উপলক্ষ্যের গান
প্রতিদিন অগনিত ঘটনা ঘটে পৃথিবীতে। কোনটি শুধুই ঘটনা বা দূর্ঘটনা আবার কোনটি আমাদের আলোরিত করে আবার কোনটি আমাদের ডুবিয়ে দেয় বিষাদে। আমরা কোনটিতে উচ্ছাস প্রকাশ করি কোনটিতে ক্ষোভ। তেমনি গীতিকার সুরকার ও কন্ঠশিল্পীরাও তা প্রকাশ করেন তাদের নিজস্ব সৃষ্টিস্বত্তা দিয়ে। তাদের সেই সৃষ্টিগুলো তুলে ধরাই আমাদের এই বিভাগের উদ্দেশ্য...
বিশ্বজিৎকে নিয়ে প্রীতমের গান
কথা,সুর ও কণ্ঠঃ প্রীতম আহমেদ । প্রকাশকালঃ ১৮ ডিসেম্বর ২০১২
"রাম-রহিমের দেশে আমি হিন্দুর সন্তান
আমার নাম বিশ্বজিত, বন্ধুরা মুসলমান
কাপড় খুলে দেখো কোথাও ধানের শীষ নেই
আমার বাপ-দাদাও ভোট দিয়েছে এই নৌকাতেই
দোহাই লাগে চাপাতিতে কুপিওনা আর
আমি নই জামাত-শিবির অথবা রাজাকার
আমার খালেদা জিয়া, শেখ হাসিনার সাথে বিরোধ নেই
আমার চৌদ্দ পুরুষের ভিটা এই বাংলাতেই
রাম রহিমের দেশে আমি হিন্দুর সন্তান
আমার নাম বিশ্বজিত বন্ধুরা মুসলমান"
কথা,সুর ও কণ্ঠঃ প্রীতম আহমেদ
আমার নাম বিশ্বজিত, বন্ধুরা মুসলমান
কাপড় খুলে দেখো কোথাও ধানের শীষ নেই
আমার বাপ-দাদাও ভোট দিয়েছে এই নৌকাতেই
দোহাই লাগে চাপাতিতে কুপিওনা আর
আমি নই জামাত-শিবির অথবা রাজাকার
আমার খালেদা জিয়া, শেখ হাসিনার সাথে বিরোধ নেই
আমার চৌদ্দ পুরুষের ভিটা এই বাংলাতেই
রাম রহিমের দেশে আমি হিন্দুর সন্তান
আমার নাম বিশ্বজিত বন্ধুরা মুসলমান"
কথা,সুর ও কণ্ঠঃ প্রীতম আহমেদ
১৮ দলের ডাকা অবরোধ কর্মসূচির দিন ৯ ডিসেম্বর নিরীহ পথচারী বিশ্বজিৎ দাসকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার দৃশ্য দেখে আঁতকে উঠেছিল সারা দেশের মানুষ। সেই বিশ্বজিৎকে নিয়ে গান তৈরি করলেন সংগীতশিল্পী প্রীতম আহমেদ। ‘রাম রহিমের দেশে আমি হিন্দুর সন্তান/ আমার নাম বিশ্বজিৎ, বন্ধুরা মুসলমান’ গানটির কথা ও সুরের পাশাপাশি এতে কণ্ঠও দিয়েছেন প্রীতম। এর আগে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার,ফেলানী ও সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিষয়বস্তু নিয়ে গান তৈরি করেছিলেন প্রীতম।
বিশ্বজিৎকে নিয়ে গান তৈরি প্রসঙ্গে প্রীতম বলেন, ‘অসাম্প্রদায়িক একটি দেশের নাম বাংলাদেশ। কিন্তু ধর্ম নিয়ে আমাদের দেশে হানাহানি লেগেই আছে। ধর্মভিত্তিক রাজনীতি করতে গিয়ে একের পর এক তাজা প্রাণ ঝরে যাচ্ছে।’
প্রীতম বলেন, ‘সম্প্রতি বিশ্বজিৎকে সবার সামনে যেভাবে হত্যা করা হলো, তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। দেশের একজন সচেতন নাগরিক ও শিল্পী হিসেবে কর্তব্যবোধের জায়গা থেকেই বিশ্বজিৎকে নিয়ে গান বেঁধেছি।’
