য সময়ের চাহিদাকে মাথায় রেখে চলচ্চিত্র নির্মাণ করা। তাই গল্প, দৃশ্যায়ন, গান, অ্যাকশনসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে আনুষ্ঠানিকতা ও বৈচিত্র্যের দিকে মনোযোগ দেই। ফলে সহজেই দর্শকসাড়া পাই। বর্ষা আরও জানান, হাইস্পিড শর্টের অন্য একটি গানও এই চলচ্চিত্রের জন্য ধারণ করা হলো। এ দেশের চলচ্চিত্রে এ পদ্ধতিও প্রথম। এ গানের কথা হলো_ 'এই হৃদয় করে তোর সাধনা, এই মনে শুধু তোরই ভাবনা'। অনন্তের লেখা এই গানে কণ্ঠ দিয়েছেন কিশোর। বর্তমানে ভারতের চেন্নাইয়ে গানগুলোর গ্রাফিঙ্ ডিজাইনের এবং জার্মানিতে অ্যাকশন দৃশ্যের গ্রাফিঙ্রে কাজ চলছে। শীঘ্রই চলচ্চিত্রটি মুক্তি দেওয়া হবে। এই চলচ্চিত্রের প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন অনন্ত ও বর্ষা। - বাংলাদেশ প্রতিদিন
লালনের ১০০ গান নিয়ে রিংকু
ক্লোজআপ তারকা রিংকু আধ্যাত্মিক সঙ্গীত সাধক লালন শাহের ১০০ গান নিয়ে আবার শ্রোতাদের সামনে হাজির হচ্ছেন। আগামী বছর অ্যালবামটি প্রকাশিত হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। তার এ অ্যালবামে লালনের প্রচলিত এবং অপ্রচলিত দুই ধরনের গান স্থান পাবে। ইতোমধ্যেই রিংকু বেশকিছু গানের রেকর্ডিং সম্পন্ন করে ফেলেছেন। ১০টি সিডির সমন্বয়ে গানগুলো অ্যালবাম আকারে প্রকাশিত হবে। গত তিন বছর ধরে রিংকু অত্যন্ত যত্নসহকারে গানগুলোর রেকর্ডিং করে চলছেন। এ অ্যালবামে স্থান পাওয়া গানগুলোর মধ্যে রয়েছে, 'লোকে বলে, লালন কি জাত সংসারে', 'আমি অপার হয়ে বসে আছি', 'বাড়ির পাশে আরশি নগর' প্রভৃতি। লালনের গান নিয়ে অ্যালবাম প্রকাশ প্রসঙ্গে যাযাদি বিনোদনকে রিংকু বলেন, 'লালনের প্রতিটি গানের মাঝে আমি প্রাণ খুঁজে পাই। সাধারণ মানুষের কাছে লালনের সব ধরনের গান পেঁৗছে দেয়ার জন্য আমার এ প্রচেষ্টা। লালনের এ গানগুলোতে আধুনিক যন্ত্রের সুরের সমন্বয় ঘটাতে চেষ্টা করেছি। আশা করছি, শ্রোতাদের কাছে গানগুলো ভালো লাগবে।' এদিকে রিংকু আগামী ২৪ ডিসেম্বর একটি অত্যাধুনিক স্টুডিও উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন। এ স্টুডিওতে অডিও-ভিডিও গানসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান নির্মাণ করা হবে। উল্লেখ্য, রিংকুর সর্বশেষ একক অ্যালবাম 'জগৎবন্ধু' চলতি বছরের এপ্রিল মাসে প্রকাশিত হয়েছিল। এ অ্যালবামটি সিলেটের আঞ্চলিক গান দিয়ে সাজানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে রিংকু বলেন, 'এ অ্যালবামের গানগুলো সিলেটের মানুষের কাছে বেশ সাড়া তুলেছে। অ্যালবামের সফলতায় আমি মুগ্ধ।' - যায় যায় দিন
মাহমুদুন্নবী স্মরণে তার চার সন্তান
'গানে গানে সকাল শুরু'তে বৃহস্পতিবার ২০ ডিসেম্বর সংগীত পরিবেশন করবেন প্রয়াত সংগীতজ্ঞ মাহমুদুন্নবীর চার সন্তান ফাহমিদা নবী, সামিনা চৌধুরী, অন্তরা নবী ও পঞ্চম। অনুষ্ঠানে মাহমুদুন্নবীর বিভিন্ন গান পরিবেশন করবেন তারা। সঙ্গে থাকবে স্মৃতি কথা। অনুষ্ঠানটির প্রযোজক আমীরুল ইসলাম। 'গানে গানে সকাল শুরু'র প্যানেল প্রযোজনা করবেন ইফতেখার মুনিম, জামাল রেজা, অনন্যা রুমা। অনুষ্ঠানটি দর্শকরা সরাসরি দেখতে পাবেন চ্যানেল আইয়ের পর্দায় সকাল ৭টার সংবাদের পর থেকে ৯টার সংবাদের পূর্ব পর্যন্ত।
আজ থেকে হেমাঙ্গ বিশ্বাসের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন
উপমহাদেশের গণসংস্কৃতি আন্দোলনের অন্যতম প্রবাদপ্রতিম শিল্পীসংগ্রামী হেমাঙ্গ বিশ্বাসের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করতে যাচ্ছে হেমাঙ্গ বিশ্বাস জন্মশতবর্ষ উদযাপন পর্ষদ ২০১২। আজ থেকেই শুরু হতে যাচ্ছে তার জন্মশতবার্ষিকীর এই অনুষ্ঠান। আজ বিকাল ৩ টায় এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। আগামীকাল ২২শে ডিসেম্বর সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরসি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা সভা। এখানে মূল আলোচনায় থাকবেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। এছাড়া হেমাঙ্গ বিশ্বাস জন্মশতবর্ষ উদযাপন পর্ষদ ২০১২ এর আহ্বায়ক কামাল লোহানীর সভাপতিত্বে আলোচনা করবেন অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ও মহসিন শস্ত্রপাণি। এদিন বিকাল ৩টায় রবীন্দ্র সরোবর মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে হেমাঙ্গ বিশ্বাসের গান। একই স্থানে ২৩শে ডিসেম্বর বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে হেমাঙ্গ বিশ্বাসের গান। ২৪শে ডিসেম্বর মিরাশি গ্রাম ও চুনারুঘাটে আলোচনা, সংগীত ও লাঠিখেলা অনুষ্ঠিত হবে।
হাছন রাজার ১৫৮তম জন্মবার্ষিকী আজ
মরমী কবি দেওয়ান হাছন রাজা চৌধুরী (১৮৫৪-১৯২২)। বাংলাদেশ তথা বিশ্বের লোক সাহিত্যের অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র। তার ১৫৮তম জন্মবার্ষিকী পালিত হচ্ছে আজ। এ ঐতিহাসিক দিনকে স্মরণ করে এবং মরমী কবিকে সার্বিকভাবে সম্মান জানানোর জন্য বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন বিস্তারিত কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। হাছন রাজা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সিলেটের জিন্দাবাজারস্থ হাছন রাজার স্মৃতিসমৃদ্ধ মিউজিয়াম অব রাজাসে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। হাছন রাজা ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও হাছন রাজার প্রপৌত্র দেওয়ান মোহাম্মদ তাছাওয়ার রাজা জানান, নতুন প্রজন্মকে লোক সাহিত্যের বিষয়ে আগ্রহী করার জন্য সকালে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বিকালে গুণীজন সংবর্ধনা ও আলোচনা এবং সন্ধ্যায় মরমী গানের মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে সিলেট অঞ্চলের প্রতিথযশা শিল্পীবৃন্দ অংশগ্রহণ করবেন। তিনি আরও জানান, ঢাকায় আর্থ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে আগামী জানুয়ারি ২০১৩তে আরও বৃহৎ পরিসরে দ্বিতীয় বারের মতো হাছন রাজা উৎসব আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। - মানবজমিন ২১ ডিসেম্বর ২০১২
৩ বছর পর ‘শহরজুড়ে শশীর গান’
টানা তিন বছর পর ফের নতুন গানের চমক নিয়ে আসছেন ক্লোজআপ তারকা শেখ নিলীমা শশী। অ্যালবামের নাম রেখেছেন ‘শহরজুড়ে শমীর গান’। তবে কি গান নিয়ে গ্রামে পৌঁছুতে চাইছেন না তিনি? নাকি নাগরিক শ্রোতাদের নিয়েই তুষ্ট থাকতে চাইছেন এই কণ্ঠ সম্ভাবনাময়ী। এমন জিজ্ঞাসায় শশীর ভাষ্য এমন- হ্যাঁ, এটা ঠিক। এবার আমার গানগুলো অনেকটাই নগর কেন্দ্রিক। নাগরিক ছাঁচে গড়া। তবে শহর বলতে তো আর এ ঢাকা শহরকেই বোঝায় না। আমিতো ভাবছি দেশের প্রতিটি শহর হয়ে বিদেশী শহরেও আমার গান ছুঁয়ে যাবে শ্রোতা হৃদয়ে। শশীর এমন ভাবনার ফসল সম্ভবত এরই মধ্যে খানিকটা ফলেছে। শেষ ছ’মাস ধরে কিশোরকে সঙ্গে নিয়ে তার ‘ভালবেসে তোমায়’ শীর্ষক গানটির মিউজিক ভিডিও দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বিশেষ করে শহুরে শ্রোতারা গানটির প্রশংসায় পঞ্চমুখ এখন। রোমান্টিক ঘরানার এ গানটির সুর-সংগীত করেছেন কিশোর আর কক্সবাজারের প্রাকৃতিক নৈসর্গে গানটির ভিডিও নির্মাণ করেছেন আরাফাত সেতু, যা এখন দেশের প্রায় সব ক’টি টিভি চ্যানেলে সমপ্রচার হচ্ছে নিয়মিত। ‘ভালবেসে তোমায়’সহ ‘শহরজুড়ে শশীর গান’ অ্যালবামে মোট ১২টি গান থাকছে। গানগুলো প্রসঙ্গে শশী বলেন, অ্যালবামে সব ধরনের গান রেখেছি। যেমন: পপ, সফট মেলোডি, রক, নিউ এজ রকসহ সব ধরনের গানই থাকছে। শশী জানান, আসছে ভালবাসা দিবসে অ্যালবামটি প্রকাশ করবেন ঢাকঢোল পিটিয়ে। এটি শশীর দ্বিতীয় একক অ্যালবাম। এর আগে ২০০৯ সালে ‘যেও না’ শিরোনামে প্রথম একক অ্যালবামটি প্রকাশিত হয়। ‘শহরজুড়ে শশীর গান’ অ্যালবামের গানের কথা লিখেছেন জাহিদ আকবর, রবিউল ইসলাম জীবন, সুহূদ সুফিয়ান, আরাফাত সেতু প্রমুখ। আর সংগীত পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন সুমন কল্যাণ, কিশোর, সজীব দাস, এহসান রাহী, পারভেজ জুয়েলসহ আরও অনেকে। - মানবজমিন
রবি চৌধুরীর গানে মডেল মৌসুমী
