দেশাত্মবোধক
জুলাই ২০১২
মুক্তির সেই গানের কথা
মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি
গীতিকার: গোবিন্দ হালদার
সুরকার: আপেল মাহমুদ
মুক্তির সেই গানের গাথামোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অন্যতম শিল্পী ছিলেন আপেল মাহমুদ। তার লেখা ও সুর করা অন্যতম গানগুলোর মধ্যে অন্যতম এক সাগর রক্তের বিনিময়ে, তীরহারা এই ঢেউয়ের সাগর, মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি। আপেল মাহমুদ কেবল শব্দসৈনিকই ছিলেন না, তিনি আরিক অর্থেই ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা। ২৫ মার্চ কাল রাতেই তিনি চলে গিয়েছিলেন রণাঙ্গনে। যুদ্ধ করেছিলেন ৩ নং সেক্টরে। ৩ জুন পর্যন্ত। এরপর তিনি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের খবর পান। শোনেন বেতার কেন্দ্রের জন্য শিল্পী খোঁজা হচ্ছে। তিনি যোগ দেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে। এর আগেই তার জীবনে ঘটে গিয়েছিলো নিদারুণ দুঃসহ এক ঘটনা। রাজাকাররা তার ঘর পুড়িয়ে দিয়েছিলো। আশ্রয় হারিয়ে তার মা তার ছোট ভাইকে নিয়ে পালিয়ে বেড়ান এখান থেকে ওখানে। এইসব দুঃসহ ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা তাকে অনুপ্রাণিত করেছিলো গানগুলো রচনা ও সুর করতে।
একাত্তরে তার গানগুলো ছিলো তার ভাষায়, প্রতিশোধ আর প্রতিবিধানের সঙ্গীত। তার মায়ের কষ্টের প্রতিশোধের সঙ্গীত। তার দেশের দুঃসময়ের প্রতিবিধানের সঙ্গীত। বিজয়ের প্রতি প্রচন্ড আকাঙ্খার সঙ্গীত।
‘তীরহারা এই ঢেউয়ের সাগর’ ও ‘মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি’ গান দু’টি একাত্তরে মানুষকে প্রচন্ডভাবে উৎসাহ জুগিয়েছে। এ গান শুনে মুক্তিযোদ্ধারা অনুপ্রাণিত হয়েছেন। যুদ্ধ জয়ের জন্য তাদের তৃষ্ণা বেড়েছে। মানুষ যুদ্ধ পরিস্থিতি মোকাবিলায় মনোবল শক্ত করেছে। তার ‘এক সাগর রক্তের বিনিময়ে’ গানটি শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে নিবেদিত একটি গান। যারা আমাদের বিজয়ের জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন, তাদের প্রতি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়ার গান, আমরা তোমাদের ভুলবো না। তোমাদের মৃত্যু বৃথা যাবে না। এ দেশ স্বাধীন হবেই।
একাত্তরে এরকম অসংখ্য গান প্রচারিত হয়েছিলো স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে। যে গানের পিছনে ছিলো এমনি অজস্র ছোট ছোট অসাধারণ কাহিনী। আর সেগুলো রক্তাক্ত যুদ্ধের মাঝেও মানুষকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছিলো। তার প্রমাণ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে পাঠানো জনতা আর মুক্তিযোদ্ধাদের অজস্র চিঠি। স্বাধীনতার পটভূমিতে এই গানগুলো যে মনোবল আর সাহস আপামর জনতা আর মুক্তিযোদ্ধাদের দিয়েছিলো তা অতুলনীয়। বিজয় দিবসে সেইসব গানের গীতিকার, সুরকার, শিল্পীসহ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট সকলকে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।
মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি
গীতিকার: গোবিন্দ হালদার
সুরকার: আপেল মাহমুদ
মুক্তির সেই গানের গাথামোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অন্যতম শিল্পী ছিলেন আপেল মাহমুদ। তার লেখা ও সুর করা অন্যতম গানগুলোর মধ্যে অন্যতম এক সাগর রক্তের বিনিময়ে, তীরহারা এই ঢেউয়ের সাগর, মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি। আপেল মাহমুদ কেবল শব্দসৈনিকই ছিলেন না, তিনি আরিক অর্থেই ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা। ২৫ মার্চ কাল রাতেই তিনি চলে গিয়েছিলেন রণাঙ্গনে। যুদ্ধ করেছিলেন ৩ নং সেক্টরে। ৩ জুন পর্যন্ত। এরপর তিনি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের খবর পান। শোনেন বেতার কেন্দ্রের জন্য শিল্পী খোঁজা হচ্ছে। তিনি যোগ দেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে। এর আগেই তার জীবনে ঘটে গিয়েছিলো নিদারুণ দুঃসহ এক ঘটনা। রাজাকাররা তার ঘর পুড়িয়ে দিয়েছিলো। আশ্রয় হারিয়ে তার মা তার ছোট ভাইকে নিয়ে পালিয়ে বেড়ান এখান থেকে ওখানে। এইসব দুঃসহ ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা তাকে অনুপ্রাণিত করেছিলো গানগুলো রচনা ও সুর করতে।
একাত্তরে তার গানগুলো ছিলো তার ভাষায়, প্রতিশোধ আর প্রতিবিধানের সঙ্গীত। তার মায়ের কষ্টের প্রতিশোধের সঙ্গীত। তার দেশের দুঃসময়ের প্রতিবিধানের সঙ্গীত। বিজয়ের প্রতি প্রচন্ড আকাঙ্খার সঙ্গীত।
‘তীরহারা এই ঢেউয়ের সাগর’ ও ‘মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি’ গান দু’টি একাত্তরে মানুষকে প্রচন্ডভাবে উৎসাহ জুগিয়েছে। এ গান শুনে মুক্তিযোদ্ধারা অনুপ্রাণিত হয়েছেন। যুদ্ধ জয়ের জন্য তাদের তৃষ্ণা বেড়েছে। মানুষ যুদ্ধ পরিস্থিতি মোকাবিলায় মনোবল শক্ত করেছে। তার ‘এক সাগর রক্তের বিনিময়ে’ গানটি শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে নিবেদিত একটি গান। যারা আমাদের বিজয়ের জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন, তাদের প্রতি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়ার গান, আমরা তোমাদের ভুলবো না। তোমাদের মৃত্যু বৃথা যাবে না। এ দেশ স্বাধীন হবেই।
একাত্তরে এরকম অসংখ্য গান প্রচারিত হয়েছিলো স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে। যে গানের পিছনে ছিলো এমনি অজস্র ছোট ছোট অসাধারণ কাহিনী। আর সেগুলো রক্তাক্ত যুদ্ধের মাঝেও মানুষকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছিলো। তার প্রমাণ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে পাঠানো জনতা আর মুক্তিযোদ্ধাদের অজস্র চিঠি। স্বাধীনতার পটভূমিতে এই গানগুলো যে মনোবল আর সাহস আপামর জনতা আর মুক্তিযোদ্ধাদের দিয়েছিলো তা অতুলনীয়। বিজয় দিবসে সেইসব গানের গীতিকার, সুরকার, শিল্পীসহ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট সকলকে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।