নজরুল
অক্টোবর ২০১২
ছায়ানট মিলনায়তনে ১৯ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় নজরুল সঙ্গীতশিল্পী বিজন চন্দ্র মিস্ত্রির গাওয়া নজরুল সঙ্গীতের অ্যালবাম 'মাটির প্রতিমা'র মোড়ক উন্মোচন করবেন ড. সন্জীদা খাতুন। এরপর থাকছে সঙ্গীতসন্ধ্যা। অ্যালবামটি বাজারে এনেছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান মিউজিক সাউন্ড লেন। কথা বলেছেন বিজন চন্দ্র মিস্ত্রি -
'মাটির প্রতিমা' অ্যালবামে কোন ধরনের গান থাকছে?
দীর্ঘদিন কাজী নজরুল ইসলামের শ্যামসঙ্গীত গেয়েছি। মূলত নজরুলের সব ধরনের গান করলেও শ্যামা ও কীর্তন আমার বিশেষ পছন্দের। অ্যালবামটি এই দু'ধরনের গান নিয়েই সাজানো হয়েছে। এই অ্যালবামে গান রয়েছে ৯টি। এগুলোর সঙ্গীতায়োজন করেছেন অজয় মিত্র। গানগুলো হলো 'মাটির প্রতিমা', ' আমার হাতে কালি মুখে কালি', স্থির হয়ে তুই বোস দেখি মা', 'আমার ভাবের অভাব', 'ওগো অন্তস্নর জামি ভক্তের তব', 'বাজে মনজিল মনজিল', 'নব কৃশলয় রাঙা সজ্জা', মাগো চিন্ময়ী রূপধরে', 'কালো মেয়ে পায়ের তলায়'।
সঙ্গীতসন্ধ্যায় কোন গানগুলো গাইবেন?
'মাটির প্রতিমা' অ্যালবামের গান তো থাকছে, সেই সঙ্গে আমার আরেকটি অ্যালবাম এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। এর নাম 'শক্তিময়ী মা'। এটিও বাজারে এনেছে মিউজিক সাউন্ড লেন। এতে রয়েছে ৯টি পূজার গান। এগুলোর সঙ্গীতায়োজন করেছেন লিটন দাস। গানগুলো লিখেছেন ডা. মিন্টু কৃষ্ণ পাল, লিটন দাস, রঞ্জন আচার্য, হীরেন্দ্রনাথ মৃধা, বিশ্বজিৎ দাস।
'শক্তিময়ী মা' অ্যালবামটির আনুষ্ঠানিক প্রকাশনা না করার কোনো কারণ আছে?
অ্যালবামটির কাজ দ্রুত শেষ করেছি। এখন শারদীয় দুর্গাপূজার উৎসব চলছে। মূলত সেজন্যই অ্যালবামটি তড়িঘড়ি বাজারে ছাড়া হয়েছে। আমার দুই অ্যালবামেই মাকে নিয়ে গান রয়েছে।
'মাটির প্রতিমা' অ্যালবামে কোন ধরনের গান থাকছে?
দীর্ঘদিন কাজী নজরুল ইসলামের শ্যামসঙ্গীত গেয়েছি। মূলত নজরুলের সব ধরনের গান করলেও শ্যামা ও কীর্তন আমার বিশেষ পছন্দের। অ্যালবামটি এই দু'ধরনের গান নিয়েই সাজানো হয়েছে। এই অ্যালবামে গান রয়েছে ৯টি। এগুলোর সঙ্গীতায়োজন করেছেন অজয় মিত্র। গানগুলো হলো 'মাটির প্রতিমা', ' আমার হাতে কালি মুখে কালি', স্থির হয়ে তুই বোস দেখি মা', 'আমার ভাবের অভাব', 'ওগো অন্তস্নর জামি ভক্তের তব', 'বাজে মনজিল মনজিল', 'নব কৃশলয় রাঙা সজ্জা', মাগো চিন্ময়ী রূপধরে', 'কালো মেয়ে পায়ের তলায়'।
সঙ্গীতসন্ধ্যায় কোন গানগুলো গাইবেন?