ইতিমধ্যে নিজের নতুন একক অ্যালবামের কাজ গুছিয়ে এনেছেন জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী রবি চৌধুরী। নিজের সুর-সংগীতায়োজনে দ্বিতীয়বারের মতো একক অ্যালবামের কাজ করছেন তিনি। রোমান্টিক, স্যাডসহ প্রায় সব ধরনের গান দিয়েই তিনি নিজের এ অ্যালবামটি সাজাচ্ছেন। এ অ্যালবামের নাম ঠিক হয়েছে ‘আমার আকাশ তুমি’। নতুন বছরের কোন একটি ভাল সময়ে এ অ্যালবামটি প্রকাশ করবেন বলে জানিয়েছেন রবি চৌধুরী। তবে নতুন খবর হলো, সমপ্রতি রবি চৌধুরী এই অ্যালবামের টাইটেল গানটির মিউজিক ভিডিওর কাজ সম্পন্ন করেছেন। ‘রিমঝিম রিমঝিম বৃষ্টি পড়ে, মন রয়না একলা ঘরে’ শিরোনামের এ গানটিতে মডেল হয়েছেন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মৌসুমী। এই মিউজিক ভিডিওটি পরিচালনা করেছেন মৌসুমীর বড় ছেলে ফারদিন। এর মাধ্যমে মৌসুমী প্রথমবারের মতো মডেল হলেন রবি চৌধুরীর গানে। অন্যদিকে ছেলের নির্দেশনায় এই প্রথমবারের মতো কোন কাজ করলেন তিনি। এ গানটির সম্পূর্ণ শুটিং হয়েছে কাতারের বিভিন্ন মনোরম লোকেশনে। বর্তমানে সম্পাদনা চলছে এই মিউজিক ভিডিওটির। ফারদিন অত্যন্ত সুন্দরভাবে রবি ও মৌসুমীকে ক্যামেরাবন্দি করেছেন এই গানে। এদিকে রবি চৌধুরী নিজের এই একক অ্যালবামের কাজ গোছানোর পাশাপাশি বর্তমানে তার সংগীত জীবনের ২৫ বছর পূর্তির একটি জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। খুব শিগগিরই এ অনুষ্ঠানটি হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। - মানবজমিন
ছায়ানটে ‘শুদ্ধ সংগীত উৎসব’
আগামীকাল থেকে ছায়ানট সাংস্কৃতিক ভবনে শুরু হচ্ছে দু’দিনের ‘শুদ্ধসংগীত উৎসব’। এতে অংশ নিতে আসছেন কলকাতার অর্ণব চ্যাটার্জি ও মুম্বইয়ের ওস্তাদ বাহাউদ্দিন ডাগর। উৎসবে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের শিল্পীরাও সংগীত পরিবেশন করবেন। আয়োজকরা জানিয়েছেন, ছায়ানটের শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত কণ্ঠের গানে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত। ২১শে ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৯টায় অধিবেশন শুরু হয়ে চলবে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। এদিন সন্ধ্যার অধিবেশন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শুরু হয়ে চলবে ভোর ৫টা পর্যন্ত। ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আনাম শাকিল বলেন, বাংলা গানের প্রচলিত ধারার পাশাপাশি শাস্ত্রীয় সংগীতের প্রসারে ছায়ানট এ উৎসবের আয়োজন করেছে। যারা দেশের বাইরে থেকে শাস্ত্রীয় সংগীত শিখে এসেছেন তাদের চর্চার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্যও ছায়ানটের এ আয়োজন কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। - মানবজমিন ১৯ ডিসেম্বর ২০১২
চলচ্চিত্রে দলছুট
এবার চলচ্চিত্রে অভিনয় করবে দলছুট। ছবির নাম সত্তা। পরিচালক হাসিবুর রেজা। গতকাল সোমবার বিকেলে দলছুটের প্রধান বাপ্পা মজুমদার জানান, ছবিতে গান গাওয়ার পাশাপাশি অভিনয়ও করবে দলছুট। আর দু-এক দিনের মধ্যে গানটিও চূড়ান্ত করা হবে।
বাপ্পা বললেন, ‘আমি চলচ্চিত্রে গান গাইছি ২০০৫ সাল থেকে। আর চলচ্চিত্রে গানের সুর ও সংগীত পরিচালনা করছি ২০০৭ সাল থেকে। এবারই প্রথম দলছুটকে নিয়ে গান করব। পাশাপাশি চলচ্চিত্রটিতে অভিনয়ও করব। এটা আমাদের জন্য একটা দারুণ খবর। আমি খুবই রোমাঞ্চিত।’
ছবিটির সব কটি গানের সুর ও সংগীত পরিচালনা করছেন বাপ্পা মজুমদার। এরই মধ্যে তিনটি গানের কাজ শেষ হয়েছে। গানগুলোতে কণ্ঠ দিয়েছেন মমতাজ, বাপ্পা ও কনা।
হাসিবুর রেজা বললেন, ‘দলছুট তরুণ প্রজন্মের ব্যান্ড, শুদ্ধ সংগীতের চর্চা করে। আর আমিও ছবিটি নির্মাণ করছি তরুণদের কথা মাথায় রেখে। ছবির গল্পে একটি ব্যান্ডের অংশগ্রহণ প্রয়োজন ছিল। সব দিক বিবেচনা করে এখানে দলছুটকেই আমার কাছে যথার্থ বলে মনে হয়েছে।’
হাসিবুর রেজা জানান, ছবিটির শুটিং শুরু হবে আগামী জানুয়ারি মাসে। - প্রথম আলো
বাপ্পা বললেন, ‘আমি চলচ্চিত্রে গান গাইছি ২০০৫ সাল থেকে। আর চলচ্চিত্রে গানের সুর ও সংগীত পরিচালনা করছি ২০০৭ সাল থেকে। এবারই প্রথম দলছুটকে নিয়ে গান করব। পাশাপাশি চলচ্চিত্রটিতে অভিনয়ও করব। এটা আমাদের জন্য একটা দারুণ খবর। আমি খুবই রোমাঞ্চিত।’
ছবিটির সব কটি গানের সুর ও সংগীত পরিচালনা করছেন বাপ্পা মজুমদার। এরই মধ্যে তিনটি গানের কাজ শেষ হয়েছে। গানগুলোতে কণ্ঠ দিয়েছেন মমতাজ, বাপ্পা ও কনা।
হাসিবুর রেজা বললেন, ‘দলছুট তরুণ প্রজন্মের ব্যান্ড, শুদ্ধ সংগীতের চর্চা করে। আর আমিও ছবিটি নির্মাণ করছি তরুণদের কথা মাথায় রেখে। ছবির গল্পে একটি ব্যান্ডের অংশগ্রহণ প্রয়োজন ছিল। সব দিক বিবেচনা করে এখানে দলছুটকেই আমার কাছে যথার্থ বলে মনে হয়েছে।’
হাসিবুর রেজা জানান, ছবিটির শুটিং শুরু হবে আগামী জানুয়ারি মাসে। - প্রথম আলো
রবীন্দ্র সংগীত গেয়েছেন কনা
কনা আধুনিক গানের শিল্পী। সম্প্রতি নিজের অ্যালবামে আধুনিক গানের পাশাপাশি গেয়েছেন নজরুলসংগীতও। এবার তিনি গেয়েছেন রবীন্দ্রসংগীত। কোনো অ্যালবামে নয়, ‘মনে কি দ্বিধা রেখে গেলে চলে’ গানটি তিনি গেয়েছেন চলচ্চিত্রের জন্য। ছবির নাম লাভ টোয়েন্টি ওয়ান। ছবিটি যৌথভাবে পরিচালনা করছেন রাজীব সরকার ও কমল সরকার। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন কনা। সংগীতায়োজন করেছেন টিটন আহমেদ।
কনা বললেন, ‘আগে কখনো রবীন্দ্রসংগীতে কণ্ঠ দেওয়া হয়নি। ছোটবেলা থেকেই আধুনিক ও নজরুলসংগীতের পাশাপাশি রবীন্দ্রসংগীতও শিখেছি।’ কনা আরও বলেন, ‘চলচ্চিত্রে রবীন্দ্রসংগীতের ব্যবহার তো অনেক আগে থেকেই হচ্ছে। তবে ইদানীং নির্মাতারা গানগুলোর সংগীতায়োজনে নতুনত্ব আনার চেষ্টা করছেন। সব শ্রোতাই যাতে গানটি পছন্দ করেন, আমিও সেভাবেই গাওয়ার চেষ্টা করেছি।’
গত বৃহস্পতিবার বাজারে এসেছে কনার পূর্ণাঙ্গ মিউজিক ভিডিও অ্যালবাম সিম্পলি কনা—দ্য মিউজিক ভিডিও অ্যালবাম।
- প্রথম আলো
কনা বললেন, ‘আগে কখনো রবীন্দ্রসংগীতে কণ্ঠ দেওয়া হয়নি। ছোটবেলা থেকেই আধুনিক ও নজরুলসংগীতের পাশাপাশি রবীন্দ্রসংগীতও শিখেছি।’ কনা আরও বলেন, ‘চলচ্চিত্রে রবীন্দ্রসংগীতের ব্যবহার তো অনেক আগে থেকেই হচ্ছে। তবে ইদানীং নির্মাতারা গানগুলোর সংগীতায়োজনে নতুনত্ব আনার চেষ্টা করছেন। সব শ্রোতাই যাতে গানটি পছন্দ করেন, আমিও সেভাবেই গাওয়ার চেষ্টা করেছি।’
গত বৃহস্পতিবার বাজারে এসেছে কনার পূর্ণাঙ্গ মিউজিক ভিডিও অ্যালবাম সিম্পলি কনা—দ্য মিউজিক ভিডিও অ্যালবাম।
- প্রথম আলো
লালনকে নিয়ে বিউটির গান
ক্লোজআপ ওয়ান তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় লালনের গান গেয়ে আলাদাভাবে প্রশংসিত হয়েছিলেন বিউটি। লালনভক্ত এই গায়িকা এবার গান গাইলেন লালনকে নিয়ে। ‘লালন তোমার চরণধ্বনি কেমনে বলো পাই, জনম জনম ভবের মেলায় কি করি উপায়’-এমন কথায় গানটি লিখেছেন সুর ও সংগীত করেছেন সৈকত। জি সিরিজ থেকে প্রকাশিত অ্যালবাম ‘ঢেউয়ের চুম’-এ গানটি রয়েছে। এই অ্যালবামে ‘ঢাকাতিয়া মাঝি’ শিরোনামে আরেকটি গানেও কণ্ঠ দিয়েছেন বিউটি। উলে¬øখ্য, এই গান দুটির মাধ্যমে অনেকদিন পর বিউটির গাওয়া গান প্রকাশ পেলো। বিউটি বলেন, ‘লালন সাঁইজিকে নিয়ে লেখা গানে কণ্ঠ দিতে পেরে বেশ ভালো লাগছে। গানটি শ্রোতাদেরও পছন্দ হবে।’ বিভিন্ন টিভি অনুষ্ঠান এবং স্টেজ শো নিয়েও ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ‘লালন কন্যা’ খ্যাত এই মেয়ে। উল্লে¬খ্য, গান গাওয়ার পাশাপাশি বিউটি ইউডা ইউনিভার্সিটিতে সংগীতের ওপর অনার্স পড়ছেন। গত বছর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন তিনি।
মিশ্র ও একক নিয়ে রুবেল
ইতিমধ্যে নতুন শিল্পী বাছাই করে নিজের সুর-সংগীতায়োজনে একটি মিশ্র অ্যালবাম করার ঘোষণা দিয়েছেন জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী এসডি রুবেল। তার এই নতুন শিল্পী বাছাই প্রক্রিয়া শুরু হয় চলতি বছরের আগস্ট মাস থেকে। রুবেলের এ ঘোষণার পর তার কাছে অসংখ্য নতুন শিল্পীর গান সম্বলিত সিডি জমা পড়ে। এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার আগ্রহী শিল্পী সিডি জমা দিয়েছেন। ইতিমধ্যে বাছাই প্রক্রিয়াও শুরু করেছেন এস ডি রুবেল। অসংখ্য প্রতিযোগীর পাঠানো এই কণ্ঠগুলো বেশ ভালভাবে নিয়মিত শুনছেন। বাছাইয়ের মাধ্যমে হাজার থেকে শতে নামিয়ে এনেছেন সংখ্যা। এর মধ্যে থেকে ১০-১২ জন শিল্পী বাছাই করা হবে, যাদের নিয়ে একটি মিশ্র অ্যালবাম করবেন রুবেল। এ বিষয়ে রুবেল বলেন, আমি যা আশা করেছিলাম তার থেকে অনেক বেশি আগ্রহী সিডি জমা দিয়েছেন। এগুলোর প্রত্যেকটি শুনে বাছাই করা বেশ সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। সময় নিলেও সেরাদেরকেই এর মাধ্যমে বের করে নিয়ে আসতে চাই। আশা করছি জানুয়ারি মাস নাগাদ সেরাদের নিয়ে আসতে পারবো সামনে। বাছাইয়ের পাশাপাশি টুকটাক করে এই মিশ্র অ্যালবামের জন্য গান তৈরি করাও শুরু করেছি। এদিকে গেল রোজার ঈদে লেজারভিশনের ব্যানারে প্রকাশিত হয় এস ডি রুবেলের ৩৬তম একক। এবার নিজের ৩৭তম একক অ্যালবামের কাজও শুরু করেছেন তিনি।