প্রীতম আরও বলেন, ‘বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শী দেশের ১৬ কোটি মানুষ। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর, ছবি ও ভিডিও দেখে হত্যাকারীদের শনাক্ত করতে পারব আমরা সবাই। অথচ মামলার এজাহারে গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিদের সন্দেহভাজন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বিষয়টি আমাকে যারপরনাই অবাক করেছে। আসলে, এই দেশে আপনি কিংবা আমি কেউই নিরাপদ নই। স্বজন হারানোর যে কী যাতনা তা আমি বুঝি। কারণ, আমার ভাইকে খুন করা হয়েছিল। খুনিরা শনাক্ত না হওয়ায় আমার ভাইয়ের খুনের বিচার আমি পাইনি। কিন্তু বিশ্বজিতের খুনিদের তো সবাই চেনে। যেকোনো উপায়ে নির্মম এই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক বিচার করতে হবে।’
বিশ্বজিৎকে নিয়ে গান তৈরি প্রসঙ্গে প্রীতম বলেন, ‘অসাম্প্রদায়িক একটি দেশের নাম বাংলাদেশ। কিন্তু ধর্ম নিয়ে আমাদের দেশে হানাহানি লেগেই আছে। ধর্মভিত্তিক রাজনীতি করতে গিয়ে একের পর এক তাজা প্রাণ ঝরে যাচ্ছে।’
প্রীতম বলেন, ‘সম্প্রতি বিশ্বজিৎকে সবার সামনে যেভাবে হত্যা করা হলো, তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। দেশের একজন সচেতন নাগরিক ও শিল্পী হিসেবে কর্তব্যবোধের জায়গা থেকেই বিশ্বজিৎকে নিয়ে গান বেঁধেছি।’
প্রীতম আরও বলেন, ‘বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শী দেশের ১৬ কোটি মানুষ। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর, ছবি ও ভিডিও দেখে হত্যাকারীদের শনাক্ত করতে পারব আমরা সবাই। অথচ মামলার এজাহারে গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিদের সন্দেহভাজন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বিষয়টি আমাকে যারপরনাই অবাক করেছে। আসলে, এই দেশে আপনি কিংবা আমি কেউই নিরাপদ নই। স্বজন হারানোর যে কী যাতনা তা আমি বুঝি। কারণ, আমার ভাইকে খুন করা হয়েছিল। খুনিরা শনাক্ত না হওয়ায় আমার ভাইয়ের খুনের বিচার আমি পাইনি। কিন্তু বিশ্বজিতের খুনিদের তো সবাই চেনে। যেকোনো উপায়ে নির্মম এই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক বিচার করতে হবে।’
গার্মেন্টস শ্রমিকের অন্যায্য মজুরি আর অন্যায় মৃত্যুর
প্রতিবাদে শিল্পী কফিল আহমেদের একটি গান
আমারে আগুনে পুড়িয়ে মেরে প্রেস নোট চাই না ...