'মাটির প্রতিমা' অ্যালবামের গান তো থাকছে, সেই সঙ্গে আমার আরেকটি অ্যালবাম এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। এর নাম 'শক্তিময়ী মা'। এটিও বাজারে এনেছে মিউজিক সাউন্ড লেন। এতে রয়েছে ৯টি পূজার গান। এগুলোর সঙ্গীতায়োজন করেছেন লিটন দাস। গানগুলো লিখেছেন ডা. মিন্টু কৃষ্ণ পাল, লিটন দাস, রঞ্জন আচার্য, হীরেন্দ্রনাথ মৃধা, বিশ্বজিৎ দাস।
'শক্তিময়ী মা' অ্যালবামটির আনুষ্ঠানিক প্রকাশনা না করার কোনো কারণ আছে?
অ্যালবামটির কাজ দ্রুত শেষ করেছি। এখন শারদীয় দুর্গাপূজার উৎসব চলছে। মূলত সেজন্যই অ্যালবামটি তড়িঘড়ি বাজারে ছাড়া হয়েছে। আমার দুই অ্যালবামেই মাকে নিয়ে গান রয়েছে।
কবি নজরুলের গানের প্রতি ভালবাসা থেকেই এবারের ঈদুল আজহায় মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় প্রকাশ করলেন তার দ্বিতীয় একক অ্যালবাম ‘আলোকমঞ্জরী’। অ্যালবামটি বাজারে এনেছে সংগীত প্রযোজনা সংস্থা জি-সিরিজের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান অগ্নিবীণা।
কবি নজরুলের ১২টি গান নিয়ে মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়ের এই একক অ্যালবামটিতে সংগীত পরিচালনা করেছেন সালাহউদ্দীন আহম্মেদ। সবধরনের শ্রোতার কথা চিন্তা করে কবি নজরুলের বিভিন্ন ধরনের গান গেয়েছে শিল্পী।তাই অ্যালবামের ১২টি গানের মধ্যে পরশ পাওয়া যাবে নজরুলের কীত্তন, শ্যামা সংগীত ও ইসলামী গানের। গানগুলো হল: ভেসে আসে সুদূর, ওগো নতুন নেশা, বধূ আমি ছিনু বুঝি, হে নামাজী আমার, চৈতি চাঁদের আলো, পথিক বন্ধু এসো, ভোরে ঝিলের জলে, আমার হাতে কালি, মনে পড়ে আজ, হে প্রিয় আমারে, পরদেশি মেঘ, নব কিশলয় রাঙা।
ছোটবেলা থেকেই গানের চর্চা করে আসেছেন শিল্পী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়। শৈশব কেটেছে বাগেরহাটে। সেখানেই ওস্তাদ মনীন্দ্র নাথ সাহার কাছে সংগীত শিক্ষা শুরু। এরপর তিনি জ্যোস্না দেবনাথ ও সন্ধ্যা পালের কাছে উচ্চাঙ্গ ও নজরুল সংগীত প্রথম থেকেই শেখা শুরু করেন এই শিল্পী।সেই সময়েই রেডিওতে শিশুশিল্পী হিসেবে রেডিওতে উচ্চাঙ্গ সংগীত শিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।এরপর ১৯৯০ সালে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ প্রতিযোগিতায় নজরুল সংগীত বিভাগে তিনি তৃতীয় স্থান লাভ করেন। ১৯৯৬ সালে ঢাকায় আসার পর ১৯৯৮ সালে বুলবুল ললিতকলা একাডেমি থেকে তিনি নজরুল সংগীতের উপর সার্টিফিকেট কোর্স সমাপ্ত করেন। ওই বছরেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব কলাকেন্দ্র আয়োজিত প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে তিনি সারা বাংলাদেশের প্রতিযোগীদের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করে গোল্ড মেডেল লাভ করেন। এরপর