নতুন প্রতিযোগীদের নিয়ে করা মিশ্র অ্যালবাম ও নিজের এই নতুন এককটি নতুন বছরেই প্রকাশ করবেন বলে জানিয়েছেন রুবেল। - মানবজমিন
নতুন প্রতিযোগীদের নিয়ে করা মিশ্র অ্যালবাম ও নিজের এই নতুন এককটি নতুন বছরেই প্রকাশ করবেন বলে জানিয়েছেন রুবেল। - মানবজমিন
স্বাধীন বাংলা বেতারের গান নিয়ে রফিকুল আলম
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী রফিকুল আলম ১৯৭১ সালে এককভাবে 'জাগো জাগো', 'সাত কোটি আজ', 'যায় যদি যাক প্রাণ', 'জনপথে প্রান্তরে'সহ আরও কিছু গান তৈরি করেছিলেন। ওই গানগুলো নতুন সঙ্গীতায়োজনে গেয়ে পূর্ণাঙ্গ একটি অ্যালবাম তৈরি করছেন তিনি। এর পৃষ্ঠপোষকতা করছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। রফিকুল আলম জানান, স্বাধীন বাংলা বেতারে নিজের গাওয়া ৬টি গানসহ সম্মিলিত কণ্ঠের গানও নতুনভাবে গাইছেন তিনি। তবে অ্যালবামের ১১টি গানে তার একক কণ্ঠই থাকছে। নাম চূড়ান্ত না হওয়া অ্যালবামটি আগামী বছরের শুরুর দিকে বাজারে আসবে। - সমকাল
কলকাতা ও চট্টগ্রামে অষ্টম সিটিসেল-চ্যানেল আই সঙ্গীত পুরস্কার
আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন রুনা লায়লা
জনি হক
অষ্টম সিটিসেল-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস' অনুষ্ঠানে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হবে রুনা লায়লাকে। আয়োজকদের একটি সূত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এবারের 'সিটিসেল-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস' অনুষ্ঠান হবে দুই বাংলায়। এর মধ্যে কলকাতার গ্র্যান্ড হোটেলে আগামী বছরের ১০ জানুয়ারি রুনার হাতে সম্মাননা তুলে দেবেন ভারতের প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী সন্ধ্যা মুখার্জি। পুরস্কার বিতরণীর মধ্যে আজীবন সম্মাননা পর্বই শুধু কলকাতায় হবে। বাকি সব শাখার পুরস্কার প্রদান করা হবে চট্টগ্রামে।
চ্যানেল আইয়ের পাশাপাশি এই সঙ্গীত পুরস্কার অনুষ্ঠানের অন্যতম আয়োজক মুঠোফোন প্রতিষ্ঠান সিটিসেল। চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর বলেছেন, 'এই সঙ্গীত পুরস্কারের প্রথম পাঁচটি আয়োজন হয়েছে মিলনায়তনে। আর ষষ্ঠ আসর ছিল যমুনার পাড়ে। এবার আমরা দুই বাংলায় অনুষ্ঠানটি আয়োজনের পরিকল্পনা করেছি।'
এবারের আসরে রবীন্দ্রসঙ্গীত, নজরুলসঙ্গীত, লোকগীতি, আধুনিক গান, উচ্চাঙ্গসঙ্গীত [যন্ত্র], উচ্চাঙ্গসঙ্গীত [কণ্ঠ], ছায়াছবির গান, ব্যান্ডসঙ্গীত, আন্ডারগ্রাউন্ড ব্যান্ড, গীতিকার, নবাগত গায়ক/গায়িকা, শব্দ প্রকৌশলী, কাভার ডিজাইন, সঙ্গীত পরিচালক, মিউজিক ভিডিও ও আজীবন সম্মাননাসহ মোট ১৬টি শাখায় পুরস্কার দেওয়া হবে। এর মধ্যে আধুনিক সঙ্গীত, ছায়াছবির গান, নতুন গান এবং ফিউশন_ এই পাঁচটি শাখার বিচারকার্য প্রথমবারের মতো পরিচালনা করবে দেশের ৫টি রেডিও স্টেশন [রেডিও টুডে, রেডিও আমার, এবিসি রেডিও, ঢাকা এফএম ও পিপলস রেডিও। এই শাখাগুলোতে এসএমএস, অনলাইন ভোটিং, রেডিও স্টেশনে গৃহীত ভোটের মাধ্যমে বিজয়ী নির্বাচিত হবে।
'সুস্থ সঙ্গীতের বিকাশ'_ এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে সঙ্গীতের বিভিন্ন শাখায় পুরস্কার প্রদানের পাশাপাশি এবারও আকর্ষণীয় অনুষ্ঠান তৈরির পরিকল্পনা
করেছেন আয়োজকরা। অনুষ্ঠানটির পরিচালনা করবেন শহিদুল আলম সাচ্চু। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ। কলকাতা ও চট্টগ্রামের ধারণকৃত অংশ চ্যানেল আইতে প্রচার হবে। - সমকাল
অষ্টম সিটিসেল-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস' অনুষ্ঠানে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হবে রুনা লায়লাকে। আয়োজকদের একটি সূত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এবারের 'সিটিসেল-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস' অনুষ্ঠান হবে দুই বাংলায়। এর মধ্যে কলকাতার গ্র্যান্ড হোটেলে আগামী বছরের ১০ জানুয়ারি রুনার হাতে সম্মাননা তুলে দেবেন ভারতের প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী সন্ধ্যা মুখার্জি। পুরস্কার বিতরণীর মধ্যে আজীবন সম্মাননা পর্বই শুধু কলকাতায় হবে। বাকি সব শাখার পুরস্কার প্রদান করা হবে চট্টগ্রামে।
চ্যানেল আইয়ের পাশাপাশি এই সঙ্গীত পুরস্কার অনুষ্ঠানের অন্যতম আয়োজক মুঠোফোন প্রতিষ্ঠান সিটিসেল। চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর বলেছেন, 'এই সঙ্গীত পুরস্কারের প্রথম পাঁচটি আয়োজন হয়েছে মিলনায়তনে। আর ষষ্ঠ আসর ছিল যমুনার পাড়ে। এবার আমরা দুই বাংলায় অনুষ্ঠানটি আয়োজনের পরিকল্পনা করেছি।'
এবারের আসরে রবীন্দ্রসঙ্গীত, নজরুলসঙ্গীত, লোকগীতি, আধুনিক গান, উচ্চাঙ্গসঙ্গীত [যন্ত্র], উচ্চাঙ্গসঙ্গীত [কণ্ঠ], ছায়াছবির গান, ব্যান্ডসঙ্গীত, আন্ডারগ্রাউন্ড ব্যান্ড, গীতিকার, নবাগত গায়ক/গায়িকা, শব্দ প্রকৌশলী, কাভার ডিজাইন, সঙ্গীত পরিচালক, মিউজিক ভিডিও ও আজীবন সম্মাননাসহ মোট ১৬টি শাখায় পুরস্কার দেওয়া হবে। এর মধ্যে আধুনিক সঙ্গীত, ছায়াছবির গান, নতুন গান এবং ফিউশন_ এই পাঁচটি শাখার বিচারকার্য প্রথমবারের মতো পরিচালনা করবে দেশের ৫টি রেডিও স্টেশন [রেডিও টুডে, রেডিও আমার, এবিসি রেডিও, ঢাকা এফএম ও পিপলস রেডিও। এই শাখাগুলোতে এসএমএস, অনলাইন ভোটিং, রেডিও স্টেশনে গৃহীত ভোটের মাধ্যমে বিজয়ী নির্বাচিত হবে।
'সুস্থ সঙ্গীতের বিকাশ'_ এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে সঙ্গীতের বিভিন্ন শাখায় পুরস্কার প্রদানের পাশাপাশি এবারও আকর্ষণীয় অনুষ্ঠান তৈরির পরিকল্পনা
করেছেন আয়োজকরা। অনুষ্ঠানটির পরিচালনা করবেন শহিদুল আলম সাচ্চু। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ। কলকাতা ও চট্টগ্রামের ধারণকৃত অংশ চ্যানেল আইতে প্রচার হবে। - সমকাল
ট্রিপল টুয়েলভ ও নাগরিক বাস্তবতা নিয়ে শাফিন আহমেদের ভিন্নধারার গান
১২.১২.১২ শুধু একটা দিন নয়। ট্রিপল বারো ও আমাদের নাগরিক বাস্তবতা নিয়ে ভিন্ন ধারার একটি গান করছেন রক লিজেন্ড মাইলস ভোকাল শাফিন আহমেদ। সম্প্রতি আমেরিকা ট্যুরে সফল কনসার্ট শেষে দেশে ফিরে নিজের অন্যরকম এই অনুভূতির কথা বললেন এই রক তারকা। তার মতে, একটি বিশেষ দিনের গান শুধু একটি দিনকে রিপ্রেজেন্ট করে। তাই এই দিনটিকে উত্স করে আমাদের জাতীয়, অর্থনীতি ও নাগরিক বাস্তবতাকে ঘিরে এক ভিন্ন ধারার গান তৈরির পরিকল্পনা করছেন। বাঙালি যে উত্সবমুখর সেই কথাটিই যেন খানিকটা ভিন্নভাবে ফুটে উঠেছে এই গানে। গানটির কথা ও সুর তৈরির কাজ চলছে। এবং বাঙালির ট্রিপল ১২ উদযাপন নিয়েই এই বিশেষ গান ফিলার হিসেবে সবক'টি চ্যানেলে খুব শিগগিরই প্রচার হবে বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, আমেরিকা সফর শেষে নবজাতক আর পরিবার নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন। এর ভেতর ইমপ্রেস অডিও থেকে রিলিজকৃত অ্যালবামটির ভিডিওসহ নতুন গানের রেকর্ডিংয়েও বেশ ব্যস্ত রয়েছেন তিনি। - ইত্তেফাক
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তিমির নন্দীর অ্যালবাম
