সানী জুবায়ের
‘কেন মেঘের ছায়া’ অ্যালবামটি কবে বের হলো?
১১ জুলাই বেরিয়েছে। নজরুলসংগীত নিয়ে। বের করেছে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন। প্রকাশনা অনুষ্ঠান হবে রোজার পর। তাই অ্যালবামটির খবর অনেকেই জানেন না। এখানে আমি কাজী নজরুল ইসলামের খুব জনপ্রিয় কিছু গান গেয়েছি।
আপনার ছয়টি অ্যালবামই আধুনিক গানের। নজরুলসংগীত কবে থেকে করছেন?
পাঁচ বছর বয়সে প্রথম যে গানটি শিখেছিলাম, সেটি ছিল নজরুলের গান। বাসায় নজরুলের গানের একটা পরিবেশ ছিল। আমার নানা কবি মঈনুদ্দীন ছিলেন কাজী নজরুল ইসলামের বন্ধু। নজরুল আর প্রমিলার বিয়ের সাক্ষী ছিলেন তিনি। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে হুগলি জেলে তাঁরা একসঙ্গে ছিলেন। আমার মা অনেক দিন থেকে নজরুলের গানের একটি অ্যালবাম করার জন্য বলছিলেন। এবার সুযোগটা পেয়ে গেলাম।
আপনি তো গানের প্রশিক্ষণের সঙ্গেও জড়িত। এখন কী করছেন?
মাস ছয়েক হলো বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী আমাকে একটি দায়িত্ব দিয়েছে। ‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল সিম্ফনি অর্কেস্ট্রা’ তৈরি করছি আমরা। সপ্তাহে দুই দিন করে শিল্পীদের নিয়ে বসছি। ওয়েস্টার্ন নোটেশনের মাধ্যমে আমরা কাজ করছি। আশা করছি, ভবিষ্যতে সত্যিকার অর্থে আন্তর্জাতিক মানের একটি বড় গানের দল তৈরি হবে।
১১ জুলাই বেরিয়েছে। নজরুলসংগীত নিয়ে। বের করেছে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন। প্রকাশনা অনুষ্ঠান হবে রোজার পর। তাই অ্যালবামটির খবর অনেকেই জানেন না। এখানে আমি কাজী নজরুল ইসলামের খুব জনপ্রিয় কিছু গান গেয়েছি।
আপনার ছয়টি অ্যালবামই আধুনিক গানের। নজরুলসংগীত কবে থেকে করছেন?
পাঁচ বছর বয়সে প্রথম যে গানটি শিখেছিলাম, সেটি ছিল নজরুলের গান। বাসায় নজরুলের গানের একটা পরিবেশ ছিল। আমার নানা কবি মঈনুদ্দীন ছিলেন কাজী নজরুল ইসলামের বন্ধু। নজরুল আর প্রমিলার বিয়ের সাক্ষী ছিলেন তিনি। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে হুগলি জেলে তাঁরা একসঙ্গে ছিলেন। আমার মা অনেক দিন থেকে নজরুলের গানের একটি অ্যালবাম করার জন্য বলছিলেন। এবার সুযোগটা পেয়ে গেলাম।
আপনি তো গানের প্রশিক্ষণের সঙ্গেও জড়িত। এখন কী করছেন?
