'প্রজন্ম ৭১' : যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে তারেক মাসুদের গান
চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রয়াত তারেক মাসুদ ‘প্রজন্ম ৭১’ শিরোনামের একটি গান লিখেছিলেন ২০১১ সালে । যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে ওই গানটি গেয়েছেন ও সুর করেছেন তানভীর আলম সজীব। ‘তারেক মাসুদ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট’ এর উদ্যোগে তারেক মাসুদের লেখা ২০টি গান নিয়ে 'তারেক মাসুদের গান' শিরোনামের অ্যালবামে এটি স্থান পেয়েছে।
অ্যালবামটির প্রকাশ উপলক্ষে ২২ ডিসেম্বর রাজধানীর একটি রেস্টুরেন্টে তারেক মাসুদের স্ত্রী ক্যাথেরিন মাসুদ বলেন, ‘আমরা মনে করি প্রজন্ম ৭১ গানটি খুব প্রাসঙ্গিক। এর মাধ্যমেই আমরা তারেকের অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি । তার অংশ হিসেবেই এই উদ্যোগ।’
অনুষ্ঠানে ক্যাথেরিন আরো বলেন, ‘প্রকাশিত দু’টি সিডির প্রথম সিডিতে রয়েছে তারেকের ভাবনার আধুনিক ১১টি গান এবং দ্বিতীয় সিডিতে রয়েছে তারেকের লেখা ৯টি 'মারফতি' গান। এর বেশ কয়েকটি গান ব্যবহার করার হয়েছে ‘মুক্তির গান’, ‘মাটির ময়না’সহ অন্যান্য চলচ্চিত্রে। বিভিন্ন প্রসঙ্গে তারেক বেশ কিছু গান লিখে গেছেন, যা গেয়েছেন মমতাজ, বিপুল ভট্টাচার্য, আনুশেহ ও লাকি আখন্দের মতো আলোচিত শিল্পীরা। এই অ্যালবামের তিনটি গান আমরা সম্প্রতি রেকর্ড করেছি, ‘বাউল বলতে বলো বোঝায় কারে’, ‘মন দিয়া পড় আসল মাদ্রাসায়’ এবং ‘প্রজন্ম ৭১’।’
তিনি বলেন,‘একই সাথে আমরা আনন্দিত ‘নরসুন্দর’-এর ডিভিডি বের করতে পেরে। এটি ভক্তদের অনেক আকাঙ্খিত ছিলো। আমরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি তৈরি করি ২০১০ সালে, যেখানে মিশুক মুনিরও আমাদের সাথে ছিলেন চিত্রগ্রাহক হিসাবে। এতে যুদ্ধাপরাধী ও ঘাতক দালালদের একটি ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখানো হয়েছে। ডিভিডিটিতে আনুসঙ্গিক আরো রয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আলোকে চিত্রায়িত ‘একুশ’ এবং 'নরসুন্দর' নির্মাণ নিয়ে তারেক-মিশুককে স্মরণ করে একটি স্লাইড শো। এর পরিবেশক হিসাবে আমাদের সাথে আছে লেজার ভিশন।’
অ্যালবামটির প্রকাশ উপলক্ষে ২২ ডিসেম্বর রাজধানীর একটি রেস্টুরেন্টে তারেক মাসুদের স্ত্রী ক্যাথেরিন মাসুদ বলেন, ‘আমরা মনে করি প্রজন্ম ৭১ গানটি খুব প্রাসঙ্গিক। এর মাধ্যমেই আমরা তারেকের অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি । তার অংশ হিসেবেই এই উদ্যোগ।’
অনুষ্ঠানে ক্যাথেরিন আরো বলেন, ‘প্রকাশিত দু’টি সিডির প্রথম সিডিতে রয়েছে তারেকের ভাবনার আধুনিক ১১টি গান এবং দ্বিতীয় সিডিতে রয়েছে তারেকের লেখা ৯টি 'মারফতি' গান। এর বেশ কয়েকটি গান ব্যবহার করার হয়েছে ‘মুক্তির গান’, ‘মাটির ময়না’সহ অন্যান্য চলচ্চিত্রে। বিভিন্ন প্রসঙ্গে তারেক বেশ কিছু গান লিখে গেছেন, যা গেয়েছেন মমতাজ, বিপুল ভট্টাচার্য, আনুশেহ ও লাকি আখন্দের মতো আলোচিত শিল্পীরা। এই অ্যালবামের তিনটি গান আমরা সম্প্রতি রেকর্ড করেছি, ‘বাউল বলতে বলো বোঝায় কারে’, ‘মন দিয়া পড় আসল মাদ্রাসায়’ এবং ‘প্রজন্ম ৭১’।’
তিনি বলেন,‘একই সাথে আমরা আনন্দিত ‘নরসুন্দর’-এর ডিভিডি বের করতে পেরে। এটি ভক্তদের অনেক আকাঙ্খিত ছিলো। আমরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি তৈরি করি ২০১০ সালে, যেখানে মিশুক মুনিরও আমাদের সাথে ছিলেন চিত্রগ্রাহক হিসাবে। এতে যুদ্ধাপরাধী ও ঘাতক দালালদের একটি ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখানো হয়েছে। ডিভিডিটিতে আনুসঙ্গিক আরো রয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আলোকে চিত্রায়িত ‘একুশ’ এবং 'নরসুন্দর' নির্মাণ নিয়ে তারেক-মিশুককে স্মরণ করে একটি স্লাইড শো। এর পরিবেশক হিসাবে আমাদের সাথে আছে লেজার ভিশন।’
তারেক মাসুদের গান
|