কণ্ঠ, কথা ও সুরঃ কফিল আহমেদ । প্রকাশকালঃ ২৫ নভেম্বর ২০১২
গত ২৫ বছর ধরে অবিরাম আপোসহীন লড়াইয়ে বাংলা গানের ধারায় কফিল আহমেদ যুক্ত করেছেন এক নতুন মাত্রা। গার্মেন্টস শ্রমিকের অন্যায্য মজুরি আর অন্যায় মৃত্যুর প্রতিবাদে শিল্পী কফিল আহমেদের একটি গান।
কণ্ঠ, কথা ও সুরঃ কফিল আহমেদ । প্রকাশকালঃ ২৫ নভেম্বর ২০১২
গত ২৫ বছর ধরে অবিরাম আপোসহীন লড়াইয়ে বাংলা গানের ধারায় কফিল আহমেদ যুক্ত করেছেন এক নতুন মাত্রা। গার্মেন্টস শ্রমিকের অন্যায্য মজুরি আর অন্যায় মৃত্যুর প্রতিবাদে শিল্পী কফিল আহমেদের একটি গান।
হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে গান
থমকে আছে সেই পুরনো চেয়ার/পাণ্ডুলিপি ও কলমটা তাঁর/
নির্জন রাত কুরে খেয়ে চলে গুণ/শুধু নেই সাহিত্যিক হুমায়ূন
কণ্ঠ, কথা ও সুরঃ মৃদুল । সঙ্গীতঃ শাহ নওয়াজ লিমন । প্রকাশকালঃ ১৩ নভেম্বর ২০১২
হুমায়ূন আহমেদ স্মরণে গান করলেন মৃদুল আহমেদ। 'থমকে আছে সেই পুরনো চেয়ার/পাণ্ডুলিপি ও কলমটা তাঁর/নির্জন রাত কুরে খেয়ে চলে গুণ/শুধু নেই সাহিত্যিক হুমায়ূন' এমন কথার গানটিতে কণ্ঠ দেওয়ার পাশাপাশি রচনা ও সুর করেছেন মৃদুল। সংগীত করেছেন শাহ নওয়াজ লিমন। সম্প্রতি নুহাশপল্লীতে গানটির মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করা হয়। ভিডিওটি পরিচালনা করেছেন লিয়াকত গালিব। হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন উপলক্ষে গতকাল থেকে বিভিন্ন বেতার ও টেলিভিশনে গানটির প্রচার শুরু হয়েছে।
গল্পের জাদুকর
কণ্ঠ, লেখা ও সুর: চমক হাসান । গিটার ও কমপোজিশন: ফজলে রাব্বি । প্রকাশকালঃ নভেম্বর ২০১২
এই ব্যস্ত নগরের অলিগলি ধরে কোন এক জোছনা রাতে
হাঁটছিল সে নিয়ন আলোতে ক’টি নীলপদ্ম হাতে
হাঁটতে হাঁটতে পৌঁছে গেল ময়ূরাক্ষীর তীরে যেই
হঠাৎ দেখে শূন্য সবই কোথাও কেউ নেই
রুপা একা জানালায় এখনও জানে না সে হায়
হিমু আর কোনদিন, কোনদিন আসবে না
সব যুক্তির মায়াজাল রহস্যের সব দেয়াল
মিসির আলী আর কোনদিন, কোনদিন ভাঙবে না
পেয়ে গেছে খবর সে, তাই প্রার্থনা নিরন্তর
তুমি শান্তিতে ঘুমাও গল্পের জাদুকর!
আর কোন ট্রেনে হবে না ফেরা তার গৌরীপুর জংশনে
বিশুদ্ধ মানুষ হতে পারবে কি শুভ্র প্রশ্ন রয়েই যাবে মনে
গৃহত্যাগী জোছনায় দরদী গলায় গাতক মতি মিয়া গাইবে না
হাওরের মাঝি আর করবে না পারাপার, ভাটির দেশের নাও বাইবে না
চিত্রা, বাদল, জরী, পারুল হারালো অচিনপুরেই
শেষে, অনন্ত নক্ষত্রবীথি ছাড়া আর কোথাও কেউ নেই
রুপা একা জানালায় এখনও জানে না সে হায় --- গল্পের জাদুকর
বিতর্কের জাল জানি রবে চিরকাল ঘিরে তোমারই চারিদিকে
তবু তুমি রবে বেঁচে তোমার সৃষ্টির মাঝে তোমারই এ নন্দিত নরকে
তোমারই সাথে কত অদ্ভুত পথে যে পথিক হেঁটে গেছে আলো আঁধারে
তুমি রবে বেঁচে সেই পথিকের বুকে ভালোবাসার শঙ্খনীল কারাগারে...
হাঁটছিল সে নিয়ন আলোতে ক’টি নীলপদ্ম হাতে
হাঁটতে হাঁটতে পৌঁছে গেল ময়ূরাক্ষীর তীরে যেই
হঠাৎ দেখে শূন্য সবই কোথাও কেউ নেই
রুপা একা জানালায় এখনও জানে না সে হায়
হিমু আর কোনদিন, কোনদিন আসবে না
সব যুক্তির মায়াজাল রহস্যের সব দেয়াল
মিসির আলী আর কোনদিন, কোনদিন ভাঙবে না
পেয়ে গেছে খবর সে, তাই প্রার্থনা নিরন্তর
তুমি শান্তিতে ঘুমাও গল্পের জাদুকর!