মাস ছয়েক হলো বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী আমাকে একটি দায়িত্ব দিয়েছে। ‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল সিম্ফনি অর্কেস্ট্রা’ তৈরি করছি আমরা। সপ্তাহে দুই দিন করে শিল্পীদের নিয়ে বসছি। ওয়েস্টার্ন নোটেশনের মাধ্যমে আমরা কাজ করছি। আশা করছি, ভবিষ্যতে সত্যিকার অর্থে আন্তর্জাতিক মানের একটি বড় গানের দল তৈরি হবে।
১৯৯৩ সালের কথা। ইন্ডিয়ার 'কুমায়ুন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গিয়ে সানী জুবায়েরের পরিচয় হয় ওস্তাদ বড় গুলাম আলী খানের দুই নাতি মাজহার আলী খান ও যাওয়াদ আলী খানের সঙ্গে। সেখানে পাটিয়ালা ঘরানার গান শেখার সুযোগ মেলে তাঁর। ইচ্ছা ছিল ক্লাসিক্যাল করার। সানী জুবায়ের বলেন, "প্রথম দিন সেখানে 'আমার নয়নে নয়ন রাখি' গানটি শুনে তাঁরা বলেছিলেন তোমার গলায় গজল বেশ ভালো মানাবে। গজলের প্রতি মনোযোগী হও। এত গুণী শিল্পীর কাছে গান শিখতে পারাটা ছিল আমার জন্য বড় একটা পাওয়া। পরিচয়ের আগে জানতামই না তাঁরা দিলি্লতে থাকেন। এখনো সুযোগ পেলে তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে যাই।"
ইন্ডিয়ায় পড়াশোনা শেষ করে ওয়েস্টার্ন সংগীত আয়ত্ত করতে সানী জুবায়ের পাড়ি জমান সুইডেন। সেখানকার 'গটল্যান্ড স্কুল অব মিউজিক' থেকে দুই বছরের অধ্যয়ন শেষ করে ভর্তি হন 'রয়েল অব মিউজিক'-এ। সেখানে ভর্তির সুযোগ পাওয়াটা ছিল বেশ কঠিন। মোট ৮০ জন শিক্ষার্থী থেকে দুজনকে বাছাই করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে একজন সানী জুবায়ের। ২০০২ সালে সেই কলেজ থেকে সংগীতায়োজক বিভাগে সম্মাননা পান এই গায়ক।
এর মাঝে প্রকাশ হয় সানীর গানের অ্যালবাম। ১৯৯৮ সালে আসে তাঁর প্রথম একক 'সাড়া'। অ্যালবামটি ভালোই সাড়া ফেলে শ্রোতামহলে। এরপর প্রকাশ পেতে থাকে একক অ্যালবাম 'নির্জন স্বাক্ষর', 'আপনা খায়াল' 'অজস্র কবিতা' 'অদ্ভুত আঁধার এক' পুরোপুরি অ্যাকুস্টিকনির্ভর এ অ্যালবামে পাঁচটি গানের লেখা ও সুর তাঁর নিজের। বাকি তিনটি গানের কথা লিখেছেন কাওসার আহমেদ চৌধুরী, সুর করেছেন লাকী আখ্ন্দ। এরই মাঝে এ অ্যালবামের গানগুলোও শ্রোতারা পছন্দ করেছেন। নামকরণের বিষয়ে তিনি বলেন, "এই শিরোনামের একটি কবিতা রয়েছে জীবনানন্দ দাশের। সেখানে তিনি 'অদ্ভুত আঁধার' শব্দ দুটি ব্যবহার করেছেন। বর্তমানে আমাদের অস্বচ্ছ সমাজব্যবস্থা, অবমূল্যায়ন, রাজনৈতিক কার্যকলাপ সব মিলিয়ে একটা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা। সুন্দর সকালের স্বপ্ন দেখতে পারছি না। এ দৃশ্যপটকেই গানের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। আমার গানে জীবনানন্দ দাশের কবিতার কিছু প্রভাব রয়েছে।"
নিজস্ব গান তৈরির পাশাপাশি আলিয়ঁস ফ্রসেস ও এআইএসডিতে ওয়েস্টার্ন ক্লাসিক্যালের ওপর শিক্ষকতা করছেন সানী জুবায়ের। ভালোমানের সংগীত পরিচালক হওয়ার পাশাপাশি আমাদের দেশ থেকে যেসব অ্যাকুস্টিক বাদ্যযন্ত্র বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে সেগুলোকে সংরক্ষণ করতে চান তিনি। 'বর্তমানে গান তৈরিতে সফটওয়্যারের যে আধিপত্য দেখা যাচ্ছে এভাবে চলতে থাকলে একসময় গানের আসল স্বাদ হারিয়ে যাবে। বিলীন হয়ে যাবে আমাদের দেশি সংস্কৃতির বাদ্যযন্ত্রগুলো।' সানী জুবায়েরের স্বপ্ন ক্ল্যাসিক্যাল সংগীতের যাত্রী হিসেবে বেঁচে থাকার। এ যাত্রায় হেঁটে যেতে চান অন্তহীন পথে। আপন মনে। আপন সুরের মায়াজালে।