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অন্যতম কণ্ঠশিল্পী তিমির নন্দী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে একটি গানের অ্যালবাম প্রকাশ করতে যাচ্ছেন। অ্যালবামের শিরোনাম 'স্বপ্নের সীমানা'। এতে ১০টি গান থাকছে। গানগুলো লিখেছেন ফকির সিরাজী। অ্যালবামটির সুর-সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন তানভীর তারেক। এতে 'বঙ্গবন্ধু তুমি আকাশের তারা', 'চাঁদ হয়ে আছ তুমি বাংলার আকাশে', 'তোমার নামে গেয়ে যায় ভোরের পাখি গান', 'তুমি ভালোবেসেছিলে এই দেশটাকে' প্রভৃতি শিরোনামের গান থাকছে। তিমির নন্দী ছাড়াও এ অ্যালবামে আরো গেয়েছেন ক্লোজআপ তারকা লিজা, পারভীন সুলতানা, পলাশ মাহমুদ এবং নাজমুল হোসেন। এ প্রসঙ্গে তিমির নন্দী যাযাদি বিনোদনকে বলেন, ১১ জানুয়ারি 'স্বপ্নের সীমানা' অ্যালবামটির মোড়ক উন্মোচন করা হবে। এটি প্রকাশ করবে প্রকাশনা সংস্থা অগি্নবীণা। 'স্বপ্নের সীমানা' তিমির নন্দীর নবম অ্যালবাম। তার সর্বশেষ অ্যালবামটির নাম ছিল 'বাঁধন খুলে দিলাম'। এটি ২০০৯ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অ্যালবাম প্রকাশ প্রসঙ্গে তিমির নন্দী বলেন, 'হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে অ্যালবাম প্রকাশ করতে পেরে আমি গর্বিত। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গান গেয়েছি। কিন্তু এবারই প্রথম তাকে নিয়ে অ্যালবাম প্রকাশ করছি। আশা করি, গানগুলো সবার ভালো লাগবে।' উল্লেখ্য, তিমির নন্দী ১৯৭১ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে কণ্ঠশিল্পী হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। তিনি 'বিজয় নিশান উড়ছে ঐ', 'তীর হারা এই ঢেউয়ে সাগর', 'পূর্ব দিগন্তে', 'স্বাধীন স্বাধীন দিকে দিকে' প্রভৃতি জাগরণী গান গেয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্বুদ্ধ করেছেন। এবারের বিজয় দিবসে তিনি ভারত সরকারের আমন্ত্রণে কলকাতাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে গান গাইতে যাবেন। - যায় যায় দিন
অভিনয়ে হাসান
এ দেশের ব্যান্ড সংগীতের অন্যতম জনপ্রিয় শিল্পী হাসান সম্প্রতি একটি টেলিফিল্মে অভিনয় করলেন। এর আগে অনেক ব্যান্ড তারকাই বিভিন্ন নাটক ও টেলিফিল্মে অভিনয় করেছিলেন বিশেষ অতিথি হিসেবে। কিন্তু হাসান কোনো বিশেষ অতিথি নয়, একেবারে টেলিফিল্মের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে হাসান বলেন, 'আসলে এর অভিনয়টাও বলা যায় ভিন্নধর্মী। কেননা, এই প্রোডাকশনটা পুরোটাই আমাকে নির্ভর করে। আমার জীবন দর্শনের উপর ভিত্তি করেই এর গল্প। গল্পে আসলে আমি যে কতটা মাটির গান করি, গানের ভিতরে যে কত গভীরতা আছে তাও অনেকটা তুলে ধরা হয়েছে। আর গান নিয়েইতো আমার জীবন সেই হিসেবে আমার জীবন দর্শনটাই এর মুখ্য বিষয়।' উল্লেখ্য, টেলিফিল্মের নাম, পরিচালক, গল্পকার ও অন্যান্য শিল্পীর কোনো কিছুই কণ্ঠশিল্পী হাসান এই মুহূর্তে জানাতে চান না। তবে খুব শীঘ্রই বড় আকারে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এর বিস্তারিত তুলে ধরবেন বলে ইত্তেফাককে জানান তিনি। তিনি আরও জানান, খুব শীঘ্রই সেই সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হবে। এবং সেখানে নিজের গান, ভবিষ্যত্ পরিকল্পনাসহ একাধিক বিষয় শেয়ার করবেন সাংবাদিকদের সঙ্গে। - ইত্তেফাক
দেশের গানে ইবরার টিপু
সুরকার, সংগীত পরিচালক ও কণ্ঠশিল্পী ইবরার টিপু আবারও একটি দেশের গানে কণ্ঠ দিলেন। তবে এই প্রথম টিপু পূর্ণাঙ্গভাবে কোনো দেশের গানে এককভাবে কণ্ঠ দিলেন। এর আগে তিনি বিভিন্ন শিল্পীদের সাথে দেশের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। 'জন্ম থেকে দেখছি মাগো তোমার প্রিয় মুখ, লাল সবুজের পতাকায় আমার যত সুখ' শিরোনামে গানটির কথা লিখেছেন সাংবাদিক এ মিজান। গানটিতে কণ্ঠ দেওয়ার পাশাপাশি এর সুর ও সংগীত পরিচালনাও করেছেন ইবরার টিপু। গত সপ্তাহে ইবরার টিপু তার নিজস্ব স্টুডিওতে গানটি রেকর্ডিংয়ের কাজ শেষ করেছেন। গানটি বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে এনটিভির জন্য নির্মাণ করেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই গানটির ভিডিওর কাজও শেষ হয়েছে। ভিডিও পরিচালনা করেছেন শুভ্র। গানটি বিজয় দিবসে এনটিভিতে প্রচার হবে। এ সম্পর্কে ইবরার টিপু বলেন, 'প্রত্যেকেই দেশকে অনেক ভালোবাসে। আমিও আমার দেশকে ভালোবাসি। যতদিন বেঁচে থাকব, দেশকে ভালোবেসে ভালোকিছু করে যাওয়ার চেষ্টা করব। গানটি অনেক ভালো হয়েছে।' এদিকে মিজান খুব অল্প সময়েই ভালো গীতিকবিতা লিখে একজন গীতিকার হিসেবে বেশ সমাদৃত হয়েছেন। দেশের গান লেখা প্রসঙ্গে এ মিজান বলেন, ' আসলে দেশের প্রতি প্রতিটি নাগরিকেরই অন্যরকম ভালোলাগা আছে। কেউ তা প্রকাশ করতে পারে। কেউ তা পারেনা। আমি চেষ্টা করেছি আমার ভেতরকার ভালোলাগাটুকু প্রকাশ করতে। আশাকরি শ্রোতাদের গানটি ভালোলাগবে।'
বিজয় দিবসে আফজাল হোসেনের গান ও অন্যান্য
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রতিবছরই জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে আয়োজন করা হয় বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ। এ বছরও ব্যতিক্রম হচ্ছে না। তবে বদলে যাচ্ছে উপস্থাপনা। আর পুরো আয়োজনে থাকছে আফজাল হোসেনের সক্রিয় ভূমিকা। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত বিজয় প্রত্যেক বাঙালির বিজয়। তাই মানুষের সঙ্গে আরো সম্পৃক্ততা বাড়ানোর লক্ষ্যে এ বছর থেকে একটি থিম নিয়ে উদ্যাপন করা হবে বিজয় দিবস। এ বছরের থিম 'বিজয় থেকে বিজয়ে'। আফজাল হোসেন বলেন, "১৯৭১ সালে বিজয় পেয়েছি বলেই আমরা স্বাধীন। এ বিজয়ের কারণেই আমরা প্রতিনিয়ত কোনো না কোনো বিজয় অর্জন করছি। তাই এবারের থিম রাখা হয়েছে 'বিজয় থেকে বিজয়ে'।" এবারের থিম নির্ধারণসহ বিজয় দিবসের গানটিও লিখেছেন আফজাল হোসেন। সুর করেছেন তানভীর আলম সজীব। গানটি গেয়েছেন সামিনা চৌধুরী, কণা, তানভীর আলম সজীব ও তাঁর দল। এরই মধ্যে গানটির প্রচার শুরু হয়েছে। সম্প্রতি গানটির একটি মিউজিক ভিডিও তৈরি করেছেন আফজাল হোসেন। গানটিতে মডেল হয়েছেন নোবেল ও মৌ। আফজাল হোসেন বলেন, 'দর্শকরা সাধারণত টেলিভিশনে গান শুনতে গিয়ে সঙ্গে একটি গ্ল্যামারস মিউজিক ভিডিও দেখে অভ্যস্ত। তাই দেশের গান হলেও মিউজিক ভিডিওতে গ্ল্যামারটা সংযোগ করা হয়েছে দর্শকের আলাদা মনোযোগ আকর্ষণের লক্ষ্যে।' আফজাল হোসেন জানান, এবারের বিজয় দিবস সামনে রেখে একটি লোগো তৈরি করা হয়েছে। লোগো নির্বাচনসহ যাবতীয় আয়োজন তত্ত্বাবধান করছে নবম ঢাকা পদাতিক ডিভিশন, সেনাবাহিনী ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি রাষ্ট্রপতিকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ লোগো পরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে তিন বাহিনী প্রধানসহ অনেকেই এ লোগো পরিধান করছেন। আশা করা হচ্ছে, ১৩ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানন্ত্রীকেও এই লোগো পরিয়ে দেওয়া হবে।
- কালের কণ্ঠ
- কালের কণ্ঠ
মানিকের সুরে দেশের গানে একাধিক শিল্পী
আমাদের আছে বিশ্বাস, আছে প্রেরণা, দুয়ের মিলনে আর বাধা কোন রবেনা.. একটি বিশেষ অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান ও চ্যানেলে ফিলার এর জন্য সমবেত কণ্ঠে দেশের গান গাইলেন চার কণ্ঠশিল্পী। সানাউল হকের কথা ও আমিরুল মোমেনিন মানিক এর সুরে এই সমবেত সঙ্গীতে কণ্ঠ দিলেন আগুন, আসিফ, পুলক ও লিজা। ধানমন্ডির সেলিব্রিটি সাউন্ডল্যাবে এই সমবেত দেশের গানটি রেকর্ড করা হয়। বিশেষ এই গান প্রসঙ্গে সুরকার মানিক বলেন,'গানটি সমবেত কণ্ঠে একটি দেশের গান। মুলত জাপানে বাঙালী কমিউনিটির একটি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে এদেশের প্রতি মানুষের দেশপ্রেম বোঝাতেই এই গানটি তৈরী করা। সবমিলিয়ে গানটি এক অনন্য দেশ মাতৃকার গান হয়েছে। দশদিক নামের একটি জাপান ভিত্তিক সংগঠনের উদ্যোগেই এই গানটি ধারন করা হচ্ছে। একই সাথে গানটি এই বিজয়ের মাসে বিভিন্ন চ্যানেলেও ফিলার হিসেবে প্রচার হবে।'
উল্লেখ্য, এই গানের মাধ্যমে দীর্ঘদিন পর কণ্ঠশিল্পী আসিফ কোন দেশের গানে কণ্ঠ দিলেন। এ প্রসঙ্গে আসিফ আকবর বলেন,'অনেকদিন পর দেশের গান গাইলাম। ভাল লাগলো। গানের কথা, সুর সঙ্গীত মিলিয়ে ভাল লেগেছে বলেই গাইতে এলাম। প্রফেশনালী যেহেতু গান গাইছিনা। এখন থেকে বেছে বেছে ভাল কিছু গান শ্রোতাদের উপহার দিতে চাই। - ইত্তেফাক
উল্লেখ্য, এই গানের মাধ্যমে দীর্ঘদিন পর কণ্ঠশিল্পী আসিফ কোন দেশের গানে কণ্ঠ দিলেন। এ প্রসঙ্গে আসিফ আকবর বলেন,'অনেকদিন পর দেশের গান গাইলাম। ভাল লাগলো। গানের কথা, সুর সঙ্গীত মিলিয়ে ভাল লেগেছে বলেই গাইতে এলাম। প্রফেশনালী যেহেতু গান গাইছিনা। এখন থেকে বেছে বেছে ভাল কিছু গান শ্রোতাদের উপহার দিতে চাই। - ইত্তেফাক
শ্রোতাদের কানে লুত্ফরের 'ঘুড়ি ২'