নজরুল ইনিস্টিটিউট থেকে ২০০০-২০০১ সেশনে নজরুল সংগীতের উপর ডিপ্লোমা কোর্স সমাপ্ত করে তিনি পূর্ণভাবে নিজেকে সংগীতের উপর ছেড়ে দেন। এছাড়া ওস্তাদ সুধীন দাশের কাছে পাঁচ বছর তালিম নিয়েছেন। ২০০২ সালে মৌসুমী বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে তালিকাভুক্ত শিল্পী হওয়ার হন। বর্তমানে তিনি ওস্তাদ সালাহউদ্দীন আহম্মেদের কাছ নিয়মিত সংগীত চর্চা করে যাচ্ছেন।
কবি নজরুলের ১২টি গান নিয়ে মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়ের এই একক অ্যালবামটিতে সংগীত পরিচালনা করেছেন সালাহউদ্দীন আহম্মেদ। সবধরনের শ্রোতার কথা চিন্তা করে কবি নজরুলের বিভিন্ন ধরনের গান গেয়েছে শিল্পী।তাই অ্যালবামের ১২টি গানের মধ্যে পরশ পাওয়া যাবে নজরুলের কীত্তন, শ্যামা সংগীত ও ইসলামী গানের। গানগুলো হল: ভেসে আসে সুদূর, ওগো নতুন নেশা, বধূ আমি ছিনু বুঝি, হে নামাজী আমার, চৈতি চাঁদের আলো, পথিক বন্ধু এসো, ভোরে ঝিলের জলে, আমার হাতে কালি, মনে পড়ে আজ, হে প্রিয় আমারে, পরদেশি মেঘ, নব কিশলয় রাঙা।
ছোটবেলা থেকেই গানের চর্চা করে আসেছেন শিল্পী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়। শৈশব কেটেছে বাগেরহাটে। সেখানেই ওস্তাদ মনীন্দ্র নাথ সাহার কাছে সংগীত শিক্ষা শুরু। এরপর তিনি জ্যোস্না দেবনাথ ও সন্ধ্যা পালের কাছে উচ্চাঙ্গ ও নজরুল সংগীত প্রথম থেকেই শেখা শুরু করেন এই শিল্পী।সেই সময়েই রেডিওতে শিশুশিল্পী হিসেবে রেডিওতে উচ্চাঙ্গ সংগীত শিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।এরপর ১৯৯০ সালে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ প্রতিযোগিতায় নজরুল সংগীত বিভাগে তিনি তৃতীয় স্থান লাভ করেন। ১৯৯৬ সালে ঢাকায় আসার পর ১৯৯৮ সালে বুলবুল ললিতকলা একাডেমি থেকে তিনি নজরুল সংগীতের উপর সার্টিফিকেট কোর্স সমাপ্ত করেন। ওই বছরেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব কলাকেন্দ্র আয়োজিত প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে তিনি সারা বাংলাদেশের প্রতিযোগীদের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করে গোল্ড মেডেল লাভ করেন। এরপর নজরুল ইনিস্টিটিউট থেকে ২০০০-২০০১ সেশনে নজরুল সংগীতের উপর ডিপ্লোমা কোর্স সমাপ্ত করে তিনি পূর্ণভাবে নিজেকে সংগীতের উপর ছেড়ে দেন। এছাড়া ওস্তাদ সুধীন দাশের কাছে পাঁচ বছর তালিম নিয়েছেন। ২০০২ সালে মৌসুমী বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে তালিকাভুক্ত শিল্পী হওয়ার হন। বর্তমানে তিনি ওস্তাদ সালাহউদ্দীন আহম্মেদের কাছ নিয়মিত সংগীত চর্চা করে যাচ্ছেন।
