একজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধীকে নিয়ে প্রথমবারের মত কাজ করলো জি-সিরিজ এর অঙ্গপ্রতিষ্ঠান অগ্নিবীণা। গায়কের নাম মাসুদ খান। তিনি একজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিল্পী। অগ্নিবীণার ব্যানারে প্রকাশিত এজানুর রহমানের আয়োজনে মাসুদ খানের ওই অ্যালবামটির নাম ‘ভোরের শুকতারা’। অ্যালবামটিতে সহশিল্পী হিসেবে কণ্ঠ দিয়েছেন আইভি প্রধান। গান গাওয়া ছাড়াও ৯টি গানের মধ্যে ৩টি গানে সুর দিয়েছেন মাসুদ। বাকি গানগুলোর সুর করেছেন এজানুর। গানগুলোর গীতিকাররা হলেন সুমন আহমেদ ও শামীম হোসাইন। এছাড়া পল্লীকবি জসীম উদ্দিনের একটি কবিতা গানে রূপান্তরিত করে স্থান দেয়া হয়েছে অ্যালবামটিতে। সুর দিয়েছেন ওস্তাদ মোমতাজ আলী খান। আর প্রয়াত আব্দুল আলীমের একটি গান নতুন করে গাওয়া হয়েছে অ্যালবামটিতে।
মাসুদ খান মাত্র দুই বছর বয়সে পৃথিবীর আলো দেখার আনন্দ থেকে বঞ্চিত হলেও সংগীতের কিরণ থেকে দূরে থাকতে পারেননি। পাবনায় জন্ম নেওয়া এই গায়ক বালক বয়সে সিরাজগঞ্জে এসে প্রতিবন্ধীদের স্কুলে ভর্তি হন। পড়ালেখা করার সময় স্কুলের বড় ভাইদের করা গান আর ক্যাসেটের গান শুনে তার গান শেখার আগ্রহ জাগে। তাই স্কুল থেকেই শুরু হয় তার গান শেখা। ২০১০ সালে ব্রেইল পদ্ধতিতে এসএসসি পাশ করেন তিনি।
স্কুলে পড়ার সময় ২০০৯ সালে স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল বাংলাভিশন আয়োজিত প্রতিবন্ধীদের নিয়ে প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান ‘অন্য আলোর গান’-এ অংশ নিয়ে প্রথম ১৫ জনের মধ্যে চলে আসেন মাসুদ। অনুষ্ঠানটির চূড়ান্ত পর্ব এখন পর্যন্ত হয়নি। তবে সেই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে তিনি বাংলাদেশ সরকারী সংগীত কলেজের খোঁজ পান।
সংগীতের তৃষ্ণা মেটাতে মাসুদ ভর্তি হন বাংলাদেশ সরকারী সংগীত কলেজ-এ। বর্তমানে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আই.এম.ইউ.এস করছেন। এটি এইচএসসি সমমানের একটি ডিগ্রি। আর এখান থেকেই মাসুদের খোঁজ পান এজানুর।
এজানুর রহমানের এটিই প্রথম আয়োজিত অ্যালবাম। এর আগে তিনি বিভিন্ন নাটকের আবহসংগীত তৈরি করেছেন। ছোটবেলা থেকেই পারিবারিকভাবে সংগীত আবহে বেড়ে উঠেছেন তিনি। বাংলাদেশ সরকারী সংগীত কলেজ থেকে তিনি স্নাতকোত্তর করছেন।
আইভি প্রধান ছোটবেলা থেকেই গান করে আসছেন। তার বাবা একজন তবলা বাদক। ভাই ডলার ছায়ানটের তবলার শিক্ষক। এজানুর রহমানের পরিচিত বলে তার অনুরোধে মাসুদের জন্য কিছু করার উদ্দেশ্যেই তিনি এই অ্যালবামে কণ্ঠ দিয়েছেন।
এজানুর রহমান বলেন, “আমরা সবাই মিলে যদি কিছু একটা করতে পারি। যদি এই ছেলেটার একটি গানও জনপ্রিয় হয়, তবে অন্তত একজন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মানুষের আয়ের পথ হবে সংগীত। এই ছেলেটির জন্য কাজ করতে গিয়ে আমি রেকর্ডিং স্টুডিও, মিউজিশিয়ানদের কাছ থেকে যেমন সাহায্য পেয়েছি তেমনি সমর্থন পেয়েছি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান অগ্নিবীণার কাছ থেকে। সংগীতের এই মন্দা বাজারে নতুন একজন শিল্পী নিয়ে কোন প্রাপ্তির আশা না করে অ্যালবাম প্রকাশ করার জন্য আমি ও আমরা জি সিরিজ ও অগ্নিবীণার কর্ণধার নাজমুল হক ভূইয়ার কাছে কৃতজ্ঞ।”