'তুমি আমার ঘুড়ি, আমার হাতে নাটাই, যেখানেই উড়ে বেড়াও, আমার আকাশ পুরোটাই'। সোমেশ্বর ওলির লেখা ও সজীব দাসের কম্পোজিশনে লুত্ফর হাসানের গাওয়া তার জনপ্রিয় গান 'ঘুড়ি ২'-এর সিক্যুয়েল অবশেষে শ্রোতাদের কানে পৌঁছল এফ এম স্টেশনের কল্যাণে। গানটির সুর করেছেন যথারীতি শিল্পী নিজেই। গেল বছর ডেডলাইনের ব্যানারে 'ঘুড়ি তুমি কার আকাশে ওড়ো' অ্যালবামটি দিয়ে লুত্ফর শ্রোতাদের ভালোবাসার আকাশ ছুঁয়েছিলেন। সেই আকাশের পরিধি আরও বাড়াতেই এবারের সিক্যুয়েল গানটিও সেইভাবেই তৈরি করেছেন। কথার গাঁথুনি, সুর ও সংগীত মিলিয়ে এই অ্যালবামটি নিয়ে তাই শিল্পী বেজায় আশাবাদী। এরই মধ্যে রেডিও আমারে শ্রোতা অনুরোধ তালিকায় অন্যরকম চাহিদা তৈরি করেছে। লুত্ফর হাসান তার এই ঘুড়ির সিকুয়্যেল প্রসঙ্গে বলেন, 'আমি প্রথমত খুবই চিন্তায় ছিলাম এই দ্বিতীয় অ্যালবাম নিয়ে। কারণটা হলো শ্রোতাদের প্রত্যাশা এত বেশি যে কীভাবে এটাকে সামাল দেব সেই টেনশন কাজ করেছিল। তবে এই অ্যালবামটি পুরোটাই একটা অনবদ্য গীতিকবিতার অ্যালবাম হবে। আমাকে যে ধারার গানে শ্রোতারা গ্রহণ করেছে, তা থেকে নিরাশ হবে না।'
খুব শিগগিরই লুত্ফর হাসানের এই দ্বিতীয় অ্যালবামটি বাজারে আসবে।
খুব শিগগিরই লুত্ফর হাসানের এই দ্বিতীয় অ্যালবামটি বাজারে আসবে।
অ্যালবাম প্রকাশে বিমুখ শুভ্রদেব
জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী শুভ্রদেব আগামী দু'এক বছরে নতুন কোনো একক অ্যালবাম প্রকাশ করবেন না। পাইরেসি এবং অডিও বাজারের অস্থিরতার কারণে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ প্রসেঙ্গ শুভ্রদেব জানান, অডিও বাজারের আগের সেই জৌলুস আর নেই। পাইরেসি, মেধাস্বত্ব আইন আর একাধিক সংগঠনের লড়াইয়ে অডিও ইন্ডাস্ট্রি মৃতপ্রায়। তাই আপতত তিনি নতুন অ্যালবাম থেকে বিরত থাকছেন। তিনি আরো জানান, নতুন একক অ্যালবাম প্রকাশ না করলেও তার গাওয়া জনপ্রিয় গানগুলো নিয়ে একটি অ্যালবাম প্রকশের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ইতোমধ্যেই তিনি গানগুলোর রেকর্ডিং শুরু করে দিয়েছেন। আগামী বছরের শুরুর দিকে অ্যালবামটি প্রকাশিত হবে। এ অ্যালবামের গানগুলোর মধ্যে থাকছে, 'ত্রিশ লক্ষ প্রাণের দামে', 'এত গোপনে ভালোবাসি', 'ভাবতে পারি না', 'মিনতি প্রিয়তম', 'তোমার মতো কেউ ভালোবাসে না', 'হ্যামিলনের সেই বাঁশিওয়ালা', 'যে বাঁশি ভেঙে গেছে' এবং 'কৃষ্ণচূড়া'। এ গানগুলো পূর্বে তার বিভিন্ন অ্যালবামে প্রকাশিত হয়েছে। এ বিষয়ে শুভ্র দেব আরো জানান, অনেকেই তার পুরনো গানগুলো শুনতে চান। ভক্ত শ্রোতাদের কথা বিবেচনা করেই তিনি অ্যালবামটি প্রকাশ করছেন। শুভ্র দেবের সর্বশেষ অ্যালবাম 'তুমি আর আমি' ২০০৯ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। বিশ্বকাপ ক্রিকেট উপলক্ষে তার 'বাংলাদেশ জেগে ওঠো' গানটি ব্যাপক সাড়া তুলেছিল। এর আগে '৯৯ সালের বিশ্বকাপ উপলক্ষে তার গাওয়া 'গুডলাক বাংলাদেশ' গানটিও তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। বর্তমানে তিনি স্টেজ শোয়ের পাশাপাশি ছোটপর্দার লাইফ অনুষ্ঠানগুলোতেও নিয়মিত অংশগ্রহণ করছেন। আজ রাত ১১টা ৫ মিনিটে জিটিভির 'গানোপোন' অনুষ্ঠানে তিনি গান পরিবেশন করবেন। - যায় যায় দিন
লীনা তাপসীর অষ্টম অ্যালবাম
বিশিষ্ট নজরুল সঙ্গীতশিল্পী ড. লীনা তাপসী খান এবার তার ক্যারিয়ারের অষ্টম একক অ্যালবাম প্রকাশ করতে যাচ্ছেন। নতুন এ অ্যালবামে নজরুলের প্রচলিত-অপ্রচলিত ৮টি গান থাকবে। ইতোমধ্যেই গান বাছাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। জানুয়ারির মাঝামাঝিতে কলকাতায় গানগুলোর রেকর্ডিং হবে। সবকটি গানের সঙ্গীত পরিচালনা করবেন কলকাতার স্বপন চ্যাটার্জি। এ প্রসঙ্গে লীনা তাপসী খান বলেন, 'গানের রেকর্ডিং করতে ১৫ জানুয়ারি কলকাতা যাচ্ছি। সঙ্গে আমার মেয়েও থাকবে। তার নাম মাহজাবিন। কলকাতার চিৎপুরে গানগুলোর রেকর্ডিং হবে। ২৫ জানুয়ারি আমরা দেশে ফিরব।' তিনি আরো বলেন, 'গানগুলোর রেকর্ডিং যাতে শুদ্ধভাবে করতে পারি, সেজন্যই আমরা কলকাতা যাচ্ছি। তাছাড়া নজরুলের গানের মিউজিক কম্পোজার হিসেবে স্বপন চ্যাটার্জিও অনেক উচ্চমানের। আশা করি, এবারের অ্যালবামটিও শ্রোতারা পছন্দ করবেন।' অ্যালবামের গানগুলোর মধ্যে রয়েছে, 'ধূলি পিঙ্গল', 'খেলে নন্দেরও আঙিনায়', 'সন্ধ্যা গোধূলি', 'দোলে ঝুলনো দোলায়' প্রভৃতি। লীনা তাপসী খান গানের পাশাপাশি প্রায় তিন দশক ধরে নজরুল চর্চা করে আসছেন। বাবা এমএ খানের হাতে ধরে তার সঙ্গীত অঙ্গনে পথচলা শুরু হয়। পরবর্তীতে তিনি খালিদ হোসেন এবং শেখ লুৎফর রহমানের কাছে নজরুল সঙ্গীতে তালিম নিয়েছেন। কলকাতার ধীরেন্দ্র চন্দ্র মিত্রের কাছেও দীর্ঘদিন নজরুল সঙ্গীত শিখেছেন। এছাড়াও তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ড. রফিকুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে 'নজরুলের গানে রাগের ব্যবহার' বিষয়ে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন। বর্তমানে তিনি একই প্রতিষ্ঠানে সঙ্গীত বিভাগে শিক্ষকতা করছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, 'নজরুলসঙ্গীত আমার ভীষণ প্রিয়। নজরুলের গানে গভীর জীবনবোধের কথা ফুটে উঠেছে। সেকারণেই নজরুলকে নিয়ে গবেষণার পাশাপাশি নিয়মিত নজরুলসঙ্গীত চর্চা করে চলছি।' - যায় যায় দিন
আবার অর্ণব
অর্ণবের শুরুটা ছিল বেশ রাজকীয়। অডিও অ্যালবামে এ শিল্পীর অভিষেক ঘটে ব্যান্ড ‘বাংলা’ দিয়ে। তাও সেই কবে, ২০০১ সালে। ‘বাংলা’র গান দিয়েই অর্ণব নিজের জাতটা চিনিয়ে দেন গান পিয়াসীদের। এরপর বাংলা’র সঙ্গে আরও কয়েক বছর। তারপর নিজেই গুছিয়েছেন নিজের ক্যারিয়ার। প্রকাশ করেছেন অসাধারণ কথা-সুর-সংগীতের অনবদ্য কিছু অ্যালবাম। যেমন ‘চাই না ভাবিস’, ‘হোক কলরব’, ‘ডুব’, ‘রোদ বলেছে হবে’ এবং সর্বশেষ রবীন্দ্রসংগীতের অ্যালবাম ‘আধেক ঘুমে’। অর্ণবের প্রায় এক যুগের সংগীত ক্যারিয়ারে কাজের সংখ্যা খুব কম হলেও সফলতার রেখা বেশ দীর্ঘ। যে দীর্ঘ রেখাটিকে দীর্ঘতর করেছে ‘মনপুরা’ চলচ্চিত্রের গান। সুরকার, সংগীত পরিচালক এবং শিল্পী হিসেবে শেষ দুই দশকে এতোটা সফল হননি কোন চলচ্চিত্র সংগীত পরিচালক। এটা বছর তিন-চারেক আগের ঘটনা। এরপর কোন এক অজানা কারণে চলচ্চিত্রের গানে সে অর্থে পাওয়া যায়নি অর্ণবকে। মাঝে মধ্যে ‘আহা’, ‘জাগো’ নামের দু’-একটি ভিন্নধারার চলচ্চিত্রে তার গান পাওয়া গেলেও ‘মনপুরা’র অর্থে সেসব ছিল খুবই ক্ষুদ্র ঘটনা। অনেকেরই মত, মনপুরার পর অর্ণব যতটা পেয়েছেন, মাঝের বিরতিতে ততটাই খুইয়েছেন। কারণ, গেল তিন বছর অনেকটাই সংগীতের প্রতি অমনোযোগী ছিলেন তিনি। অর্ণব নিজেও এটা স্বীকার করে বলেন, আমি ছুটিতে ছিলাম। বলতে পারেন আধেক জেগে, আধেক ঘুমে ছিলাম। আমি চাইনি গান করতে করতে বোরিং হয়ে যেতে। তাই মাঝের সময়টায় আমি ছবি এঁকেছি, রবীন্দ্রসংগীত নিয়ে গবেষণা করেছি, ছবি তুলেছি পথে পথে। তবে নতুন করে আবার গানে হাত রাখছি সমপ্রতি। হ্যাঁ, অর্ণবের ঘুম ভাঙলো। নতুন কথা-সুরে জেগে ওঠার প্রস্তুতি শুরু করেছেন এরই মধ্যে। হাতে নিয়েছেন তিনটি চলচ্চিত্রের কাজ। সঙ্গে পরিকল্পনা করছেন নতুন-পুরনোদের নিয়ে মিশ্র অ্যালবাম গড়ার। বছর পাঁচেক আগে যেমনটা মুগ্ধ করেছিলেন ‘ঝালমুড়ি’ শীর্ষক অ্যালবাম দিয়ে। অর্ণব জানান, অডিও অ্যালবাম নিয়ে নতুন কিছু পরিকল্পনা তো আছেই। তবে এখন আমি চলচ্চিত্রের গান নিয়ে একটু বেশি মনোযোগী হয়েছি। অর্ণবের নতুন তিনটি চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে আফসানা মিমির ‘রান’, তন্ময় তানসেনের ‘পদ্ম পাতার জল’ এবং ইফতেখার আহমেদ ফাহমির ‘টু বি কন্টিনিউড’। অর্ণব বলেন, মূলত এখন তিনটি চলচ্চিত্রে কাজ করার বিষয়ে কথা চূড়ান্ত হয়েছে। তবে গানগুলো এখনও করতে পারিনি। বরাবরের মতো এবারও আমার চেষ্টা থাকবে নিজস্ব ঢংয়েই গানগুলো তৈরি করার। এদিকে গত ঈদে প্রকাশ পেয়েছে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘টেলিভিশন’ চলচ্চিত্রের অডিও সিডি। এ চলচ্চিত্রের একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন অর্ণব। - মানবজমিন ৯ ডিসেম্বর ২০১২
আসিফ-ডলির গান
আবারও চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিলেন আসিফ ও ডলি সায়ন্তনী। চার বছর পর আসিফ ও ডলি সায়ন্তনী কি রূপ দেখাইলা চলচ্চিত্রের জন্য গান গাইলেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে গানটির রেকর্ডিং সম্পন্ন হয়। গানটির কথা লিখেছেন আহমেদ রিজভী। আর সুর ও সংগীত করেছেন আলী আকরাম শুভ।
গান প্রসঙ্গে আসিফ বলেন, ‘আমি কিন্তু এখন নিয়মিত চলচিত্রের গান করছি। আমার আর ডলির গাওয়া এই গানটি কি রূপ দেখাইলা চলচ্চিত্রের টাইটেল গান। লোকধাঁচের এই গানটির কথা ও সুর বেশ ভালো লেগেছে। চলচ্চিত্রে আহমেদ রিজভীর লেখা প্রথম গান এটি। গানটি শুনে সবার ভালো লাগবে। আসিফ আরো জানান, ‘সম্প্রতি বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে তৈরি একটি গানেও কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। গানটিতে আরো কয়েকজন শিল্পীর কণ্ঠ রয়েছে। আসিফ ও ডলি সায়ন্তনী ২০০৮ সালে সর্বশেষ মেঘলা আকাশ নামের একটি চলচ্চিত্রে কণ্ঠ দিয়েছিলেন।