২০০৭ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম একক অ্যালবাম ‘এমনই বরষা ছিল’। নজরুলে গান নিয়ে চর্চা করলেও প্রথমটি ছিল পুরানো দিনের আধুনিক বাংলা গানের অ্যালবাম। এর কারণ হিসেবে এই শিল্পী বলেন, “মা হওয়া পর বেশ অনেকদিন সংগীত থেকে দূরে ছিলাম। নিয়মিত চর্চাটা করা হয়নি বলেই ইচ্ছে করেই প্রথম অ্যালবামটায় নজরুলের গান নিয়ে কাজ করিনি। তাছাড়া পুরানো দিনের গানের প্রতি আমার একটা আগ্রহ কাজ করে। সেই জন্যই প্রথম অ্যালবামটি ওরকম করে ছিলাম।” তবে দ্বিতীয় অ্যালবামটি নিয়ে খুবই আশাবাদী নজরুল সংগীতের এই শিল্পী।
তিনি জানান, “এই অ্যালবামে যথা সম্ভব শুদ্ধ সুর ও বাণীতে আমি গান করেছি। শ্রোতাদের ভিন্ন স্বাদ দেওয়ার জন্য নজরুলেরই বিভিন্ন ধরনের গান করেছি। মনের ভাললাগা থেকে আমি এই অ্যালবামটি করেছি। আমি বিশ্বাস করি যে কাজ মনের ভাললাগা থেকে করা হয় সেটা অন্যদেরও ভাল লাগে। তাই আমি আশাকরি শ্রোতারা অ্যালবামটি শুনে আনন্দ পাবেন।” গান করার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তিনি সংগীত শিক্ষক হিসেবে কাজ করেন। বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের সংগীত শেখাতে পছন্দ করেন তিনি। তাইতো তিনি আমৃত্যু সংগীতের সাথে তালে তাল মিলিয়ে চলতে চলতে এদেশের ছোট ছোট বাচ্চাদের গান শেখানোর কাজ করে যেতে চান।
তথ্যসূত্রঃ সংবাদ২৪
তিনি জানান, “এই অ্যালবামে যথা সম্ভব শুদ্ধ সুর ও বাণীতে আমি গান করেছি। শ্রোতাদের ভিন্ন স্বাদ দেওয়ার জন্য নজরুলেরই বিভিন্ন ধরনের গান করেছি। মনের ভাললাগা থেকে আমি এই অ্যালবামটি করেছি। আমি বিশ্বাস করি যে কাজ মনের ভাললাগা থেকে করা হয় সেটা অন্যদেরও ভাল লাগে। তাই আমি আশাকরি শ্রোতারা অ্যালবামটি শুনে আনন্দ পাবেন।” গান করার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তিনি সংগীত শিক্ষক হিসেবে কাজ করেন। বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের সংগীত শেখাতে পছন্দ করেন তিনি। তাইতো তিনি আমৃত্যু সংগীতের সাথে তালে তাল মিলিয়ে চলতে চলতে এদেশের ছোট ছোট বাচ্চাদের গান শেখানোর কাজ করে যেতে চান।
তথ্যসূত্রঃ সংবাদ২৪
সঙ্গীত মানুষের মনের চাহিদা মেটায়, খোরাক জোগায়। ভালোলাগার অনুভূতিকে ধরে রাখে কিংবা নিজের ভেতরে, আত্মায় ভাঙনের শব্দকে ভুলিয়ে দেয় এ সঙ্গীত। ভুলিয়ে দেয় একাকীত্বের বেদনা-বিধুর মুহূর্তকেও। অপার্থিব আনন্দে ভরিয়ে দেয় মন। নাগরিক জীবন যখন আমাদের ক্লান্ত করে তোলে, মনকে তখন স্নাত করে সঙ্গীত। নিজেকে আবার আবিষ্কার করি, প্রকৃতির কাছাকাছি হিসেবে।
সুখের, দুঃখের, প্রেমের কবি আমাদের কবি কাজী নজরুল। সেই কবির গান যখন সুরেলা কণ্ঠে বেজে ওঠে- ‘নয়ন ভরা জল গো তোমার, আঁচল ভরা ফুল’ তখন আমাদের মনটা বড়ই স্মৃতিকাতর হয়ে ওঠে। বড়ই আপ্লুত করে প্রিয়জনের মুখটি মনে করিয়ে দিয়ে। জীবনের পেছনে ফেলা আসা সময়কে আবারও মনে করিয়ে দেয়। জীবনের হিসাব-নিকাশ মেলাতে মনকে করে বিহ্বল।