ইন্ডিয়ায় পড়াশোনা শেষ করে ওয়েস্টার্ন সংগীত আয়ত্ত করতে সানী জুবায়ের পাড়ি জমান সুইডেন। সেখানকার 'গটল্যান্ড স্কুল অব মিউজিক' থেকে দুই বছরের অধ্যয়ন শেষ করে ভর্তি হন 'রয়েল অব মিউজিক'-এ। সেখানে ভর্তির সুযোগ পাওয়াটা ছিল বেশ কঠিন। মোট ৮০ জন শিক্ষার্থী থেকে দুজনকে বাছাই করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে একজন সানী জুবায়ের। ২০০২ সালে সেই কলেজ থেকে সংগীতায়োজক বিভাগে সম্মাননা পান এই গায়ক।
এর মাঝে প্রকাশ হয় সানীর গানের অ্যালবাম। ১৯৯৮ সালে আসে তাঁর প্রথম একক 'সাড়া'। অ্যালবামটি ভালোই সাড়া ফেলে শ্রোতামহলে। এরপর প্রকাশ পেতে থাকে একক অ্যালবাম 'নির্জন স্বাক্ষর', 'আপনা খায়াল' 'অজস্র কবিতা' 'অদ্ভুত আঁধার এক' পুরোপুরি অ্যাকুস্টিকনির্ভর এ অ্যালবামে পাঁচটি গানের লেখা ও সুর তাঁর নিজের। বাকি তিনটি গানের কথা লিখেছেন কাওসার আহমেদ চৌধুরী, সুর করেছেন লাকী আখ্ন্দ। এরই মাঝে এ অ্যালবামের গানগুলোও শ্রোতারা পছন্দ করেছেন। নামকরণের বিষয়ে তিনি বলেন, "এই শিরোনামের একটি কবিতা রয়েছে জীবনানন্দ দাশের। সেখানে তিনি 'অদ্ভুত আঁধার' শব্দ দুটি ব্যবহার করেছেন। বর্তমানে আমাদের অস্বচ্ছ সমাজব্যবস্থা, অবমূল্যায়ন, রাজনৈতিক কার্যকলাপ সব মিলিয়ে একটা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা। সুন্দর সকালের স্বপ্ন দেখতে পারছি না। এ দৃশ্যপটকেই গানের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। আমার গানে জীবনানন্দ দাশের কবিতার কিছু প্রভাব রয়েছে।"
নিজস্ব গান তৈরির পাশাপাশি আলিয়ঁস ফ্রসেস ও এআইএসডিতে ওয়েস্টার্ন ক্লাসিক্যালের ওপর শিক্ষকতা করছেন সানী জুবায়ের। ভালোমানের সংগীত পরিচালক হওয়ার পাশাপাশি আমাদের দেশ থেকে যেসব অ্যাকুস্টিক বাদ্যযন্ত্র বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে সেগুলোকে সংরক্ষণ করতে চান তিনি। 'বর্তমানে গান তৈরিতে সফটওয়্যারের যে আধিপত্য দেখা যাচ্ছে এভাবে চলতে থাকলে একসময় গানের আসল স্বাদ হারিয়ে যাবে। বিলীন হয়ে যাবে আমাদের দেশি সংস্কৃতির বাদ্যযন্ত্রগুলো।' সানী জুবায়েরের স্বপ্ন ক্ল্যাসিক্যাল সংগীতের যাত্রী হিসেবে বেঁচে থাকার। এ যাত্রায় হেঁটে যেতে চান অন্তহীন পথে। আপন মনে। আপন সুরের মায়াজালে।
সঙ্গীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করছেন সানী জুবায়ের (২০০৮)
সানী জুবায়ের পরিচালিত ঢাকা মিউজিক কনজারভেটরি সেমিস্টার ভিত্তিক নিয়মিত সঙ্গীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। এ প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গীত শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টি এবং সে সঙ্গে দেশীয় সঙ্গীতের সমন্বয় সাধন। দেশীয় সঙ্গীতের সঙ্গে পাশ্চাত্য সঙ্গীতের সমন্বয়ে এ প্রতিষ্ঠানের সিলেবাস হবে আন্তর্জাতিক মানের। এ প্রতিষ্ঠানে রয়েছে তবলা-পাখোয়াজ, বেহালা-সেলো, ক্লাসিকাল গিটার, ইনডিয়ার উচ্চাঙ্গ কণ্ঠসঙ্গীত, সঙ্গীতের ইতিহাস তত্ত্বীয়, আধুনিক সঙ্গীত ইত্যাদি। এসব বিভাগে শিক্ষা দেবেন প্রাতিষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃত ও খ্যাতিমান শিক্ষকরা। প্রতিটি বিভাগের জন্য রয়েছে দুই বছরের ডিপ্লোমা কোর্স। এ কোর্স সম্পন্ন হবে ছয় সেমিস্টারে। প্রতিটি সেমিস্টার হবে চার মাস মেয়াদি। প্রতি সেমিস্টারের জন্য শিক্ষার্থীদের দিতে হবে ছয় হাজার টাকা। মাসিক ফি দিতে হবে ৫০০ টাকা। একজন ভর্তিচ্ছু ন্যূনতম ৬ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে ভর্তি হতে পারবে। ক্লাসের স্থান ও ভর্তির জন্য যোগাযোগের ঠিকানা- ৬২ সায়েন্স ল্যাবরেটরি রোড, ঢাকা-১২০৫।