গান প্রসঙ্গে আসিফ বলেন, ‘আমি কিন্তু এখন নিয়মিত চলচিত্রের গান করছি। আমার আর ডলির গাওয়া এই গানটি কি রূপ দেখাইলা চলচ্চিত্রের টাইটেল গান। লোকধাঁচের এই গানটির কথা ও সুর বেশ ভালো লেগেছে। চলচ্চিত্রে আহমেদ রিজভীর লেখা প্রথম গান এটি। গানটি শুনে সবার ভালো লাগবে। আসিফ আরো জানান, ‘সম্প্রতি বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে তৈরি একটি গানেও কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। গানটিতে আরো কয়েকজন শিল্পীর কণ্ঠ রয়েছে। আসিফ ও ডলি সায়ন্তনী ২০০৮ সালে সর্বশেষ মেঘলা আকাশ নামের একটি চলচ্চিত্রে কণ্ঠ দিয়েছিলেন।
আসছে জাগরণের গান-৪
‘জাগরণের গান-৪’ শিরোনামে একটি গানের অ্যালবাম প্রকাশের ঘোষণা দিয়েছে ‘জাগরণ সংস্কৃতি চর্চা ও গবেষণা কেন্দ্র’ ও মোবাইল অপারেটর ‘বাংলালিংক’ । যৌথভাবে আয়োজিত এই অ্যালবামটি বাংলাদেশের শুদ্ধ অতীতের বিপ্লবী ও সংগ্রামী চেতনা জাগানিয়া গানের চতুর্থ সংকলন। পাঁচটি সিডির একটি বাক্সে মোট ৭১টি গান নিয়ে এটি বাজারে আসবে ১৭ ডিসেম্বর।
রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমীতে ৮ ডিসেম্বর এই উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলাদেশের ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পর্যন্ত গাওয়া বিপবী গানগুলোর মধ্য থেকে নতুন এই সংকলন বা অ্যালবামের গানগুলো নির্বাচিত হয়েছে। সেই সঙ্গে গানের কথা এবং সব গান সংক্রান্ত তথ্যাবলী নিয়েও থাকবে একটি মুদ্রিত বই। সব ক’টি গান প্রকাশের জন্য প্রয়োজনীয় বৈধ অনুমতি ও আইনগত কাগজপত্র নেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জাগরণ সংস্কৃতি চর্চা ও গবেষণা কেন্দ্রের সঞ্চালক মোস্তফা তৌহিদ খান, বাংলালিংকের সিনিয়র মার্কেটিং ডিরেক্টর শিহাব আহমাদ, দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, চ্যানেল আই-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, রেডিও এবিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সানাউল্লাহ লাভলু উপস্থিত ছিলেন। বিডি নিউজ, ৮ ডিসেম্বর ২০১২
রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমীতে ৮ ডিসেম্বর এই উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলাদেশের ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পর্যন্ত গাওয়া বিপবী গানগুলোর মধ্য থেকে নতুন এই সংকলন বা অ্যালবামের গানগুলো নির্বাচিত হয়েছে। সেই সঙ্গে গানের কথা এবং সব গান সংক্রান্ত তথ্যাবলী নিয়েও থাকবে একটি মুদ্রিত বই। সব ক’টি গান প্রকাশের জন্য প্রয়োজনীয় বৈধ অনুমতি ও আইনগত কাগজপত্র নেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জাগরণ সংস্কৃতি চর্চা ও গবেষণা কেন্দ্রের সঞ্চালক মোস্তফা তৌহিদ খান, বাংলালিংকের সিনিয়র মার্কেটিং ডিরেক্টর শিহাব আহমাদ, দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, চ্যানেল আই-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, রেডিও এবিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সানাউল্লাহ লাভলু উপস্থিত ছিলেন। বিডি নিউজ, ৮ ডিসেম্বর ২০১২
রক গান নিয়ে তিশমা
গত ডিসেম্বরে ক্যারিয়ারের নবম একক অ্যালবাম ‘এক্সপেরিমেন্ট’ নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছিলেন জনপ্রিয় পপকন্যা তিশমা। সেই অ্যালবামের বেশ কিছু গানই শ্রোতাপ্রিয়তা পায়। তারপর থেকে গত প্রায় একটি বছর ধরে নিজের দশম এককের কাজ করে যাচ্ছেন তিশমা। এ অ্যালবামের নাম রেখেছেন ‘রকস্টার’। নামের মতো করেই বেশিরভাগ রক ধারার গান দিয়েই অ্যালবামটি সাজাচ্ছেন তিশমা। এর আগের অ্যালবামগুলোতে মেলোডি, হিপহপসহ বিভিন্ন ধরনের গান স্থান পেলেও এবারের অ্যালবামটি প্রায় পুরোটাই রক ধাঁচের। আগেরটির মতোই এ অ্যালবামের সবক’টি গানের সুর-সংগীতায়োজন করছেন তিশমা নিজে। গেলো কোরবানি ঈদের পর থেকে টানা এ অ্যালবামের কাজ নিয়েই ব্যস্ত সময় পার করেছেন এই পপকন্যা। এ অ্যালবামের শেষভাগের কাজই এখন চলছে। অ্যালবামটি খুব শিগগিরই একাধারে ফিজিক্যালি ও ডিজিটালি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। এ অ্যালবামের জন্য তিশমা নিজেও কিছু গান লিখেছেন। এখানে তার প্রকাশিত ‘এক্সফ্যাক্টর’ অ্যালবামের ‘রক রাজকন্যা’র একটি নতুন ভার্সনও থাকবে। অডিও অ্যালবাম প্রকাশের বাইরে খুব শিগগিরই এ অ্যালবামের একটি গানের মিউজিক ভিডিও করতে যাচ্ছেন তিশমা। অ্যালবামের টাইটেল গানটির মিউজিক ভিডিও আগে করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে একেবারেই ভিন্নধর্মী করে তৈরি করা হবে এ ভিডিওটি। রক ধাঁচের গান করা প্রসঙ্গে তিশমা বলেন, রক গান শুনে শুনেই বড় হয়েছি। মূলত রক গান দিয়ে আমার যাত্রাটা শুরু। সব সময়ই রক গানের প্রতি আলাদা একটা টান অনুভব করেছি। তবে অ্যালবামে রকের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের গানই করেছি। যেহেতু এবার অ্যালবামের নামই রেখেছি ‘রকস্টার’, তাই এবারের অ্যালবামে খানিক বেশি প্রাধান্য দিয়েছি রককে। তবে বেশ ভিন্নতা আনার চেষ্টা করেছি সংগীতায়োজনের ক্ষেত্রে। আশা করছি গানগুলো ভাল লাগবে সবার।
‘অরবিট’ আসছে ১৮ বছর পর
১৮ বছর পর নতুন অ্যালবাম নিয়ে আসছে নব্বই দশকের ব্যান্ড ‘অরবিট’। জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী পলাশ ও আশরাফ বাবুর উদ্যোগেই গঠিত হয়েছিলো এ ব্যান্ডটি। সে সময়ে অরবিটের বেশ কিছু গানও বেশ শ্রোতাপ্রিয়তা পায়। এসব গানের মধ্যে রয়েছে- লাল শাড়ি, সুখেরই প্লাবনে, ঐ এলোরে বান, গাড়িয়াল ভাই, সুনিতা, ঝড়ো রাতের ঘটনা, ব্যস্ত নগর, স্বর্ণালী, পূর্ণিমা রাত, বেলা শেষের গান প্রভৃতি। সর্বপ্রথম নিজেদের সেলফ টাইটেলড অ্যালবাম প্রকাশ করে ‘অরবিট’। এরপর ১৯৯৪ সালে ‘অপেক্ষা’ শিরোনামে প্রকাশিত হয় তাদের দ্বিতীয় ও সর্বশেষ অ্যালবাম। এ অ্যালবামের দুটি গানের মাধ্যমে ব্যান্ড হিসেবে বেশ ভাল পরিচিতি লাভ করে ‘অরবিট’। সে সময় স্টেজ নিয়েও ব্যস্ত সময় পার করে তারা। তবে এর পরপরই ব্যান্ডের বেশ ক’জন সদস্য বিদেশে পাড়ি জমালে ব্যান্ডটির কার্যক্রম স্থগিত থাকে। যার কারণে গত ১৮ বছর ধরে শ্রোতাদের নতুন গান উপহার দিতে পারেনি ব্যান্ডটি। এই সময়ে অবশ্য পলাশ তার একাধিক একক অ্যালবামের গান দিয়ে শ্রোতা ঠিকই মাতিয়েছেন। একক শিল্পী হিসেবে সংগীত ভুবনে পেয়েছেন দারুণ সফলতা। তবে গত কয়েক বছরে অডিও ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা নাজুক হলে অ্যালবামে ইচ্ছা করেই অনিয়মিত হয়ে পড়েন। সমপ্রতি অরবিট নিয়ে আবারও শ্রোতাদের সামনে হাজির হচ্ছেন পলাশ। তার সঙ্গে রয়েছেন আশরাফ বাবুও। অবশ্য পরিবর্তন এসেছে ব্যান্ডের লাইনআপে। অরবিটে বর্তমানে রয়েছেন মোট ৬ জন সদস্য। তাদের লাইনআপটা হলো- আশরাফ বাবু (ভোকাল), পলাশ (ভোকাল), তপন (লিড গিটার), নীরব (কিবোর্ড), অভিজিত আনজান (বেস গিটার) ও লোবান (ড্রামস)। এই লাইনআপ নিয়েই ইতিমধ্যে ব্যান্ডের কাজ শুরু করে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পলাশ। ১৮ বছর পর অরবিটের নতুন অ্যালবামের জন্য গান তৈরিও শুরু হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আসছে রোজার ঈদে প্রকাশ পাবে অরবিটের তৃতীয় অ্যালবাম। এ বিষয়ে পলাশ মানবজমিনকে জানান, আসলে ব্যান্ডের বেশ কয়েকজন সদস্য দেশের বাইরে চলে যাওয়ায় সে সময় ব্যান্ডের কার্যক্রম স্থগিত রাখতে হয়েছিলো। তবে আমি সব সময়ই চেয়েছি ব্যান্ডের কাজ আবারও শুরু করতে। সেই ইচ্ছা থেকেই আবারও শুরু করলাম আমরা। ভাল ভাল গান উপহার দেয়াই হবে এখন আমাদের প্রধান কাজ। ইতিমধ্যে আমরা আমাদের অ্যালবামের কাজও শুরু করেছি। ভিন্ন কিছু গানই করতে চাচ্ছি আমরা। এছাড়া আমরা স্টেজ শো শুরু করে দেবো পূর্ণ্যোদমে। সব মিলিয়ে অ্যালবাম ও স্টেজ শো নিয়ে আবারও ব্যস্ত হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি আমরা। আশা করছি শ্রোতাদের ভাল ও নতুন কিছু দিতে পারবো। - মানবজমিন, ৭ ডিসেম্বর ২০১২
সামিনার নতুন তিন অ্যালবাম