নিজেকে মহূর্তের জন্য যখন হারিয়ে ফেলি, সেই কৈশোরে, কিংবা হারানো দিনের জীবনে, দূর থেকে ভেসে আসা কোনো শিল্পীর কণ্ঠে গাওয়া- ‘আমার যাবার সময় হলো, দাও বিদায়...’ চোখের কোণটা এমনিতেই ভিজে যায়, না-বলা বেদনার আর্তিতে রসাপ্লুত হয় মন। প্রিয়জন কাছে থাকলে সুখের সাগরে বান আসে। উছলে পড়ে আনন্দ, সুরের মূর্চ্ছনায় অবগাহন করে মন। যখন দূর থেকে ভেসে আসে সেই গান- ‘উচাটন মন ঘরে রয় না’ অনির্বচনীয় সুখ প্রিয়জনের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে বড়ই চায় মন।
কবি নজরুলের স্মৃতি জাগানিয়া সেই চিরচেনা কিছু গান নিয়ে এবার ঈদের বিশেষ আকর্ষণ নজরুলগীতির ‘আবার ভালবাসার সাধ জাগে’ অ্যালবামটি গানপাগল মানুষদের ঈদে বাড়তি আনন্দ দেবে। সামিরা আব্বাসীর কণ্ঠে মনকাড়া তেমনি ১০টি গানের অ্যালবামটি সংগ্রহে রাখতে পারবেন যে কেউই। প্রিয়জনকে উপহার দিতে পারবেন নিঃসন্দেহে।
পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী ও ওস্তাদ নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরীর কাছে তালিম নেওয়া শিল্পী সামিরা আব্বাসীর গানের অ্যালবামটি বাজারে এনেছে ইমপ্রেস অডিও ভিশন। জাতীয় পুরষ্কারপ্রাপ্ত সঙ্গীত পরিচালক সুজেয় শ্যামের নির্দেশনায় দেশের খ্যাতনামা যন্ত্রশিল্পীরা অ্যালবামটিতে অনুষঙ্গ হয়েছেন।
শিল্পী সামিরার গানে খুঁজে পাওয়া যাবে কিংবদন্তী শিল্পী আব্বাসউদ্দীনকে। তারই দৌহিত্রী তিনি। ইতোপূর্বে সামিরার গাওয়া গজলের সিডি দেশে-বিদেশের শ্রোতাদের ব্যাপক আলোড়িত করেছে। তার নিজস্ব গায়নভঙ্গি শ্রোতাদের অনেক বেশি আগ্রহী করেছে শিল্পী সামিরার প্রতি। তার এবারের ‘আবার ভালবাসার সাধ জাগে’ অ্যালবামটিও শ্রোতাদের মধ্যে ব্যাপক চাহিদা তৈরি করবে, তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। শিল্পী মুস্তাফা জামান আব্বাসীর সুযোগ্য উত্তরসূরী সামিরা আব্বাসী প্রাণবন্ত কণ্ঠে গেয়েছেন- “মুখে কেন নাহি বল”, “উচাটন মন ঘরে রয় না”।
অন্যদিকে, বহুল জনপ্রিয় “আমার যাবার সময় হল”, “নয়ন ভরা জল” গানগুলো সামিরার সুরেলা কণ্ঠে, নতুন উপস্থাপনায় নতুন ব্যাপ্তি পেয়েছে। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে দীর্ঘ সাধনায় নিবেদিত সামিরার কণ্ঠে “আমি পথ মঞ্জরী” এক অদ্ভুত মোহনীয় মূর্চ্ছনায় আপ্লুত হয় মন। কণ্ঠসৌকর্য ও আবেগের দ্যোতনায় নজরুলের গানকে অনেকখানি কাছে আনতে সক্ষম হয়েছেন শিল্পী সামিরা।
‘আবার ভালবাসার সাধ জাগে’ অ্যালবামের নির্বাচিত কয়েকটি গান চ্যানেল আইতে ইতোমধ্যে পরিবেশিত হয়েছে। তা বিপুল দর্শক-শ্রোতাপ্রিয়তা অর্জন করে।
