প্রামাণ্যচিত্র
আগষ্ট ২০১২
সাইরেন
পরিচালক - মোল্লা সাগর
লাইফ বাংলাদেশ
২৯ আগষ্ট ২০১২
পাটশিল্প শ্রমিকদের জীবন-সংগ্রামের চালচিত্র নিয়ে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র ‘সাইরেন’। মোল্লা সাগর পরিচালিত এ প্রামাণ্যচিত্রটির উদ্বোধনী প্রদর্শনী ও ডিভিডির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছিলো ২৯ আগষ্ট সন্ধ্যা ৭টায় রাজধানীর শাহবাগের পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে।
বরেণ্য সমাজকর্মী খুশী কবির, চলচ্চিত্রকার মসিউদ্দিন শাকের, চলচ্চিত্রকার মানজারে হাসীন মুরাদ, আলোকচিত্রী নাসির আলী মামুন এবং কবি-সঙ্গীতশিল্পী কফিল আহমেদ এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
মোল্লা সাগর পরিচালিত প্রামাণ্যচিত্র ‘সাইরেন’ এমন একটি সময়ের দলিল যখন আমাদের দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কৃষি ও শিল্পখাতের অন্যতম প্রধান খাতটিকে নিশ্চিত ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়।
এই দু:খগাঁথা পাটের, দেশের কৃষি ও শিল্পখাতে লাখো-কোটি মানুষের প্রধান জীবিকা হয়ে উঠে যা একসময় ‘সোনালী আঁশ’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিল। পাটশিল্প ব্রিটিশ শাসনামলেই বাংলায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। কৃষকরা পাটচাষ এবং পাটের আঁশ প্রক্রিয়জাতকরণে দক্ষতা অর্জন করে আর এ অঞ্চলের প্রথম শিল্পশ্রমিক শ্রেণী হিসেবে আবির্ভূত হয় পাটশিল্প শ্রমিকরা, যারা পাটকল পরিচালনায় দক্ষ হয়ে ওঠে। ১৯৭১ এ বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জনের পর পুরো পাটশিল্পের রাষ্ট্রীয়করণ করা হলেও তার সুফল জাতি পায়নি। আশির দশকের শুরুতেই পাটশিল্পে দুর্যোগ নেমে আসে এবং নব্বই এবং পরবর্তী দশকেও তা অব্যাহত থাকে। এ শিল্পে ব্যয়সংকোচনে দাতাদের নীতি এবং বাংলাদেশ সরকারের বিনা বাধায় ওই নীতির অনুগামী হওয়ার মধ্য দিয়ে এসময় ব্যাপকহারে শ্রমিক ছাঁটাই চলতে থাকে। একের পর এক পাটকল বন্ধ ঘোষণা করা হয় এবং লাখ-লাখ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়ে।
এ ঘটনাপ্রবাহের ধারবাহিকতায় ২০০৭-০৮ সালে খুলনার খালিশপুর এলাকায় কয়েকটি পাটকল বন্ধ ঘোষণা, শ্রমিকদের আন্দোলন এবং শ্রমিকপরিবারগুলোর দুর্দশার চিত্র উঠে এসেছে সাইরেন-এ। ক্ষুধা এবং অনিশ্চয়তায় এ পরিবারগুলোর সামনে যখন বেকারত্ব, অনাহার, মৃত্যু, আত্মহত্যা কিংবা পতিতাবৃত্তি ছাড়া আর কোনো গন্তব্য ছিল না ‘সাইরেন’ সেই সময়ের সাক্ষী।
বরেণ্য সমাজকর্মী খুশী কবির, চলচ্চিত্রকার মসিউদ্দিন শাকের, চলচ্চিত্রকার মানজারে হাসীন মুরাদ, আলোকচিত্রী নাসির আলী মামুন এবং কবি-সঙ্গীতশিল্পী কফিল আহমেদ এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
মোল্লা সাগর পরিচালিত প্রামাণ্যচিত্র ‘সাইরেন’ এমন একটি সময়ের দলিল যখন আমাদের দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কৃষি ও শিল্পখাতের অন্যতম প্রধান খাতটিকে নিশ্চিত ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়।
এই দু:খগাঁথা পাটের, দেশের কৃষি ও শিল্পখাতে লাখো-কোটি মানুষের প্রধান জীবিকা হয়ে উঠে যা একসময় ‘সোনালী আঁশ’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিল। পাটশিল্প ব্রিটিশ শাসনামলেই বাংলায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। কৃষকরা পাটচাষ এবং পাটের আঁশ প্রক্রিয়জাতকরণে দক্ষতা অর্জন করে আর এ অঞ্চলের প্রথম শিল্পশ্রমিক শ্রেণী হিসেবে আবির্ভূত হয় পাটশিল্প শ্রমিকরা, যারা পাটকল পরিচালনায় দক্ষ হয়ে ওঠে। ১৯৭১ এ বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জনের পর পুরো পাটশিল্পের রাষ্ট্রীয়করণ করা হলেও তার সুফল জাতি পায়নি। আশির দশকের শুরুতেই পাটশিল্পে দুর্যোগ নেমে আসে এবং নব্বই এবং পরবর্তী দশকেও তা অব্যাহত থাকে। এ শিল্পে ব্যয়সংকোচনে দাতাদের নীতি এবং বাংলাদেশ সরকারের বিনা বাধায় ওই নীতির অনুগামী হওয়ার মধ্য দিয়ে এসময় ব্যাপকহারে শ্রমিক ছাঁটাই চলতে থাকে। একের পর এক পাটকল বন্ধ ঘোষণা করা হয় এবং লাখ-লাখ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়ে।
এ ঘটনাপ্রবাহের ধারবাহিকতায় ২০০৭-০৮ সালে খুলনার খালিশপুর এলাকায় কয়েকটি পাটকল বন্ধ ঘোষণা, শ্রমিকদের আন্দোলন এবং শ্রমিকপরিবারগুলোর দুর্দশার চিত্র উঠে এসেছে সাইরেন-এ। ক্ষুধা এবং অনিশ্চয়তায় এ পরিবারগুলোর সামনে যখন বেকারত্ব, অনাহার, মৃত্যু, আত্মহত্যা কিংবা পতিতাবৃত্তি ছাড়া আর কোনো গন্তব্য ছিল না ‘সাইরেন’ সেই সময়ের সাক্ষী।
THE SPEECH
By Fakrhrul Arefin
Laser Vision
31 August 2012
৩১ আগস্ট মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র 'দ্য স্পিচ' ডিভিডির মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এটি নির্মাণ করেছেন ফাখরুল আবেদীন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ। বক্তব্য দেন তথ্যসচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, বিটিভির মহাপরিচালক ম. হামিদ, সেক্টর কমান্ডার মেজর জেনারেল (অব.) এ কে এম সফিউল্লাহ বীর-উত্তম, সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) হারুনুর রশিদ বীরপ্রতীক প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, যদিও ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুই আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন, কিন্তু সেই ঘোষণাটি ছিল ৭ মার্চের ভাষণেরই পুনরাবৃত্তি। প্রামাণ্যচিত্রটিতে কবি নির্মলেন্দু গুণের কবিতা আবৃত্তি করেছেন হাসান আরিফ। প্রামাণ্যচিত্রটি সম্পাদনা করেছেন পার্থ সারথি মোদক ও ওমর ফারুক নিপু।