সংগীতশিল্পী সামিনা চৌধুরীর সর্বশেষ একক অ্যালবাম ‘তোমার খোলা হাওয়া’ প্রকাশিত হয়েছিল বেশ কয়েক বছর আগে। এবারে একসঙ্গে তিনটি একক গানের অ্যালবামের কাজ শুরু করেছেন সামিনা। এর মধ্যে একটি একটি রবীন্দ্রসংগীতের অ্যালবাম আর অন্য দুটি অ্যালবাম আধুনিক গানের। অ্যালবাম প্রসঙ্গে সামিনা বলেন, ‘আধুনিক গানের দুটি অ্যালবামের মধ্যে একটির কাজ প্রায় পুরোপুরি শেষ হয়েছে। এতে মোট গান থাকবে আটটি। পুষ্পবৃষ্টি নামের অ্যালবামটির সংগীত পরিচালনা করছেন বাপ্পা মজুমদার ও ইবরার টিপু। আবদুল বারীর কথায় পুষ্পবৃষ্টি অ্যালবামের সবগুলো গানই পুরোনো ধাঁচের। আমার বিশ্বাস গানগুলো শুনে সবার বেশ ভালো লাগবে। আধুনিক গানের দ্বিতীয় অ্যালবামটির গান বাছাইয়ের কাজও শেষ হয়েছে। এটিতে পঞ্চম ছাড়াও আর দু-একজন সংগীত পরিচালকের কাজ করার সম্ভাবনা রয়েছে।’
ঠিক কবে নাগাদ অ্যালবামগুলো শ্রোতাদের হাতে তুলে দেওয়া সম্ভব হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে সামিনা বলেন, ‘সবগুলো গানের রেকর্ডিংয়ের কাজ শেষ হলেই সুবিধাজনক একটা সময়ে অ্যালবামগুলো প্রকাশের কথা ভাবছি। সত্যি বলতে অডিও বাজারের যে দুরবস্থা, তাতে অ্যালবাম করার আগ্রহ কিংবা ইচ্ছে হয় না। তারপরও শ্রোতাদের প্রতি ভালোবাসা থেকেই নতুন অ্যালবামগুলোর কাজ শুরু করেছি।’
বর্তমানে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত হচ্ছে সামিনা চৌধুরী অভিনীত একটি বিজ্ঞাপনচিত্র। এটি তাঁর প্রথম কোনো টিভি বিজ্ঞাপনচিত্র। বিজ্ঞাপনচিত্র প্রসঙ্গে সামিনা বলেন, ‘বিজ্ঞাপনচিত্রে প্রথম কাজ করার প্রস্তাব পেয়েছিলাম ২৭ বছর আগে। তখন নানা কারণে করা হয়নি। অনেক বছর পর বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করতে গিয়ে ভালোই লেগেছে। কারণ, বিজ্ঞাপনচিত্রটির ভাবনা ছিল আমাকে আর আমার গান নিয়ে। বিজ্ঞাপনচিত্রটি প্রচারের পর অনেকে আমাকে ফোন করে প্রশংসা করেছেন। ভালোই লাগছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য এখনো টেলিভিশনে বিজ্ঞাপনচিত্রটি দেখা হয়নি আমার।’ প্রথম আলো, ৬ ডিসেম্বর ২০১২
ঠিক কবে নাগাদ অ্যালবামগুলো শ্রোতাদের হাতে তুলে দেওয়া সম্ভব হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে সামিনা বলেন, ‘সবগুলো গানের রেকর্ডিংয়ের কাজ শেষ হলেই সুবিধাজনক একটা সময়ে অ্যালবামগুলো প্রকাশের কথা ভাবছি। সত্যি বলতে অডিও বাজারের যে দুরবস্থা, তাতে অ্যালবাম করার আগ্রহ কিংবা ইচ্ছে হয় না। তারপরও শ্রোতাদের প্রতি ভালোবাসা থেকেই নতুন অ্যালবামগুলোর কাজ শুরু করেছি।’
বর্তমানে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত হচ্ছে সামিনা চৌধুরী অভিনীত একটি বিজ্ঞাপনচিত্র। এটি তাঁর প্রথম কোনো টিভি বিজ্ঞাপনচিত্র। বিজ্ঞাপনচিত্র প্রসঙ্গে সামিনা বলেন, ‘বিজ্ঞাপনচিত্রে প্রথম কাজ করার প্রস্তাব পেয়েছিলাম ২৭ বছর আগে। তখন নানা কারণে করা হয়নি। অনেক বছর পর বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করতে গিয়ে ভালোই লেগেছে। কারণ, বিজ্ঞাপনচিত্রটির ভাবনা ছিল আমাকে আর আমার গান নিয়ে। বিজ্ঞাপনচিত্রটি প্রচারের পর অনেকে আমাকে ফোন করে প্রশংসা করেছেন। ভালোই লাগছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য এখনো টেলিভিশনে বিজ্ঞাপনচিত্রটি দেখা হয়নি আমার।’ প্রথম আলো, ৬ ডিসেম্বর ২০১২
দুই বাংলার অ্যালবামে বাবা ও মেয়ে
'এই নীল মণিহার', 'আগে যদি জানতাম', 'আমায় ডেকো না', 'যেখানে সীমান্ত তোমার', 'কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে', 'লিখতে পারি না কোনো গান'সহ এমন অসংখ্য কালজয়ী গানের স্রষ্টা লাকী আখন্দ লম্বা বিরতির পর নতুন অ্যালবাম তৈরি করছেন। এতে তার মেয়ে মাম্্-মিন্তিও গাইবেন। এ ছাড়াও থাকছে কলকাতার সঙ্গীতশিল্পী নচিকেতা, কৌশিক চক্রবর্তী, শ্রীকান্ত আচার্য ও শুভমিতার গান। মিশ্র অ্যালবামটির গানগুলো যৌথভাবে সুর ও সঙ্গীত পরিচালনা করছেন লাকী আখন্দ ও কলকাতার মধু মুখার্জি। আগামী বছরের মাঝামাঝি দুই বাংলায় নাম চূড়ান্ত না হওয়া অ্যালবামটি প্রকাশ হবে। এবারই প্রথম দুই দেশের শিল্পীদের নিয়ে কাজ করছেন লাকী। তিনি বলেছেন, 'কলকাতার অনেক শিল্পীর সঙ্গে আমার বেশ ভালো সম্পর্ক। এ অ্যালবাম তৈরির প্রস্তাব অনেক আগেই পেয়েছিলাম। কিছুদিন আগে বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে।' মেয়েকে গানে নিয়ে আসার ব্যাপারে তিনি বললেন, 'ওকে নিয়েই দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন কনসার্ট ও টিভিতে সঙ্গীত পরিবেশন করছি। এ ছাড়া কলকাতার একটি অনুষ্ঠানে আমার সঙ্গে গেয়েছে ও। আশা করছি, ভালো কিছু গান উপহার দিতে পারব এ অ্যালবামে।' ২০০৫ সালে সামিনা চৌধুরীকে নিয়ে সর্বশেষ 'আনন্দচোখ' অ্যালবামটি তৈরি করেন লাকী আখন্দ। - সমকাল ৫ ডিসেম্বর ২০১২
উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসব ২০১২
উৎসব শেষ, থেকে যাবে রেশ
চার দিনব্যাপী উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসবের শেষ দিনের শেষ শিল্পী ছিলেন পণ্ডিত উলহাস কাসালকর। রাত তখন সাড়ে তিনটা ছাড়িয়ে গেছে। ভোর হয়ে আসছে। শিল্পী জানতেন, একটু পর ভাঙবে মিলনমেলা। সম্ভবত বিষয়টি মাথায় রেখেই তিনি রাগ চয়ন করেছেন। রাগের নাম ‘মিয়া কি টোড়ি’। এটি রাতকে বিদায় দিয়ে দিনের আলোকে আহ্বান করে। উলহাস কাসালকর প্রচলিত কোনো ঘরানার শিল্পী নন। তিনি গোয়ালিয়র ও জয়পুর ঘরানার মিশ্রণ ঘটিয়ে নিজস্ব একটি ঘরানা তৈরি করেছেন। তাই নিজস্ব ঢঙেই তিনি কণ্ঠে ধারণ করলেন ‘মিয়া কি টোড়ি’। এটি মোগল রাজদরবারের সভা গায়ক মিয়া তানসেনের সৃষ্টি। শিল্পীর সঙ্গে তবলায় ছিলেন পণ্ডিত সুরেশ তালওয়ালকর এবং সারঙ্গী নিয়ে আল্লারাখা কলাবন্ত। খেয়ালটি শুরু করেছিলেন বিলম্বিত একতালের বন্দিশে, শেষ করেছিলেন দ্রুত তিনতালে।
অথচ রাত সাড়ে তিনটার দিকে যখন পণ্ডিত হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়ার বাঁশিবাদন শেষ হয়, তখনো দর্শক-শ্রোতার কানে রাগ ‘হংসধ্বনি’ ও কীর্তনের রেশ। শঙ্কা হচ্ছিল, উলহাস কাসালকর আদৌ দর্শক বা শ্রোতা পাবেন কি না। কিন্তু তিনি যখন তাঁর গায়ন শেষে উঠে দাঁড়ালেন, তখন কয়েক হাজার দর্শক দাঁড়িয়ে করতালি দিয়ে তাঁকে অভিনন্দিত করলেন। সঙ্গে সঙ্গে শেষ হয় ‘বেঙ্গল-আইটিসি এআরএ ক্লাসিক্যাল মিউজিক উৎসব ২০১২’।
এর আগে রাত ১২টার পরে মঞ্চে উঠেছিলেন বেনারস ঘরানার দুই সহোদর খেয়ালিয়া পণ্ডিত রাজন মিশ্র ও পণ্ডিত সাজন মিশ্র। যুগল পরিবেশনায় দুই ভাই দর্শক-শ্রোতাদের ভালোই মজিয়েছেন। যেমনটা আগের রাতে মজিয়েছেন বেনারস ঘরানার আরেক শিল্পী গিরীজা দেবী। রাজন-সাজন শুরু করেছিলেন নায়কী কানাড়া রাগ দিয়ে। বিলম্বিত একতালে ও দ্রুত তিনতালে। তাঁদের সঙ্গে তবলায় সংগত করেছেন এককথায় জাঁদরেল তবলা বাজিয়ে পণ্ডিত কুমার বোস। আগের দিন যিনি একক তবলা বাদন পরিবেশন করে মুগ্ধ করেছিলেন। গতকাল দুই ভাইয়ের গায়নের ফাঁকে কুমার বোস তবলা ও বাঁয়ার ছোট্ট কারুকাজে কয়েক সেকেন্ডের জন্য দর্শক-শ্রোতাদের হূদয়ে কাঁপন ধরিয়ে রসিকতাও করেছিলেন। সেই কম্পনে উৎসবকেন্দ্রের মাটি এবং শেষে সোফা আর চেয়ারও কেঁপেছে। সব মিলিয়ে নায়কী কানাড়া ছিল ধোঁয়াদার পরিবেশনা।
রাজন-সাজন মিশ্রের দ্বিতীয় পরিবেশনা ছিল দেশ রাগে। ছোট্ট বন্দিশ ‘সাজন বিনা নিরাশ হো’। কিন্তু তাতেও কি সমঝদারদের মন ভরে? উপস্থাপক কৌশিক শংকর দাশ দুই ভাইয়ের সময় শেষের ঘোষণা দিয়ে ফেললেন, কিন্তু রেহাই পেলেন না। দর্শকের অনুরোধে শেষ পর্যন্ত একটি ভৈরবী ভজনও গেয়ে শোনালেন।
বেঙ্গল ফাউন্ডেশন-আইটিসি এসআরএ আয়োজিত এই উৎসব ঐতিহাসিক দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ। সর্বশেষ ঢাকায় একটি বড় উৎসব হয়েছিল ১৯৯৬ সালে। বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় ভারতের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সেই উৎসবটির আয়োজন করেছিল ভারত সরকার। তারও আগে ১৯৭২ সালে ঢাকা স্টেডিয়ামে একই রকম আরেকটি উৎসবের আয়োজন করেছিলেন পণ্ডিত বারীন মজুমদার। এবারের উৎসবে দর্শক-উপস্থিতিও ছিল প্রত্যাশার বেশি। আইটিসি এসআরএর নির্বাহী পরিচালক রবি মাথুর ও শিল্পী আলারমেল ভাল্লী দর্শক উপস্থিতি দেখে তো রীতিমতো বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