শৈশব থেকে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারে অসংখ্য অনুষ্ঠান করেছেন শিল্পী সামিরা। পেশায় মেধাবী প্রকৌশলী ও তুখোড় বিতার্কিক হলেও সামিরার মননে সাহিত্য ও সঙ্গীতের আশীর্বাদ যেন জীবনের পাথেয়।সামিরার কণ্ঠে নজরুলগীতি শুনে মনে ‘আবার ভালবাসার সাধ জাগে’ বলা যাবে অবলীলায়। আমাদের প্রিয় নজরুলকে আবার নতুন করে মনে করিয়ে দিয়েছেন শিল্পী সামিরা আব্বাসী। সে জন্য তার অগণিত ভক্তের পাশাপাশি বাংলানিউজের পক্ষ থেকেও শিল্পী সামিরার প্রতি রইলো একরাশ শুভেচ্ছা আর সাফল্য কামনা।
তথ্যসূত্রঃ বাংলা নিউজ ২৪
সুখের, দুঃখের, প্রেমের কবি আমাদের কবি কাজী নজরুল। সেই কবির গান যখন সুরেলা কণ্ঠে বেজে ওঠে- ‘নয়ন ভরা জল গো তোমার, আঁচল ভরা ফুল’ তখন আমাদের মনটা বড়ই স্মৃতিকাতর হয়ে ওঠে। বড়ই আপ্লুত করে প্রিয়জনের মুখটি মনে করিয়ে দিয়ে। জীবনের পেছনে ফেলা আসা সময়কে আবারও মনে করিয়ে দেয়। জীবনের হিসাব-নিকাশ মেলাতে মনকে করে বিহ্বল।
নিজেকে মহূর্তের জন্য যখন হারিয়ে ফেলি, সেই কৈশোরে, কিংবা হারানো দিনের জীবনে, দূর থেকে ভেসে আসা কোনো শিল্পীর কণ্ঠে গাওয়া- ‘আমার যাবার সময় হলো, দাও বিদায়...’ চোখের কোণটা এমনিতেই ভিজে যায়, না-বলা বেদনার আর্তিতে রসাপ্লুত হয় মন। প্রিয়জন কাছে থাকলে সুখের সাগরে বান আসে। উছলে পড়ে আনন্দ, সুরের মূর্চ্ছনায় অবগাহন করে মন। যখন দূর থেকে ভেসে আসে সেই গান- ‘উচাটন মন ঘরে রয় না’ অনির্বচনীয় সুখ প্রিয়জনের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে বড়ই চায় মন।
কবি নজরুলের স্মৃতি জাগানিয়া সেই চিরচেনা কিছু গান নিয়ে এবার ঈদের বিশেষ আকর্ষণ নজরুলগীতির ‘আবার ভালবাসার সাধ জাগে’ অ্যালবামটি গানপাগল মানুষদের ঈদে বাড়তি আনন্দ দেবে। সামিরা আব্বাসীর কণ্ঠে মনকাড়া তেমনি ১০টি গানের অ্যালবামটি সংগ্রহে রাখতে পারবেন যে কেউই। প্রিয়জনকে উপহার দিতে পারবেন নিঃসন্দেহে।
পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী ও ওস্তাদ নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরীর কাছে তালিম নেওয়া শিল্পী সামিরা আব্বাসীর গানের অ্যালবামটি বাজারে এনেছে ইমপ্রেস অডিও ভিশন। জাতীয় পুরষ্কারপ্রাপ্ত সঙ্গীত পরিচালক সুজেয় শ্যামের নির্দেশনায় দেশের খ্যাতনামা যন্ত্রশিল্পীরা অ্যালবামটিতে অনুষঙ্গ হয়েছেন।
শিল্পী সামিরার গানে খুঁজে পাওয়া যাবে কিংবদন্তী শিল্পী আব্বাসউদ্দীনকে। তারই দৌহিত্রী তিনি। ইতোপূর্বে সামিরার গাওয়া গজলের সিডি দেশে-বিদেশের শ্রোতাদের ব্যাপক আলোড়িত করেছে। তার নিজস্ব গায়নভঙ্গি শ্রোতাদের অনেক বেশি আগ্রহী করেছে শিল্পী সামিরার প্রতি। তার এবারের ‘আবার ভালবাসার সাধ জাগে’ অ্যালবামটিও শ্রোতাদের মধ্যে ব্যাপক চাহিদা তৈরি করবে, তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। শিল্পী মুস্তাফা জামান আব্বাসীর সুযোগ্য উত্তরসূরী সামিরা আব্বাসী প্রাণবন্ত কণ্ঠে গেয়েছেন- “মুখে কেন নাহি বল”, “উচাটন মন ঘরে রয় না”।