আর কোন ট্রেনে হবে না ফেরা তার গৌরীপুর জংশনে
বিশুদ্ধ মানুষ হতে পারবে কি শুভ্র প্রশ্ন রয়েই যাবে মনে
গৃহত্যাগী জোছনায় দরদী গলায় গাতক মতি মিয়া গাইবে না
হাওরের মাঝি আর করবে না পারাপার, ভাটির দেশের নাও বাইবে না
চিত্রা, বাদল, জরী, পারুল হারালো অচিনপুরেই
শেষে, অনন্ত নক্ষত্রবীথি ছাড়া আর কোথাও কেউ নেই
রুপা একা জানালায় এখনও জানে না সে হায় --- গল্পের জাদুকর
বিতর্কের জাল জানি রবে চিরকাল ঘিরে তোমারই চারিদিকে
তবু তুমি রবে বেঁচে তোমার সৃষ্টির মাঝে তোমারই এ নন্দিত নরকে
তোমারই সাথে কত অদ্ভুত পথে যে পথিক হেঁটে গেছে আলো আঁধারে
তুমি রবে বেঁচে সেই পথিকের বুকে ভালোবাসার শঙ্খনীল কারাগারে...
সাগর-রুনিকে নিয়ে প্রীতমের গান
'পিংকী প্রামাণিক অথবা ফেলানি, একই সীমান্তের এপার-ওপারে একই কাহিনী, বাড়ছে রাষ্ট্রীয় ভুল, ঝরে যায় তাজা ফুল, যেমন আমাদের সাগর-রুনি তোমরা ঘুমাও নাকি ঘুমান বিধাতা, তাই বেঁচে যায় ওদের খুনি...। এমনি একটি গানের কথা নিয়ে এবার গান গেয়েছেন কণ্ঠশিল্পী প্রীতম। গানের কথা ও সুর করেছেন প্রীতম নিজেই। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ গানটির মধ্য দিয়ে আমি শুধু সাগর-রুনির মৃত্যুর প্রতিবাদ জানায়নি। আমি প্রতিবাদ জানিয়েছি প্রিংকী প্রামাণিক, ফেলানি এমন আরও অনেক নারীর_ যাদের মৃত্যুর বিচার হয়নি এখনো। এ গানটি থাকছে ভালোবাসা দিবসে আসা প্রিতমের একক অ্যালবামে। এ ছাড়া ১৬ ডিসেম্বর প্রকাশ পাচ্ছে তার নতুন ব্যান্ড 'স্লোগান'-এর অভিষেক অ্যালবাম। অ্যালবামটির সম্ভাব্য নাম রাখা হয়েছে 'গেরিলা ৭১'। এরই মধ্যে অ্যালবামের প্রায় সবক'টি গান রেকর্ড শেষ। চলছে চূড়ান্ত পর্বের কাটাকুটি। তিনি আরও বলেন, ২০০৭ সালে আমার একক 'স্লোগান' প্রকাশের পর থেকেই এই ব্যান্ডের জন্ম। এতদিন আমরা শুধু প্র্যাকটিস প্যাড আর স্টেজে বাজিয়েছি। এই সময়ে এসে মনে হলো এবার আমরা অ্যালবামে যেতে পারি। এমন সিদ্ধান্তের পরও আমরা প্রায় এক বছর সময় নিয়েছি। গেল এক বছরে আমরা নিজেদের ভাবনায় বেশ কিছু গান করেছি'।
ফেলানীকে নিয়ে শহরতলী ব্যান্ডের গান
শহরতলী'র "ফেলানী'২০১১"
কথা: গালিব । সুর: মিশু । আবৃত্তি: সোহাগ । মূল কবিতা: রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ । প্রকাশকালঃ অক্টোবর ২০১২
একটা রাইফেল, একটা সীমান্ত।
একটা ভিনদেশী বুলেটের আততায়ী অনুপ্রবেশ।
কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলছে কিশোরীর লাশ!