বাংলাদেশের শিল্পীদের জন্যও এই উৎসবটি ছিল তাৎপর্যপূর্ণ। শিল্পী ওস্তাদ শাহাদাৎ হোসেন খাঁ, এবাদুল হক, প্রিয়াংকা গোপ, আলিফ লায়লা ও মুর্তজা কবির এই উৎসবে অংশ নিয়ে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন। এসব শিল্পীর গায়ন ও বাদন শেষে খোদ ভারতের গুণী পণ্ডিত ও ওস্তাদদের প্রশংসা পেতে দেখা গেছে। এই উৎসবটি আয়োজনে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছে প্রথম আলো। এ ছাড়া সহযোগিতা করেছে দ্য ডেইলি স্টার ও মাছরাঙা টেলিভিশন।
চার দিনের উৎসব শেষ হয়ে গেলেও ওস্তাদ ও পণ্ডিতেরা তানকারী ও লয়কারীর যেসব নমুনা দেখিয়েছেন বা শুনিয়েছেন, তার রেশ থেকে যাবে বাংলাদেশের সংগীতরসিকদের কানে। শিল্পীরা যখনই এ দুটি বিষয় নিয়ে মুনশিয়ানা দেখিয়েছেন, তখনই এক অপার্থিব আনন্দে করতালি দিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। শিল্পীদের জাদুকরি কণ্ঠের গায়ন ও বাদনের মধুর রেশ মুছে যাওয়ার মতো নয়। বিশেষ করে গিরীজা দেবী, বিরজু মহারাজ, হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়া, শিব কুমার শর্মা, রাজন-সাজন মিশ্র, অরুণা সাইরাম, অজয় চক্রবর্তী, শহীদ পারভেজ, মশকুর আলী খাঁ, আলারমেল ভাল্লী, রশিদ খাঁ, কুমার বোস ও কৌশিকী দেশিকানের মতো জগৎখ্যাত শিল্পীদের পরিবেশনা। সবশেষে বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের বলেন, উৎসব সফলভাবে শেষ হওয়ার যাবতীয় কৃতিত্ব দর্শক-শ্রোতাদের। প্রথম আলো ৪ ডিসেম্বর ২০১২
অথচ রাত সাড়ে তিনটার দিকে যখন পণ্ডিত হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়ার বাঁশিবাদন শেষ হয়, তখনো দর্শক-শ্রোতার কানে রাগ ‘হংসধ্বনি’ ও কীর্তনের রেশ। শঙ্কা হচ্ছিল, উলহাস কাসালকর আদৌ দর্শক বা শ্রোতা পাবেন কি না। কিন্তু তিনি যখন তাঁর গায়ন শেষে উঠে দাঁড়ালেন, তখন কয়েক হাজার দর্শক দাঁড়িয়ে করতালি দিয়ে তাঁকে অভিনন্দিত করলেন। সঙ্গে সঙ্গে শেষ হয় ‘বেঙ্গল-আইটিসি এআরএ ক্লাসিক্যাল মিউজিক উৎসব ২০১২’।
এর আগে রাত ১২টার পরে মঞ্চে উঠেছিলেন বেনারস ঘরানার দুই সহোদর খেয়ালিয়া পণ্ডিত রাজন মিশ্র ও পণ্ডিত সাজন মিশ্র। যুগল পরিবেশনায় দুই ভাই দর্শক-শ্রোতাদের ভালোই মজিয়েছেন। যেমনটা আগের রাতে মজিয়েছেন বেনারস ঘরানার আরেক শিল্পী গিরীজা দেবী। রাজন-সাজন শুরু করেছিলেন নায়কী কানাড়া রাগ দিয়ে। বিলম্বিত একতালে ও দ্রুত তিনতালে। তাঁদের সঙ্গে তবলায় সংগত করেছেন এককথায় জাঁদরেল তবলা বাজিয়ে পণ্ডিত কুমার বোস। আগের দিন যিনি একক তবলা বাদন পরিবেশন করে মুগ্ধ করেছিলেন। গতকাল দুই ভাইয়ের গায়নের ফাঁকে কুমার বোস তবলা ও বাঁয়ার ছোট্ট কারুকাজে কয়েক সেকেন্ডের জন্য দর্শক-শ্রোতাদের হূদয়ে কাঁপন ধরিয়ে রসিকতাও করেছিলেন। সেই কম্পনে উৎসবকেন্দ্রের মাটি এবং শেষে সোফা আর চেয়ারও কেঁপেছে। সব মিলিয়ে নায়কী কানাড়া ছিল ধোঁয়াদার পরিবেশনা।
রাজন-সাজন মিশ্রের দ্বিতীয় পরিবেশনা ছিল দেশ রাগে। ছোট্ট বন্দিশ ‘সাজন বিনা নিরাশ হো’। কিন্তু তাতেও কি সমঝদারদের মন ভরে? উপস্থাপক কৌশিক শংকর দাশ দুই ভাইয়ের সময় শেষের ঘোষণা দিয়ে ফেললেন, কিন্তু রেহাই পেলেন না। দর্শকের অনুরোধে শেষ পর্যন্ত একটি ভৈরবী ভজনও গেয়ে শোনালেন।
বেঙ্গল ফাউন্ডেশন-আইটিসি এসআরএ আয়োজিত এই উৎসব ঐতিহাসিক দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ। সর্বশেষ ঢাকায় একটি বড় উৎসব হয়েছিল ১৯৯৬ সালে। বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় ভারতের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সেই উৎসবটির আয়োজন করেছিল ভারত সরকার। তারও আগে ১৯৭২ সালে ঢাকা স্টেডিয়ামে একই রকম আরেকটি উৎসবের আয়োজন করেছিলেন পণ্ডিত বারীন মজুমদার। এবারের উৎসবে দর্শক-উপস্থিতিও ছিল প্রত্যাশার বেশি। আইটিসি এসআরএর নির্বাহী পরিচালক রবি মাথুর ও শিল্পী আলারমেল ভাল্লী দর্শক উপস্থিতি দেখে তো রীতিমতো বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
বাংলাদেশের শিল্পীদের জন্যও এই উৎসবটি ছিল তাৎপর্যপূর্ণ। শিল্পী ওস্তাদ শাহাদাৎ হোসেন খাঁ, এবাদুল হক, প্রিয়াংকা গোপ, আলিফ লায়লা ও মুর্তজা কবির এই উৎসবে অংশ নিয়ে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন। এসব শিল্পীর গায়ন ও বাদন শেষে খোদ ভারতের গুণী পণ্ডিত ও ওস্তাদদের প্রশংসা পেতে দেখা গেছে। এই উৎসবটি আয়োজনে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছে প্রথম আলো। এ ছাড়া সহযোগিতা করেছে দ্য ডেইলি স্টার ও মাছরাঙা টেলিভিশন।
চার দিনের উৎসব শেষ হয়ে গেলেও ওস্তাদ ও পণ্ডিতেরা তানকারী ও লয়কারীর যেসব নমুনা দেখিয়েছেন বা শুনিয়েছেন, তার রেশ থেকে যাবে বাংলাদেশের সংগীতরসিকদের কানে। শিল্পীরা যখনই এ দুটি বিষয় নিয়ে মুনশিয়ানা দেখিয়েছেন, তখনই এক অপার্থিব আনন্দে করতালি দিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। শিল্পীদের জাদুকরি কণ্ঠের গায়ন ও বাদনের মধুর রেশ মুছে যাওয়ার মতো নয়। বিশেষ করে গিরীজা দেবী, বিরজু মহারাজ, হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়া, শিব কুমার শর্মা, রাজন-সাজন মিশ্র, অরুণা সাইরাম, অজয় চক্রবর্তী, শহীদ পারভেজ, মশকুর আলী খাঁ, আলারমেল ভাল্লী, রশিদ খাঁ, কুমার বোস ও কৌশিকী দেশিকানের মতো জগৎখ্যাত শিল্পীদের পরিবেশনা। সবশেষে বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের বলেন, উৎসব সফলভাবে শেষ হওয়ার যাবতীয় কৃতিত্ব দর্শক-শ্রোতাদের। প্রথম আলো ৪ ডিসেম্বর ২০১২
গাইবেন তপুর স্ত্রী
দীর্ঘদিন ধরে তপু নিজের তৃতীয় একক অ্যালবাম 'আর তোমাকে'র কাজ করছেন। এতে তার সঙ্গে একটি গানে কণ্ঠ দেবেন স্ত্রী নাজিবা। গানটির শিরোনাম 'এই কি বেশি না'। এটি তপুর ব্যান্ড যাত্রীর প্রথম অ্যালবাম 'ডাক'-এ ছিল। সেটারই নতুন সংস্করণ তৈরি হচ্ছে এবার। স্ত্রীর গান গাওয়া প্রসঙ্গে তপু বলেছেন, 'আমার গাওয়া গানগুলোর মধ্যে এটি নাজিবার বেশ পছন্দের। তাই শখে গানটি গাইছে ও।' 'আর তোমাকে' অ্যালবামে গান থাকছে ১০টি। সব গানের কথা লিখেছেন ও সুর করেছেন তপু। আগামী বছরের ভালোবাসা দিবসে এটি প্রকাশ হবে। - সমকাল, ২ ডিসেম্বর ২০১২
কুয়াশার চাদরে ঢাকা সংগীত উৎসবের শেষ দিন আজ
দেশে প্রথমবারের মতো বেঙ্গল ফাউন্ডেশন ও কলকাতার আইটিসি সংগীত রিসার্চ একাডেমীর আয়োজনে ২৯শে নভেম্বর থেকে ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে চার দিনব্যাপী ‘বেঙ্গল-আইটিসি এসআরএ উচ্চাঙ্গ উৎসব ২০১২’। শাস্ত্রীয় সংগীতের ঐতিহ্যগত গঠন ও কৌশলের প্রতি সাধারণ শ্রোতাদের আগ্রহ ফিরিয়ে আনতেই মূলত বেঙ্গলের এই প্রয়াস। এই পুরো আয়োজনটি উৎসর্গ করা হয়েছে ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁকে। ‘ভাল গান দিয়ে ভাল দিন আসুক’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে ইতিমধ্যে চার দিনব্যাপী এই উৎসবের ৩ দিন সফলভাবে অতিবাহিত হয়েছে। কুয়াশার চাদরে ঢাকা এই সংগীত উৎসবের শেষ দিন আজ। আজ চার দিনব্যাপী এই উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসবের শেষ দিন সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে সংগীত বোদ্ধাদের পরিবেশনা। আজকের আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ। উৎসবটি উৎসর্গ করা হচ্ছে প্রবাদপুরুষ ওস্তাদ আলী আকবর খাঁকে। আজ উচ্চাঙ্গসংগীত পরিবেশন করবেন আলিফ লায়লা (সেতার), ব্রজেশ্বর মুখার্জি (কণ্ঠ), মুর্তুজা কবির (বাঁশি), বিদুষী অরুণা সাইরাম (কণ্ঠ), পণ্ডিত উল্লাস কাশালকার (কণ্ঠ), বিদুষী আলারমিল ভাল্লি (ভারতনাট্যম), পণ্ডিত রাজন ও পণ্ডিত সাজন মিশ্র (কণ্ঠ) এবং পণ্ডিত হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়া (বাঁশি)। - মানবজমিন, ২ ডিসেম্বর ২০১২
বাপ্পার সুরে প্লেব্যাকে সামিনা চৌধুরী
প্রথমবারের মতো বাপ্পা মজুমদারের সুরে চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিলেন সামিনা চৌধুরী। হাসিবুর রেজা কল্লোলের 'সত্তা' চলচ্চিত্রে থাকবে গানটি। 'আমি তোকে ছুঁতে চাই, হাতে কিংবা অজুহাতে' শিরোনামের গানটি লিখেছেন হাসিবুর রেজা কল্লোল। গত বৃহস্পতিবার রাতে বাপ্পা মজুমদারের স্টুডিওতে গানটিতে কণ্ঠ দেন সামিনা চৌধুরী। বাপ্পার সুরে প্লেব্যাক করা সম্পর্কে সামিনা চৌধুরী বলেন, 'গানটির কথা আমার বেশ পছন্দ হয়েছে। বাপ্পা সুরও করেছেন অসাধারণ। তাঁর সুরে এর আগে অ্যালবামে গান করলেও চলচ্চিত্রের জন্য এবারই প্রথম গাইলাম। আশা করছি আগের গানগুলোর মতো এ গানটিও শ্রোতারা পছন্দ করবেন।' উল্লেখ্য, এই ছবির সব গানের সুর ও সংগীত করছেন বাপ্পা মজুমদার। - কালের কন্ঠ । ১ ডিসেম্বর ২০১২