অন্যদিকে, বহুল জনপ্রিয় “আমার যাবার সময় হল”, “নয়ন ভরা জল” গানগুলো সামিরার সুরেলা কণ্ঠে, নতুন উপস্থাপনায় নতুন ব্যাপ্তি পেয়েছে। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে দীর্ঘ সাধনায় নিবেদিত সামিরার কণ্ঠে “আমি পথ মঞ্জরী” এক অদ্ভুত মোহনীয় মূর্চ্ছনায় আপ্লুত হয় মন। কণ্ঠসৌকর্য ও আবেগের দ্যোতনায় নজরুলের গানকে অনেকখানি কাছে আনতে সক্ষম হয়েছেন শিল্পী সামিরা।
‘আবার ভালবাসার সাধ জাগে’ অ্যালবামের নির্বাচিত কয়েকটি গান চ্যানেল আইতে ইতোমধ্যে পরিবেশিত হয়েছে। তা বিপুল দর্শক-শ্রোতাপ্রিয়তা অর্জন করে।
শৈশব থেকে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারে অসংখ্য অনুষ্ঠান করেছেন শিল্পী সামিরা। পেশায় মেধাবী প্রকৌশলী ও তুখোড় বিতার্কিক হলেও সামিরার মননে সাহিত্য ও সঙ্গীতের আশীর্বাদ যেন জীবনের পাথেয়।সামিরার কণ্ঠে নজরুলগীতি শুনে মনে ‘আবার ভালবাসার সাধ জাগে’ বলা যাবে অবলীলায়। আমাদের প্রিয় নজরুলকে আবার নতুন করে মনে করিয়ে দিয়েছেন শিল্পী সামিরা আব্বাসী। সে জন্য তার অগণিত ভক্তের পাশাপাশি বাংলানিউজের পক্ষ থেকেও শিল্পী সামিরার প্রতি রইলো একরাশ শুভেচ্ছা আর সাফল্য কামনা।
তথ্যসূত্রঃ বাংলা নিউজ ২৪
নজরুলসংগীতের অ্যালবাম নিশি নিঝুম। শিল্পী নাসিমা শাহীন।
এসেছে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন থেকে। কথা হলো শিল্পীর সঙ্গে‘নিশি নিঝুম’ অ্যালবামটি নিয়ে কিছু বলুন।
ভেবেছিলাম অ্যালবামটি বাজারে আসবে কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকীতে। তাই নামটা দিতে চেয়েছিলাম ‘চিরতরে দূরে চলে যাব’। তেমনি কিছু গানও গেয়েছি—‘ওর নিশিথ সমাধি ভাঙ্গিয়ো না’, ‘ঘুমায়েছে ফুল পথের ধুলায়’, ‘কবি সবার কথা কইলে’, ‘আমি চিরতরে’, ‘তব মুখখানি খুলিয়া’। কিন্তু অ্যালবামটি এসেছে ঈদের আগে। নাম দিয়েছে নিশি নিঝুম। এতে গজল, রাগভিত্তিক আর কাব্যগীতি গেয়েছি। সংগীতায়োজন করেছেন দূর্বাদল চট্টোপাধ্যায়।
এবার আপনার কত নম্বর অ্যালবাম বেরিয়েছে?
নিশি নিঝুম আমার নজরুলের গানের পঞ্চম অ্যালবাম। কিছুদিন আগে কলকাতার আটলান্টিস মিউজিক থেকে আমার আরেকটি অ্যালবাম বেরিয়েছে, নাম এ কি সুরে তুমি গান শোনালে।
একটা ব্যাপার খেয়াল করেছেন—নজরুলের গান নিয়ে বিতর্ক যেন থামছেই না...
হ্যাঁ, বিতর্ক লেগেই আছে। নজরুলের গানের বাণী ও সুর নিয়ে তো অনেক আগে বিতর্ক শুরু হয়েছে। নজরুল ইনস্টিটিউট থেকে নজরুলের গানের পুরোনো রেকর্ড থেকে শুনে শুনে গানের বাণী লেখা হচ্ছে, স্বরলিপি তৈরি হচ্ছে। ওই বিতর্কটা থেমেছে। এখন নতুন যে বিতর্ক হচ্ছে, তা গায়কি নিয়ে, বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার নিয়ে।
দীর্ঘদিন ছায়ানটে নজরুলসংগীতের শিক্ষকতার সঙ্গে জড়িত আছেন। গায়কির ব্যাপারটি আপনি কীভাবে দেখছেন?