তারেক মাসুদ সবার কাছে পরিচিত চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে। এ ছাড়া তিনি ছিলেন একজন গীতিকারও। এবার তাঁর লেখা ২০টি গান নিয়ে অ্যালবাম প্রকাশ করছে লেজার ভিশন। নাম তারেক মাসুদের গান। ২২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আয়োজন করা হয়েছিলো অ্যালবামটির প্রকাশনা অনুষ্ঠান।
প্রয়াত তারেক মাসুদের স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য যে ধরনের আয়োজন ও ব্যবস্থাপনার ঝক্কি পোহাতে হতো, গান লেখার ক্ষেত্রে তা ছিল না। তাই বিষয়টিকে তারেক সব সময়ই ভীষণ উপভোগ করত। গীতিকার হিসেবে তারেক ব্যবহার করত আ. তা. মাসুদ নামটি। এই নামটি ছিল তারেক মাসুদের আরেকটি সত্তার পরিচায়ক। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তারেকের গান লেখায় প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে লোকসংগীত।’
ক্যাথরিন মাসুদ জানালেন, তারেক মাসুদের লেখা প্রথম গানটি হলো ‘শ্যাম চাচা গেল কোথায়’। কীর্তন অঙ্গের গানটি ব্যবহার করা হয় মুক্তির গান ছবিতে। তারেক মাসুদের লেখা গানগুলো ব্যবহার করা হয়েছে তাঁর মুক্তির কথা, অন্তর্যাত্রা, মাটির ময়না ও রানওয়ে ছবিতে। চলচ্চিত্রের বাইরেও নানা সময় এবং নানা উদ্দেশ্যে গান লিখেছিলেন তিনি। সেগুলোও রয়েছে এই অ্যালবামে। ক্যাথরিন মাসুদ বললেন, ‘“প্রজন্ম ৭১” গানটির কথা এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ করতে চাই। যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে তৈরি হয়েছে গানটি। কণ্ঠ দিয়েছেন সজীব। গানটি কিন্তু এখন খুবই প্রাসঙ্গিক।’
প্রয়াত তারেক মাসুদের স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য যে ধরনের আয়োজন ও ব্যবস্থাপনার ঝক্কি পোহাতে হতো, গান লেখার ক্ষেত্রে তা ছিল না। তাই বিষয়টিকে তারেক সব সময়ই ভীষণ উপভোগ করত। গীতিকার হিসেবে তারেক ব্যবহার করত আ. তা. মাসুদ নামটি। এই নামটি ছিল তারেক মাসুদের আরেকটি সত্তার পরিচায়ক। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তারেকের গান লেখায় প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে লোকসংগীত।’
ক্যাথরিন মাসুদ জানালেন, তারেক মাসুদের লেখা প্রথম গানটি হলো ‘শ্যাম চাচা গেল কোথায়’। কীর্তন অঙ্গের গানটি ব্যবহার করা হয় মুক্তির গান ছবিতে। তারেক মাসুদের লেখা গানগুলো ব্যবহার করা হয়েছে তাঁর মুক্তির কথা, অন্তর্যাত্রা, মাটির ময়না ও রানওয়ে ছবিতে। চলচ্চিত্রের বাইরেও নানা সময় এবং নানা উদ্দেশ্যে গান লিখেছিলেন তিনি। সেগুলোও রয়েছে এই অ্যালবামে। ক্যাথরিন মাসুদ বললেন, ‘“প্রজন্ম ৭১” গানটির কথা এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ করতে চাই। যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে তৈরি হয়েছে গানটি। কণ্ঠ দিয়েছেন সজীব। গানটি কিন্তু এখন খুবই প্রাসঙ্গিক।’
গান লেখা উপভোগ করতেন তারেক
প্রকাশিত হয়েছে অডিও অ্যালবাম তারেক মাসুদের গান আর ডিভিডিতে তারেক মাসুদের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নরসুন্দর। বাজারে এনেছে লেজার ভিশন। শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি রেস্তোরাঁয় অ্যালবাম দুটির মোড়ক খোলা হয়। কথা হলো প্রয়াত তারেক মাসুদের স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদের সঙ্গে।
তারেক মাসুদ যে গান লিখতেন, তা অনেকের কাছেই অজানা ছিল।
তারেক নিজেও তা কখনো প্রকাশ করতে চাননি। শুধু তাঁর কাছের মানুষজন জানতেন। তিনি লিখতেন আ তা মাসুদ নামে। এটাই ছিল গীতিকার হিসেবে তারেক মাসুদের পরিচয়। চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য তাঁকে যে ধরনের আয়োজন ও ব্যবস্থাপনার ঝক্কি পোহাতে হতো, গান লেখার ক্ষেত্রে তা ছিল না। তাই গান লেখার ব্যাপারটিকে সব সময়ই ভীষণ উপভোগ করতেন তারেক।
‘তারেক মাসুদের গান’ অ্যালবামে তারেক মাসুদের সব কটি গানই রয়েছে?