ধর্ষিত পতাকায় আমার অক্ষম বর্ধিত দীর্ঘশ্বাস
ফেলানী -
আমার ভৌগলিক সীমান্তে লুণ্ঠিত জাতীয়তা।
কাঁটাতারে গেঁথে রাখা ভণ্ডামির মানবতা।
ফেলানী -
আমার কুৎসিত মৈত্রী সমৃদ্ধির বেশ্যা প্রবৃত্তি।
ভাড়ামির বন্ধুতার দায় দণ্ডিত জাতির পতাকা।
তবু জেনে রাখিস ফেলানী, বন্ধুত্ব করেছিলাম ভালোবাসায়।
একাত্তরের অভিধান আমি এখনো বেঁচেনি।
"আজো আমি বাতাসে লাশের গন্ধ পাই,
আজো আমি মাটিতে মৃত্যুর নগ্ননৃত্য দেখি,
ধর্ষিতার কাতর চিৎকার শুনি আজো আমি তন্দ্রার ভেতর-
এ দেশ কি ভুলে গেছে সেই দু:স্বপ্নের রাত,
সেই রক্তাক্ত সময়?
রক্তের কাফনে মোড়া কুকুরে খেয়েছে যারে,
শকুনে খেয়েছে যারে; সে আমার ভাই, সে আমার মা,
সে আমার প্রিয়তম পিতা।
স্বাধীনতা -
এ কি তবে নষ্ট জন্ম?
এ কি তবে পিতাহীন জননীর লজ্জার ফসল?
জাতির পতাকা আজ খামচে ধরেছে সেই পুরনো শকুন!
বাতাসে লাশের গন্ধ ভাসে
মাটিতে লেগে আছে রক্তের দাগ
বাতাসে লাশের গন্ধ ভাসে
বাতাসে লাশের গন্ধ ভাসে
......................................"
ফেলানী আমার -
তোর জীবনের দামে চুপ মেরে থাকে দেশের সম্ভ্রম!
আমিও ওদের মতো নির্লজ্জ জনগণ।
আমায় ক্ষমা করিস ফেলানী!
১৪ কোটি জনগণ তোকে বাঁচাতে পারেনি!
_____
একটা ভিনদেশী বুলেটের আততায়ী অনুপ্রবেশ।
কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলছে কিশোরীর লাশ!
ধর্ষিত পতাকায় আমার অক্ষম বর্ধিত দীর্ঘশ্বাস
ফেলানী -
আমার ভৌগলিক সীমান্তে লুণ্ঠিত জাতীয়তা।
কাঁটাতারে গেঁথে রাখা ভণ্ডামির মানবতা।
ফেলানী -
আমার কুৎসিত মৈত্রী সমৃদ্ধির বেশ্যা প্রবৃত্তি।
ভাড়ামির বন্ধুতার দায় দণ্ডিত জাতির পতাকা।
তবু জেনে রাখিস ফেলানী, বন্ধুত্ব করেছিলাম ভালোবাসায়।
একাত্তরের অভিধান আমি এখনো বেঁচেনি।
"আজো আমি বাতাসে লাশের গন্ধ পাই,
আজো আমি মাটিতে মৃত্যুর নগ্ননৃত্য দেখি,
ধর্ষিতার কাতর চিৎকার শুনি আজো আমি তন্দ্রার ভেতর-
এ দেশ কি ভুলে গেছে সেই দু:স্বপ্নের রাত,
সেই রক্তাক্ত সময়?
রক্তের কাফনে মোড়া কুকুরে খেয়েছে যারে,
শকুনে খেয়েছে যারে; সে আমার ভাই, সে আমার মা,
সে আমার প্রিয়তম পিতা।
স্বাধীনতা -
এ কি তবে নষ্ট জন্ম?
এ কি তবে পিতাহীন জননীর লজ্জার ফসল?
জাতির পতাকা আজ খামচে ধরেছে সেই পুরনো শকুন!
বাতাসে লাশের গন্ধ ভাসে
মাটিতে লেগে আছে রক্তের দাগ
বাতাসে লাশের গন্ধ ভাসে
বাতাসে লাশের গন্ধ ভাসে
......................................"
ফেলানী আমার -
তোর জীবনের দামে চুপ মেরে থাকে দেশের সম্ভ্রম!
আমিও ওদের মতো নির্লজ্জ জনগণ।
আমায় ক্ষমা করিস ফেলানী!