একটা সময় ছিল, যখন মাইক্রোফোন ততটা উন্নত ছিল না। তাই শিল্পীকে একটু চিৎকার করে গান গাইতে হতো। এখন পরিস্থিতিটা পাল্টেছে। আমি গানের বাণী, সুর আর ভাবকে প্রাধান্য দিই। নজরুলের গানের আবেদনটা যেন মানুষের কাছে যথাযথভাবে পৌঁছে—সেভাবেই গান করছি।
আর বাদ্যযন্ত্র?
আধুনিক বাদ্যযন্ত্রের ভিড়ে মূল গানের কাঠামোটাকে যেন ভেঙে না ফেলি, এ দিকটাতে সবার খেয়াল রাখতে হবে।
- প্রথম আলো
এসেছে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন থেকে। কথা হলো শিল্পীর সঙ্গে‘নিশি নিঝুম’ অ্যালবামটি নিয়ে কিছু বলুন।
ভেবেছিলাম অ্যালবামটি বাজারে আসবে কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকীতে। তাই নামটা দিতে চেয়েছিলাম ‘চিরতরে দূরে চলে যাব’। তেমনি কিছু গানও গেয়েছি—‘ওর নিশিথ সমাধি ভাঙ্গিয়ো না’, ‘ঘুমায়েছে ফুল পথের ধুলায়’, ‘কবি সবার কথা কইলে’, ‘আমি চিরতরে’, ‘তব মুখখানি খুলিয়া’। কিন্তু অ্যালবামটি এসেছে ঈদের আগে। নাম দিয়েছে নিশি নিঝুম। এতে গজল, রাগভিত্তিক আর কাব্যগীতি গেয়েছি। সংগীতায়োজন করেছেন দূর্বাদল চট্টোপাধ্যায়।
এবার আপনার কত নম্বর অ্যালবাম বেরিয়েছে?
নিশি নিঝুম আমার নজরুলের গানের পঞ্চম অ্যালবাম। কিছুদিন আগে কলকাতার আটলান্টিস মিউজিক থেকে আমার আরেকটি অ্যালবাম বেরিয়েছে, নাম এ কি সুরে তুমি গান শোনালে।
একটা ব্যাপার খেয়াল করেছেন—নজরুলের গান নিয়ে বিতর্ক যেন থামছেই না...
হ্যাঁ, বিতর্ক লেগেই আছে। নজরুলের গানের বাণী ও সুর নিয়ে তো অনেক আগে বিতর্ক শুরু হয়েছে। নজরুল ইনস্টিটিউট থেকে নজরুলের গানের পুরোনো রেকর্ড থেকে শুনে শুনে গানের বাণী লেখা হচ্ছে, স্বরলিপি তৈরি হচ্ছে। ওই বিতর্কটা থেমেছে। এখন নতুন যে বিতর্ক হচ্ছে, তা গায়কি নিয়ে, বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার নিয়ে।
দীর্ঘদিন ছায়ানটে নজরুলসংগীতের শিক্ষকতার সঙ্গে জড়িত আছেন। গায়কির ব্যাপারটি আপনি কীভাবে দেখছেন?
একটা সময় ছিল, যখন মাইক্রোফোন ততটা উন্নত ছিল না। তাই শিল্পীকে একটু চিৎকার করে গান গাইতে হতো। এখন পরিস্থিতিটা পাল্টেছে। আমি গানের বাণী, সুর আর ভাবকে প্রাধান্য দিই। নজরুলের গানের আবেদনটা যেন মানুষের কাছে যথাযথভাবে পৌঁছে—সেভাবেই গান করছি।
আর বাদ্যযন্ত্র?
আধুনিক বাদ্যযন্ত্রের ভিড়ে মূল গানের কাঠামোটাকে যেন ভেঙে না ফেলি, এ দিকটাতে সবার খেয়াল রাখতে হবে।
- প্রথম আলো