না, যে গানগুলো তারেক নিজেই শেষ করেছিলেন, সেগুলোই এখানে রেখেছি। তাঁর অনেকগুলো অসমাপ্ত লেখা গান রয়েছে, সেগুলো রাখিনি।
এবার ‘নরসুন্দর’ ছবিটি ডিভিডিতে বের করেছেন।
তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আমরা এ উদ্যোগ নিয়েছি। মূল ছবিটি ছাড়াও এই ডিভিডিতে রয়েছে ক্যামেরার পেছনের গল্প। তারেক ‘একুশ’ নামে দুই মিনিটের একটি ভিডিও সং তৈরি করেছিলেন। সেটিও থাকছে এই ডিভিডিতে।
তারেক মাসুদকে নিয়ে সামনে আর কী পরিকল্পনা করছেন?
তারেকের একটি বাদে সব কটি ছবিই ডিভিডিতে বের হয়েছে। এবার আমরা তাঁর প্রথম ছবি আদম সুরত নিয়ে কাজ করছি। এই ছবির সঙ্গে জড়িত আছেন এস এম সুলতান, তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীর। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে এই ডিভিডিটি বের হবে।
‘চলচ্চিত্র যাত্রা’র পর আর কোনো বই বের করার পরিকল্পনা আছে?
হ্যাঁ, তারেকের চিত্রনাট্য আর গানের কথা নিয়ে একটি বই তৈরি করছি। এবার অমর একুশের বইমেলায় বইটি বের করার পরিকল্পনা আছে। এরপর বের হবে পত্রিকা ও টিভিতে তারেক মাসুদের বিভিন্ন সাক্ষাৎকার নিয়ে আরেকটি বই।
- প্রথম আলো ২৩ ডিসেম্বর ২০১২
তারেক মাসুদ যে গান লিখতেন, তা অনেকের কাছেই অজানা ছিল।
তারেক নিজেও তা কখনো প্রকাশ করতে চাননি। শুধু তাঁর কাছের মানুষজন জানতেন। তিনি লিখতেন আ তা মাসুদ নামে। এটাই ছিল গীতিকার হিসেবে তারেক মাসুদের পরিচয়। চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য তাঁকে যে ধরনের আয়োজন ও ব্যবস্থাপনার ঝক্কি পোহাতে হতো, গান লেখার ক্ষেত্রে তা ছিল না। তাই গান লেখার ব্যাপারটিকে সব সময়ই ভীষণ উপভোগ করতেন তারেক।
‘তারেক মাসুদের গান’ অ্যালবামে তারেক মাসুদের সব কটি গানই রয়েছে?
না, যে গানগুলো তারেক নিজেই শেষ করেছিলেন, সেগুলোই এখানে রেখেছি। তাঁর অনেকগুলো অসমাপ্ত লেখা গান রয়েছে, সেগুলো রাখিনি।
এবার ‘নরসুন্দর’ ছবিটি ডিভিডিতে বের করেছেন।
তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আমরা এ উদ্যোগ নিয়েছি। মূল ছবিটি ছাড়াও এই ডিভিডিতে রয়েছে ক্যামেরার পেছনের গল্প। তারেক ‘একুশ’ নামে দুই মিনিটের একটি ভিডিও সং তৈরি করেছিলেন। সেটিও থাকছে এই ডিভিডিতে।
তারেক মাসুদকে নিয়ে সামনে আর কী পরিকল্পনা করছেন?
তারেকের একটি বাদে সব কটি ছবিই ডিভিডিতে বের হয়েছে। এবার আমরা তাঁর প্রথম ছবি আদম সুরত নিয়ে কাজ করছি। এই ছবির সঙ্গে জড়িত আছেন এস এম সুলতান, তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীর। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে এই ডিভিডিটি বের হবে।
‘চলচ্চিত্র যাত্রা’র পর আর কোনো বই বের করার পরিকল্পনা আছে?
হ্যাঁ, তারেকের চিত্রনাট্য আর গানের কথা নিয়ে একটি বই তৈরি করছি। এবার অমর একুশের বইমেলায় বইটি বের করার পরিকল্পনা আছে। এরপর বের হবে পত্রিকা ও টিভিতে তারেক মাসুদের বিভিন্ন সাক্ষাৎকার নিয়ে আরেকটি বই।
- প্রথম আলো ২৩ ডিসেম্বর ২০১২