১৪ কোটি জনগণ তোকে বাঁচাতে পারেনি!
_____
মালালাকে নিয়ে ফরায়েজীর কথায় বিপ্লব
তালেবানদের ফতোয়ার কারণে পাকিস্তানের মেয়েদের স্কুলে যাওয়া যখন নিষিদ্ধ, তখন এই ফতোয়ার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে ১৪ বছরের কিশোরী মেয়ে মালালা ইউসুফ জাই। মানুষকে আলোকিত পথে এগিয়ে নেয়ার এই সংগ্রাম করতে গিয়ে অন্ধকারের শক্তি মালালাকে বুলেট উপহার দিয়েছে। সেই অন্ধকারের বিরুদ্ধে মালালাকে নিয়ে বরেণ্য গীতিকবি শহিদুল্লাহ ফরায়েজী ইতিমধ্যে একটি গান লিখেছেন, যা মানবজমিনে প্রকাশিতও হয়েছে। ফরায়েজীর লেখা এই গানটি এবার শোনা যাবে ব্যান্ড তারকা বিপ্লবের কণ্ঠে। ইতিমধ্যে এই গানটির রেকর্ডিংও শেষ করেছেন বিপ্লব। ‘মালালা মালালা, তুমি হৃদয়ের অনুভূতি’- শীর্ষক এই গানটি এরই মধ্যে প্রকাশ করা হয়েছে বিপ্লব ও প্রমিথিউসের নিজস্ব ওয়েবসাইটে। পাশাপাশি ‘জিরো বিডি ডট কম’ এও প্রকাশিত হয়েছে এই গানটি। এ বিষয়ে বিপ্লব বলেন, আসলে আমি ও প্রমিথিউস সব সময়ই অন্ধকারের শক্তির বিরুদ্ধে। সেই শক্তির বিরুদ্ধে ১৪ বছর বয়সী মালালা সংগ্রাম করতে গিয়ে যখন বুলেটের শিকার, তখন তার পক্ষে একজন কণ্ঠ সৈনিক হিসেবে এই গানটি করা। মানবজমিনে যখন দেখলাম ফরায়েজী ভাই এরকম একটি বিষয় নিয়ে গান লিখেছেন তখনই তার সঙ্গে আলোচনা করে গানটির সুর-সংগীতায়োজন করলাম এবং গানটি রেকর্ডিং করলাম। আশা করছি গানটি সবার ভাল লাগবে। এ বিষয় শহিদুল্লাহ ফরায়েজী বলেন, মালালার সঙ্গে ঘটনাটি ঘটার পরই বিবেকের তাড়নায় গানটি লিখি, যেটা পত্রিকায় ছাপাও হয়েছে। এরপর বিপ্লব আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে গানটি তোলার জন্য। অবশেষে বেশ ভালই দাঁড়িয়েছে গানটি। অন্ধকারের বিরুদ্ধে আমরা যারা রয়েছি তাদের অন্তত গানটি ভাল লাগবে বলেই আমার বিশ্বাস।
তথ্যসূত্রঃ মানবজমিন ২৫ অক্টোবর ২০১২
তথ্যসূত্রঃ মানবজমিন ২৫ অক্টোবর ২০১২
মালালা মালালা
কথাঃ শহিদুল্লাহ ফরায়েজী সুর ও সঙ্গীতঃ বিপ্লব ইংরেজী অনুবাদঃ রনি রায় |
মালালা মালালা
তুমি হৃদয়ের অনুভূতি তুমি বিবেকের প্রতিশ্রুতি ফিরে এসো মানুষের কাছে প্রাণের আকুতি পৃথিবীর আকুতি ॥ আশার বুকে বুলেট ঘৃণার চারদিকে অন্ধকার তবু আলো জ্বালিয়ে দিলে সূর্য যেন হাতে তোমার তুমি হৃদয়ের অনুভূতি তুমি বিবেকের প্রতিশ্রুতি ॥ তুমি মানব অহংকার ফুটন্ত ফুল চেতনার তুমি হলে আশার বাতিঘর পতাকা মানবতার তুমি হৃদয়ের অনুভূতি তুমি বিবেকের প্রতিশ্রুতি ॥ |