অগ্নিবীণার কর্ণধার নাজমুল হক ভূইয়া বলেন, “আমরা সবসময়ই নতুনদের নিয়ে কাজ করি। তবে একজন আনকোরা সেই সাথে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীকে নিয়ে এটাই আমাদের প্রথম কাজ। শ্রোতাসহ সংগীতের সাথে সংশ্লিষ্টরা যদি মাসুদ খানের পাশে দাঁড়ান তখনই নিজেদের সার্থক মনে করবো।”
মাসুদ খান মাত্র দুই বছর বয়সে পৃথিবীর আলো দেখার আনন্দ থেকে বঞ্চিত হলেও সংগীতের কিরণ থেকে দূরে থাকতে পারেননি। পাবনায় জন্ম নেওয়া এই গায়ক বালক বয়সে সিরাজগঞ্জে এসে প্রতিবন্ধীদের স্কুলে ভর্তি হন। পড়ালেখা করার সময় স্কুলের বড় ভাইদের করা গান আর ক্যাসেটের গান শুনে তার গান শেখার আগ্রহ জাগে। তাই স্কুল থেকেই শুরু হয় তার গান শেখা। ২০১০ সালে ব্রেইল পদ্ধতিতে এসএসসি পাশ করেন তিনি।
স্কুলে পড়ার সময় ২০০৯ সালে স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল বাংলাভিশন আয়োজিত প্রতিবন্ধীদের নিয়ে প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান ‘অন্য আলোর গান’-এ অংশ নিয়ে প্রথম ১৫ জনের মধ্যে চলে আসেন মাসুদ। অনুষ্ঠানটির চূড়ান্ত পর্ব এখন পর্যন্ত হয়নি। তবে সেই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে তিনি বাংলাদেশ সরকারী সংগীত কলেজের খোঁজ পান।
সংগীতের তৃষ্ণা মেটাতে মাসুদ ভর্তি হন বাংলাদেশ সরকারী সংগীত কলেজ-এ। বর্তমানে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আই.এম.ইউ.এস করছেন। এটি এইচএসসি সমমানের একটি ডিগ্রি। আর এখান থেকেই মাসুদের খোঁজ পান এজানুর।
এজানুর রহমানের এটিই প্রথম আয়োজিত অ্যালবাম। এর আগে তিনি বিভিন্ন নাটকের আবহসংগীত তৈরি করেছেন। ছোটবেলা থেকেই পারিবারিকভাবে সংগীত আবহে বেড়ে উঠেছেন তিনি। বাংলাদেশ সরকারী সংগীত কলেজ থেকে তিনি স্নাতকোত্তর করছেন।
আইভি প্রধান ছোটবেলা থেকেই গান করে আসছেন। তার বাবা একজন তবলা বাদক। ভাই ডলার ছায়ানটের তবলার শিক্ষক। এজানুর রহমানের পরিচিত বলে তার অনুরোধে মাসুদের জন্য কিছু করার উদ্দেশ্যেই তিনি এই অ্যালবামে কণ্ঠ দিয়েছেন।
এজানুর রহমান বলেন, “আমরা সবাই মিলে যদি কিছু একটা করতে পারি। যদি এই ছেলেটার একটি গানও জনপ্রিয় হয়, তবে অন্তত একজন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মানুষের আয়ের পথ হবে সংগীত। এই ছেলেটির জন্য কাজ করতে গিয়ে আমি রেকর্ডিং স্টুডিও, মিউজিশিয়ানদের কাছ থেকে যেমন সাহায্য পেয়েছি তেমনি সমর্থন পেয়েছি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান অগ্নিবীণার কাছ থেকে। সংগীতের এই মন্দা বাজারে নতুন একজন শিল্পী নিয়ে কোন প্রাপ্তির আশা না করে অ্যালবাম প্রকাশ করার জন্য আমি ও আমরা জি সিরিজ ও অগ্নিবীণার কর্ণধার নাজমুল হক ভূইয়ার কাছে কৃতজ্ঞ।”
অগ্নিবীণার কর্ণধার নাজমুল হক ভূইয়া বলেন, “আমরা সবসময়ই নতুনদের নিয়ে কাজ করি। তবে একজন আনকোরা সেই সাথে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীকে নিয়ে এটাই আমাদের প্রথম কাজ। শ্রোতাসহ সংগীতের সাথে সংশ্লিষ্টরা যদি মাসুদ খানের পাশে দাঁড়ান তখনই নিজেদের সার্থক মনে করবো।”